আমার ২৫ নভেম্বরের পোস্টটা পড়ার জন্য সবাইকে অ-নে-ক ধন্যবাদ। লিঙ্কটা নেটে দেবার জন্য ধন্যবাদ। আরো থ্যানক্স আমার (ও হায়দারের) উদ্দেশ্যে দেওয়া কমেন্টের জন্য। ২১ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন। প্রতি বছরই এই দিনটা আমার অনেক আনন্দের মনে হতো, মনে হতো আমাকে মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার সৃষ্টির সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে, এবং আনন্দের সাথে জীবন-যাপন করতে। রুমির মত একটা এঞ্জেলকে পেতে। তার সাথে মহা সুখে সংসার করতে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে, এবং আরো অনেক কিছু। কিন্তু আজকের দিনে এসে মনে হচ্ছে, এটা আমার একটা কালো দিন। হাসবেন্ডকে হারিয়ে এই ১০ মাসে অনেক নোংরা মানুষের দেখা পেলাম, শুনতে হলো আজে-বাজে কথা। আমি কি অপরাধ করেছি, জানি না, শুধু পিলখানার ভিতরে ছিলাম। এটাই কি আমার পরবর্তি জীবনের জন্য কাল হয়ে গেলো? আমি বুঝে উঠতে পারি না, কেনই বা মানুষ বাঁকা ভাবে জানতে চান, ‘ও আপনি পিলখানার ভিতরে ছিলেন না? শুনেছি বিডিআর-এর লোক আপনাদের . . .’ এটা কি আর্মি অফিসার লেডিদের কাছ থেকে শোনার জন্য আল্লাহ আমাকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন? আমি কোয়াটার গার্ডে ছিলাম। আমি এ রকম আচরণ কাউকে করতে দেখি নাই। তারা গালি-গালাজ, মারামারি, অকথ্য ভাষায় অপমান করেছে, আর বলেছে, ‘আমরা পাক হানাদার বাহিনী না, আমরা মা-বোনের ইজ্জত দিতে জানি।’ ওদের আচরণ খুবই অশোভন ছিল ঠিকই, তার মানে কি অন্য কোন বিষয় ঘটেছে? আজ পর্যন্ত আর্মির কোন ভাই আমাদের এই সমস্ত বিষয়ে জানতে চান নাই।
কিন্তু কিছু ভাবীদের কেন জানার এত উৎসাহ? রাস্তা-ঘাটে দেখা হলে সবার সামনেই এ সমস্ত কথা বলে বসেন। জিজ্ঞেস করেন, ‘আল্লাহ ভাবী, কেমন আছেন? আপনার সাথে কি হয়েছিল সেদিন? শুনেছি আপনি খালি পায়ে বের হয়েছেন। আপনার জামাটা ছেঁড়া ছিল। কেন ভাবী? কোন সমস্যা?’
হাদিসের বইয়ে জেনেছি, যে ব্যক্তি অন্যের দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখে, আল্লাহ তায়ালা তাকে পৃথিবীতে, হাশরের ময়দানে সে ব্যক্তির গুনাহ দোষ ত্রুটি ঢেকে দেন। এখানে আমার জানা নাই কি অপরাধে আমি অপরাধী। প্রথম থেকে যে সকল শ্রদ্ধেয় ভাইয়েরা আমাদের সকল কাজ গুছিয়ে দিচ্ছিলেন, তাদের কোন কোন লেডিরা আমাদের উপর বিরুপ ধারণা রাখেন। ‘উটকো ঝামেলা’ কেন বলেন আমাদেরকে? আমরা কি ঝামেলা? আমাদের সন্তানেরা কি বারডেন কারো উপর? কোন অফিসার কি তার পকেটের কোন টাকা দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছেন? বিনা কারনে শহীদ ফ্যামিলির ভাবীরা বা সন্তানেরা সেই সমস্ত কথা শোনার পাত্র কেন? আমার ম্যারেজ ডে ছিল ২১ নভেম্বর। মনটা খুব খারাপ ছিল। কবরস্থানে গিয়েছিলাম, তারপর ক্যান্টনমেন্টে ঢুকতে পারছিলাম না। কারন ১৮:০০ টা থেকে কয়েক ঘন্টা ক্যান্টনমেন্টে ঢোকা নিষেধ ছিল। বাধ্য হয়ে ক্যাপ্টেন্স ওয়ার্ল্ড-এ রাত্রে ২৩:০০ টা পর্যন্ত বসে ছিলাম। ২৩:৩০-এর পরে মাননীয় পিএম ক্যান্টনমেন্ট থেকে চলে যাবার পর ভিতরে ঢুকতে পারলাম। শীতের রাতে ২ বাচ্চা নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে প্রবেশ করলাম। বাসা পর্যন্ত যাবার কোন রিকশা-ট্যাক্সি কিছুই ছিল না। আজকে ও থাকলে নিশ্চয়ই আর্মি গাড়ি দিয়ে বা ওর কথা বললেই কেউ একজন রিকশা বা ট্যাক্সির ব্যবস্থা করে দিত।
সেদিন সশস্ত্র বাহিনী দিবসও ছিল, সেনাকুঞ্জে বিশাল অনুষ্ঠান হলো। ১৬ই ডিসেম্বর গেল। টিভিতে বলা হলো, শহীদ পরিবারদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের ৫৭ বিডিআর ভিক্টিম শহীদ পরিবারের কে কে ছিল সেদিন আমন্ত্রিত? রোজা গেল, ২ টা ঈদ চলে গেল, মাননীয় চীফ ভাই/ম্যাডাম, ডিজি বিডিআর আমাদের বাসায় লোক মারফত যথারীতি কার্ড, কেক, ফল-মূল পাঠিয়েছিলেন, সেজন্য তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু নতুন চীফ ভাই (যদিও ৬ মাস হয়েছে) তার ব্যস্ততার কারনে আমাদেরকে একবার তার সাথে দেখা করার মতো সময় দিতে পারেন নাই। তবুও আল্লাহর কাছে হাজার কোটি শোকর যে, আর্মি থেকে আপাতত বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। সেজন্য আর্মি কে থ্যানক্স। না হলে এই সময় আমরা কোথায় যেতাম?
