চমৎকার বিভাগ নির্বাচন; ব্লগর ব্লগর।
কেননা আর যাই হোক একে কবিতা বলার :duel: ধৃষ্টতা দেখাওনি দেখে প্রীত হলাম।
আর শহীদ কাদরীও অমিয় চক্রবর্তী থেকে লিখেছেন মেলাবেন তিনি মেলাবেন।
কিন্তু শুয়োর তার প্রিয় কচু খুজে পেলেও তা কবিতা হয়েছে।
এইটা কিছুই হয় নাই। :chup:
সরি এতটা রুড হওয়ার জন্য।
কবিতা আমার কাছে ধমবাদীদের ধর্মগ্রন্থের মত।
মনে হয় বুঝাতে পেরেছি।
এবার এক কাপ চা খা। :teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
শহীদ কাদরীর কবিতার বই মাত্র তিনটা।
সমগ্র পাওয়ার কথা।
নিঊ মার্কেটে পাবি।
নেক্সট সপ্তাহে গিয়া কিনবি। আর পইড়া পশ্চিম দিক মুখ কইরা বলবি গুরু ভুল হইয়া গেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব, লেখায় যখন কবিতার ট্যাগ নাই তখন এই লেখাটা তো কবিতা না। বরং বলা যায় একজনের লেখা কোন প্রেমপত্র। সেক্ষেত্রে শুয়োরের কচু খুজে পাওয়ার উপমা কই থেকে আসলো আমার মাথায় ঢুকলো না।
রাজীব আসলে শহীদ কাদরী-র বিখ্যাত কিছু কবিতার কথা বলছে এখানে।
রাব্বী, তোমার লেখাটি পড়ে সেই কবিতাটা অনিবার্যভাবে মনে পড়বে যেটায় সুমন চট্টোপাধ্যায় সুর দিয়েছিলেন।
আর শুয়োরের কচু খাওয়ার কবিতার কথা বলতে রাজীব বোধ হয় এই কবিতার কথা বলছে, যেখানে একটা লাইন এরকম:
নূপুর ভাই দেখি।
কিন্তু আমার কাছে এই মুহূর্তে জীবনানন্দ সমগ্র ছাড়া আর কিছু নাই।
সুধীন দত্ত, বিষ্ণু দে, বুদ্ধদেব বসু, অমিয় চক্রবর্তী, সমর সেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় সব দেশে। এদের ছাড়া কবিতা নিয়ে কি করে লিখি?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
গত সাড়ে ৬ বছরে ১ লাইন কবিতাও পড়তে পারিনি। না প্রচুর বই আছে। কিন্তু কবিতা পড়তে পারিনা। হয়তো দেশের বাইরে থাকাও এক প্রকার বন্দীদশা। বন্দী অবস্থায় কি কবিতা হয়?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কোবতে লেখা বিশাল ঝামেলার কাজ, বুঝলা ? বেলাইন হইলেই গাল খাওয়া লাগে... তাই বলে কবিতা লেখা ছেড়ে দিওনা...কিন্তু মৌলিক লেখার চেষ্টা করো, ওকে ?? (যদিও ব্লগর ব্লগর ট্যাগ দেওয়া, তারপরও ধরে নিচ্ছি এটা আসলে কবিতাই...)
আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।
ভাই,কারো কবিতা পরে অনুপ্রানিত হয়ে লেখার অধিকার লেখকদের আছে।বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এর অনেক উদাহরন আছে।শহীদ কাদরীর কবিতা পড়ে অনুপ্রানিত হয়ে এটা লেখা।যাই হোক পরবর্তীতে আরো ভালো লিখবো. .
