~ প্রেম প্রণয় যদাপি দীপ্য বহমান | জীবন ঋতি নিয়ত ঋদ্ধিমান – চার ~

ধরা যাক একটা রুমে অগুন্তি সিডি রাখা আছে। গানের। গায়ে ঠিক লেবেল সাঁটা নেই কোনটায় কার গান কি গান।

যে পছন্দ করে রবীন্দ্র সংগীত সে বাড়ী ফিরে দেখলো বাজছে ম্যাডোনা। যে মাইকেল জ্যাকসন সে পেলো রাগ ভৈরবী। আর চরম সেতার ভক্ত পেলো শাকিরার লেটেস্ট ভলিউম।

বলা হলো এটাই জীবন। শোনো আমরন। কি করবেন আপনি ! এই মহাজাগতিক আলোকবর্ষের হিসেবে নগন্য একটা জীবন সমান সময় মাত্র। এ আর এমন কি ! চক-খড়িতে আঁচড় কাটতে কাটতে দেখতে দেখতে দিব্যি কেটে যাবে ঠিক। নয় কি !

মানিয়ে নিতে চেষ্টা করুন। আন্তরিক ভাবে শোনার চেষ্টা করুন। ভালো লাগাতে প্রাণপাত করুন। লেগে যেতেও পারে। লাগবেনা ! কি যা তা বলছেন ! আপনি আফিম খান। দেখবেন আস্তে আস্তে সবই ভালো লাগতে শুরু করবে।

বিশ্বাস না হলে বাজি ! পরজন্মে দেখা হলে . . .

আচ্ছা এবার আর এক বার ধরুন।

তিন পায়ে দৌড় এ প্রজন্মের কেউ না চিনলেও আমাদের যুগের যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই বলে দেবে।

ধরা যাক আপনি যার সংগে তিন পায়ে দৌড়াচ্ছেন সে চাইছে প্রাণপন দৌড়াতে আর আপনার ইচ্ছে হলো একটু থেমে এক কাপ চা। নইলে জীবন চলবে না। অন্য জনের যখন ইচ্ছে হলো গাছের নীচে বেঞ্চিতে বসে ক্ষণিক নিজেকে প্রকৃতিতে সঁপে দেবার তখন আপনি. . . নাহ নেহায়েতই বড্ড বেরসিক. . . ভাবছেন এগিয়ে যাবার শেষ সুযোগটা এভাবেই হেলায় গেলো।

বিচলিত হচ্ছেন কেন? দেখুন না একই সময় ক্ষিদে, ঘুম, ঝিমুনি, উদ্যম, কাম ভাব, খেলা দেখা, মুভি দেখা, গান শোনা এসব ইচ্ছে হয় কিনা। চেষ্টা করুন। হয়ে যাবে এক দিন।

এক দিন ঠিকই দেখবেন পছন্দের শাড়ী পরে প্রিয় রং প্রসাধন কি টিপে অপেক্ষায় বসে আছে প্রিয়া আপনার। তার পৃথিবীতে তখন আর কোনো কাজ নেই। ঘর ও সংসারের কোনো দায় নেই, এ জগতে আপনার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া। আর প্রিয়ার পছন্দের প্রিয় তো জগত সংসার ফেলে শুধু ভাবছে কোন ফুলটা কিনবে, কোথায় শপিংয়ে যাবে, কোন শাড়ীটা কোন দোকানের সবচেয়ে বেশী মানাবে।

আচ্ছা ভেবে দেখুন তো, যে দু- পাঁচ লাইন চিঠির জন্য এক সময় লহমাকে মনে হতো যুগাধি সময়। সেরকম একটা চিঠি শেষ কবে পেয়েছেন কিংবা অমন দশ বা একশো পাতার চিঠি পেলেও কতোটা আপ্লুত হবেন বা পড়ার সময় পাবেন ! আজ !

তাহলে দোষটা কার !

শুধুই আমার। বিশ্বাস করুন এই যে সূর্য আজ দেরী করে উঠলো, রোদটা বলা নেই কওয়া নেই পুড়িয়ে মারলো, অকস্মাৎ ঝমঝমিয়ে নামা বৃষ্টিতে বিকেলটা অহেতুক নষ্ট হলো ! এসবের জন্য আমি ছাড়া . . . কি ? মনে হয় অন্য কেউ দায়ী আছে এ জগতে !

অতো শত দায় নিয়ে আর এক বিন্দু ভাবিনা আজকাল ! জগতের এতো কিছুর জন্য দায়ী হলে ডাকসাইটে অপরাধী হলামই যদি ! তবে ওসব থাক পড়ে। শুনেছি অপরাধী যত বড় তার নির্বিবাদ আহলাদী জীবন যাপন সহজ ততো।

একেবারে জলের মতো . . .