ডিজি বিডিআর ভাই আমাদের জিনিসের ক্ষয়-ক্ষতির পূরণ বা অন্যান্য ব্যাপারে দেখা করতে চাইলে সময় দিতে পারছেন না। উনি আমাদের শুধু মাত্র চলাচলের জন্য ৫০,০০০ টাকা দিয়েছিলেন। সেজন্যও তাকে অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু ভাই কি একটা বারও আমাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত বা প্রবলেম শোনার জন্য একটু সময় দিতে পারছেন না? আমরা কি দেশবাসীর কাছে আমাদের যথাযোগ্য মর্যাদা পাচ্ছি? আমরা তো শহীদ ফ্যামিলি। হ্যাঁ, আমি স্বীকার করি হাসপাতাল (সিএমএইচ) আমাকে আমার মর্যাদা দিয়েছে, এবং এখনো দিচ্ছে। আমাদের রেশনটা বন্ধ। কী যে সমস্যায় আছি, বোঝাতে পারবো না। আগে কখনো একা চলাফেরা করিনি। এখন কোন গাড়ির সাপোর্ট নাই। কোথাও গেলে ইনসিকিওর ফিল করি। আমি বেশ কয়েকটা জায়গায় আর্মির হেল্পে মোটামুটি মানের চাকরি পেয়েছিলাম। সেজন্য আর্মিকে আবারো থ্যানক্স। কিন্তু বাসায় আমার ৫ বছরের ও আড়াই বছরের ছেলেদের সারাদিন তালা মেরে রেখে গিয়ে কোথাও সেট হতে পারি নাই। ওরা কি করবে সারাদিন, কি খাবে, কিভাবে খাবে? সবাই বলে, এখন চাকরিতে না ঢুকলে পরে সিম্প্যাথি থাকবে না। কেউ পরে চাকরি-বাকরি দিবে না। এখন যদি চাকরি করতে যাই, তাহলে আমার বাচ্চাদের কি হবে? ওদের চেয়ে আপনজন আমার তো আর কেউ নাই। প্রথমে খুব ইচ্ছা ছিল গোল্ডেন ঈগল স্কুলে ওদের পড়াবো। এটা হলো এয়ার ফোর্সের স্কুল। তারা আমার একটা বাচ্চার টিউশন ফি মওকুফ করলো না। তারা জানালো, এয়ার ফোর্স অফিসার্স ভাইয়েরা যে টাকা দিয়ে বাচ্চা পড়ায়, সেই টাকা দিলে বাচ্চাকে তারা স্কুলে নিবে, তাই দয়া করে আমার বাচ্চার জন্য একটা সিট দিচ্ছে (যদিও নিয়ম নাই)। মাননীয় পিএম আমাদের জন্য জাতির উদ্দেশ্যে যে কথা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা মিডিয়া পত্রিকা সব জায়গাতেই সবাই জানে। শুধুমাত্র এয়ার ফোর্সের ভাইয়েরা জানেন না। শুধু জানেন তাদের রিটায়ারমেন্টের পরেও তাদের প্রমোশন, রেশন বৃদ্ধি, এবং অন্যান্য ফ্যাসিলিটিস। আমি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি, তানভীরের র্যাঙ্ক (পদবী) এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য তার একটা এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার। কিন্তু আজ ৬/৭ মাস চেষ্টা করেও সফল হতে পারি নাই। যেখানেই চেষ্টা করেছি, শুনতে হয়েছে, ‘অনেক তো পেয়েছেন, এটা এখন আর সম্ভব না। কারন মাননীয় পিএম আর এসব বিষয়ে কথা বলতে চান না।’ এসব কি উনি অদৌ বলতে পারেন?