হুমম্, যদি শহীদ কাদরীর কবিতাটিতে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখে থাকো তাহলেও মূলের এত কাছাকাছি ( যা কি না মূল লেখাটিকে বারবার মনে করিয়ে দ্যায়) হবার কারণে পাঠক তাকে কখনোই সহজভাবে নেবেনা।
একটি লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত বা তাড়িত হয়ে তুমি আরেকটি অনন্য, একেবারেই আলাদা সৃষ্টিকর্ম সাধন করবে, তবে সেই মূল কবিতাটি ধন্য, সেইসাথে তুমিও।
আমি অবশ্য ভেবেছিলাম, তুমি শহীদ কাদরীর কবিতাটি না পড়েই লিখেছো (অন্যদের হয়তো একটু অদ্ভুত মনে হবে, তবে এমনটা হয়েছিলো আমার নিজের একটা লেখার ক্ষেত্রেই)। আর তোমার লেখায় যদি অনুপ্রাণিত হবার এই তথ্যটা বলে দিতে তাহলে খুব ভালো হতো।
সিসিবি শুধু আমাদের আড্ডা-স্মৃতিচারণ-সৃষ্টিশীলতা চর্চার নিজস্ব গণ্ডীই নয়, এটি অনেক বাংলা ব্লগের একটি যেখানে প্রতিদিন অনেক অতিথি পাঠক এসে ঢুঁ মেরে যান। কিছু না বললেও (কারণ শুধু ক্যাডেটদের বিচরণক্ষেত্র বলে বহিরাগত পাঠকের প্রায় কোন মন্তব্যই পড়েনা কোন পোস্টে) এই ব্লগের সার্বিক মান নির্ধারিত হয় পোস্টের মাপে, তিলে তিলে। সেক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার সংগে আমাদের দায়িত্ববোধও জড়িয়ে আছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি (তোমার এ লেখা নিয়ে বলছিনা কিন্তু, ইদানিং কিছু লেখার মান দেখে বলছি), এ সময়ে (যখন সিসিবিতে সদস্য সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে) লেখার মানের দিকে নজর দিয়ে মডারেশনে একটা বড়সড় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। (সম্পাদিত)
ভাই,কারো কবিতা পরে অনুপ্রানিত হয়ে লেখার অধিকার লেখকদের আছে।বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এর অনেক উদাহরন আছে।শহীদ কাদরীর কবিতা পড়ে অনুপ্রানিত হয়ে এটা লেখা।যাই হোক পরবর্তীতে আরো ভালো লিখবো. . .:)
আমি সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা মুক্তির গান শুনিনি
আমি দৃশ্য পটে মিথ্যে আশার স্বপ্নের জাল বুনিনি
আমি সাহারার পথে একলা হেঁটে ভরা হাতে ফিরিনি
আমি অশ্রু ভেজা সেই রমনীর আর্তনাদকে বুঝিনি
আমি শুনবো তাই মুক্তির গান নীলকন্ঠের মুখে
আমি বুনবো আজ স্বপ্নজাল নতুন সৃষ্টি সুখে
আমি বিন্দুর মাঝে সিন্ধু খুঁজবো অসীম সেই সাহারায়
বেদনার্ত রমনী থাকুক ভালোবাসার পাহাড়ায়. . . . .:)
বাপ্রে, উপ্রে দেখা যায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এইটা কিন্তু তোর জন্য ভাল রে রাব্বী। মন খ্রাপ করিস না, সমালোচনাটা পসিটিভ ভাবে গ্রহণ কর, দেখবি দশ বছর পর রাজীব ভাই, নাফিজরে থ্যাঙ্কু দিতেসিস। মিজাজ খ্রাপ করে আবার ছেড়ে টেরে চলে যাইস না অন্যদের মত। সারভাইভাল অফ দি ফিটেস্ট ম্যান 🙂
আর আমি ফাইজলামী করে একটা কমেন্ট করসিলাম, নো বিগ ডিল। প্রেমিকরা মুখে কত যে ফটফট করে...কাজের বেলায় ঝা ঝা। এইটা কইতেসিলাম আর কি। এই যেমন ধর প্রেমিকা যদি কইত, আর বিডিআর জওয়ান যদি অস্ত্র ফেলেই দিত, তাইলে তো ভালই ছিল, কি কইস?
