আমি লকারের সামনে দাঁড়িয়ে রেডি হচ্ছি টি-ব্রেকে যাওয়ার জন্য। ছেলেটা পা টিপে টিপে আমার রুমে ঢুকে লকারের সামনে এসে দাঁড়াল। সদ্য ইন্টার হাউস কম্পিটিশনে পাওয়া মেডেলটা ধরে নাড়াচাড়া করছিল। ছেলেটার মনের কথা বুঝতে পেরে কথা ঘুরাই, “কিরে সাদ্দাম, খবর কি?” ফোকলা হাসি দিয়ে ৫-৬ বছরের সাদ্দাম জানান দেয় ভালই আছে সে।
সাদ্দামের বাবার সাথে প্রায়ই দেখা হত আমাদের, সে সুবাদে সাদ্দামের সাথেও। এত ছোট ছেলেকে বাবার সাথে দেখে প্রথমে খুব অবাক হয়েছিলাম,
তারপর সত্যটা জেনে খারাপ লেগেছিল। সাদ্দামের মা ছিল না, অনেক ছোট থাকতে মারা গেছে। বাবাই সব। কারও উপর ভরসা না করে সাদ্দামকে সাথে রাখতেন তিনি। সারাদিনই দেখতাম বাপ-বেটা একসাথে, কখনও বাপের ঘাড়ে চড়ে আবার কখনও ভ্যানে চড়ে সাদ্দাম। সাদ্দামের বাবা আমাদের কলেজের গ্রাইন্ডস্ম্যান ছিলেন। এবার রি-ইউনিয়নে গিয়ে সাদ্দামের দেখা পাইনি। প্রতিদিন দেখতাম সাদ্দামের বাবা দূরে কাজ করছে আর সাদ্দাম হাতের বলটা নিয়ে খেলায় ব্যস্ত । কখনওবা দেখতাম খেলতে খেলতে ক্লান্ত সাদ্দাম ঘুমিয়ে পড়েছে ভ্যানের উপর কিংবা ঠায় হয়েছে ফ্লোরে। সব ক্যাডেটেরই জানা কলেজে গ্রাইন্ডসম্যানদের কি পরিমান খাটানো হয়। সকালে যে পরিষ্কার রাস্তা দিয়ে আমরা পিটিতে দৌড়াতাম কিংবা বিকালে যে ছোট ঘাসের মাঠে মজা করে ফুটবল খেলতাম এসবই ওনাদের জন্য। মাঝে মাঝে যখন হাউসে ডিউটি পরত সাদ্দামের বাবার, সাদ্দাম চলে আসত মেঘনা হাউসে। সাদ্দামকে টাকা দিলে সে মহা আনন্দে আমাদের জন্য টেনিস বল নিয়ে আসত। সাদ্দামের বাবাকে আমরা প্রায়ই বলতাম সাদ্দামকে স্কুলে ভর্তি করায় দিতে। একটু বড় হলে করায় দিব বলে পার পেতেন। জানিনা শেষ পর্যন্ত কোন স্কুলে সাদ্দামের যাওয়া হয়েছে কিনা, তবে তার বাবার আগ্রহ ছিল। ওটুকু বয়সে আমি কি করেছি মনে নেই। সাদ্দামের মত কিছু ঘটেনি এটাই বলতে পারি। তবে সাদ্দাম আর তার বাপের মধ্যে যে মধুর সম্পর্ক দেখেছি, কে বলে বাপরা কিছু পারে না। সাদ্দামের বাপকে সামনা সামনি দেখে আমার ধারনা বদলে গেছে। কলেজে অনেকের কাছে অনেক ঋণ আমাদের। সাদ্দামের কাছেও হয়ত আছে অল্পকিছু, হয়তবা তার চেয়ে বেশি। কিন্ত এটুকুই বলতে পারি সাদ্দাম কখনই আমাদের কাছে আসবে না ঋণের দাবি নিয়ে।
এতদিন অনেক কাতুকুতু দিয়ে হাসানোর চেষ্টা করেছি। এক্টূ সিরিয়াস হ্লাম, খুব বেশীই মনে হয়...
নাহ্... ঠিক আছে... বেশী সিরিয়াস হয়নি... একটু অন্যরকম পোস্ট পড়ে ভাল লাগলো... cheers!
না,ঠিক আছে।ক্যাডেট কলেজ মানেই শুধু কলেজ পালানো আর জুনিয়র পিটানি জায়গা না।আরো অনেকের কাছেই ,অনেক ব্যাপারে আমাদের ঋণ জমা হয়ে আছে।সে ঋণ শোধ না করতে পারি ঋণ স্বীকার করতে তো বাধা নেই।
ভাল লাগলো লেখাটা।
thanx ভাইয়া, পিচ্চিটাকে ভুলেই গেসিলাম।
তোমার চেহারাটা মনে পড়ছে না, তুমি কি আমাকে কোন ছবি পাঠাতে পার?