[ লেখার সময়কাল ~ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | প্রথম প্রহর ]

২,৪০১ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “~ প্রেম প্রণয় যদাপি দীপ্য বহমান | জীবন ঋতি নিয়ত ঋদ্ধিমান – চার ~”

  1. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    অগুনতি লেবেলহীন সিডি'র স্তুপ থেকে সিডি নির্বাচনের উপমাটা অসাধারণ হয়েছে। ঘরে ফিরে সে গান পছন্দ না হলেও আর উপায় থাকেনা।
    এর সাথে যুৎসই হয়েছে তিন পায়ের দৌড় প্রতিযোগিতার উপমাটাও। দুটো পা একসাথে বেঁধে দিলেও সে দুটো যে একই লয়ে, তালে চলবে তেমন কোন কথা নেই। পথের দ্বন্দ্ব তাল কেটে দিতে পারে।

    জবাব দিন
    • লুৎফুল (৭৮-৮৪)

      আর তাইতো সবটুকু দোষ যখন জুটেই যায় ।
      ডাকসাইটে অপরাধী হবার তার মন চায় !

      নিত্য দিনের সাম্পর্কিক দ্বান্দিকতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন দু একটা শব্দ বা উপমা যা টেনেছি কখনো কোথাও আড্ডা-আলাপচারিতায়, তা উঠে এসেছে বিবিধ মশলাপাতির সখ্যতায় । বর্তমান সময়ের সম্পর্কগুলো নিত্য যেসব টানা পোড়েনের টক-জ়হাল-মিষ্টির ভেতর দিয়ে যায় সেই সব দৃশ্য ও ভাবনা আর সংকটের ছবি আঁকতে চেয়েছি ।

      পথের দ্বন্দ তাল নিয়ে যা বিপত্তি ঘটায় ... তা ই তো ...

      🙂

      জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    ভৈরবীতে আচ্ছন্ন মেয়েটি কি সতি্য জ্যাকসনে মগ্ন হতে পারে অথবা সেতারে বুদ হয়ে থাকা যুবকটি হিপহপে??

    এক জীবন তো কত ভাবেই কাটিয়ে দেয়া যায়, দাশর্নিক হয়ে অথবা মোহন বীনায় সুর তুলে!

    জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    প্রতিটা পর্ব একটু একটু করে ভাবনার ওপরের স্তরে নিয়ে যাচ্ছে।
    সময় সংকুচিত হয়েছে, না আমার মনোযোগ -- ভেবে পাইনা। এক জানালা বন্ধ হয়ে আর দশটা হাট করে খুলে গেছে ঠিকই, তবে কামিনীর সুবাস আর পাই না।
    তবে জীবনকে জলের মতন প্রবাহিত হতে দেবার এই দর্শনকে বাস্তবে নামানোর কাজটি তো জলবৎ নয় আমার জন্যে? তবে!

    আপনার লেখা পড়লে মনে হয় ঢাল বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে চলেছি কিংবা ভেসে ভেসে চলছি আকাশে অথবা ভুস করে ভেসে উঠছি সমুদ্রের মাঝখানে।

    জবাব দিন
    • লুৎফুল (৭৮-৮৪)

      কোথায় আমি একটু পুকুর জলে সাঁতার কাটার কসরত দেখাবার পাঁয়তারা করতে না করতেই তুমি ঠেলে দিচ্ছো অন্তহীন এক বিশাল সমুদ্রে ।

      কি করে যে তুমি অমন সব মন্তব্য জুড়ে দাও ! পড়ি, তারপর আবার পড়ি ।
      তারপর আমার আদি ভাবনা গুলোকে গুলিয়ে ফেলি । পুকুরের এক গুচ্ছ জলকে যেনো আর সাগরের মাঝে খুঁজেই পাই না ঠিক ।
      এক টুকরো বর্জ্য কাঁচকে যেনো অগুনতি কাটে স্ফটিকের মতো করে তোলো ।

      জবাব দিন
  4. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    সম্পর্ক মানেই যেখানে দুজন ভিন্ন মানুষ, নিজেদের অনেক অনেক ভিন্নতা নিয়ে একত্রিত হতে চাওয়া, সেখানে মিল খুজতে চাওয়া আমার কাছে কেন যেন অতি-ইতিবাচকতা বলেই মনেহয়!
    বরং কম অমিলের ক্ষেত্র গুলি বেছে নিয়ে সেগুলিকে ওয়ার্ক-আউট করানোর চেষ্টাটাই কি অধিক ফলদায়ক হবার কথা না?