ভাইয়া,শহীদ কাদরীর অই কবিতাটি আমি হূমায়ুন আহমেদ যতটুকু তাঁর প্রথম আলোয় লিখেছেন অতটুকু ই পড়েছি।আর আমি সত্যি বলছি থিম চুরী করিনি।আমার মাথায় এই থিম এসেছে।কিন্তু এই লেখাটা লেখক মহলে একটু আলোচিত হয়েছে বলে আমি অনুপ্রানিত কথা লিখতে বাধ্য হয়েছি।আমাদের বাংলার স্যার বলতেন কারো লেখা পড়ে অনুপ্রানিত হয়ে তার থিমে লেখার অধিকার লেখকদের আছে।সেক্ষেত্রে লেখক তার নিজস্ব শব্দ চয়ন করবে।আমি কিছু সমসাময়িক ব্যাপার তুলে ধরেছি।শহীদ কাদরীর কবিতা আমাদের মত যারা অনেক অল্পবয়সী তরুন তারা অনেকেই পড়েনি।জানেওনা।হূমায়ুন আহমেদ নিজেও কিন্তু তারাশঙ্কর এর কাছ থেকে কবি নাম ধার করে উপন্যাস এর নাম দিয়েছে।তার শঙ্খনীল কারাগার তো হুবহু একটা কবিতার নাম।যা হোক কবিতা আমি একে বলবোনা।আর ভাই এত দুর্বোধ্য করে কবিতা লেখার কারনেই হয়তো আজ সবাই কবিতা দেখলে নাক সিঁটকায়।কেউ পড়তে চায়না।আমাদের প্রমথ চৌধুরির রচনার শিল্পগুন পড়তে হবে।এমন একটা লিখলাম যা আমি ছাড়া কেউ বুঝলনা তাতে কি লাভ?আর জীবনানন্দ নিজেই তো কোন ছন্দ মানতেন না।তারপরেও কি তার কবিতা গুলো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা না? 🙂
তারাশঙ্করের কবি আমার প্রিয় উপন্যাসগুলির একটি। যদিও আমার আরেক প্রিয় লেখক হুমায়ুন আজাদ বলেছেন ঐ উপন্যাসের নাম হওয়া উচিত ছিল কবিয়াল। কিন্তু ঐ উপন্যাসের নাম কবিয়াল হইলেও আমার প্রিয়ই থাক্তো।
আর হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসটির নাম মহাকবি বা কবিরাজ হইলেও কিছু যাইতো আস্তো না। কবিতা ছাপানোর জন্য গু চিকিৎসা আর চাঁদের আলোতে লাংটা হইয়া দৌড়াইলেই উপন্যাস হয়না। যদিও ঐ বইটা টিনেজ বা উঠতি কবিদের জন্য উপাদেয়।
আর শঙ্খনীল কারাগারের ভূমিকায় উল্লেখ করা উচিত ছিল নামটি কোন কবিতা থেকে নেওয়া।
আর তোমার কোন বাংলার স্যার তোমাদের কি বলেছেন আর তোমরা কি বুঝেছো! খুব চিন্তার কথা!
কলেজে থাকতে আমাদের এক স্যার জীবনানন্দ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। কল্লোল যুগের কথা বলতেন।
কোনদিন বন্দীর বন্দনা, উর্বশী ও আরটেমিস, চোরাবালি, অর্কেস্ট্রা, ক্রন্দসী র কথা কেউ বলেননি।
মনে পড়েনা কোনো স্যার তেইশ নম্বর তৈলচিত্র, চিলেকোঠার সেপাই বা প্রদোষে প্রাকৃতজন নিয়ে কোনো আলোচনা করেছেন!
আর কবিতা আমজনতার বিষয় না। স্লোগান আমজনতার বিষয়। যেমন নজরুল, রুদ্রের কবিতা। কবিতার পাঠক খুব কম এবং তাই থাকবে। কিন্তু তাতে গুণের কোনো ব্যাত্যয় ঘটেনা। পাঠক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কবিতাকে হুমায়ুন আহমেদিয়করণ করার কোনো মানে নেই।
আর কে বলল জীবনানন্দ ছন্দ মানেননি?
