অনিকেত
পৃথিবী যে ঘুরে সেটা সর্বপ্রথম টের পাই ট্রেনে বসে!
ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময়ে ক্লাস সেভেনে আমার সবচেয়ে প্রিয় সাবজেকট ছিল ভূগোল। ফখরুজ্জামান স্যার আমাদের ভূগোলের টিচার ছিলেন। কলেজের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ক্লাসেই তিনি একটা kaleidoscope নিয়ে এসেছিলেন আমাদের ক্লাসে। ঘূর্ণায়মান বিচিত্র রঙের খেলা দেখে আমি অবাক।এর পর একদিন তিনি ক্যাসেট প্লেয়ারে রেকর্ড করে আনলেন গভীর সমুদ্রের তিমি মাছের গান বা গর্জন। আমি সমুদ্রই দেখিনি কখনো। এর আগেই আমি দূরের সমুদ্রের তিমি মাছের গান শুনে ফেলেছি।মনে আমার আর আনন্দ ধরেনা!
ক্লাস এইটে ফখরুজ্জামান স্যার আমাদেরকে পড়ালেন যে পৃথিবী সাড়ে ৬৬ ডিগ্রী কোনে নিজ অক্ষের ওপরে ঘুরে ঘুরে সূর্যের চারপাশে নিজ কক্ষপথের ওপরে আবর্তন করার কারনে পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন হয়। ঠিক একই সময়ে আমাদের ধর্মের টিচার সাদিক স্যার তার গবেষণালব্ধ বই ‘পৃথিবী সূর্য দুটোই ঘুরে- আল কোরআনের বানী’ বইটি লিখে ফেলেছেন যা সকল ক্লাসের ক্যাডেটদের মধ্যেই ‘বেস্ট সেলার’ হিশেবে প্রবল সাড়া জাগিয়েছে। আর্টের তৌফীক স্যার আরও এক ডিগ্রি ওপরে। মনোজ বসুর চুরির কাহিনী বলার ফাঁকে আমরা তাকে পৃথিবীর আহ্নিক গতির কথা জিজ্ঞেস করায় তিনি আমাদেরকে জানালেন, “পৃথিবী, সূর্য এবং পাঠকের মাথা তিনটাই ঘুরে- মোহাম্মদ সাদিকের বাণী”! শুধুমাত্র ইংরেজির রাফি ইমাম, সলিমুল্লাহ এবং ওয়ালী স্যারই (পরবর্তীতে সেনাবাহিনীতে এ ই সি কোরের লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিশেবে অবসরপ্রাপ্ত) শেক্সপিয়ারের যুগে আটকে আছেন। তারা আমাদেরকে বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করাচ্ছেন ‘সূর্য সকালে পূর্ব দিগন্তে উদিত হইয়া সন্ধ্যায় পশ্চিম দিগন্তে অস্ত যায়’ অথবা মুখরা রমণীকে কিভাবে বশ করা যায় ? অথচ ক্যাডেট কলেজের মতন ইংরেজি ধাঁচের স্কুলে সলিমুল্লাহ স্যার রাফি ইমাম স্যারেরই আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সবার থেকে এগিয়ে থাকার কথা! মজার ব্যাপার হল পৃথিবী যে ঘুরে তা আমি ছোটবেলা থেকেই জানি। আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি তখন আমি আমার আব্বার সাথে ট্রেনে করে বেড়াতে গিয়েছিলাম রংপুর জেলার নীলফামারীতে আমাদের এক আত্মীয়ের বাসায়। আমাদের এই আত্মীয়টি আমাদের এলাকার কঠিন জীবন সংগ্রামে টিকতে না পেরে ঘুরতে ঘুরতে রংপুর জেলায় সপরিবারে স্থায়ী অভিবাসী হয়েছিলেন। তখন থেকেই আমি দেওয়ানগঞ্জ, বাহাদুরাবাদ, গাইবান্ধা, কাউনিয়া, বোনারপাড়া এবং আরও অনেক ষ্টেশনের নাম জানি। এসময়েই ট্রেনের জানালার পাশে বসে আমি দেখেছিলাম ট্রেন লাইনের পাশের জায়গাগুলো দ্রুত পিছনের দিকে চলে যাচ্ছে আর দূরের দিগন্ত রেখার পাশের গ্রামগুলো ঘূর্ণায়মান হয়ে চক্রাকারে ঘড়ির কাটার মতন অনেক দূর দিয়ে আবার ট্রেনের দিকে এগিয়ে আসছে! ক্লাসে ফখরুজ্জামান স্যারকে আমি পৃথিবীর এই আহ্নিক গতির প্রত্যক্ষ দর্শনের কথা বর্ণনা করতেই তিনি হাসতে হাসতে অস্থির!
