(চলমান)
শুরুতেই আবদুল্লাহ-আল আমীনের মন্তব্যের উত্তরে বলছি। বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্লেষণের সময়টা নাহয় একটু পরেই আসুক।
গত পর্বে লিখেছিলাম কাপ যাদের হাতে আছে, অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে। এবার লিখছি কাপ যাদের হাতে উঠতে পারে তাদের নিয়ে।
শুরুতেই ভারত।ভারত শুধু বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশই নয়,খুব সম্ভবত বৃহত্তম গণমাধ্যমেরও দেশ। তাদের অনেক চ্যানেল, অনেক পত্রিকা, অনেক সংবাদ সংস্থা ও একই সঙ্গে অনেক সাবেক ক্রিকেটার। এছাড়া জ্যোতিষিরা তো আছেই। যারা লক্ষণবিচার করে আগে থেকেই বলে দেয় এবার ভারতই জিতবে। কারণ ৮৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্লেনে ওঠার অমুকের ডান পায়ের গোড়ালির চার ইঞ্চি উপরে একটা মশা কামড়েছিলো। এবারো তমুকের ঠিক একই জায়গায় একটা মশা কামড়েছে। তাই এবার ভারতই জিতবে! আর টেলিভিশন বিজ্ঞাপণ গুলার কথা বাদই দিলাম! পেপসির গত বিশ্বকাপের বিজ্ঞাপণটা মনে আছে! ভারতের বাজারে ছাড়া হয়েছিলো পেপসির ওয়ার্ল্ড কাপ ফ্লেভার। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর পেপসি কোম্পানি দ্রুত সেই সব বোতল বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়। বন্ধ করে দেয় ক্রিকেটারদের নিয়ে বানানো সব বিজ্ঞাপণ! তবে সবচেয়ে কষ্ট লেগেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভারতীয় রেস্তোরা মালিক আর মার্কিন প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য। তামিম ইকবালের ব্যাট যে তাদের ব্যবসার সব পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছিলো! আর সুপার এইটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার আশায় যারা ১৫ এপ্রিলের ম্যাচের টিকেট কেটেছিলেন, বার্বাডোজে সেদিন দেখেছেন বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ।
তাই দল যাই হোক বিজ্ঞাপণের বাজারে ভারত সবসময়েই ফেভারিট। কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয়, ভারতের একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা যেটা কপিল দেবের হাত ধরে এসেছিল ১৯৮৩ তে, সেবার তারা ছিলো নিতান্তই আন্ডারডগ!বলা যায় কপিল দেব একাই সেবার ভারতকে শিরোয়া জিতিয়েছিলেন।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ১৭৫* ও ফাইনালে প্রায় ১৮/২০ গজ দৌড়ে ধরা ভিভ রিচার্ডসের ক্যাচই আসলে গোটা টুর্নামেন্টের নকশা পালটে দিয়েছিলো।
যা হোক, সবই এখন ইতিহাস। প্রত্নতাত্বিকদের গবেষণার বিষয়। বর্তমানে ভারত যে দলটা নিয়ে বিশ্বকাপে খেলবে তাদের নিয়ে আশাবাদী হওয়াই যায়। কিন্তু কতটুকু?
ভারতের মূল শক্তি ব্যাটিং। একটা সময়ে দেখা যেত শচীন টেন্ডুলকার ১১২ এবং ভারত ২২৫ রানে অলআউট ।ফল ,৪৫ ওভারে প্রতিপক্ষ হয়তো ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছেছে। যেটা হতো যে অধিকাংশ সময়েই ভারতের বোলাররা প্রতিপক্ষের উপর কোন চাপ প্রয়োগ করতে পারতো না। সলীল আংকোলা, অমিত ভান্ডারী, লক্ষ্মীরতন শুক্লা থেকে কদিন আগেও খেলে যাওয়া অজিত আগারকারের মত একজন বোলার থাকা মানেই দলের হার মোটামুটি নিশ্চিত। তারউপর এদের অনেকেই আবার দলে একসঙ্গে খেলেছেন! কিন্তু এখন পরিবর্তনের হাওয়াটা ভারতীয় দলেও লেগেছে।
শুরুটা হয়েছিলো জন রাইট-সৌরভ গাঙ্গুলির আমলে। মধ্যে গুরু গ্রেগ জমানায় একটু হোঁচট খেলেও গ্যারি কারস্টেন এসে আবার পুরনো স্রোতটাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছেন। দলের টেন্ডুলকার নির্ভরতা কমিয়ে আনা। সঙ্গে যোগ হয়েছে স্পিন নির্ভরতা কাটিয়ে জোরে বোলারদেরও সুযোগ দেয়া। একটা সময় ভারতে টেস্টের পিচ তৈরি করা হতো পাঁপড়ের মত ভঙ্গুর করে। কত দ্রুত পিচ ভাংবে আর স্পিনাররা হাত ঘোরাতে আসবে। ইদানিং জহির খান, আশীষ নেহরাদের প্রতি কিছুটা সুবিচার করা হচ্ছে।
ভারতের ব্যাটিং লাইন আপটা এতো লম্বা যে বিপক্ষের বোলাররা হাঁপিয়ে উঠবে। টেন্ডুলকার, বীরেন্দর শেবাগ, গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি, যুবরাজ সিং এবং ইউসুফ পাঠান। হালে হরভজন সিং তো টেস্টে দুটো সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অলরাউন্ডার হওয়ার পথে। দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা ওয়ানডেতে তো ভাজ্জি আর জহির খানই জেতালো।
সব মিলিয়ে দারুণ গভীর ব্যাটিং লাইন আপ , যেকোন রান তাড়া করে ফেলার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু সব দিন কি রান তাড়া করা যাবে?