শুধু যদি রূপসী বাংলা দেখ তাহলে দেখবে প্রথম কবিতা বাদে বাকি সব সনেট।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
আমরা বাংলার কিছু খুব ভালো স্যার পেয়েছিলাম যাঁদের কেউ কেউ পুরো একটা পিরিয়ড শুধু বানান লিখতে দিতেন (হুমায়ুন কবির স্যার)।
আখতার হোসেন স্যার ভিন্ন শিরোনাম দিতে বলতেন পাঠ্য কবিতা বা গল্পটির।
হাসনাত হারুণ স্যার লালসালুর মূল উপন্যাস পড়তে বলতেন, বোর্ডের পাঠ্য বইটুকু ছাড়িয়ে। সেই সাথে ছিলেন আব্দুল আজিজ স্যার, এমন মমতা নিয়ে পথের পাঁচালীর অপুর চরিত্র বোঝাতেন যে তাঁর নামই হয়ে গিয়েছিলো অপু।নজরুল ইসলাম স্যার 'সমুদ্রের প্রতি রাবণ' পড়াতে গিয়ে পুরো মেঘনাদবধ কাব্য উঠিয়ে নিয়ে আসতেন।
কতগুলো খসখসে কাগজে কালো কালো শব্দ আর বাক্যে এত যাদু থাকতে পারে তাঁদের ক্লাসে উপলব্ধি করেছিলাম, সাথে ছিলো ফৌজদারহাটের পাহাড় ঘেরা সৌন্দর্য।
দিনগুলো ছিলো বটে!
আমি আবার পক্ষপাত দোষে দুষ্ট ......রাব্বী তোর আবজাব লিখাও আমার হেভভি ভাল্লাগে... এইডাও আমার ভাল্লাগসে :)) অবশ্য আমি আমার কোবতে তেমন বুঝিনা, সেইডা কিন্তুক আলাদা ব্যাপার 😛
প্রেমিকরা শুধু মুখেই এত পকপক করে...কাজের বেলায় কিস্যু নাই...
:thumbdown:
চমৎকার বিভাগ নির্বাচন; ব্লগর ব্লগর।
কেননা আর যাই হোক একে কবিতা বলার :duel: ধৃষ্টতা দেখাওনি দেখে প্রীত হলাম।
আর শহীদ কাদরীও অমিয় চক্রবর্তী থেকে লিখেছেন মেলাবেন তিনি মেলাবেন।
কিন্তু শুয়োর তার প্রিয় কচু খুজে পেলেও তা কবিতা হয়েছে।
এইটা কিছুই হয় নাই। :chup:
সরি এতটা রুড হওয়ার জন্য।
কবিতা আমার কাছে ধমবাদীদের ধর্মগ্রন্থের মত।
মনে হয় বুঝাতে পেরেছি।
এবার এক কাপ চা খা। :teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাই,কবিতা বলবো একে?এত বড় দুঃসাহস কোথায়?
কবিতা লেখা এত সহজ নাকি?
রাজীব ভাই,শুয়োরের কচু খুঁজে পাওয়া ব্যাপারটা বুঝলাম না:-(
শহীদ কাদরীর কবিতার বই মাত্র তিনটা।
সমগ্র পাওয়ার কথা।
নিঊ মার্কেটে পাবি।
নেক্সট সপ্তাহে গিয়া কিনবি। আর পইড়া পশ্চিম দিক মুখ কইরা বলবি গুরু ভুল হইয়া গেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব, লেখায় যখন কবিতার ট্যাগ নাই তখন এই লেখাটা তো কবিতা না। বরং বলা যায় একজনের লেখা কোন প্রেমপত্র। সেক্ষেত্রে শুয়োরের কচু খুজে পাওয়ার উপমা কই থেকে আসলো আমার মাথায় ঢুকলো না।
নূপুর ভাইয়ের কমেন্ট দেখ।
তবে পিচকি কবিতা লেখারই চেষ্টা করছে। কিন্তু বড়ই অন্যায় কাম করছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব আসলে শহীদ কাদরী-র বিখ্যাত কিছু কবিতার কথা বলছে এখানে।
রাব্বী, তোমার লেখাটি পড়ে সেই কবিতাটা অনিবার্যভাবে মনে পড়বে যেটায় সুমন চট্টোপাধ্যায় সুর দিয়েছিলেন।
আর শুয়োরের কচু খাওয়ার কবিতার কথা বলতে রাজীব বোধ হয় এই কবিতার কথা বলছে, যেখানে একটা লাইন এরকম:
বন্য শুকর খুঁজে পাবে প্রিয় কাদা, মাছরাঙা পাবে অন্বেষণের মাছ...