আমি কখনো বিশ্বাস করি না যে, আমাদের সাথে উনি এমন করবেন। উনিও তো আমাদের মতোই দুঃখী। উনি তো বলেছিলেন যে, উনার বাসার দরজা সব সময় আমাদের জন্য খোলা। শেখ রেহানা ম্যাডাম আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আজকে থেকে তুমি আমার মেয়ে। আমার ৩ টা সন্তানকে দেশের বাইরে মানুষ করেছি। এখন আর একটা মেয়ে আর ২ টা নাতির দায়িত্ব নিতে পারবো না?’ উনি নিজে থেকে আমাকে এই সব কথা বলেছিলেন। তখন আমি খুব কান্না করছিলাম। সেই জন্য আমি কিছু বলতে পারি নাই। আজকে আমি ভীষন ইনসিকিউর ফিল করি। সত্যিই উনি কি আমাদের ৩ জনের দায়িত্ব নিবেন?
আমি একজন বিডিআর মিউটিনির ভিক্টিম অফিসার লেডি। বাংলাদেশে থাকতে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। মানবতার খাতিরে দেশের মাননীয় মন্ত্রীরা বা রেহানা ম্যাডামের কথা মনে রেখে ম্যাডাম কি আমাকে সাহায্য করবেন? আমাকে এ পর্যন্ত অনেক বিষয়ে কথা দেওয়া হয়েছিল। তানভীরের র্যাঙ্ক থেকে শুরু করে অনেক কিছু। সত্যিই কি সেগুলো পেয়েছি?
আমি দুঃখিত এই ভেবে যে, আমাদের এত বড় দুর্ঘটনার পর, সেই মুহূর্তে আমাদের গায়ে পড়ার দ্বিতীয় আর কোন পোশাকটুকুও ছিল না। ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল, সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছিল।
আমাদের এত বড় দুর্দিনে আমাদের জন্য আর্থিক সহায়তার জন্য তারেক ম্যাডামের মত এত বড় মানের সন্মানীয় মানুষকে হাত পেতে ভিক্ষা চাইতে চেয়েছেন, দেশবাসীর কাছে? এটা শুনে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। আমাদের দেশে অন্যান্য যে সকল বিরোধী দলগুলো রয়েছে, সেই দলের মানুষগুলো আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বনের মত কোন সহযোগীতায় এসেছেন। কখনো সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছেন কি, আমার তো মনে পড়ে না। আমাদের কি সবার সহযোগীতা, সহমর্মীতার প্রয়োজন নাই? তবে অবশ্যই করুণা নয়।
এই ঘটনার পর আমার হাসবেন্ডকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায় নি। আমাকে সাহায্য করার জন্য কেউ কি এগিয়ে এসেছেন? কেউ এগিয়ে আসেন নাই। মাত্র ১০ লাখ টাকার একটা চেক দিয়েছেন মাননীয় পিএম। আর ব্যাঙ্কার্স এসোসিয়েশন কথা দিয়েছেন, ১০ বছর তারা আমাদের টাকা দিবেন। উনারা আমাদের ১ বছরের ১ টা চেক দিয়েছেন। উনাদের আবারো থ্যানক্স। এটাই যেন শুধু আমার এবং আমার সন্তানদের প্রাপ্য, এবং এখন পর্যন্ত আমার সম্বল। আমি শুধু এদেশ থেকে চলে যেতে চাই, এখানে থাকতে চাই না, এদেশে বসবাস করে বাঁচতে চাই না। শুধু যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের আশায় তাদেরকে নিয়ে কথা বলে, কমেন্ট করে, আমাদের এই ভিক্টিম ফ্যামিলিগুলার প্রব্লেমগুলাকে দিনের পর দিন পার করে দিয়ে কি এক সময় ভুলেই যাওয়া হবে? যুদ্ধ অপরাধীরা সেই সময় যে ম্যাসাকার করেছে, তার বিচার এত কালেও হয় নি। আমাদের বিডিআর-এর ক্ষেত্রে কোন জিনিসটা হবে? বিচার পাবো, নাকি আমরা সবসময় এরকম টক শো-এর টপিক থাকবো? আমাদের শহীদ ফ্যামিলির সন্তানদের নিয়ে একজন অনারেবল লেডি হিসাবে জীবন যাপন করার কোন কোন মর্যাদা আমাদের জন্য রাখা হয়েছে?
