বিএনএস ওসমান এবং বিএনএস মধুমতির জন্যে শুভকামনা

জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহন আমাদের জাতির জন্যে বিরাট এক গর্বের বিষয়। একটি সামরিক এবং অর্থনৈতিক দূর্বল দেশ হয়েও বাংলাদেশ জাতিসংঘ মিশনে সদস্য প্রেরণকারী ২য় বৃহত্তর দেশ। যদিও জাতিসংঘ মিশনের ধরণের কারণে সর্বোচ্চ সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীই পাঠিয়ে থাকে, তথাপি নৌবাহিনীর জন্যে প্রযোজ্য একটি মিশনই বাংলাদেশ পেয়েছিল। সুদানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বিএনএস দর্শক এবং একটি ইউনিট BANFRU (Bangladesh Navy Force Riverine Unit) সাফল্যের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে এসেছে।

অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দু’টি জাহাজ বিএনএস ওসমান ও বিএনএস মধুমতি UNIFIL ( United Nation’s Interim Force In Lebanon) এ অংশগ্রহনের জন্য লেবানন যাচ্ছে। BNS OSMAN হল ফ্রিগেট ( অত্যাধুনিক সি-৮০২ মিসাইল সমৃদ্ধ) আর BNS MADHUMATI পেট্রল ক্রাফট। এই দু’টি জাহাজই আমাদের ফ্লীট এর অসাধারণ দু’টি যুদ্ধজাহাজ। আমাদের নৌবাহিনীর জন্যে এরকম একটা মিশন এই প্রথম। অফিসার এবং নাবিক মিলিয়ে সর্বমোট ৩৩০ জন সদস্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথাপি বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাবেন ।বিএনএস মধুমতি BNS MADHUMATI

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সবার শুভকামনা চাওয়া হয়েছে এই মিশনের জন্যে যাতে করে এই চ্যালেঞ্জ আমাদের জাহাজ দু’টি সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করতে পারে।

একটি উপকূলীয় দেশ হিসেবে শক্তিশালী নৌবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য, যদিও বাংলাদেশের এ ব্যাপারে আগ্রহ তৈরীতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আমরা বর্তমানে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠার জন্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। মিশনে গমনকারী জাহাজগুলোর উপার্জিত অর্থ আমাদের জাহাজগুলোর renovation এ এবং আরো যুগোপযোগী নৌ সমরাস্ত্র সংযোজনে ব্যবহার হবে। ইউনিফিলের সময় এক বছর হলেও পরবর্তী বছরেও আমাদের আরো জাহাজ সেখানে যাবার সম্ভাবনা ৯০% যা আমাদের অপারেশনাল যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। ইনশাল্লাহ আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম।

ওসমান ও মধুমতি ১২ এপ্রিল বাংলাদেশের জলসীমা ত্যাগ করবে। সবাই মিশনে অংশ নেয়া সর্বস্তরের সদস্য এবং তাদের পরিবারবর্গের জন্যে দোয়া করবেন।

২,২৭৪ বার দেখা হয়েছে

৩৭ টি মন্তব্য : “বিএনএস ওসমান এবং বিএনএস মধুমতির জন্যে শুভকামনা”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    বিলাডি ছ্যাপ...তুই তো আসল কথাই কস নাই... 😡

    এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে আমাদের একজন সিসিবিয়ানও সম্পৃক্ত রয়েছেন-প্রখ্যাত এক ব্লগারের B-) বড় ভাই জুলহাস (৮৮-৯৪)। ও আছে বিএনএস ওসমান এ...
    দাদা, অনেক অনেক অনেক শুভকামনা রইল-তোদের সবার জন্য... :thumbup:

    অটঃ রাহাত, থ্যাংকু রে...নাইলে এই পোষ্ট আমারেই দিতে হইত... :hug:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    বিলাডি ছ্যাপ...তুই তো আসল কথাই কস নাই... 😡

    এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে আমাদের একজন সিসিবিয়ানও সম্পৃক্ত আছেন...প্রখ্যাত এক ব্লগারের বড় ভাই জুলহাস (৮৮-৯৪), ও আসে ওসমান এ...