কবিতাটি আমার কাছে নেই, বিখ্যাত কবিতা।
তোমার লেখা কিন্তু ভালো হয়েছে। শহীদ কাদরি-র লেখাটা পড়োনি, তবু তাঁর কত কাছাকাছি ভেবেছো! এমন হয়, আমাদের সেরা ভাবনাগুলো অনেক সময় মিলে যায়।
নূপুর ভাই
:boss:
আমার ভুল হইতে পারে কিন্তু আমি প্রবলভাবে বিশ্বাস করি বাংলায় কবিতা লেখার আগে পঞ্চপাণ্ডব সম্পর্কে জানা ও পড়া আবশ্যক।
নয়ত ছড়া লেখা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@ রাজীব:
সম্পর্কে কেন জানতে হবে বাংলা কবিতা লেখার আগে?
বিশদ বলবে?
পারলে একটা পোস্ট দাও, বহুকাল ইন্টারেস্টিং আলোচনা হয় না।
নূপুর ভাই দেখি।
কিন্তু আমার কাছে এই মুহূর্তে জীবনানন্দ সমগ্র ছাড়া আর কিছু নাই।
সুধীন দত্ত, বিষ্ণু দে, বুদ্ধদেব বসু, অমিয় চক্রবর্তী, সমর সেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় সব দেশে। এদের ছাড়া কবিতা নিয়ে কি করে লিখি?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই, নেটে আজকাল মোটামুটি সবারই কবিতা পাওয়া যায়। ব্লগ নামায় ফেলেন ভাইয়া 🙂
গত সাড়ে ৬ বছরে ১ লাইন কবিতাও পড়তে পারিনি। না প্রচুর বই আছে। কিন্তু কবিতা পড়তে পারিনা। হয়তো দেশের বাইরে থাকাও এক প্রকার বন্দীদশা। বন্দী অবস্থায় কি কবিতা হয়?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাই,কবিতা বলবো একে?এত বড় দুঃসাহস কোথায়?
কবিতা লেখা এত সহজ নাকি?
রাজীব ভাই,শুয়োরের কচু খুঁজে পাওয়া ব্যাপারটা বুঝলাম না:-(
সামিয়া আপা,আর কি করার ছিল আমার,আমার. . .
যত টুকু পারি ততটুকু করতে মন্দ কি?
রাজীব ভাইয়ের সাথে একমত।
কোবতে লেখা বিশাল ঝামেলার কাজ, বুঝলা ? বেলাইন হইলেই গাল খাওয়া লাগে... তাই বলে কবিতা লেখা ছেড়ে দিওনা...কিন্তু মৌলিক লেখার চেষ্টা করো, ওকে ?? (যদিও ব্লগর ব্লগর ট্যাগ দেওয়া, তারপরও ধরে নিচ্ছি এটা আসলে কবিতাই...)
আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।
ভাই,কারো কবিতা পরে অনুপ্রানিত হয়ে লেখার অধিকার লেখকদের আছে।বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এর অনেক উদাহরন আছে।শহীদ কাদরীর কবিতা পড়ে অনুপ্রানিত হয়ে এটা লেখা।যাই হোক পরবর্তীতে আরো ভালো লিখবো. .