অনেক আশা ছিল, আর কোথাও না হোক, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের টুয়েল্ভটথ ইন্টেকদের সব্বাইকে বলতে চাই, কে কয়জন কয়বার আমার বাচ্চাদের বা আমার জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন? শুধুমাত্র মানুষজনদেরকে শোনানোর জন্য, উপরে উপরে কোন প্রোগ্রাম রেখে, ব্লগে লিখে, আমার বাসায় গেট-টুগ্যাদার করাটাকে কি বলা যেতে পারে? যখন আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, ১ মাস প্রায়, এছাড়া আগে-পরে বেশ কয়েকবার আমি ও আমার বাচ্চারাও ভর্তি ছিলাম, তখন টুয়েল্ভটথ ইন্টেকের কেউ, কোন কোর্সমেট ভাই/ভাবী কেউ কি জানতে এসেছেন? অফিসার্স ফ্যামিলি ওয়ার্ডের একতলায় বাচ্চা হয়েছে এক কোর্সমেট ভাবীর, সেখানে সবাই মিষ্টি নিয়ে বা গিফট নিয়ে দেখা করতে গেছেন। কিন্তু লিফট দিয়ে কেউ কষ্ট করে আমাকে বা আমার বাচ্চাকে দেখতে চার তলায় আসতে পারেন নাই। কোন এক সময় অনেক জ্বর থাকায় আমি টুয়েল্ভটথের অনেক ফেমাস একজনকে স্যুপ আনতে বলেছিলাম, উনি পকেটের ৩০০ টাকা খরচ করতে পারেন নাই, যদিও আসার পরে টাকাটা আমি দিয়ে দিব বলেছিলাম। উনার কিছু বেয়াদবি আচরণের কারনে আমি তাকে এভোয়েড করলে এবং কয়েকজনকে জানাবার পরে অন্যান্য সবাই আমাদের ৩ জনকে বয়কট করলো। তবে কয়েকজনের অবদান অবশ্যই রয়েছে। তাদের জন্য এখনো পাগল হই নি। মানসিকভাবে চলতে পারছি। এবং ১১-১২-২০০৯ তারিখে ব্লগের পিকনিকে আসার পর আমার মনে হয়েছে প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে পারছি। পাশে অন্তত সিসিসি টুলেভটথ-কে না পেলেও ব্লগের ভাই-বোনদের কে পাবো।
আমি কি খাচ্ছি, আমার বাচ্চারা কি খাচ্ছে, এই মুহূর্তে কিভাবে চলছি? কেউ কি আমার হাড়ির খবর নিয়েছে? আমি কারো কাছে টাকা চাই না। টুয়েল্ভটথের এক ভাই বলেছিলেন, ‘প্রতি মাসে কম করেও ৫,০০০ টাকা আমরা তোমার হাতে দিব বলে ভেবেছিলাম, কিন্তু তুমি তো একটা ভালোই অনুদান পেয়েছো। তাই আর সেই প্রসঙ্গে গেলাম না।’ আমি কিন্তু কারো কাছেই তখন বা এখন কোন টাকার আশা করছি না। শুধুমাত্র ২/৩ টা ব্যবহারের কথা উল্লেখ করলাম। যদি সম্ভব হতো, তাহলে তাদের সবার খোলশ আমি খুলে দিতাম। আমাকে এমনও শুনতে হয়েছে, ‘আর্মি তো লাত্থি মেরে বের করে দিবে। তাই এখনই যে হাত বাড়াচ্ছে, সেদিকে চিন্তা কর (জুন/জুলাই মাস)’। আরেকজনের কাছে শুনলাম, ‘আমার নামে আমার বন্ধুদের কাছে কমপ্লেন করলে তুমিই সবার কাছে ছোট হবা, তারা আমাকেই বিশ্বাস করবে (সেপ্টেম্বর/অক্টোবর)।’ উল্লেখ্য শুধুমাত্র টুয়েল্ভটথ-এর সেই সমস্ত ৩/৪ জনের উদ্দেশ্যেই এই কথাটা, অন্য কারো জন্য না।
আমি কি খাই, আমার বাচ্চারা কি খায়, কিভাবে চলছে, কিভাবে চলছি, কিভাবে বাজার করছি, কিভাবে এই বাচ্চাদের নিয়ে একলা থাকছি এই বাসায়? তাতে কারো কোন মাথা ব্যথা নাই। কারন, তানভীর/হায়দার/রুমি শুধু আমারই। ওর ফ্যামিলি আমরা ৩ জন সন্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারলেই কি আর না পারলেই কি? তাই কাকে আর কি বলবো।
আমি একক ও ক্যাডেট কলেজ ব্লগের কমেন্টগুলা দেখলাম। এখানে উল্লেখ্য আবু হেনা ভুঁইয়া ভাইটা কে? উনি সৈনিকদের ওয়াইফদের মনের কষ্ট বলতে কি বুঝালেন? কোন সৈনিকদের ওয়াইফদেরকে বুঝালেন? আমি ঠিক ক্লিয়ার না। দয়া করে কি এক্সপ্লেইন করবেন? আমার ২৫ নভেম্বরের আমার ব্লগের লেখাটা দিয়ে খুবই এংশাস। কেন যেন মনে হচ্ছে, আমি কি ভুল করে ফেলেছি?আমার সেই লেখায় কোন আর্থিক সহায়তা চাই নি। হ্যাঁ, আমার টাকার অনেক প্রয়োজন আছে। কারন মাত্র ১০ লাখ টাকাই আমার আপাতত এসেট, এবং এই অনুদান থেকেই আমি ওর লোন শোধ করে এখন পর্যন্ত চলছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমার লেখাটা দেওয়ার পরে অনেক ভুল করে ফেলেছি। আমি কি আমার হাজবেন্ডকে হারিয়ে ২ বাচ্চা সহকারে ইনভিজিবল ভিক্ষার থলি নিয়ে ঘুরছি, তাই নয় কি?
