[ডিসক্লেমারঃ পড়ালেখা দরকার আমার বহুত কিন্তু পড়তে বসলে খালি নেট নিয়ে ঘাটাঘাটি করি। আজ চ্যাটিং করার সময় গ্রীক মিথোলজির কথা বলছিলাম বিষয়টা এসেছিল নারসিসাস এর থেকে এর পর ভাবলাম এটা নিয়ে সিসিবিতে লেখা দেই। মিথোলজির গল্প আমার অনেক পছন্দের। কেউ যদি এই ধারাবাহিকতায় লেখতে থাকেন তাহলে বড়ই ভাল লাগত। আর আমার ভুল গুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে। বেশিরভাগ কাহিনীই স্মৃতির উপর ভর করে লেখছি মাঝে মাঝে অবশ্য গুগলিং করেছি আমার আবার গুগলিং করতে একেবারেই ভাল লাগে না। কিছু শব্দ বাংলা পরিভাষা যুৎসই খুঁজে না পেয়ে মূল শব্দই ব্যবহার করেছি ]
গ্রীক মিথোলজির দুই চরিত্র ইকো (echo) এবং নারসিসাস। এদের গল্প বলার আগে প্রথমে বলে নিতে হয় জিউস এবং হেরার কথা। জিউস হচ্ছে কিং অফ দ্যা গড, আকাশ এবং ঝড়-বৃষ্টির দেবতা। আর হেরা হচ্ছে জিউস এর স্ত্রী, জন্ম এবং বিয়ের দেবী। জিউসের চরিত্র আবার মাশা আল্লাহ সেইরকম। তিনি খুব ছলে বলে কৌশলে হেরাকে ফাঁকি দিয়ে পৃথিবীতে এসে নিম্ফ ( এটার বাংলা যে কি বলা যায় ঠিক বুঝতে পারছি না হুর টাইপের কিছু কি? ) দের সাথে টাংকিবাজি করতেন। ইকো ছিল একজন নিম্ফ, খুবই সুমিষ্ট গলা ছিল তার আর প্রচুর কথা বলতে পারত। হেরার কাছে এসে ইকো তাকে মজাদার গল্প শোনাত অনেক সময় নিয়ে আর সেই সময় এর অপেক্ষায় থাকত প্রেমিকপ্রবর জিউস। তখন তিনি পৃথিবীতে এসে রঙ্গলীলা করতেন। হঠাৎ করে চালাকিটা ধরা পরে যায় হেরার কাছে। তিনি তখন রাগে ইকোর গলার শব্দ হরণ করেন। শুধু তাই নয় আরো কঠিন অবস্থা করে দিলেন ইকোর যাতে অন্য কেউ কিছু বললে ইকো শুধু সেই কথাই পুনরাবৃত্তি করতে পারত। ( এ থেকেই ইংরেজি শব্দ echo এসেছে ) । বেচারী ইকো মনের কষ্টে ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীতে।
অন্যদিকে নারসিসাস হচ্ছে এক নিম্ফ এর পুত্র , অসাধারণ রূপবান পুরুষ। তার ছোটবেলায় এক জ্যোতিষী বলেছিল নারসিসাস খুবই ভাল বৃদ্ধকাল কাটাবে যদি সে তাকে চিনতে না পারে। রূপবান নারসিসাস যখন ১৬ বছরে পা দেয় তখন নগরীর সব যুবতী তার প্রেমে পড়ে যায় কিন্তু নারসিসাস ছিল উদ্ধত পুরুষ কাউকেই সে পাত্তা দেয় না। আমাদের বেচারী ইকো ও একদিন নারসিসাস এর প্রেমে পড়ে যায়। এক বিকেলে নারসিসাস শিকারে গেলে ইকো তার পিছু নেয়। অনেকটুকু যাবার পর নারসিসাস পায়ের আওয়াজ পেয়ে পিছনে জিজ্ঞেস করে “কে?” কিন্তু ইকো তো কথার পুনরাবৃত্তি ছাড়া কিছু বলতে পারে না তাই সেও উচ্চারণ করে “কে?” । এরকম কয়েকবার হবার পর ইকো আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে নারসিসাসের কাছে। আকুল আকুতি জানিয়ে তার প্রেম গ্রহণের জন্য আহবান জানায় নারসিসাস কে। উদ্ধত নারিসিসাস ইকোকে ফিরিয়ে দেয় এবং চলে যায় সেখান থেকে। প্রেম প্রত্যাখ্যাত ইকো অভিশাপ দেয় নারসিসাস কে যেন সেও একদিন এরকম ভাবে ভালবাসার আঘাত পায়। সেখানেই কাঁদতে থাকে ইকো। কাঁদতে কাঁদতে পাথর হয়ে যায় তার শরীর। শুধু পৃথিবীতে থেকে যায় তার কন্ঠ এ জন্যই আমরা প্রতিধ্বনি শুনতে পাই।