হুমম্, যদি শহীদ কাদরীর কবিতাটিতে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখে থাকো তাহলেও মূলের এত কাছাকাছি ( যা কি না মূল লেখাটিকে বারবার মনে করিয়ে দ্যায়) হবার কারণে পাঠক তাকে কখনোই সহজভাবে নেবেনা।
একটি লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত বা তাড়িত হয়ে তুমি আরেকটি অনন্য, একেবারেই আলাদা সৃষ্টিকর্ম সাধন করবে, তবে সেই মূল কবিতাটি ধন্য, সেইসাথে তুমিও।
আমি অবশ্য ভেবেছিলাম, তুমি শহীদ কাদরীর কবিতাটি না পড়েই লিখেছো (অন্যদের হয়তো একটু অদ্ভুত মনে হবে, তবে এমনটা হয়েছিলো আমার নিজের একটা লেখার ক্ষেত্রেই)। আর তোমার লেখায় যদি অনুপ্রাণিত হবার এই তথ্যটা বলে দিতে তাহলে খুব ভালো হতো।
সিসিবি শুধু আমাদের আড্ডা-স্মৃতিচারণ-সৃষ্টিশীলতা চর্চার নিজস্ব গণ্ডীই নয়, এটি অনেক বাংলা ব্লগের একটি যেখানে প্রতিদিন অনেক অতিথি পাঠক এসে ঢুঁ মেরে যান। কিছু না বললেও (কারণ শুধু ক্যাডেটদের বিচরণক্ষেত্র বলে বহিরাগত পাঠকের প্রায় কোন মন্তব্যই পড়েনা কোন পোস্টে) এই ব্লগের সার্বিক মান নির্ধারিত হয় পোস্টের মাপে, তিলে তিলে। সেক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার সংগে আমাদের দায়িত্ববোধও জড়িয়ে আছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি (তোমার এ লেখা নিয়ে বলছিনা কিন্তু, ইদানিং কিছু লেখার মান দেখে বলছি), এ সময়ে (যখন সিসিবিতে সদস্য সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে) লেখার মানের দিকে নজর দিয়ে মডারেশনে একটা বড়সড় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। (সম্পাদিত)
বসের সকল কথার সাথে একমত।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাই,কারো কবিতা পরে অনুপ্রানিত হয়ে লেখার অধিকার লেখকদের আছে।বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এর অনেক উদাহরন আছে।শহীদ কাদরীর কবিতা পড়ে অনুপ্রানিত হয়ে এটা লেখা।যাই হোক পরবর্তীতে আরো ভালো লিখবো. . .:)
কিছু মনে করো না; এই লাইনটা পারলে কবিতায় রেখো না।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
accha vai............:)
রকিব কেন রে।.....................................
লাইন দুটো রিমোভ করে দিলাম............. 🙂
আমার মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয়।আমরা কেন কাউকে নিরুসাহিত করি।আর আসলে কবিতা কাকে বলে?
আর কিভাবে লিখলে কবিতা হয় কারো কি জানা আছে।
আমি সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা মুক্তির গান শুনিনি
আমি দৃশ্য পটে মিথ্যে আশার স্বপ্নের জাল বুনিনি
আমি সাহারার পথে একলা হেঁটে ভরা হাতে ফিরিনি
আমি অশ্রু ভেজা সেই রমনীর আর্তনাদকে বুঝিনি
আমি শুনবো তাই মুক্তির গান নীলকন্ঠের মুখে
আমি বুনবো আজ স্বপ্নজাল নতুন সৃষ্টি সুখে
আমি বিন্দুর মাঝে সিন্ধু খুঁজবো অসীম সেই সাহারায়
বেদনার্ত রমনী থাকুক ভালোবাসার পাহাড়ায়. . . . .:)
বাপ্রে, উপ্রে দেখা যায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এইটা কিন্তু তোর জন্য ভাল রে রাব্বী। মন খ্রাপ করিস না, সমালোচনাটা পসিটিভ ভাবে গ্রহণ কর, দেখবি দশ বছর পর রাজীব ভাই, নাফিজরে থ্যাঙ্কু দিতেসিস। মিজাজ খ্রাপ করে আবার ছেড়ে টেরে চলে যাইস না অন্যদের মত। সারভাইভাল অফ দি ফিটেস্ট ম্যান 🙂
আর আমি ফাইজলামী করে একটা কমেন্ট করসিলাম, নো বিগ ডিল। প্রেমিকরা মুখে কত যে ফটফট করে...কাজের বেলায় ঝা ঝা। এইটা কইতেসিলাম আর কি। এই যেমন ধর প্রেমিকা যদি কইত, আর বিডিআর জওয়ান যদি অস্ত্র ফেলেই দিত, তাইলে তো ভালই ছিল, কি কইস?