আমার জানা নাই, না জেনে ভুল বুঝে কিছু এলোমেলো কথা বলে থাকলে সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দেশের সকল রাজনীতিবিদ, আর্মি ভাইয়েরা/ভাবীরা এবং এখানে উল্লেখ্য কারো মনে, একক বা ক্যাডেট কলেজ ব্লগের সবাইকে কোন রকম মনোকষ্ট দিয়ে থাকলে তার জন্য আমি ভীষণভাবে সরি।
:hatsoff:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:clap:
ভাবী অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু কিভাবে বলব বুঝতে পারছি না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে আসার জন্য। কিছু করতে পারব না হয়ত তবে আপনার কথা শোনার জন্য হলেও আমাদের পাবেন ।
ভাল থাকবেন ভাবী । সাহস হারাবেন না আর মানুষের কথায় পাত্তা দিবেন না। সমাজ এখনো আমাদের অনেক খারাপ।
:hatsoff:
একজন এক্স-ক্যাডেট হিসাবে আসলেই লজ্জা পেতে হয়। মন খারাপ হয়ে গেল। ভাবীর জন্য, বাচ্চাদের জন্য এবং পুরো পরিবারটির জন্য আন্তরিক সমবেদনা, সহানুভুতি এবং শুভ কামনা রইল।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
এই বিকৃত মনমানসিকতার কয়েকজনের কথা ভেবে মন খারাপ করবেন না ভাবী,সিসিবি আপনার সাথে আছে।
প্রেরনা : মনটা খুব খারাপ? কাছের মানুষগুলো পর পর আচরণ করে? পিকনিকের দিন তোমার সঙ্গে কিছু কথা বলেছিলাম। মনে পড়ে? তোমার মনটাকে শক্ত করো। এখনকার যুদ্ধটা তোমার নিজের। শুধুই একার। কখনো কাউকে পাশে পাবে, কখনো পাবে না। এই বাস্তবতাটা মেনে নাও। আমি জানি তোমাকে সান্তনা দেওয়াটা বৃথা। সে চেষ্টাও আমি করছি না। ল্যাপটপটা দুবার হ্যাং করেছে। বন্ধ করে আবার চালু করতে হয়েছে। কেন? শুধু তোমাকে কিছু লিখবো বলে। তোমাকে লড়াইয়ে নামার সাহস দিচ্ছি। লড়াইয়ের শর্ত জানো? নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। আরো শক্তি ও সাহস নিয়ে আরো বড় লড়াইয়ে নামার জন্য।
নিজের দুর্দশা তো আছেই। আরো অনেকের দিকে তাকাও। তোমার চেয়েও হয়তো আরো খারাপ অবস্থায় আছে আরো মানুষ। কিন্তু লড়ার আগে যেন হেরে যেও না। একটা একটা করে লড়াই জিততে জিততে তুমি একদিন পুরো যুদ্ধটাই জয় করে ফেলবে। তোমার শক্তি তোমার দুই ছেলে। ওদেরও সাহসী করে গেড়ে তোলো।
মানুষের মধ্যেই ভালো-মন্দ থাকে। দুঃসময়ে ভালো মানুষ আর মন্দ মানুষ চেনা যায়। তোমার স্বামীর বন্ধুরা সবাই তোমার পাশে দাঁড়াতে পারবেই এমনটা ভাবছো কেন? তাদেরও তো কোনো কোনো সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। যেটা তুমি জানো না। আবার অনেকে ভালো সেজে তোমার সহানুভূতি অর্জন করে তোমার খারাপও বয়ে আনতে পারে। আমি বলতে পারবো না। মেয়েরা নাকি ঠিকই মানুষ চেনে। তাদের ভাষা সবচেয়ে ভালো বোঝে। তুমি নিজের মতো করে সবাইকে চিনে নাও। কিন্তু দয়া করে ভেঙে পড়ো না। হেরে যেও না। তুমি হেরে গেলে আমরা সবাই পরাজিত হবো। প্রিয় বোন, লড়াইটা শুরু করো। কোথা থেকে, কিভাবে শুরু করবে? সংবাদপত্র পড়ো। দেখো কতো সাধারণ মানুষ, কতো অশিক্ষিত মানুষ নিজের চেষ্টায় ২/৪/৫ বছরে দাঁড়িয়ে গেছে। তুমিও পারবে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সারাজীবন বড় ভাই-এর মত সাহস দিয়ে যেয়েন।