টুঃ nazbd20@yahoo.com.
alam
@ হাসনাইন,
আরে!!ওইটার কথাতো ভুলেই গেসিলাম!!দোস্ত,তোমার মাথা এ্যাতো কাজ করে ক্যামনে??কি খাও??
@আলম ভাই,
ভাই হাসানাইনরে চিনেন নাই!!ওই যে,সুন্দর করে পোলাটা...লজ্জাবনত মুখ...মায়াবী দৃষ্টি...হি হি হি...
অন্যরকম লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো...
এইসব কি কথা?? 🙄
ভালো লাগলো...অনেক ভালো লাগলো।
alam bhai,
ami meghna house er sobcheye lombu public..bhai amarey bhuila gelen...
fuad,
khara ami aeitasi...pant er toley extra under..ar r akta towel dhuka....
আজকে অনেকদিন পর একসাথে অনেকজন অনলাইন। ভালো লাগলো।
আসলেই ক্যাডেট কলেজে পড়ে মনে হ্য় অনেক বেশি দায়িত্ত হয়ে গেছে। কলেজে থাকার সময় স্যার রাও বলত যে আমরা নাকি দেশের অনেক অন্ন ধংস করতেসি।আজকে হলে থেকে বুঝতেসি যে কোথায় ছিলাম!!!!!!
যাই হোক আবার সেই দায়িত্তের কথা মনে করিয়ে দিল হাসনাইন।
পোস্ট টা পরে ভাল লাগলো।
hmm....mid sesh......auto choltesey....freeeeeeee
কি আর কইতাম। লেহাটা বড়ই সৌন্দর্য হইছে।
আইচ্ছা থিঙ্ক ভাই তোর ছবি চায় ক্যা?
কাহিনী কি?
রায়হান,তুই ব্যাটা পোলাটাই খারাপ..!!বড়ভাই একটা ছবিই না হয় চাইছে...হাসনাইনও না হয় একটু চিকি...তাতে হইছে টা কি??
বাহ!! ফুয়াইদ্দা চান্সে নিজের খেতাব আমারে দিয়া দিলি.........।।
কি আর কইতাম। কুমিল্লার যারেই দেখি...সব্বাই চিকি...
হ...আমিও চিকি...তবে তোগোনা...আফ্রিকানদের!!!
আহেম... আমরা এইসব নাউজুবিল্লাহ টাইপ কথা আমরা আর না বলি।
মোবারক হোক...মোবারক হোক.....
ফুয়াদ তুই অফ যা এইবার.........যাহ... তুই হিরো......আর আমি সহ আর সবাই জিরো...।।
ফুয়াদ... অনেকদিন পর রিয়েল কলেজের স্বাদ পাইলাম.....মজা লাগসে কিনা বল...।। 😀
হাস্লাইন তোর খবর আছে। তুই 4400 নিয়া ভাগছস। ওইদিকে জাহিদ আমারে স্নাইপার লইয়া খুঁজে। মাথাটকা বাইর করলেই ঘিলু ফাটাই দিব...
হাইড আউট কর......।। তোরে যা শিখাইছিলাম মনে আছে ত...।। (হ্যা হ্যা ঐ টাই)
😉
hasnain gud work....saddam er kotha mone
porlo onkdin por......
jak.......... anakkkei saddam er kotha money korae dilam........
হাসনাইন তাড়াতাড়ি ছবি পাঠা.........।
রায়হান আবীর কোন কলেজের? সেখানে কোনো চিকি নাই?
ইশতিয়াক এবং 'বন্য' ফুয়াদকে মনে আছে। ভালো থেকো তোমরা।
রায়হান আবীর যেই কলেজের সেই কলেজের চিকিরা বিশ্বসেরা... 😉
dostora ame atodin poray ato sundhor adda daoer jaiga pailam next time amak mail koris tor lekhata ak kothay khube odhvt sundhor. himur nel kosto poray jotota kosto pai tar chay o ate onek onek beshe koster.agula niye o amader vaba uchit.
Hasnain,tor lekha poira amaro saddam er kotha mone porlo.Re-uni te to dekhlam na.
Valo likhsos.
@sharif,
dosto ami to aktai sharif-re chini......amar coursemate sharif.....tui ki seiii....tailey tor posting koi akhn. amar to akhn pa portasey na.......hati kamney....... 😀 .......bhalo thakis
@monjur,
jak anak din por dhukli tailey.......thanku
এই ব্লগটা আসলেই অনেক সুন্দর হয়েছে, আবার পড়লাম...
শুনে ভাল লাগল, সাদ্দামের কথা জানাতে পেরে আমারও খুব ভাল লাগল।
ভাল্লাগছে ভাইয়া।
ভাল্লাগছে ।