ki je kon apa rag kormu kan?????????writer der udar hoite hoi.......ar chhere jabona kokhono..................... 🙂
ha ha ha....hmm.........valoi hoito..............:P
সামিয়া
:clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাল লাগলো... কিপ গোয়িং ...
আমি কবিতা বুঝিনা, তাই এটা কবিতা কিনা সেটা যাচাই করার ইচ্ছা বা ক্ষমতা নেই। তবে তুমি যা বলতে চেয়েছো, তা বিলকুল বুঝতে পেরেছি...
🙂 🙂
রাব্বী, তুমি শহীদ কাদরীর কবিতা পড়ে এ লেখা লিখেছ কিন্তু তা হয়তো তোমার মতো করেই লিখতে পারতে। এ লেখায় উনার লেখার ছায়া বড় বেশী পড়েছে।
আর 'বিডিয়ারে সেই বিদ্রোহী জোয়ান অস্ত্র ফেলে দেবে' এই লাইনটা আমিও ঠিক মানতে পারি নাই।
ভাইয়া,শহীদ কাদরীর অই কবিতাটি আমি হূমায়ুন আহমেদ যতটুকু তাঁর প্রথম আলোয় লিখেছেন অতটুকু ই পড়েছি।আর আমি সত্যি বলছি থিম চুরী করিনি।আমার মাথায় এই থিম এসেছে।কিন্তু এই লেখাটা লেখক মহলে একটু আলোচিত হয়েছে বলে আমি অনুপ্রানিত কথা লিখতে বাধ্য হয়েছি।আমাদের বাংলার স্যার বলতেন কারো লেখা পড়ে অনুপ্রানিত হয়ে তার থিমে লেখার অধিকার লেখকদের আছে।সেক্ষেত্রে লেখক তার নিজস্ব শব্দ চয়ন করবে।আমি কিছু সমসাময়িক ব্যাপার তুলে ধরেছি।শহীদ কাদরীর কবিতা আমাদের মত যারা অনেক অল্পবয়সী তরুন তারা অনেকেই পড়েনি।জানেওনা।হূমায়ুন আহমেদ নিজেও কিন্তু তারাশঙ্কর এর কাছ থেকে কবি নাম ধার করে উপন্যাস এর নাম দিয়েছে।তার শঙ্খনীল কারাগার তো হুবহু একটা কবিতার নাম।যা হোক কবিতা আমি একে বলবোনা।আর ভাই এত দুর্বোধ্য করে কবিতা লেখার কারনেই হয়তো আজ সবাই কবিতা দেখলে নাক সিঁটকায়।কেউ পড়তে চায়না।আমাদের প্রমথ চৌধুরির রচনার শিল্পগুন পড়তে হবে।এমন একটা লিখলাম যা আমি ছাড়া কেউ বুঝলনা তাতে কি লাভ?আর জীবনানন্দ নিজেই তো কোন ছন্দ মানতেন না।তারপরেও কি তার কবিতা গুলো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা না? 🙂
তারাশঙ্করের কবি আমার প্রিয় উপন্যাসগুলির একটি। যদিও আমার আরেক প্রিয় লেখক হুমায়ুন আজাদ বলেছেন ঐ উপন্যাসের নাম হওয়া উচিত ছিল কবিয়াল। কিন্তু ঐ উপন্যাসের নাম কবিয়াল হইলেও আমার প্রিয়ই থাক্তো।
আর হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসটির নাম মহাকবি বা কবিরাজ হইলেও কিছু যাইতো আস্তো না। কবিতা ছাপানোর জন্য গু চিকিৎসা আর চাঁদের আলোতে লাংটা হইয়া দৌড়াইলেই উপন্যাস হয়না। যদিও ঐ বইটা টিনেজ বা উঠতি কবিদের জন্য উপাদেয়।
আর শঙ্খনীল কারাগারের ভূমিকায় উল্লেখ করা উচিত ছিল নামটি কোন কবিতা থেকে নেওয়া।
আর তোমার কোন বাংলার স্যার তোমাদের কি বলেছেন আর তোমরা কি বুঝেছো! খুব চিন্তার কথা!
