সাইমন বলিভারের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনেই পতন হয়েছিল লাতিন আমেরিকায় স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক শাসনের। আঠার শতকের প্রথমভাগে দানা বাঁধা সেই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতেই একে একে স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের শাসন থেকে মুক্তি পায় আর্জেন্টিনা,প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, পেরু ও চিলি। যদিও ঔপনিবেশিক প্রভাবে এখনো এই দেশগুলোতে চলছে স্প্যানিশ ভাষা। এদুয়ার্দো ভার্গাস ও শার্ল আরানগুইস কি সেই “সাইমন বলিভার” হয়েই ফিরে এলেন মারাকানায়? ২০০৮ সালের ইউরো জয়ের মাধ্যমে যে স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের শুরু, “তিকি-তাকা” নামের ডাচ-কাতালান স্টাইলে অর্ধযুগ যাদের ফুটবল বিশ্বশাসন, তাদের গজদন্তের মিনার যে খসে পড়লো এই দুজনেরই লক্ষ্যভেদে।
“তিকি-তাকা” নামটা এসেছে আসলে একধরণের খেলনা থেকে। দড়িতে বাঁধা দুটো ছোট্ট গোলক, ঝুলিয়ে রাখলে হাওয়ায় দোল খায় আর একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর পেন্ডুলামের মত দুটো বলই দোল খেয়ে এসে লাগে পরস্পরের গায়ে, এমন এক খেলনাকেই স্প্যানিশরা কথ্যভাষায় বলে “তিকি তাকা”। ফুটবলে এই শব্দটা প্রথম কে প্রয়োগ করেছিলেন, তা নিয়ে আছে দ্বিধা। কেউ বলেন ২০০৬ বিশ্বকাপের সময় স্প্যানিশ ধারাভাষ্যকার আন্দ্রে মন্তেস ব্যবহার করেছিলেন শব্দযুগল। কেউ বলেন একই বিশ্বকাপে স্পেন তিউনিসিয়া ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হাভিয়ের ক্লেমেন্তে স্পেনের নিখুঁত পাসিং দেখে বলেছিলেন, “আমরা তিকি -তাকা, তিকি-তাকা করে খেলছি।” শব্দের উৎপত্তি যেভাবেই হোক না কেন , গত ছয়টা বছর ফুটবল বিশ্বে আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই তিকি-তাকাই। ছন্দবদ্ধ, ধীর লয়ের পজেশনভিত্তিক পাসিং ফুটবল, যার আঁতুরঘর বার্সেলোনার খামারবাড়ি লা মাসিয়ায়। সাবেক বার্সা ফুটবলার ও ডাচ কিংবদন্তী ইয়োহান ক্রুইফ সেই যুগান্তকারী টোটাল ফুটবল এর সঙ্গে কিছুটা লাতিন সৌরভ মিশিয়ে তৈরি করেছিলেন অলস সৌন্দর্য্যের এই ফুটবল। গোটা বিশ্ব যখন ফলনির্ভর, গা জোয়ারি, দ্রুতগতির ফুটবলের মন্ত্র জপছে, তখন ক্রুইফের ড্রিম টিমের সদস্য ও পরে বার্সেলোনার কোচ হওয়া পেপ গার্দিওলা দেখালেন তিকি-তাকার জাদু। এক মৌসুমে সম্ভাব্য ছয় শিরোপার সবকটাই জিতেছিল বার্সেলোনা, সেই সাফল্যের মন্ত্র ভিসেন্তে দেল বোস্কে ধারণ করেছিলেন স্প্যানিশ জাতীয় দলেও। তারপর পাসের ফুল ফুটিয়ে, জ্যামিতিক বুনন আর পারস্পরিক বোঝাপড়ার সুষমায় তিকি-তাকা হয়ে গেল একটা ব্র্যান্ড। ডাচদের টোটাল ফুটবল, ইতালির কাতানাচ্চিও’র মতোই তিকি-তাকা পেয়েছিল নতুন এক ফুটবল দর্শনের মর্যাদা।
শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চালু হয়ে যায় সমাপ্তির ঘড়িও। বছর ছয়েকের অভিযাত্রায় বেশ কয়েকবারই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল “তিকি- তাকা”, প্রতিবারই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়ে শিল্পিত ফুটবল ফিরেছিল আপন মহিমায়। কিন্তু এবার বোধহয় আর হলো না। লা লিগাতে শিরোপাহীন বার্সেলোনা,তিকি-তাকার পীঠস্থানই এখন শুন্য মন্দির। স্প্যানিশ দলও বিদায় নিল বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে। মানুষ সাফল্যের অনুগামী বলেই হয়তো এখন মুখ ফিরিয়ে নেবে অলস সৌন্দর্য্যের এই ফুটবল দর্শন থেকে। কোন গার্দিওলা বা ক্রুইফের চাইতে ফল নির্ভর খেলার উপাসক হোসে মরিনহো কিংবা বার্ত ফন মারউইকদের দিকেই আবার ঝুঁকবে ফুটবল ক্লাবগুলো। বছরজুড়ে ক্লাবগুলোতে খেলেই না খেলোয়াড়দের আয় রোজগার, আর ক্লাবের আয় রোজগারের সঙ্গে জোর সংযোগ সাফল্যের। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার দুই লেগ মিলিয়ে ৭-০তে হার, কনফেডারেশনস কাপের ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ৩-০ গোলের হারের পর ফুটবল ভক্তরা মুখ ফিরিয়ে নেননি। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৫-১ গোলের হারে সেই বিশ্বাসে ধরে ভাঙ্গন। আর চিলির কাছে ২-০ গোলে হারের পর নিশ্চিত হয়ে যায় তিকি-তাকার মৃত্যূ।
বিশ্বকাপ শুরুর দিন কয়েক আগের কথা। সংবাদমাধ্যমে ভিসেন্তে দেল বোস্কের উক্তি, “আমরা তিকি তাকা তালিবান নই।” কদিন পর খেলোয়াড় দাভিদ সিলভা বললেন, “ আমরা কেন খেলার ধরণ বদলাবো। আমরা এই স্টাইলে খুবই ভাল করেছি। তাই বদল করার কোন দরকার নেই।” খুবই যৌক্তিক।এভাবে খেলেই স্পেন জিতেছে প্রথম বিশ্বকাপ, বাছাই পর্বেও কোন ম্যাচ না হেরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই এসেছে ব্রাজিলে, মাঝে ইউরো ২০১২’র শিরোপাটাও তুলেছে নিজেদের ঘরে। তাহলে কেন তিকি তাকা নয়? আসলে তিকি তাকা যেন “আপনা মাংসে হরিণা বৈরী”, সাফল্যই যার ব্যর্থতার কারণ। ইউরোপের লিগগুলোতে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও চেলসির মত দলগুলো সাফল্য পেয়েছে তাদের দ্রুতগতির কাউন্টার অ্যাটাকনির্ভর প্রেসিং ফুটবল খেলে, প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ নিয়ে। এই ধরণের কৌশলের বিপরীতে সাধারণত পজেশনভিত্তিক ফুটবলে আঁকড়ে থাকাটা গোয়ার্তুমি, কিন্তু চাইলেও এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসা যায়না কারণ বহুল চর্চার কারণে তার শিকড় অনেক গভীরে। তিকিতাকায় বার্সেলোনায় সাফল্যের আরেকটা কারণ লিওনেল মেসি, ফলস নাম্বার নাইন হিসেবে খেলে যিনি প্রথাগত স্ট্রাইকারদের চাইতেও অনেক বেশি গোল করেছেন আপন মহিমায়। কিন্তু স্পেন দলে তার অভাবটা যে প্রকট সেটা বোঝা গেছে প্রায়ই। কখনো দাভিদ ভিয়া, সেস্ক ফাব্রেগাসরা সেই ঘাটতি খানিকটা মিটিয়েছেন বটে, তবে সেটা সৌরালোকের বদলে টিম টিমে কুপির মতোই।
তিকি তাকা সফল অবশ্যই। শিরোপার সংখ্যায় হোক, কিংবা স্পেন থেকে সান্তি কাজোরলা, হুয়ান মাতা, দাভিদ সিলভার মত খেলোয়াড়দের মোটা টাকায় বিলেত গমনের হিসেবেই হোক। কিন্তু ২০১৪ বিশ্বকাপ এবারের মত মৃত্যুঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে এই ধ্রুপদী ছন্দের। তিকিতাকার শুরুটা হয়েছিল একটা প্রজন্মকে ঘিরে, যাদের অনেকজন লম্বা সময় ধরে একসঙ্গে খেলতেন এবং তাদের কোচিংও করানো হতো একটাই দর্শনে। সেই প্রজন্মের খেলোয়াড়রা ফেলে এসেছেন তাদের সেরা সময়টা। হোর্হে সাম্পাওলি সুযোগ নিয়েছেন লম্বা মৌসুম খেলে আসা ক্লান্ত ও অতীত সাফল্যে গর্বিত অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী একটা দলের বিপক্ষে। বায়ার্ন মিউনিখ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও চেলসির বেশ কিছু “কাউন্টারপাঞ্চ” খেয়েও দাঁড়িয়ে থাকা তিকিতাকা তাই নকআউট মার্সেলো বিয়েলসার আক্রমণাত্মক ধারার ফুটবলে বিশ্বাসী সাম্পাওলির নকআউটে।