থ্যঙ্কস স্যার। ভাবীর লেখা পড়ে খানিকটা হতবুদ্ধি হয়ে গেছিলাম। কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না কি করা যেতে পারে। আপনার লেখা পড়ার পর কেন জানিনা কিছুটা স্বস্তি লাগছে।
ভাবী, জানিনা কিভাবে আছি, তবে আপনার সাথে আছি। এই মূহুর্তে মানসিক ভাবে। আপনি নিশ্চিত পরিস্থিতি জয় করবেন। সব কিছুকে তাদের মত চলতে দিন, নিজেরটুকু নির্ধারণ করে হাঁটা দিন। পথে চেনা অচেনা আপন জন ঠিক মিলে যাবে। শুভকামনা।
যে মনোকষ্ট নিজেকে সম্মানিত করে, সেই মনোকষ্ট পেতে গর্ব বোধ হয়।
ভাবী কতটুকু করতে পারব জানি না, কিন্তু আপনার সাথে আছি সব সময়।
ভাতীজা দের প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা এবং আদর।
পড়ে খুব খারাপ লাগলো আশা করি ব্লগ থেকে আমরা ভাবির পাশে দাড়াবো
আপু মনকে শক্ত কর, তোকে আমাদের মাঝে পেয়ে খুব ভালো লাগছে,
জানিনা কি করতে পারবো, দোয়া ছাড়া, তবে তোর এই বোনটা সবসময় তোর সাথেই থাকবে, দুরত্ব যতই হোক, আজীবন পাশেই পাবি।
শুভ জন্মদিন।
............সরাসরি তুই। আসলে আপনি শুনতে সুনতে কেমন যেন অচেনা লাগছিল,প্রথমে। আমি খুব খুশি হলাম আপনার/তোমার এই ডাকে। আচছা এস এস সি টা কবে? আমি নাইন থেকে ও লেভেল দেয়া শুরু করেছি ২০০০-২০০১। এ লেভেল ২০০৩। ২০০৮ এ গ্রাজূয়েশন শেষ করলাম। আমি কি ডাকবো,জানালে ভালো হয়। বাবূদের অনেক আদর।
তুইতো আপু অনেক ছোট্ট, বোনকে কি কেউ আপনি বা তুমি বলে, সরাসরি তুই, আমি যেমন ডাকলাম, 😀
আমার এইচ এস সি - ৯৮। ;))
এখন থেকে তুই বললে ভালই লাগবে।আমি কিন্তু এস এস সি টা জানতে চাইছিলাম।মনে হয় সেটা বেশি বেশি আগে তাই না,আপু। 😀 :)) =))
ভাবী,
জানিনা কি দিয়ে শুরু করবো...কিভাবে শুরু করবো...
দোয়া করি আল্লাহ এখন পর্যন্ত আপনাকে যে পরিমাণ সাহস এবং শক্তি যুগিয়েছেন, ভবিষ্যতে তার চেয়ে আরো অনেক বেশী সাহস ও শক্তি যেন তিনি আপনাকে এবং আপনার সন্তানদের দেন। জনিনা কোনদিন আপনাদের কোন উপকারে আসতে পারবো কিনা...তবে ভাই হিসেবে যদি কখনো ডাকেন, তাহলে পাশে পাবেন ইনশাল্লাহ। অন্য সবার কথা জানিনা, তবে সিসিবি অবশ্যই সবার থেকে ভিন্ন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সিসিবি অন্তত আপনাকে কখনো ছাড়বেনা, কিংবা বিপদের দিনে আপনাকে ছেড়ে যাবেনা। আর দিক্কার সেই সব মানুষ গুলির প্রতি যাদের কারণে আপনার মনে কষ্টে নীল হয়েছে।
ভালো থাকবেন। আপনার সন্তানদের জন্য রইল অনেক আদর ও দোয়া।
শুভ জন্মদিন ভাবী।
;)) ;;) O:-)
যার চলে যায়, তার বেদনা আর কেউ বোঝে না, আপনার
জীবন সংগ্রামে মহান আল্লাহই আপনার সহায় হবেন, আর আপনার সহযাত্রী হবে শহীদ তানভীর স্যারের ভালোবাসা.......
:clap: :teacup: :teacup: :teacup: :teacup:
সবাই আমার পিচচিদের জন্য দোয়া করেন।আমার পাশে থেকেণ।
.......................................