আর ওদিকে ইকোর অভিশাপ অদ্ভুত ভাবে কার্যকর হয় নারসিসাসের জীবনে। কোন এক জলাশয়ে এসে পানি খেতে গিয়ে নারসিসাস জীবনে প্রথমবারের মত নিজের চেহারা দেখতে পায় এবং নিজের রূপে নিজেই বিমোহিত হয়ে পড়ে। প্রেমে পড়ে সেই যুবকের এবং তাকিয়েই থাকে পানির দিকে। পরবর্তীতে যখন সে বুঝতে পারে জলাশয়ের মুখ তার নিজেরই ছায়া এবং তার ভালবাসা কখনই পাওয়ার নয় তখন সে পাগল হয়ে উঠে এবং নিজের বুকে নিজেই ছুরি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়। সেখানে পরবর্তীতে নারসিসাস গাছ এর জন্ম হয়। কথিত আছে সেই গাছের ফুল এখনো পানির দিকে তাকিয়ে থাকে। সেই থেকে নিজের প্রেমে পড়াকে নারসিজম বলা হয়।
হাঊস দেট????? :hug:
১ম :thumbup:
না পইড়া ফার্স্ট দের আমি কাউন্ট করি না। দেখি এখনো খালি আছে ফার্স্ট প্লেস
নার্সিসাস আমারও প্রিয় চরিত্র। গ্রীক আর রোমান মিথোলজির মোহ আজও কাটে নাই। পরে ভারতীয় মিথ যোগ হয়ে নেশাটা আসলেই বেড়ে গেছে।
নিম্ফ-এর চলিত বাংলা সম্ভবত অপ্সরী। ইংরেজিতে এখন তো এটা বেশ উত্তেজক মেয়ে বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।
নার্সিসাসের সাথে মিলিয়ে যে ফুলটি জন্মায় তার নাম নার্গিস। হ্রদ বা জলাশয়ের ধারে জন্মায় এবং পানির দিকে ঝুঁকে থাকে!! অদ্ভুত!
আরো চাই, সিরিজ চলুক। :clap:
আমি তাইলে পইড়া ফার্স্ট! :guitar: :awesome:
আমি কিন্তু পইড়াই ফার্ষ্ট হইছি :(( :(( :((
ধন্যবাদ দোস্ত অপ্সরী শব্দটা ভুলেই গেছিলাম। ছোটবেলায় গল্প পড়েছিলাম অনেক কিছু এখন আর পুরাপুরি মনে নাই। ঘেটেঘুটে লেখলাম। তুই পারলে তুইও কিছু লেখ।
খুব ভাল লাগলো । আশা করি MYTHOLOGY নিয়ে আরো লেখা পাব । :thumbup: :thumbup:
সবাই যা জানে সেটা নিয়ে লেখলে মিথোলজির একটা ভাল সংগ্রহ হতে পারে। অবশ্য সেজন্য আরেকটু সুন্দর করে আরো ইনফরমেটিভ হওয়া দরকার ছিল।
হুম, ভাল টপিক। সবাই পছন্দ করলে আমিও তোমার এই সিরিজ এ শামিল হব।
প্লিজ ভাইয়া শামিল হয়ে পড়েন।
খুব ভাল হইসে।
আরও অনেক লেখা চাই।
তপু লিখতে থাকো। ভালো লাগলো।
একটা বিষয়, মিথলজির সঙ্গে কিছু কি যোগ করে একে আরো মজার করা যায়? চেষ্টা করো না! তাহলে তোমারও গল্প লেখা শুরু হয়ে যেতে পারে!! :hatsoff:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ওহ ভাইয়া বিশাল প্রেপটাস্ক দিয়ে দিলেন দেখি। চেষ্টা করে দেখি মাথায় কিছু আসে কিনা।
প্রেপটাস্কের কথা কত্তদিন পর শুনলাম! 🙁
ওক্কে তাইলে প্রেপটাস্কটা তুইই কর।
চালায়ে যাও তপু ...... জটিল হচ্ছে ...... গ্রীক আর রোমান মিথের মধ্যে প্যাচ লাগায়ে ফেলি মাঝে মধ্যেই ......
