অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি – ১


জুম শটে এক রাশ ধূলা জমে উঠবে ফ্রেমে।
পরের ফ্রেমেই চলে আসবে – রাস্তায় ঝাড়ু দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের এর ঝাড়ুদার।
জুম আউট করে খালি রাস্তা – আইল্যান্ড ছুয়ে ক্যামেরা ডান দিকে প্যান করে একটি বাড়ির গেটের সামনে এসে স্থির হবে।
গেটের বাম পাশে শ্বেত পাথরে লেখা – বাড়ী নং ২৬৯ / রোড নং ৪।
তারপর ধীরে শর্ট অ্যাঙ্গেলে পিছনের সাদা দেয়ালে বেয়ে দোতলার জানালা।
জানালার পর্দা হাওয়ায় উড়ে গেলে দেখা যাবে ভেতরে বিছানায় শুয়ে আছে কেউ। বেড সাইড টেবিলে রাখা একটে ল্যান্ড টেলিফোন। পাশে দুটি মোবাইল। এর মধ্যে একটি নকিয়া-৭০। ক্লোজ শটে ফ্রেমে এখন শুধু ঐ মোবাইলটি।
দু’সেকেন্ড গত হতেই মোবাইলটি বেজে উঠবে।
নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ বাজার পরে ঘুমন্ত মানুষটি হাত বাড়িয়ে মোবাইলটি ধরে জড়ানো কন্ঠে বলবে – হ্যালো।
( ফ্রেম দুভাগ হয়ে বাম পাশে ভেসে উঠবে কলারের মুখ জ্যাকি। আর ডানে সদ্য জেগে ওঠা শুভ।)
– কিরে এখনও ঘুমাচ্ছিস নাকি ?

– হুম্মম। ক্যানো, এই সাড়ে সাত সকালে কোথায় আবার যুদ্ধ বাধলো রে?

– – না রে ব্যাটা। যুদ্ধ বাধবে ক্যান; ছুটির দিনে ভাবছিলাম কাছে ধারে কোথাও ফ্যামিলি নিয়ে একটা ট্রিপ মারার কথা। A family Day Out আর কি ।

– রোজার দিনে বাইরে যাব ! খাওয়া দাওয়া না হলে আউটিং জমে নাকি ?

– You have a point – তবে খাওয়া দাওয়ার বাড়তি ঝামেলা নাই ; আজ শনিবারে রাস্তায় জ্যামও কম থাকবে – তাই প্রায় বিনা প্রস্তুতিতেই একটা আউটিং এর একটা আটেম্পট নেয়া যেতে পারে।

– যাচ্ছি কোথায়?

– রাজেন্দ্রপুর।

– আর কার কার ঘুম ভাঙ্গিয়েছিস?

– আর এক জনের – মুন্না। ওর কে যেন পরিচিত আছে ঐ এলাকায়। তাই ইফতারের ব্যবস্থার দায়িত্ব ঐ ওস্তাদের।

– বেশ তো। তিন ফ্যামিলি। গাড়ি তোরটা আরা আমারটা।

– হুম্মম। গাড়ির চাকা ঘুরে যাবে ঠিক ন’টায়।

জ্যাকি’র অর্ধ ফ্রেম মিলিয়ে যেয়ে সিঙ্গেল ফ্রেমে শুভ থাকবে।

কাট – কাট করে তিনটি ফ্যামিলির ফ্রেম আসবে।

সুপার ইম্পোজ করে ফুটে উঠবে একটি দেয়াল ঘড়ি। – ন’টা বাজে।

ট্রাঞ্জিশন হয়ে ফ্রেমে আসবে চলমান গাড়ির চাকা।

এরিয়াল শটে ফ্রেমে আসবে এয়ারপোর্ট রোডে ছুটে চলা দুটি গাড়ি।
অডিওতে তখন বাজছে –
রুপম এর একটি মিষ্টি গান – ‘কতদূর আর যাওয়ার আছে – কত পথ রয়েছে বাকি ‘।

প্রথমটি সাদা ফিল্ডার ২০০৪। শুভ চালাচ্ছে। মুন্না’রাও এ গাড়িতে।

পরেরটি স্প্রিন্টার ভিন্টেজ ১৯৯৮। জ্যাকি আছে ড্রাইভিং সীটে।

ক্যামেরা ডানে মোচড় মেরে আকাশের দিকে ঘোরাতেই দেখা যাবে একটি এমিরেটস এয়ার ক্র্যাফট্‌ সদ্য টেক অফ করে তির্যক হয়ে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে।

প্লেন মিলিয়ে যেতেই ক্যামেরা নীচু হয়ে ফ্রেম ফিরে আসবে রাস্তায়।
(এরিয়াল শটে)
বেশ কটি চলমান গাড়ির ছাদ ছুয়ে ছুয়ে ফ্রেম দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকবে – রাস্তা – বাজার – মাঠ ক্ষেত – বাড়ি ঘর – রেল গেট – ট্রেন – রাস্তা – গাছপালা।
তারপর ক্যামেরা গাড়ির ভিতরে এসে একে একে সবাই কে দেখাবে। তারপর ব্যাক ভিউ মিররে ছুটে চলা…পথ ঘাট। চলমান রাস্তায় একটি মাইল ফলকে ফ্রেম স্থির হবে। রাজেন্দ্রপুর ০ কিমি

তারপর ফ্রেম ডিসল্ভ হয়ে সুপার ইম্পোজ হবে রিজোর্টের প্রবেশ দ্বার।

(এরপর একটি এস্টাব্লিশিং শট।)
লং শটে ফ্রেমে দেখানো হবে পুরো রিজোর্টটি কে। প্রথমে এক্সটেরিয়র – পরে ইন্টেরিয়র।

গাড়ি গুলো পার্কিং এ। তিনটি ফ্যামিলির সদস্যরা যে যার মত প্রকৃতির সাথে একাত্ম হতে ব্যস্ত।
ফ্রেমে আসবে তিনটি পরিবারে সদস্যদের আনন্দঘন মূহূর্ত। শহরের ব্যস্ততা আর কোলাহল ছেড়ে – জীবিকার খাঁচার সীমানা পেরিয়ে – এক দন্ড অকৃত্রিম বিনোদন – একান্ত অবসর।
ব্যাক গ্রাউন্ডে এখন শোনা যাবে Boney M এর –
Hooray! Hooray! It’s A Holi-Holiday
what a world of fun for everyone, holi-holiday
Hooray! Hooray! It’s A Holi-Holiday
sing a summer song, skip along, holi-holiday
it’s a holi-holiday

চলবে…

১৭ টি মন্তব্য : “অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি – ১”

  1. কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

    😀 😀 😀
    ১ম


    যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
    জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
    - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

    জবাব দিন
  2. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    প্রথমে ধরতে পারি নাই...পরে মজা লাগল পুরো ব্যাপারটা চিন্তা করে...ব্যাপক হইসে বস... 🙂


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  3. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    ক্যামেরা যেভাবে গাড়িঘোড়ার উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে গেল, মনে হচ্ছে ব্যাপক Computer generated effects এর কাজ করা লাগবে।
    আর যদি আরেক ডিগ্রি উপরে কল্পনা করি তাহলে ক্যামেরাম্যান আসলে সুপারম্যান ছিল!!

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।