তিকিতাকা তাই এখন মৃত। কিন্তু কে জানে, হয়তো ফিনিক্স পাখির মতোই আবার ছাইভস্ম থেকে জেগে উঠবে নান্দনিকতার বীজ। হয়তো কাতালুনিয়ার কোন এক শহরের এক দল কিশোর আজ থেকেই বাড়ির পাশের মাঠে শুরু করে দিয়েছে অনুশীলন। তিকিতাকার চক্রবুহ্য ভাঙ্গার কৌশল যখন আছে, তখন সেটা রুখে দেয়ার কৌশলও নিশ্চয়ই আছে। সেই ভাবনাতেই হয়তো মশগুল কোন ভাবুক ফুটবল দর্শক। জ্যাক রেনল্ডস, রাইনাস মিশেলরা ভেবেছিলেন বলেই না ফুটবল এসেছে আজকের চেহারায়। তাদের ভাবনার ভিত্তিতে সৌধ গড়েছে পরের প্রজন্ম। এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ফুটবলের রূপান্তর হয় বলেই না খেলাটা এত আবেদনময়!
(মূল লেখাটা ছিল পত্রিকার জন্য। কিন্তু বিজ্ঞাপণের চাপে লেখাটা সংকুচিত করতে হয়। কিছু লেখা ছেঁটে ফেলা কঠিন, মায়া পড়ে যায়। তাই পুরোটাই দিয়ে দিলাম সিসিবিতে।)
স্পেন আর বার্সিলোনার এবারের ব্যর্থতার দায় সবাই যেভাবে টিকিটাকার উপরে দিচ্ছে এটা দেখে আমি কিছুটা বিরক্ত যদিও আমি টিকিটাকার ফ্যান না। স্পেন তাদের ট্যাকটিক্স এর জন্য যতটা না ধরা খেয়েছে, তার থেকে বেশি খেয়েছে তাদের খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্স এর জন্য আর সবচেয়ে বড় কারন ছিল ডেল বস্কের গোয়ার্তুমি। টিকিটাকা সফলতার জন্য প্লেয়ারদের হাই লেভেল স্কিল প্রয়োজন হয় যেটা এবারের প্লেয়ারদের মধ্যে ঘাটতি ছিল, টিকিটাকার হার্ট জাভি তার ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করে এসেছে, ইনিয়েস্তা, আলোনসো তাদের সাধারন খেলাটাই খেলতে পারেনি। ডিফেন্সের অবস্থা তথৈচব, এক ক্যাসিয়াসের কারনেই ওরা অর্ধেকের মত গোল খেয়েছে।
স্পেনের এবারের ব্যর্থতার মূল দায় পুরোটাই দেল ভস্কের। ইন ফর্ম খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে পুরোনোদের উপরে নির্ভর করেছে।
টিকিটাকা মনে হচ্ছে আপাতত হারিয়ে যাবে তবে তার জন্য ট্যাকটিক্সকে দোষ দেব না, ট্যাক্টিক্স এক্সিকিউট করার মত খেলোয়াড়ের অভাবকে দুষবো।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
যে কোন ট্যাকটিক্সই সাফল্য পায় সেটা বাস্তবায়ন করার মত খেলোয়াড়দের পায়ে। পোর্তোর মোরিনহো আর রিয়ালের মরিনহো তাই আলাদা।আর সাফল্যই অনুগামী।
ভালো লেখা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
চমতকার এই লেখাটি সিসিবিতে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই। যদিও আমার মত মৌসুমি ফুটবল দর্শক-পাঠকের বেশ কয়েকবার নাম গুলো গুগল করতে হয়েছে। সংবাদপত্রের কাটাকুটি করা লেখা পড়তে হলো না ভেবেই ভাল লাগছে। 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এই লেখাটারই সারবস্তু পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, জায়গার সংকটের কারনে বাদ দিতে হয়েছে ঐতিহাসিক সূত্রগুলো। আর বানানরীতি আমাদের, তাই হয়তো কিছু নাম অচেনা ঠেকতে পারে!