মাহফুজ ট্রয়ের যুদ্ধ নিয়ে বিশাল ইতিহাসটা নিয়ে লিখিস ......
আপনিও লেখেন না ভাইয়া দুয়েক খান।
আগে খুব মজা আর আগ্রহ নিয়ে মিথোলজি পড়েছি এবং সময়ের সাথে ভুলেও গেছি। 🙁
তপু, লেখাটা বেশ ভালো হয়েছে। আরেকটু ডিটেইলস লিখলে আরও বেশী খুশি হতাম।
পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।
আবার যদি লেখি ভাইয়া চেষ্টা করব ঐ যে আমার গুগলিং এ প্রচুর অনীহা।
তপু ভাই...একটা হিন্দু পুরাণ লিখেন না ভাই... 😉
হিন্দু পুরাণ এ আমার বিশাল আগ্রহ কিন্তু পড়ার মত বই হাতের কাছে পাইনি।
কোন মিথোলজি পড়া হয় নি... তোর লেখা পড়ে ভাল লাগল... সিরিজ হিসেবে চালায়া যা...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ দোস্ত
কামরুল তপু ভাই, নিম্ফ হচ্ছে জলপরী ( ট্রয় যুদ্ধের বীর আকিলিস এর মা থেটিস একজন নিম্ফ, বাবা পিলিউস মানুষ, যে কারণে আকিলিস সাধারণ মানুষের চেয়ে শক্তিশালী ও দেবতাদের আশীর্বাদপুষ্ট) । ইংরেজি সাহিত্যে গ্রীক পুরাণের প্রচুর রেফারন্স আছে, যা পরীক্ষা পাশের জন্য আমাকে পড়তে হয়েছে। এ ব্যাপারে এডিথ হ্যামিল্টনের 'মিথলজী' এবং এর সুন্দর বাংলা অনুবাদ চিরায়ত পূরাণ-(করেছেন খোন্দকার আশরাফ হোসেন, চেয়ারম্যান ইংরেজি বিভাগ , ঢাবি ) পড়ে দেখতে পারেন। রোমান মিথ গুলো মূলত গ্রীক মিথেরই অপভ্রংশ, যেমন গ্রীক জিউস, রোমান জুপিটার। গ্রীক হেরা- রোমান জুনো। গ্রীক মিথ ছাড়াও সেল্টিক , উচ্চারণভেদে কেল্টিক ( নর্ডস বা স্ক্যান্ডেনেভিয়ান জাতি)দের মিথ যেমন দেবতা থরের হাতুড়ি, থরের সৎ ভাই লোকি'র ছলচাতুরি, ওডিন এর অভিশাপ ইত্যাদি ঘটনাগুলোও মজার।
গেমস প্রিয়রা প্লে স্টেশন টুতে গড অফ ওয়ার এর দুটো পার্ট খেলে দেখতে পারেন, গ্রিক মিথ আশ্রয়ী এই গেম দুটি আশা করি ভালো লাগবে।
সামীউর তুমি লেখ না । আমি শিউর তুমি লেখলে অনেক অনেক ভাল হবে। যা যা জান আমাদের সাথে শেয়ার কর।
সামীউর ভাই, আপনি লিখে দেখেন না ভাই, আপনার ইনফর্মেশন বেশ ভালো মনে হলো। তপু ভাই ঘেঁটে ঘুঁটে লিখছে... আপনি যদি জেনে থাকেন তাইলে আমাদের সাথে শেয়ার করেন-- কষ্ট তো কম হবে... এই আইডিয়াটা দারুণ-- গ্রীক মিথোলজি...