ছোটবেলা থেকেই রঙের প্রতি আমি প্রবলভাবে মোহগ্রস্ত। আমাদের বাড়ীতে শোবার ঘরের বাঁশের তৈরি সিলিং এর নীচে অনেকগুলো ছাঁটকাপড় জোড়া দিয়ে একটা সামিয়ানা টাঙানো ছিল। আমি যতক্ষণ শুয়ে জেগে থাকতাম ততক্ষন আমি আমার মাথার ওপরের এই রঙের মেলার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। প্রতিটা রঙকেই আমার কাছে মোহনীয় মনে হতো। ক্লাস এইটে জিওগ্রাফীর মাসুদ হাসান স্যার একদিন কথাক্রমে জানালেন যে মঙ্গল গ্রহের আকাশের রঙ লাল!আমি মুগ্ধ। আমার কাছে মনে হল ভূগোলই পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল সাবজেকট। তাই আমি ধর্ম এবং অর্থনীতিকে উপেক্ষা করে আমি নবম শ্রেণীতে ভূগোলকে পাঠ্য হিশেবে বরণ করলাম।
আমার দুই বছরের ভূগোল যাত্রা শুভ হলেও পরিণতিটা ছিল অদ্ভুত। মাসুদ হাসান স্যার আর বজলুর রশিদ স্যার নাইন–টেনের দুই বছর আমাদের ভূগোলের ক্লাস নিতেন। দুজনেই চমৎকার পড়ান। মাসুদ হাসান স্যারের কথা অনুযায়ী নিরক্ষীয় অঞ্চলের বৃষ্টির পরে মনে মনে আমরা আমাদের ক্লাসমেট সুলায়মানের বিয়ে খেতে গিয়েছি যেখানে সুলায়মান একজন মিনকোট পরিহিত এক অপরুপ বর! ফখরুজ্জামান স্যার আহ্নিক গতির কারনে আমাদেরকে ছেড়ে আমেরিকা বা অন্য কোথাও চলে গেছেন। পৃথিবীর এই ঘূর্ণায়মান গতি জড়তার কারনে আমরা তাকে ধারন করতে পারিনি। তার জায়গায় এসেছেন বজলুর রশিদ স্যার। স্যারের নেতৃত্তে আমরা নিরক্ষীয় অঞ্চল ছাড়াও তুন্দ্রা অঞ্চলে, সাইবেরিয়ার বরফাচ্ছাদিত প্রান্তরে, সাহারা মরুভূমিতে ইবনে বতুতার মতন পদব্রজে ঘুরে বেড়াই, বিশাল মহাসমুদ্রের লবনাক্ত স্রোতকে অনুসরন করে পৌঁছে যাই উত্তর মেরুতে মেরুজ্যোতি দেখতে অথবা ব্লিজারডের মধ্যে এস্কিমু অথবা শ্বেত ভল্লুকের দেশে। আমাদের আনন্দময় পরিভ্রমন কখনোই শেষ হয়না। আমাদের ক্লাসের মাত্র ১১ জন জিওগ্রাফীর ছাত্র ছিলাম। এস এস সি পরিক্ষার ফলাফল বের হলে দেখা হল আমরা ১০০ নম্বরের ভেতরে ৬০-৬৫ নম্বর পেয়েছি। অন্যদিকে যারা ধর্ম বা অর্থনীতি নিয়েছিল তারা ৯০-৯৫ পেয়ে আকাশের তারার মতন জ্বলজ্বল করছে। রিজু খবর নিয়ে এসেছে আমাদের কয়েকজনের খাতা গিয়েছিলো ঢাকার রেসিডেনশিয়াল মডেল ইস্কুলের কোন এক্সামিনারের হাতে। এই স্কুল মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজের আজীবন প্রতিদ্বন্দ্বী। এভাবেই আমরা ‘এগারো জন’ ছিটকে পরলাম জীবনের কক্ষপথ থেকে। আমাদের আর কখনই নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে বা কক্ষপথে আবর্তনের মাধ্যমে আহ্নিক বা বার্ষিক গতির সৃষ্টি করা হবেনা! আমরা কজন এখন থেকে ছুটে চলব অসীম নক্ষত্র মণ্ডলের ভেতর দিয়ে অনিকেত ধুমকেতু বা উল্কার মতন অনিমেষ কাল!