ভাবী...,
আমরা যখন কোন প্রতিযোগিতা/লড়াই/যুদ্ধে নামি...কখনও কখনও কিন্তু সেটার ফলাফল আগেই বুঝতে পারি। যে সব ক্ষেত্রে সেই বোঝাটা পজেটিভ হয়...সেগুলিতে কিন্তু জয়ী হওয়াটাও সহজতর হয়ে যায়।
সমস্যা হলো...মাঝে মাঝেই আমরা ভুল প্রেডিকশন করে ফেলি...এবং জেতার সম্ভাবনার চেয়ে হারার শংকাতে বেশী ভুগি...।
আমি/আমরা সবাই জানি...(এমনকি আপনি নিজেও...!) এই যুদ্ধটা আপনাকে একা-ই লড়তে হবে। তবে, আমি নিজে যেটা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি...সেটা হলো...আপনার সকল প্রয়াস...সকল চেষ্টার দ্বারা...দুঃখ/কষ্ট/ঝঞ্ঝাটগুলিকে পিছনে ফেলে আপনি সফল হয়েছেন। তবে, এই মুহূর্তে...আপনি কিন্তু কিছুটা শংকায় ভুগছেন...এবং এটাই স্বাভাবিক।
বিশ্বাস করুন..., ইনশাআল্লাহ্ আপনি এই জীবনযুদ্ধে বিজয়ী হবেন-ই...।
আপনার যে কোন সমস্যা সমাধানে না আসতে পারলেও সাধ্যমত (প্রায়) সকল কর্মকান্ডে-ই আপনি আমাদের সবাইকে (সিসিবি-র সদস্যদের) পাবেন।
আমাদের অনেক বোনদের পাশে আপনাকে পেয়ে আমরা-ও আপ্লুত।
অঃটঃ
সামিয়া (স্যামঝ্যাং ওরফে বোমাবাজ) কিংবা দিহান (ওরফে ভাইস প্রিন্সিপ্যাল) আপনাকে আমাদের এখানকার সবাই সম্পর্কে-ই কমবেশী ধারণা দিতে পারবে...।
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
আর হ্যাঁ...শুভ জন্মদিন ভাবী...।
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
ভাবী,
১। প্রথমেই জানাচ্ছি জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
২। তারপর ধন্যবাদ জানাচ্ছি সিসিবির সক্রিয় মেম্বার হয়ে এই "ধন্যবাদ" পোষ্টের মাধ্যমে আপনার অনুভুতি এবং অভিজ্ঞতাগুলোকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
৩। আপনাকে অনুরোধ করবো উপরে উল্লেখিত সানাউল্লাহ লাবলু ভাইয়ের উপদেশগুলো অনুযায়ী চলার জন্য । সিসিবি পিকনিকে গিয়েছিলেন জেনে খুব ভাল লাগল।
৪। আপনাকে এতটুকু আশ্বাস দিতে পারি যে, অন্তঃত সুপরামর্শ বা দিক নির্দেশনা দিয়ে হলেও এই সিসিবি আপনার পাশে থাকবে।
৫। মানুষের মধ্যে ভাল-খারাপ দুই ই আছে। আপনি যেরকম অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বা হচ্ছেন, পাশাপাশি কিন্তু বেশ কিছু ভাল অভিজ্ঞতাও আপনার হয়েছে। ভালগুলোর কথা মনে করে খারাপগুলো ভুলে থাকুন প্লিজ। আপনার সন্তানদের ভবিষ্যতের চিন্তা করে মনকে আরো শক্ত করুন। এ জীবন যুদ্ধে আপনাকে জয়ী হতেই হবে। আমাদের প্রিয় হায়দার ভাই (শহীদ তানভীর স্যার) এর আত্নার শান্তি এবং আপনার বাচ্চাদুটোর জন্য আপনি কি পারবেন না এ চ্যালেঞ্জ নিতে?
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভাবী, আমাদের মাঝে চলে আসার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন...
আপনাকে কি বলবো সেটা আমার জানা নেই, তবে এটুকু বলতে পারি যে আমরা সবাই আপনার পাশে আছি...
এই পোস্টে বেশ কয়েকবার ঘুরে গেছি, কি লিখব বুঝতে না পেরে কোন মন্তব্য না করে ফিরেও গেছি। 🙁
লাবলু ভাইয়ের মত সুন্দর করে তো বলতে পারব না, তবুও বলি- আপনি যেন কখনও হেরে না যান!