তপু স্মৃতি থেকে তো ভাল লিখেছ । পড়ে মজা লাগলো । তোমার সিরিজে অংশ নেয়ার ইচ্ছা থাকলো ।
অবশ্যই ভাইয়া অংশ নেন। আমি জাস্ট শুরু করলাম এবার নিশ্চয়ই অনেকে লেখবে।
বরাবরের মতই চমৎকার :boss: :boss: :boss:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
ধন্যবাদ ক্যাস্পার
'ফেসবুক' রে কি নার্সিস্টিক টুল কওয়া যায়? (যদিও এটার অন্য ডাইমেনশনও আছে)। আমার কিন্তু সেরকমই হয়।
পোলাপান (মাইয়াগুলা আরও বেশি) নিজের ছবি তুইলা যেমনে কমেন্ট পাওয়ার আশায় বইসা থাকে, দেখলেই মিজাজ খারাপ x-( ।
:)) ১০০% সহমত :thumbup:
ভাল একটা কাজ করেছেন তপু ভাই। আশা করি নিয়মিত চালিয়ে যাবেন এই সিরিজ। আর এই সিরিজ লিখার সময় সানা ভাইয়ের উপদেশ মাথায় রাখলে মনে হয় লেখা আর মারদাঙ্গা হবে ভাইয়া 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমাকে দিয়ে কি হবে? দেখা যাক চেষ্টা করব।
সম্পুর্ণ নতুন এক ধরণের লেখার জন্য তপুকে ধন্যবাদ। সকলের অংশগ্রহনে সিরিজ আকারে চালানোর ধারণাটাও মজার। কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না, বাংলার কি মিথ বা এই জাতীয় কিছু নাই যা কাউকে আকৃষ্ট করতে পারে? আমার ত খুব জানতে ইচ্ছে করে বাংলার রূপকথা বা কল্পকাহিনী-টাইপ বিষয়গুলা (বিদেশী গল্প/সাহিত্য ইংরেজীতে পড়ে মজা পাই কম :(( )
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই,বাংলা সাহিত্যেও প্রচুর মিথ আছে যেগুলোর কাহিনী গ্রিক বা রোমান সাহিত্যের চাইতে কোন অংশেই কম নয়।আমার সবচেয়ে প্রিয় মনসামঙ্গলের চাঁদ সওদাগর।মধ্যযুগের এক অনবদ্য বিদ্রোহী চরিত্র সে।দেবী মনসার পূজা করতে রাজী না হওয়ার দেবীর শাপে তার সব ছেলে মারা যায় এবং সে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়ে তাও শেষ পর্যন্ত মাথা নত করেনা।এই চাঁদ সওদাগরের পুত্রই লক্ষীন্দর যার স্ত্রী বেহুলা-স্বামীকে পুনরুজ্জীবিত করতে সে স্বর্গে নৃত্যগীত প্রদর্শন করে।অবশেষে চাঁদ সওদাগর বেহুলার অনেক অনুরোধে নদীতে একটা ফুল ছুঁড়ে দিতে রাজী হয়-তাও নদীর উলটো দিকে মুখ করে-আর দেবী মনসা এতেই খুশি হয়ে অভিশাপ ফিরিয়ে নেন।
মধ্যযুগে সবাই যখন দেবদেবী আর ভাগ্যের হাতে নিজেকে সমর্পণ করেছে তখন বাঙ্গালি কবির সৃষ্ট এই চাঁদ সওদাগরের গল্প আসলেই চমকপ্রদ।পড়ে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ। বাংলা সাহিত্যের ভালোই খবর রাখো দেখছি। কিছু পোষ্ট লিখে ফেলো না এই লাইনে। আরো মজার কিছু কিছু কাহিনী পড়ি।
মৈমনসিংহ গীতিকার 'কাজলরেখা' আর 'মহুয়া'রে খুব ভালা পাই :shy: ।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মহুয়া তো দ্বিজ কানাই এর লেখা-বিসিএস পরীক্ষায় এইটা মাস্ট আসে প্রতিবার।খিকয(ইমোটিকন এখনো পাইতেছিনা নয়া সিসিবিতে।নতুন বাসা তো,এখনো আসবাবপত্র সব আনা হয় নাই এই জন্য মনে হয়)
মাস্ফ্যু লিখে ফেল না চাঁদ সওদাগর এর কাহিনী। মৈমনসিংহ গীতিকা পড়ার খুব ইচ্ছে ছিল।
মাসরুফ ভাই,
সময় করতে পারলে লিখে ফেলেন ভাই...