(বিশ্ব শিক্ষক দিবসে আমার শ্রদ্ধার্ঘ )
মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
০৫ অক্টোবর ২০১৫
প্রথমেই আপনাকে স্বাগতম আমাদের নিজেস্ব এই ব্লগস্ফেয়ারে।
ফেসবুকে এই লিখাটা তো আগেই পড়েছি।
এখানে তাই শুধু স্ক্যান করলাম।
অসাধারন গদ্য আপনার।
আমি নিশ্চিত, সিসিবির সিরিয়াস পাঠকরা আপনার এই স্ট্যাইলটা খুবই পছন্দ করবেন।
শিক্ষক দিবসে এরকম একটা বহুমাত্রিক লিখা খুবই উপভোগ করলাম...
আরও আরও লিখা পাবার অপেক্ষায় থাকলাম.........
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ, অনেক ধন্যবাদ তোমাকে আমার মতন একজন অলস মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দেবার জন্যে। আমি সত্যিই তোমাদের এই ব্লগ পেইজটাকে অসম্ভব রকম পছন্দ করেছি। লেখাগুলো দেখতেও দারুন লাগছে। মনে হচ্ছে সত্যি সত্যিই নিজের বাড়ীতে ফিরে এসেছি!
আসাদ স্যার, আর কটা দিন যাক দেখেন আরও কি কি সব ঘটা শুরু হয়।
এই জায়গাটা আসলেই বড় আপন বড় নিজের বড় ভাল লাগার।
কোন দেখা শোনা জানা পরিচয় না থাকার পরেও কত কত মানুষ যে একেবারে নিকটাত্মিয়ের মত, বা অতি ঘনিষ্টজন হয়ে উঠতে পারে, সেটা এখানে না এলে বোঝা কঠিন।
আমি আছি। আপনিও থাকুন...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
মাসউদ হাসান স্যার কে আমরা ৯০ এ কলেজে ভর্তি হয়ে প্রিন্সিপাল হিসাবে পাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ব্লগে স্বাগতম ভাইয়া।
আশা করছি নিয়মিত হবেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
অনেক কিছু মিলে গেলো ভাইয়া- "দেওয়ানগঞ্জ, বাহাদুরাবাদ, গাইবান্ধা, কাউনিয়া, বোনারপাড়া এবং আরও অনেক ষ্টেশনের নাম জানি", ভূগোল, বজলুর রশীদ স্যার।
এখন সবগুলোতে যাওয়া হয়না, তবে দেওয়ানগঞ্জে এখনো নামি দেশের গেলে (আমাদের বাড়ি যে কাছেই), বজলুর রশীদ স্যারও আছেন আমার ফেসবুকে। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সিসিবিতে সুস্বাগতম, ভাইয়া :clap:
আপনি আমাদের ব্লগে নতুন হলেও লেখালেখির জগতে যে নতুন কেউ নন সেটি এক লেখাতেই বুঝা গেল। আমাদের সাথেই থাকবেন আশাকরি। আপনার জন্য ধূমায়িত এক পেয়ালা চা :teacup:
অনেক ধন্যবাদ
ব্লগে স্বাগতম আসাদ ভাই। অনেকদিন পর পুরো অন্য ধাচের একটা লেখা পড়লাম, দারুন লাগলো।
আশা করি এখন থেকে নিয়মিত আপনার লেখা পড়তে পারবো।
হ্যাপি ব্লগিং 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বাহ, পৃথিবীর সাথে লেখাটাও যে এদিকে ঘুরে যাবে বোঝাই যায়নি। :thumbup:
উল্লেখিত ওয়ালী স্যারকেই সম্ভবত অধ্যক্ষ পদে পেয়েছিলাম আমরা।
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
ব্লগে স্বাগতম ভাই। অপূর্ব লেখনি। যেইসব লেখক তাদের লেখায় আমাকে দৃশ্য কল্পনা করে নেয়ার সুযোগ দেয় তাদের লেখা আমার খুব ভাল লাগে। আপনার পুরো লেখাটিতেই বিভিন্ন বর্ণনার বিভিন্ন দৃশ্য কল্পনা করে এলাম। লেখা চলুক সিসিবির পাতায় এই প্রত্যাশা থাকবে! :hatsoff:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
অনেক ধন্যবাদ
আসাদ,
স্বাগতম,
তোমার নামটাতো ফেরত পেলে!