ভালো লাগসে সামীউর!! তিকি তাকার মৃত্যু হয়েছে এখনো বলার সময় আসে নাই বরং জাভি কিংবা ক্যাসিয়াস কে বাদ দিতে ভয় পাওয়া ঠিক হয় নাই। এখন তো মনে হচ্ছে মরিনিও ঠিকই ছিলো কায়াসিয়াস এর ব্যাপারে। “আমরা তিকি তাকা তালিবান নই।”... প্রমান করতেই ডিয়াগো কস্তাকে খেলানো হয়েছে। এখানেও ভুল... ভিয়া খেলা উচিত ছিলো এমন কি তোরেস ও বেটার অপশন ছিলো।
এখনে আসলে পাপকে নয় পাপীকে ঘৃনা করা উচিত- 😉
গতিময় এটাক-কাউন্টার এটাক ভাল লাগলেও, তিকি-তাকা আমার কাছে খারাপ লাগে না... 😀
যে কোন স্ট্রাটেজির মতন ডেল বস্কেরও প্ল্যান বি, সি কনসিডার করা উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে ঘাউড়ামি করেছে... আর এর দোষটা পড়ছে তিকি-তাকার উপর... তবে তিকি-তাকা ধিকি ধিকি করে হলেও জ্বলে রইবে। এবং সময়, সুযোগ পেলে তা আবারও প্রকান্ড অগ্নিকান্ড হয়ে উঠবে। :dreamy:
পুরো লেখাটা এখানে দেবার জন্য ধন্যবাদ। :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
অটঃ আমাদের এক স্যার "প" কে "ফ" বলতেন এবং যেকোন অপরাধে পোলাপান ধরা খাইলে উল্টাটা বলে উনার ইনিংস শুরু করতেন। শুরুতেই শুইনা হাইসা দিতাম আর ইনিংস দীর্ঘায়িত হইতো! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
একজন কট্টর রিয়াল মাদ্রিদ ফ্যান হিসেবে তিকি-তাকা কে কখনোই ভালো চোখে দেখি নি.. শুরুর দিকে মনে এক ধরনের লুকোনো মুগ্ধতা কাজ করলেও , ধীরে ধীরে এই মুগ্ধতা পরিণত হয় বিরক্তিতে। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম.. অনেকের কাছে এই স্টাইল এর আবেদন অনেক, আবার অনেকে বিরক্তিতে নাক কুচকে বসে থাকে। আমি দ্বিতীয় দলের সদস্য।
অসাধারণ লেখা ! ব্লগে পুরোটা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ !
অসাধারণ লেখা!
বিশ্বকাপ ১৪ নিয়ে আরো লেখা চাই।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
স্পেন ও বার্সেলোনাকে অনেক সাফল্য এনে দেবার পরও আমার কাছে টিকি-টাকা ফুটবল কখনো ইন্টারেস্টিং লাগেনাই।
আমি রিয়াল মাদ্রিদের সাপোর্টার; এটা একটা কারন হতে পারে।
আমার মতে স্পেনের ব্যার্থতার কারন দুইটা।
১. টিকি-টাকা কে কিভাবে অকার্যকর করতে হয় সেটা ব্রাজিল কনফেডারেশন কাপে দেখিয়েছে। পজেশন ফুটবল না খেলতে দিলে প্ল্যান বি বা সি নিয়ে স্পেনের কোনো ভাবনা ছিলোনা।
২. চরম বাজে দল নির্বাচন!
ছোট হাতি