আমাদের ভালো লাগবে খুব। তাছাড়া বাংলা মীথ প্রচার-- ব্যাপারটা প্রসংশার্হ
দোস্ত, তোর জানার মধ্যে মনে হয় একটু ভূল আছে, মিথ কোন কবির সৃষ্ট না। এগুলো হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা মানুষের অলৌকিক বিশ্বাসের কাহিনী আশ্রিত বিবরণ, একক কেউ মিথ পুরাণ লেখে না। পুরাণ, রূপকথা আর লৌকিক কাহিনী এর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে, যেমন ঈলিয়াড বা যেখানে ট্রয় যুদ্ধের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে সেটি মহাকাব্য কিন্তু এখানে বেশ কিছু পৌরাণিক চরিত্রের সন্নিবেশ ঘটেছে। কিন্তু হারকিউলিস এর অভিযান কাহিনী হচ্ছে পুরাণ.হিন্দু ধর্মের অনেক আচারই পুরাণ নির্ভর।লৌকিক বিশ্বাসের উপর আশ্রিত কিন্তু উপযুক্ত প্রামাণ্য এর অভাব এমন প্রাচীন অলৌকিক কাহিনী হচ্ছে পুরাণ।
মিথ কোন কবির সৃষ্টি না কিন্তু কবির লেখনির মাধ্যমেই তা টিকে থাকে এবং রস আস্বাদনে পরবর্তী প্রজন্মকে সহায়তা করে,আমি সাহিত্যের ছাত্র না তাই তোর সাথে এইটা নিয়া তর্ক করার মত বেকুবি করতেসিনা। কাহিনী হইল,মনসামঙ্গল কিন্তু একা কোন কবি লিখে নাই-সবার প্রথমে লিখছে কানা হরিদত্ত,তারপর বিজয় গুপ্ত,বিপ্রদাস পিপিলাই সহ আরো অনেকে।লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী এই বাঙ্গালি কবিরা লৈখিক রুপ দিয়ে সেইটাকে স্থায়ী করেছেন-আমি সেই হিসাবে "সৃষ্টি" বলছি।তোর মন্তব্য পড়ে বুঝলাম যে ব্যাপারটা পুরাপুরি ঠিক নাট-এই কবিরা কেউ এই মিথের স্রষ্টা না,বরং বর্ণনাকারী বলা যাইতে পারে।
আর পুরান,রূপকথা আর লৌকিক কাহিনী(মনসামঙ্গল হচ্ছে লৌকিক কাহিনী)এদের মধ্যে পার্থক্য তো অবশ্যই আছে কিন্তু পার্থক্যটা ঠিক কি সেইটা আমি ভালভাবে জানিনা,কষ্ট করে একটু অল্প কথায় বলে দিলে উপকার হইত। আলৌকিক কাহিনীকে কি মিথের পর্যায়ে ফেলা যায় কিনা সেইটাও একটু বলিস-
অফ টপিক- তোর ভুলোকে নিয়া লেখা গল্পটা আমার কাছে মারদাঙ্গা টাইপ ভাল লাগছিল রে দোস্ত!