আমাদের সমাজ অকৃতজ্ঞ বলেই না আমরা এমন দেশ ও শাসনব্যবস্থা পেয়েছি কারন আমরা এরই যোগ্য। তাই কারো কথায় মন খারাপ না করে শুধু ভাতিজাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে লড়াই করে যেতে হবে।ভাতিজারা একদিন আপনার মত সংগ্রামী মায়ের জন্য গর্ববোধ করবে।
ভালো থাকবেন । ভাতিজাদেরকে অনেক আদর। আপনাকে শুভজন্মদিন।
আসসালাম ভাবী,
কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতেসি না, পিলখানার কথা ই বলি,পিলখানার ঘটনায় সেনাবাহিনির লোক দের একটা আসল চেহারা বের হয়ে আসছে,যেটা আপনার তো বটেই স্বয়ং সেনাবাহিনির লোকদের ই জানা ছিল না। দুই দিন ধরে মরনের উতসব হইল, সেনাপ্রধান নাকি বুঝতেছিল না যে কি করা উচিত। শেষটায় তার নাকি মনে হইল পিলখানা থেকে troops withdraw করে আবাহনির ময়দান এ জমা কইরা বসাইয়া রাখলে নাকি ভাল ফল হইবে।'' শুনেছিলাম মীরজাফর ও নাকি পুরা সৈন্য বাহিনী আটকাইয়া রাখতে পারে নাই, কিন্তুক আবাহনির ময়দান এ পুরা সৈন্য দের বসাইয়া রাইখা সেই কাজটা কইরা দেখাইল জনৈক ব্রিঃ জেনাঃ হাকিম সাহেব।ফাইট কইরা মরলে তো আমরা মরতাম, আপনি আদেশ দিতে পারলেন না কেন?''- এই প্রশ্ন মইন সাহেব কে জিজ্ঞেস কইরা এক ক্যাপ্টেন সাহেব এখন তাপস এর উপর বোমা হামলার কেইস খাইয়া ডিজিএফ আই এর রিমান্ড এ আছে, বাকি ৪ জন আফিসারও মোটামুটি একই কারনে গ্রেফতার।
পিলখানার ঘটনা এক এক জনের কাছে এক এক রকম, কেউ পিলখানায় জেনারেল সাহেব মারা গেছে বিধায় প্রমোশন পাইয়া সুমি'স হট কেক এ বিশাল কেক এর অর্ডার দেয়, আবার কেউ ছুটি নিয়া আইসা বনানী কবর এ যাইয়া শহীদ দের জন্য দোআ করে। আপনার আসলে দূর্ভাগ্য যে যারা শহীদ দের জন্য দোয়া করে এরকম অফিসার এর সাথে দেখা না হইয়া কিছু অফিসার মরছে তাই প্রমোশন নিশ্চিত এরকম পাবলিক এর সাথে দেখা হইয়া যায়, আর হবেই বা কি করে, সেই অফিসার ও তো এরেস্ট। সুতরাং দুঃখ করবেন না দয়া করে, যাদের সহানুভুতি আছে, তাদের সাথে আসলে আপনাদের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারন তারা আপনাদের সামনে আসার সাহস করে না। করবে কি করে? তারা তো জানে আবাহনির ময়দান এ দাড়িয়ে থাইকা যারা নিজেদের ভাইদের বাচাইতে পারে নাই, প্রকারান্তরে তারাও আপনাদের সাথে মীরজাফরী করেছে।তাই যদি না হইতো তাহলে সকলের দাবীকে উপেক্ষা করে অন্তত দরবার হল টা ধুয়ে মুছে সব চিহ্ন সাফা করে অনুষ্ঠানের জন্য বুকিং খুজতো না-নূন্যতম শ্রধা দেখানোর জন্য হলেও যাদুঘর বানানো হইত।স্বয়ং সেনাবাহিনির অফিসার রাই এখন পিলখানার ঘটনা নিয়ে কোন কথা বলতে সাহশ পায় না,সবাই এখন ভুলে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যাস্ত।যারা ভুলে যাইতে পারে,তারাই এখন ভাল অফিসার, যারা পারে নাই তারা খারাপ অফিসার, আর যারা এইটা নিয়া রীতিমতো উচ্চবাচ্চ করে,তারা তো কেউ চাকরি হারাইছে,আর যারা তাতেও শিক্ষা নেয় নাই তারা তো এখন বোমা কেইস এ।।লেখা টা পড়ে অনেকেই দূ;খ পাইতে পারেন,কিন্তু কথা গুলা সত্য বলে কিছু করার নাই।যদিও লেখা টা পূরাপুরি প্রাসংগিক তারপর ও আশা করি এই লেখা টা পরলে সবাই বুঝতে পারবেন কার কাছ থেকে কি আশা করা যায়। আমার কথা গুলি এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে কারন আমি কখনও কোথাও লেখি নাই, আর পিলখানার ঘটনা নিয়ে তো নয় ই। তারপর ও লেখলাম শুধু একটা কথা বোঝানোর জন্য, যাদের কে নিয়ে দূঃখ প্রকাশ করলেন,তাদের কাছ থেকে দয়া করে দূ;খ নিয়েন না, কারন তাদের সংখা ই অনেক বেশি যারা আপনাদের জন্য দোয়া করে।তবে তারা হয়ত আপনার সামনে কোন দিন আসবে না।
:thumbup:
vhae zanina kano bangla hoche na tao na likha parlam,ami apnar moto guchae sotti kotha aktao pae nae.manus prithibe te ache taele akhono. vhabir zonno akta kotha bolar ase apnar apon jon haraese but amaro kom jae ne ontoto ader modhe 2 jon ar kole ami manus hoese zader hater khabar akhono amar sorele ase.kobe parbo zani na tobe je den par bo ren amake sod korte e hobe.
:salute: :salute: :salute: :salute: :salute: