রাস্তায় পথ চলতে চলতে একটি স্বনামধন্য হাউজিং কোম্পানির বিজ্ঞাপণের একটি বাক্যে চোখটা আটকে গেল। একটি প্রশ্ন- শেষ কবে খালি পায়ে শিশির ছুঁয়েছেন? আসলেই প্রশ্নটা অবাক করার মতোই! এই ইট পাথরের শহরে ভোরের নরম ঘাসে শিশির আজকাল দূর্লভ হয়ে ঊঠেছে।
এই প্রশ্নের সমান্তরালে আরো একটা প্রশ্ন এলো মাথায়, শেষ কবে কলম দিয়ে একপাতা বাংলা লিখেছি? এই মুঠোফোনের যুগে বাবার কাছে টাকা চেয়ে পুত্রের পত্র লিখতে হয়না, অথবা প্রবাসী স্বামীর কাছে চিঠিতে আবেগ মাখিয়ে খামের ভেতর গোলাপের পাঁপড়ি গুঁজে ডাকবাক্সে ফেলে আসেনা অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকা কোন বিরহী।
আমার কথাই বা বাদ দেই কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরে সমন্বিত কোর্স পদ্ধতির কারণে ১০০ নম্বরের বাংলা পরীক্ষা দিতে বসা। এরপর ছাপার অক্ষরে অনেক বাংলা ‘লেখা’ পড়া হলেও লেখা হয়েছে খুব কম। ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্র হবার কারণে বাংলায় আর পরীক্ষা দেওয়াও হয়ে ঊঠেনি। আদিকাল থেকেই বাংলা ব্যাকরণের সাথে আমার সম্পর্ক ইঁদুরের সাথে প্যাঁচার সম্পর্কের মতো, তাই ‘বাংলা’ এর হাত থেকে নিষ্কৃতি পায়ে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিলাম । ভেবেছিলাম “মীনক্ষোভাকূবলয়” ধরণের শব্দের হাত থেকে পরিত্রাণ, আহ…স্বস্তির নিঃশ্বাস।
‘বিজয়’ কী-বোর্ড ব্যবহারে পারঙ্গম ছিলামনা মোটেই, তাই কম্পিউটারেও বাংলা নির্বাসিত। ‘অভ্র’ এর কল্যাণে ‘সহজ বাংলা টাইপ’ এ হাতে খড়ি যার ফলশ্রুতিতে এই সিসিবিতে মাতৃভাষায় ভাব প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছি।
মুখে আমরা যতোই ভাষার চেতনার কথা বলি না কেন আমার মনে হচ্ছে আমাদের ব্যবহারিক জীবন থেকে ভাষার লিখিত রূপটি কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে । ভাষার মাসে ভাষার গান হচ্ছে, টিভি চ্যানেলগুলো এই উপলক্ষ্যে বিশেষ নাটক বানাচ্ছে, ফ্যাশন হাউসগুলো বর্ণমালার ডিজাইন অনুযায়ী পোষাক বানাচ্ছে কিন্তু যাকে নিয়ে এতো আয়োজন, সেই ভাষাটাই মনে হচ্ছে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে।
১ম :awesome: :awesome:
দারুন লেগেছে সামিউর তোমার লেখাটা। গতকাল আমাদের কলেজের এক বড় ভাই এর সাথে কথা হচ্ছিলো। উনি আমাকে তোমার স্টেডিয়াম নিয়ে লেখাটার কথা বললেন। বললেন বাংলাদেশে ৫জন ক্রীড়া সাংবাদিক খুজে পাওয়া যাবে না, যে এতো ভালো লিখতে পারে। সত্যি দারুন লিখছো ভাই। ইংরেজীর ছাত্র হয়েও তোমার বাংলা ভাষার ব্যাবহারে আমি মুগ্ধ। খালি ম্যাঞ্চেস্টারের সাপোর্টার, এইটাই ভালো লাগে না। 😛
সহমত
আমার কিন্তু ভালো লাগে সামীউর।
ম্যাঞ্চেস্টার আপ আপ।
দারুণ লেখা সামীউর। :thumbup:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:thumbup: :thumbup:
:boss: :boss: :boss:
ম্যাঞ্চেস্টার এর সমর্থক না ভেবে ফুটবল অনুরাগী হিসেবে দেখলে কিন্তু ভালো লাগতো :grr: :grr: ।
আমার অনেক গুলা স্বপ্নের মধ্যে ১টা হলো আমি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বসে ম্যান-ইউ আর রিয়েল মাদ্রিদের একটা নক-আউট ম্যাচ দেখতে চাই। এককাজ করেন, আপনি ম্যান-ইউ এর সাপোর্টার হয়ে যান তারপর একসাথে ম্যাচ দেখবো।
আমি আছি তোমার সাথে। রেড রেড আপ আপ। 🙂 🙂 🙂
সিরিয়াস বিষয়ে দল টাইনা আনায় এহসান ভাইয়ের ব্যঞ্চাই। 😀 😀 😀
ম্যান ইউ--- এইডা ক্যাডায়, গোমড়া মুখো লোকটা নাকি, চশমা চোখে চুইঙ্গাম চিবায় :thumbdown: :thumbdown:
এইটার খ্যাতা পুড়ি
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কেন? হাসি মুখে সানগ্লাস পইরা ললিপপ চুষলে কি আপনে লেপ তোষোক সবি পুড়ায়ে ফেলতেন?
ম্যান ইউ আপ আপ :thumbup: :thumbup: :thumbup:
আইছে আরেকজন হাইরা হুইরা শেষ আর এতদিন পরে আইছে আপ আপ দিতে ।
:khekz: :khekz: :khekz:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙁 🙁 খুবই দুঃখজনক হলেও ব্যাপক সত্য
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মীনক্ষোভাকুলকুবলয়!।... মাছের তাড়নে পদ্ম যে কাঁপিতেছে!! :((
আগে ছিল এখন নেই বলে যে জিনিসগুলো আমি মিস করি তার মধ্যে এক বা দুই নম্বরে থাকবে "চিঠি" - বাংলায় হাতে লেখা চিঠি 🙁 । এই কারণেই মুঠোফোনকে অপছন্দ করি।
সত্যিই,
Life is Mad.
:thumbup: :thumbup:
ভাষা নিয়ে চিন্তিত আরেকজনকে পাওয়া গেলো।
তোমার অন্য লেখাগুলোর মত এটাও চিন্তার উদ্রেককারী। প্রসংগটা আমার খুব ভালো লেগেছে, তোমার লেখার ধরনটাও। :clap:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আরেকজন মানে কী? আগেরজনটা কে?
আমীন,
আগের একজন না ভাই, আরো অনেকেই আছে। কিন্তু আমার জানা সেই তালিকায় আরেকজন যুক্ত হল, আমি এটাই বলতে চেয়েছি। বুঝলে? :grr: :grr:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
হুম । কিন্তু দেইখ্যা লেইখ্যাও আমার নামের বানান ভুল করার জন্য কী যেন চাই...... আগে :frontroll: :frontroll: :frontroll: দিয়া লই।
সাহস কইরা লইলাম। মাহমুদ ভাইয়ের ব্যঞ্চাই। 🙂 🙂 🙂
:shy: :shy:
হইছে, এখন আর ফ্রন্টরোল দেওয়া লাগব না। মনে থাকল। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:thumbup: :thumbup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
অভ্র বস্! :thumbup: :thumbup:
হুমমম......
ঠিক কথা। কাগজে বাংলা লেখাই হয় না তেমন।
এখানে, দেশের বাইরে এসে বাংলায় যা কিছু লেখালেখি, সবই কম্পুতে। সাদা খাতার বদলে এখন খুব প্রিয় হয়ে গেছে গুগল ডকস।
তবু হাতে লেখাটারে খুব মিস করি। আগে নতুন বই কিনলে সুন্দর করে বাংলায় ওখানে নাম লিখতাম। এখানে, দেশ থেকে আনা বইয়ে আস্তে ধীরে শেলফটা ভরে যাচ্ছে, এতগুলোয় নাম লিখতে হবে চিন্তা করে পরশুদিন একটা স্ট্যাম্প কিনে আনলাম! 🙁
তবে, ভালবাসার অভাব কখনোই নেই বাংলার প্রতি, হয়ত আলসেমি, বা হয়ত কারিগরি সুবিধা জন্যে হাতে কম লেখা হয়, কিন্তু ছাপা বা ওয়েবে গেলেও তবু তো সেই বাংলাই খুঁজি!
www.tareqnurulhasan.com
এইটা বাংগালীর প্রবলেম। তুমি প্রমান করলা তুমি বাংগালী।
আমরা জাত গেল জাত গেল বইলা চিক্কুর পারি। কিন্তু যখন নিজেরে জাতে তোলার জন্য কাম করার কথা কওয়া হয়, তখন শর্টকাট রাস্তা খুজি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি কিন্তু নিয়মিত বাংলায় হাতে লেখি। অনেকের ভীড়ে আমি ব্যতিক্রম। এখনো চিঠি লেখি।
সামীউর তুমি বাংলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু কইরা ফেল।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই...আসেন একটা পত্রিকা খুলি ক্যাডেটকলেজ বার্তা নামে তারপর ঐ পত্রিকায় লেখি। এছাড়া অন্য কোথাও তো ভাত পাওয়া যাবে না!
প্রস্তাবটা বোধহয় খারাপ না...
আমাদের এত্তো দারূণ সব লেখক...
আমি কিন্তু পাঠক...
সামিউর,সময়োপযোগী, প্রাসঙ্গিক একটা সুন্দর লেখা,কাগজে আমাকে এখনো প্রায়দিন ই বাংলা লিখতে হয়।সরকা্রী কাজে।