আমি অন্ধকার দেখেছি
রাত্রির কোমল শরীরে যার প্রগাঢ় ছায়া।
আমি অনেক হেঁটেছি;
শহরের এমাথা-ওমাথা,এগলি-ওগলি
প্রহরীর সজাগ দৃষ্টিতে যখন ক্লান্তির মায়া।
হঠাৎ থেমেছি
পায়ের চলার শব্দ থামিয়ে কান পেতেছি
বাতাসের পরে ভেসে আসে কার দীর্ঘশ্বাস?
নাকি কান্নার আভাস?
হৃদয়ে? নাকি অন্ধকারে?
অনেক বৃষ্টির পরে-
যেমন ধুসর মেঘের আকাশ।
আরও আগে,
যে কান্না ভেসে যেত সেই মিশরে,পারস্যে,রোমে,
কলিঙ্গ,মগধ আর জেরুজালেমে,
তা আজও বেজে ওঠে এই শহরে
দিনাবসানে এই অন্ধকার রাতে,
নিস্তব্ধতায়, কিংবা মেঘমল্লারে।
হাজার বছরের মৃত আত্মারা আজও
দুঃখ সঙ্গে করে নিয়ে আসে
সময় বদলায়, মানুষ পাল্টায়,
তারা শুধু নিঃশব্দে হাসে!
আমিও ছিলাম হয়তোবা
সেই সময়ে, আর্তনাদের শব্দে-
অস্তিত্ব জড়ায়ে।
সেই থেকে আমি হেঁটে চলেছি
গভীরতর অসুখের ক্ষত নিয়ে
তোমাদের কান্নার শব্দ হয়ে।
আবার হাঁটতে থাকি,
শহরের রাস্তায়, পৃথিবীর পথে
একটুও না থেমে,
কোনদিন থামবো কি আর?
কোনদিন আবার?
ভাল।
তবে লাইনগুলোর মাঝখানের গ্যাপগুলো তুলে দিলে আরো ভাল হবে, পড়তে ও দেখতে।