কলেজে থাকতে আমাদের এক স্যার জীবনানন্দ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। কল্লোল যুগের কথা বলতেন।
কোনদিন বন্দীর বন্দনা, উর্বশী ও আরটেমিস, চোরাবালি, অর্কেস্ট্রা, ক্রন্দসী র কথা কেউ বলেননি।
মনে পড়েনা কোনো স্যার তেইশ নম্বর তৈলচিত্র, চিলেকোঠার সেপাই বা প্রদোষে প্রাকৃতজন নিয়ে কোনো আলোচনা করেছেন!
আর কবিতা আমজনতার বিষয় না। স্লোগান আমজনতার বিষয়। যেমন নজরুল, রুদ্রের কবিতা। কবিতার পাঠক খুব কম এবং তাই থাকবে। কিন্তু তাতে গুণের কোনো ব্যাত্যয় ঘটেনা। পাঠক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কবিতাকে হুমায়ুন আহমেদিয়করণ করার কোনো মানে নেই।
আর কে বলল জীবনানন্দ ছন্দ মানেননি?
শুধু যদি রূপসী বাংলা দেখ তাহলে দেখবে প্রথম কবিতা বাদে বাকি সব সনেট।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
তুমি দেখি কবিতা গুলে খাওয়া পাবলিক!
বেশ বেশ।
লজ্জা দিয়েন না বস। এই জন্মে শুধু গিইলাই গেলাম। দেখি নেক্সট জন্মে যদি কিছু প্রসব করতে পারি। দোয়া রাইখেন। দোয়াই সব।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
আমরা বাংলার কিছু খুব ভালো স্যার পেয়েছিলাম যাঁদের কেউ কেউ পুরো একটা পিরিয়ড শুধু বানান লিখতে দিতেন (হুমায়ুন কবির স্যার)।
আখতার হোসেন স্যার ভিন্ন শিরোনাম দিতে বলতেন পাঠ্য কবিতা বা গল্পটির।
হাসনাত হারুণ স্যার লালসালুর মূল উপন্যাস পড়তে বলতেন, বোর্ডের পাঠ্য বইটুকু ছাড়িয়ে। সেই সাথে ছিলেন আব্দুল আজিজ স্যার, এমন মমতা নিয়ে পথের পাঁচালীর অপুর চরিত্র বোঝাতেন যে তাঁর নামই হয়ে গিয়েছিলো অপু।নজরুল ইসলাম স্যার 'সমুদ্রের প্রতি রাবণ' পড়াতে গিয়ে পুরো মেঘনাদবধ কাব্য উঠিয়ে নিয়ে আসতেন।
কতগুলো খসখসে কাগজে কালো কালো শব্দ আর বাক্যে এত যাদু থাকতে পারে তাঁদের ক্লাসে উপলব্ধি করেছিলাম, সাথে ছিলো ফৌজদারহাটের পাহাড় ঘেরা সৌন্দর্য।
দিনগুলো ছিলো বটে!
আমি আবার পক্ষপাত দোষে দুষ্ট ......রাব্বী তোর আবজাব লিখাও আমার হেভভি ভাল্লাগে... এইডাও আমার ভাল্লাগসে :)) অবশ্য আমি আমার কোবতে তেমন বুঝিনা, সেইডা কিন্তুক আলাদা ব্যাপার 😛
ভুল হইসে, আমি লিখতে চাইছিলাম,"আমি আবার কবতে তেমন বুঝিনা",এর জাইগায় লিখে ফেলসি, "আমার কবতে তেমন বুঝিনা" 😛