    দাদা, অনেক অনেক অনেক শুভ কামনা- তোদের সবার জন্য... :thumbup:

    অটঃ রাহাত, থ্যাংকু রে...নাইলে এই পোষ্ট আমারেই দিতে হইত... :hug:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  3. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
    জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহন আমাদের জাতির জন্যে বিরাট এক গর্বের বিষয়

    - আমার দ্বিমত আছে। স্বদেশ রক্ষাকারী সেনাবাহিনীকে মার্সেনারী
    বানানো আমার পছন্দ নয়। তাছাড়া সেইসব দেশে গিয়ে সেনাবাহিনী কি কি কাজে নিয়োজিত হচ্ছে, কার স্বার্থে কাজ করছে সেসবও জানা দরকার। শুধু অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিবেচনা করলে সেনাবাহিনীর সাথে আমাদের শ্রমিকবাহিনীর পার্থক্য থাকে না।

    তারপরও শুভ কামনা করলো যেন তারা ভালো ভাবে ফিরে আসতে পারে। (সম্পাদিত)


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • রাহাত (২০০০-২০০৬)
      আমার দ্বিমত আছে। স্বদেশ রক্ষাকারী সেনাবাহিনীকে মার্সেনারী
      বানানো আমার পছন্দ নয়।

      ভাইয়া একটু জ্ঞান দান করি 😛
      Laws Of Armed Conflict বলে একটা আন্তর্জাতিক আইন আছে, যে আইন অনুসারে ---
      তিনি এবং তারাই "সশস্ত্র বাহিনী"র আওতাভুক্ত হবেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে "সশস্ত্র বাহিনী"র প্রাপ্য মর্যাদা পাবেন যিনি..
      ১. কোন একটি দেশের সামরিক বাহিনীতে এ্যাকটিভ সার্ভিসে নিয়োজিত
      ২. যিনি উক্ত সামরিক বাহিনীর জন্য নির্ধারিত এবং সুনির্দিষ্ট চিহ্ন ধারণকারী পোষাক (ইউনিফর্ম) পরিধান করে কর্তব্যে নিয়োজিত
      ৩. যিনি কোন সুপ্রিম কমান্ডের আওতায় দায়িত্বরত এবং উক্ত কমান্ডের প্রতি শ্রদ্ধাশীল
      ৪. যিনি তার উপর আরোপিত ROE (rules of engagement) মেনে চলছেন

      অপরপক্ষে, একজন মার্সেনারি কোন নির্দিষ্ট দেশের হয়ে বা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্যে বাধ্য নয়। সে শুধু অর্থের বিনিময়ে তার military skill দান করে। সে ধৃত বা মৃত হলে তার দেশ কোন দায়দায়িত্ব নিতে বাধ্য নয়। এমনকি সে POW (Prisoner of War) এর মর্যাদা ভোগ করবে না।

      আশাকরি এবার আপনি আর আমাদের সশস্ত্রবাহিনীকে মার্সেনারির সাথে তুলনা করবেন না।

      তাছাড়া সেইসব দেশে গিয়ে সেনাবাহিনী কি কি কাজে নিয়োজিত হচ্ছে, কার স্বার্থে কাজ করছে সেসবও জানা দরকার

      জাতিসংঘের কোন মিশনই গুপ্ত বা clandestine মিশন নয়। আপনি চাইলেই জানতে পারবেন তারা কোন দেশে কোন ধরণের মিশনে নিয়োজিত আছে।

      জাতিসংঘ মিশন শুধুমাত্র পয়সা কামাবার মিশন না, সুদূর সিয়েরা লিওনের ২য় ভাষা বাংলা হওয়া এবং সেখানে বাংলাদেশের নামে বিভিন্ন স্থাপনা থাকা কি শুধুমাত্র পয়সার বিনিময়ে পাওয়া ?

      ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
      • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

        ধন্যবাদ তোমার জ্ঞানদানের মর্জির জন্য 😉 । আরেকটু জ্ঞান কি দান করা যায়?-

        জাতিসংঘ মিশন শুধুমাত্র পয়সা কামাবার মিশন না

        - আমাদের সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আর কি কি স্বার্থ দেখে/সংরক্ষন করে জাতিসংঘ মিশনের মাধ্যমে?