    সম্প্রতি শোনা একটা ছোট্ট কেইস-স্টাডি বলি।
    নারীটি একজন সফল পেশাজীবি। ভাল উপার্যন করেন। নিজের আয়ে গোটা সংসার টেনে নিতে পারেন।
    তার সঙ্গিটি ড্রাগ-এডিক্ট (সম্ভবতঃ ফেন্সিডিল)। যদিও তিনি উচ্চ-শিক্ষিত এবং দু-চারবার ক্যারিয়ারের চেষ্টাও করেছেন কিন্তু ঐ বদ-আসক্তির কারনে তা আর এগোয়নি।
    দিনের ১৪-১৬ ঘন্টাই তাঁদের কোন দেখা-সাক্ষাৎ যোগাযোগ হয় না।
    আর তার কোন দরকারও হয় না কারন সংসার চালানোতে ভদ্রলোকের কোনই ভুমিকা নাই।
    এতটা অমিলের পরেও মেয়েটি তেমন কোন অভিযোগ ছাড়াই সংসার করে যাচ্ছেন কারন একটাই -
    রাতে যে ৮-১০ ঘন্টা তিনি সঙ্গিকে পাশে পান, ঐ সময়টাতে আদরে সোহাগে এতটাই ভরে থাকে তার দেহ ও মন যে হাজারটা অমিলও তার কাছে তুচ্ছ বলে মনেহয়।
    স্বামীর সাথে তার কোন পারিবারিক বা সামাজিক জীবন নাই, সাদ-আল্লাদ-খুনসুটি নাই, নাই কোন পারষ্পরিক নির্ভরতা। অথচ তারপরেও অসাধারন এক দৈহিক মিল তাঁদের বেঁধে রেখেছে একই বৃন্তে।

    কি মনেহয়, এও সম্ভব???


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • লুৎফুল (৭৮-৮৪)

      দেয়ালের বাইরে যত রকমারী রঙ বাহার ।
      ইজি ক্লিন, ওয়েদার কোট, শতেক রকম গ্ল্যামারাস ফ্যশনের বাহারই থাকুক না কেনো ভেতরে কেবলি ইট সুরকি ।
      মানুষ প্রত্যেকেই যেমন ইউনিক, প্রতিটি সম্পর্কই তেমনি ইউনিক ।
      একজন পেশাদার খুনী যে তোর আমার চাইতে হাজার গুণ ভালো পিতা নয় তা কিন্তু কেউ বলে দিতে পারে না ।
      আবার ভালোবাসা এমনই এক উন্মাতাল অন্ধ পথ যে এর জন্য বিয়ের ফুল শুকিয়ে যাবার আগেই কোমায় চলে যাওয়া সংগীকে নিয়েও মানুষ যুগ পার করে দ্যায় । অথচ সেই টয়লেট আপ অর ডাউন, বেসিনটা ভিজিয়ে একসা করে আসা, জন্তুর মতোন অদ্ভুত ভাবে ঘুমানো, থেকে শুরু করে কতো নগন্য কিছুই যে চীনের প্রাচীরের চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়ে যায় । তার কোনো সুনির্দিষ্ট অংকের ধারা নেই ।
      আবার রক্তারক্তি মারামারি ছাড়া দিন যায় না কিন্তু এক ছাদের নীচে না থাকলে একটি রাতও ঘুম হবে না । এমন কতো বিচিত্র যে মানুষের সম্পর্ক হতে পারে ! তার কোনো ইয়ত্তা নেই ।
      আর আমার লেখাটি অবশ্যই কোনো মনস্তাত্বিকের কাউনসেলিং বা মেডিকেশন নয়, নয় তার ডায়াগ্নসিস ডিভাইস ।
      আমার চারপাশে নানান রকমের যা কিছু দেখি । (বিষেষ করে অজানা কারণে তাবত মানুষের আমার সাথেই তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা ও সংকটের কথা শেয়ার করবার ইচ্ছেরা আমার মস্তিষ্কে পুরে দিয়েছে অগুনতি সাম্পর্কিক জটিলতার ইতিহাস ।)
      এসবকে সজতনে ব্যক্তির সীমাবদ্ধ গন্ডীর বাইরে যতোটা সম্ভব সার্বজনীন এবং সাধারণের অবয়বে প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই এই লেখা ।
      এটা এক রকমের ভাঙ্গা আয়না বৈ খুব বেশী কিছু নয় ।
      আর কোনো বিষয়কে একেবারে একাডেমিশিয়ানের মতোন তুলে আনলে তা সাহত্য নির্ভর কিছুই হয়ে উঠবে না । আমার প্রয়াসটি নিঃসন্দেহে কোনো একাডেমিশিয়ানের দার্শনিকতায় নয় স্রেফ গল্পবাজির অবয়বে যতোটা সম্ভব সাহিত্যের লেবাসে ...