* আলৌকিক না-আর লৌকিক হবে
আর ইয়ে মানে-পিলিজ কেউ ভাইবেন না আমি বাংলা সাহিত্য নিয়া বিয়াপক পড়াশুনা করছি।আমার পড়ার দৌড় দুইটা বই-ডঃ মাহবুবুল আলমের "বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস" আর সৌমিত্র শেখরের একটা নোটবই।এত অল্প পইড়া কিছু লিখা কুব বিপজ্জনক-এই যেমন সামির দেখায় দিল আমি কোন জায়গায় গুলায় ফেলছি।অন্য কথাও গিরিঙ্গি লাগলে ধরায় দিয়েন দয়া কইরা(হাসির ইমোটিকন)
এটা আসলে খুব ভালো জিনিস খেয়াল করা হয়েছে। আমি একটু আগে ঘাঁটতে গিয়ে দেখলাম হোমারের বর্ণিত সিসিফাস এবং গ্রীক পুরাণের সিসিফাস কিছুটা আলাদা। আর যে কোন মীথের ব্যাপারেই তিন-চারটা ভার্সন বিদ্যমান। বহুল প্রচারিত (সাধারণত কোন কবির রচনা) ভার্সনটিকেই আমরা সার্বজনীন ধরে নিলেও অন্য ভার্সনগুলোর ঐতিহাসিক সত্যতা থাকতেই পারে। এখানে মনে হয় সাহিত্যের 'সত্য' আর ইতিহাসের 'সত্য' আলাদা হয়ে যায়। রক্তাক্ত প্রান্তর নাটক পড়তে গিয়ে শিখেছিলাম যে গল্প উপন্যাসের ইতিহাস আসল ইতিহাস হয় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।
যদিও বাংলা লোকগাঁথাগুলোর ব্যাপার আমার জ্ঞান তোমাদের দু'জনের চাইতেই কম বলে, এ বিষয়ে কিছু না বলে বরং তোমাদের কথাই শুনি।
ভাইয়া, এ্যাডজুটেন্ট মামা(ইউসুফ)- জুলেখা নিয়ে যে লোকগাথা আছে, ঐটা লিখে ফেলেন না।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তপু তুমি ঠিক বলেছ, মনে হচ্ছিল তুমি গল্প শুনাচ্ছো। কিন্তু তারপর'ও ভাল লেগেছে।
টাইম নিয়ে লিখতে বলতে পারছিনা, নিশ্চয় অনেক পড়া'র পাহাড় হয়ে গেছে? 🙂
গল্পই শোনালাম তো আপনাকে বুঝতে পারেন নি?
Odysseus er bari firar 7 ta golpo ase. (May be odyssy nam)
darun ekta series strat korar jonno onek thanks vaiya.
ধন্যবাদ হাঁসের ছানা কিন্তু তুমি কবে আবার এই মোবাইল ছেড়ে পিসিতে আসবা। শরীর কেমন এখন?
তাইতো কই- মাঝেমইধ্যে সামাজিক ছবির নাম নিম্ফ ১- নিম্ফ ২ - এরকম হয় ক্যান? 😀
প্রাচীনকালের মানুষের মধ্যে মনে হয় "অভিশাপ" প্রীতি বেশি ছিল। এখন মানুষ মানুষরে ডাইরেক্ট একশানে ফালায়া দেয়- তখন দিত অভিশাপ।
অভিশাপ পাইলেও পরে কিন্তু ঠিকই রাজকন্যা সহ রাজত্ব পাইত ইশশ আমিও যদি অভিশাপ পাইতাম অবশ্যই পরেরটুকু সহ
ভালো কিছু আলোচনা হইছে দেখি। আপাতত তপু তোরে দেইখ্যা কমেন্টাইলাম। খবর কী তোর শরীর ভালো??
এখন ভাল আছিরে। আগামি সোমবার থেকে ক্লাস এবং সবকিছু শুরু করব ইনশাআল্লাহ।
তপু তাড়াতাড়ি লিখো পরেরটা। আর আছো কেমন এখন?
ভাইয়া লেখব তো ভাবছিলাম কিন্তু আন্দালিব এর টা পড়ছেন তারপর আর আমার লেখা কেউ পড়বে নাকি? এই ভয়ে আছি।
ভাল আছি ভাইয়া এখন। ধন্যবাদ