        There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

        জবাব দিন
        • রাহাত (২০০০-২০০৬)

          ১. জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থান অর্জন
          ২. আন্ত:রাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক স্থাপন
          ৩. ভিন্ন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনার অভিজ্ঞতা অর্জন
          ৪. বিভিন্ন দেশের সামরিক ব্যক্তিবর্গের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন এবং সহায়তার ক্ষেত্র উন্মোচন
          ৫. সত্যিকারের যুদ্ধাবস্থার অভিজ্ঞতা অর্জন
          ৬. Concept of Joint force operations
          ৭. বাকিগুলা নিজে যেদিন মিশন পাবো, তারপরে ফিরে এসে বলবো। :dreamy:

          জবাব দিন
          • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

            কোন কোনটা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব/কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলবে কি?

            ও হ্যাঁ, আমাদের সংবিধান+সশস্ত্র বাহিনীর বিধি অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব+কর্তব্যগুলোও যদি কষ্ট করে উল্লেখ করতে তাইলে বড়ই উপকৃত হই।


            There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

            জবাব দিন
            • রাহাত (২০০০-২০০৬)
              আমাদের সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আর কি কি স্বার্থ দেখে/সংরক্ষন করে জাতিসংঘ মিশনের মাধ্যমে?

              উত্তর দেয়া হয়েছে।

              কোন কোনটা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব/কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলবে কি?

              উপরোক্ত স্বার্থ সংরক্ষণ কি আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না ?

              আমাদের সংবিধান+সশস্ত্র বাহিনীর বিধি অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব+কর্তব্যগুলোও যদি কষ্ট করে উল্লেখ করতে

              ভাই এইবার সত্যিকার চিপায় ফালাইছেন 😕 আপনি যে জিনিসটা জিজ্ঞেস করেছেন সেটাই হল "জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি" যা এখানে প্রকাশ করাটা অফিশিয়াল সিক্রেট এ্যাক্ট এর লংঘন। বাংলাদেশের National Defence Policy এখনো সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়নি। কাজ চলছে.....একটু এইদিকে খোঁজ রাখলে দেখতে পারবেন এই ব্যাপারেও নড়াচড়া হচ্ছে। আর এই ধরণের Policy Level জিনিসগুলো আমাদের জুনিয়র অফিসারদের এখনি শেখানো হয় না। আমি আমার লেভেলে যতটুকু জানি সেখান থেকে আপনার উত্তরগুলো দেবার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা ndc, DSCSC, afwc অথবা এ ধরণের উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বিষয়ে পড়াশোনা করা কর্মকর্তারা ভালো দিতে পারবেন।
              নাইলে আমি staff course করা পর্যন্ত সিসিবিতে ব্লাগাইতে থাকেন চান্স পাইলে একদিন কইয়া দিমুনে। 😀 😀 :frontroll:

              জবাব দিন
              • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

                আমার সিসিআর এর এক বন্ধু সদ্য ষ্টাফ কলেজ সমাপ্ত করলো, আরেকজন সদ্য যোগ দিলো। ওদের জিগায়া দেহি কি কয়।

                অফটপিক- আমি জানতাম যে এখনো আমাদের ডিফেন্স পলিসি নাই, এবং স্বাধীনতার ৩৯ বছর ইতোমধ্যেই পার হয়ে গেছে!!!


                There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                জবাব দিন
                • রাহাত (২০০০-২০০৬)
                  অফটপিক- আমি জানতাম যে এখনো আমাদের ডিফেন্স পলিসি নাই,
                  বাংলাদেশের National Defence Policy এখনো সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়নি।

                  আমি আগেই বলছি বস....চরম লজ্জাজনক একটা ব্যাপার, এইটা না থাকার কারণেই অনেকে অনেকবার চান্স নিয়েছে আবার আমাদের অনেক প্রাপ্য জিনিস থেকেও আমরা বঞ্চিত হয়েছি। এ্কই কথা রুলস অব এনগেজমেন্ট এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

                  জবাব দিন
  4. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    সবার জন্যে শুভকামনা। আমাদের অফিসের একজন আগে জার্মান সেনাবাহিনীতে কাজ করতো। জাতিসংঘের এক মিশনে গিয়ে সে নাকি বাংলাদেশের কোন অফিসারের সাথে বেশ কিছু কাজ করেছিলো। আমি বাংলাদেশের শুনে সে বাংলাদেশিদের সাহসের খুব প্রশংসা করেছিলো। আশা করি আমাদের নৌবাহিনির এই অফিসারেরা বাংলাদেশের এই সুনাম আরো বাড়িয়ে তুলবেন।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।