দেয়া নেয়ার এ জগতে কিছুই মুফতে নয়
নাকের বদলে নরুন নয়, নামের (ছবিঘর) বদলে লেখা দাও,
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
স্যার, আমার মনে হচ্ছে আমি সত্যি সত্যিই আমার বাবামায়ের দেয়া নামটা ফেরত পেয়েছি !
এক লেখায় অনেক আঙ্গিক, অনেক তথ্য, অনেক মানুষ, অনেক স্থান, অনেক অনুসঙ্গ ছুঁইয়ে গেলেন অনবদ্য।
:boss: :boss:
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্যে !
আসাদ ভাই,
সিসিবিতে স্বাগতম!
বোর্ড পরীক্ষায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের দ্বন্দে কত ছাত্র-ছাত্রীর জীবন বদলে গেছে তার হিসেব কেউ বলতে পারবে না। পরের দিকে নাম-ধাম গোপন করার পদ্ধতি আসার পর অবশ্য এসব অনেক কমে গেছে। যদিও ক্যাডেট কলেজের খাতা ঠিকই টের পাওয়া যায়। কেননা একই বা কাছাকাছি মানের ৪০-৫০ টি খাতা টানা অন্য কোন স্কুল-কলেজে থাকে না।
আশা করি, নিয়মিত থাকবেন।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
খুব চমৎকার গদ্য আপনার! প্রথম ব্লগের শুভেচ্ছা। আর অনেক অনেক গদ্য লিখতে থাকুন পাঠকদের জন্য :hatsoff:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আসাদ, আমি তোমার লেখার যে কতটা ভক্ত, তা বোধকরি তুমি জানো। তাই হঠাৎ করেই ছবিঘর এর ছবি ও লেখা এখানে দেখতে পেয়ে পুলকিত হ'লাম। সিসিবিতে সুস্বাগতম!
"আমি আমার আব্বার সাথে ট্রেনে করে বেড়াতে গিয়েছিলাম রংপুর জেলার নীলফামারীতে আমাদের এক আত্মীয়ের বাসায়।... তখন থেকেই আমি দেওয়ানগঞ্জ, বাহাদুরাবাদ, গাইবান্ধা, কাউনিয়া, বোনারপাড়া এবং আরও অনেক ষ্টেশনের নাম জানি।" - ইতোপূর্বে ফেইসবুকে প্রকাশিত "বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন" নামে আমার এক কবিতায় রাখা মন্তব্যে্র মাধ্যমে তোমার এসব অভিজ্ঞতার কথা আমি আগে থেকেই জানি। পৃ্থিবী ঘোরার সাথে চমৎকার ভাবে এই অভিজ্ঞতা রিলেট করলে, এটা দেখে আমি মুগ্ধ।
এমসিসিতে দু'জন ওয়ালী স্যার ছিলেন। দু'জনই ইংরেজীর। একজন ছিলেন ক্যাপ্টেন মীর ওয়ালী উজ্জামান (অবঃ), যাঁকে আমরা পেয়েছিলাম এবং আমাদের মত কিছু অত্যুৎসাহী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র/বন্ধুর প্ররোচনায় তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে বোধকরি জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করেছিলেন। তিনি সম্প্রতি প্রয়াত। তাঁর সম্পর্কে আমার "জীবনের জার্নালে" কিছু স্মৃতিচারণ থাকবে।
অপর ওয়ালী স্যার ছিলেন তুমি যাঁকে উল্লেখ করেছো, তিনি। আমরা কলেজ ছেড়ে চলে আসার পর তিনি এমসিসিতে যোগদান করেছিলেন। তিনিও সেনাবাহিনীর এইসি কোরে যোগদান করেন এবং লেঃ কর্ণেল হিসেবে অবসর নেন। তিনি সম্ভবতঃ সিলেট এলাকার, এবং একটু খেয়ালী প্রকৃ্তির মানুষ বলে জানি।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের প্রতি তোমার শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন বেশ ভালো লাগলো।
স্যার, আপনার লেখা 'বোনার পাড়া রেলওয়ে জংশন' কবিতাটা আসলেই খুব সুন্দর। হয়তোবা অবচেতনে আপনার কবিতা থেকেই আমার এই লেখার অনুপ্রেরনা পেয়েছি। ধন্যবাদ স্যার অসাধারন মন্তব্যের জন্যে