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        বন্ধু, সমস্যা হলো, অনেক পাঠকই যে লেখককে খুব বিশ্বাস করে ফেলে।
        কতজন যে গভীরভাবে জানে যে হিমু নামের হলুদ পাঞ্জাবী পরা ছেলেটি একদিন তাদের কড়া নাড়বেই।

        তাই লেখক হিসাবে অগ্নি-বন্দনার আগে একটু সতর্কতা আবশ্যক।

        কোন পাঠকে যে আবার শান্তির আশ্রয় ভেবে আগুনে যাপ দিয়ে বসে, কে জানে???
        😛 😕 😛 😕 😛 😕


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
  5. মাহবুব (৭৮-৮৪)

    অন্য সম্ভনাটাও তো থাকে- রবীন্দ্র ভক্ত রবীন্দ্র সিডি নিয়েই ঘরে গেল, কিন্তু কিছুকাল পর মনে হল যেন ভীষন একঘেয়ে, কিংবা তিন পায়ে দৌড়ে যাবার পর হঠাৎ মনে হলো- ধুর!

    জবাব দিন
    • লুৎফুল (৭৮-৮৪)

      আমার দৃষ্টিতে মানুষের মন হচ্ছে সবচেয়ে বেশী এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল জিনিস ।
      তার উপর আবার সৃষ্টিগত ভাবে নারী পুরুষের রয়েছে নানান বিচিত্র ভিন্ন মাত্রার বৈশিষ্ট্য ।
      ওই যে একটা জোক আছে না - ( যথার্থ মিল আছে জিন ভিত্তিক বৈশিষ্ট্যের সাথে )
      পুরুষ হলো ব্লু-টুথ । কাছে থাকলে কানেকটেড। আবার সেই সঙ্গে রেঞ্জের ভেতর অন্য ডিভাইসও খুঁজে বেড়ায় ।
      আর নারী হলো ওয়াইফাই । সব ডিভাইসকেই সে দেখে । তবে সবচেয়ে শক্তিশালীটির সাথে সংযোগ স্থাপন করে ।
      অথচ অনেক অনেক ক্ষেত্রেই পৃথিবীর কোনো ফরমুলাই খাটবে না । এমনই বিচিত্র মানুষের মন আর সম্পর্কের জোয়ার ভাটারা ।
      আর হ্যা । একঘেয়েমী অবশ্যই একটা বড় বিষয় । তাই তো বলা হয় ভালো থাকার একটা প্রধান শর্ত হলো নিত্য নিত্য সম্পর্ককে নতুন নতুন কথা, স্থান, ঘটনা, বিষয় আর রঙ বৈচিত্রের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া । যাতে একঘেয়েমি খুব একটা সুযোগ না পায় ।
      অধিকাংশ কথাগুলো সব আমাদের সবারই জানা বা মনের কোণে ফেলে রাখা । তাই আমি সামান্য করে ছুঁইয়ে দিয়ে এক একটা কথা বা প্রসঙ্গগ থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছি ।

      জবাব দিন
  6. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    একটু ভিন্ন কিছু লেখা । চারপাশে কিছু বিষয় দিন দিন ভিন্ন থেকে ভিন্নতর মাত্রিকতা পাচ্ছে । আর আমাদের যুগল সম্পর্কগুলো নিত্য নতুন সংকট ও নির্লিপ্ততার আস্বাদ নিচ্ছে । সেই সব কিছু থেকে কিছু স্বেদবিন্দুর মতো অনুভূতির অনুবীক্ষণ দর্পণ তৈরীর এক রকম ইচ্ছে ...

    মন্তব্যে প্রীত ।

    জবাব দিন
  7. মাহবুব (৭৮-৮৪)

    আমার প্রয়াসটি নিঃসন্দেহে কোনো একাডেমিশিয়ানের দার্শনিকতায় নয় স্রেফ গল্পবাজির অবয়বে যতোটা সম্ভব সাহিত্যের লেবাসে ...
    ওটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা। থিসিস লেখার মেলা লোক আছে, ওসব চাই না। চাই তোমার অনবদ্য গদ্যের পো্যাক পরানো সাহিত্য, জীবন নিয়ে, জীবন ছুঁয়ে।

    জবাব দিন
  8. সাইদুল (৭৬-৮২)

    আচ্ছা ভেবে দেখুন তো, যে দু- পাঁচ লাইন চিঠির জন্য এক সময় লহমাকে মনে হতো যুগাধি সময়। সেরকম একটা চিঠি শেষ কবে পেয়েছেন কিংবা অমন দশ বা একশো পাতার চিঠি পেলেও কতোটা আপ্লুত হবেন বা পড়ার সময় পাবেন ! আজ !

    বড় সত্যি, বড় সুন্দর


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।