জহির খান অনেক ভালো বোলার।তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপে খেলছেন। নতুন বলে ইনসুইঙ্গার ও পুরনো বলে রিভার্স সুইং করাতে পারে।বাঁ হাতিদের বিপক্ষে বেশ কার্যকর।হরভজনও উপমহাদেশের কন্ডিশনে বাজির ঘোড়া। কিন্তু এই দুজন মিলে মোটে কুড়ি ওভার। খেলাটা তো পঞ্চাশ ওভারের!
আশীষ নেহরা, প্রবীনকুমার ও মুনাফ প্যাটেল। এই তিনজনের যে কোন দুই জন অথবা একজন একাদশে ঢুকবে। আশীষ নেহরা ২০০৩ বিশ্বকাপে ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। সেটা ছিলো ডারবানের উইকেট, তার উপরে দিবারাত্রীর খেলা। শিশির, সমুদ্রের হাওয়া অনেক ব্যপার স্যাপার ছিলো। নেহরা নিজেও হয়তো ভাবেননি এত ভালো করে ফেলবেন। তারপর “মুই কি হনু সিনড্রোম”। ফল, ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ও ডেমিয়েন মার্টিনের হাতে বেধড়ক পিটুনি।জোহানেসবার্গের পিচ বরাবরই একটু ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ( এখানেই অস্ট্রেলিয়ার ৪৩৪ রান তাড়া করে জিতেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা)। মাঠটাও একটু ছোটোর দিকেই(আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে স্কোয়ার লেগ সাইডে বাউন্ডারির মাপ নুন্যতম ৬৫ গজ, আর পিচের মাঝখান থেকে বাউন্ডারির সর্বোচ্চ দূরত্ব হতে পারবে ৯০ গজ । ওয়ান্ডারার্সে আমার যতটুকু মনে পরে লেগসাইড বাউন্ডারির মাপ ৬৭-৭০ গজ এর আশেপাশে)।
আসলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ব্যর্থ হলে প্রতিপক্ষ ঠিক কি করতে পারে তার জন্যে ২০০৩ এর ফাইনালটাই হতে পারে একটা ভালো উদাহারণ। মনে রাখতে হবে তখন পাওয়ার প্লে ছিলো ১৫ ওভার, এখন ২০!প্রতিপক্ষ যখন এতটা চড়াও হয়ে খেলে তখন মনোজগতটাই এলোমেলো হয়ে যায় যার ফল অসহায় আত্মসমর্পণ।
তাই জহির-ভাজ্জির ২০ ওভার ছাড়া বাকি ৩০ ওভার কতটা কম রান খরচে কাকে দিয়ে করানো যায় সেই চিন্তা ধোনীকে মাথায় রাখতে হবে। শেবাগ, টেন্ডুলকার,যুবরাজ, রায়না, ইউসুফ পাঠানের পার্ট টাইম বোলিংও হতে পারে দারুণ বিকল্প।তবে মোদ্দা কথা, ভারতের এই বোলিং আক্রমণ রান করাটা খুব একটা থামিয়ে রাখতে পারবে না, আর ব্যাটসম্যান মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে না আসলে চাপ সৃষ্টি করে উইকেটও নিতে পারবে না। ভারতও খুব সম্ভবত মাঠে নামবে কমপক্ষে এই ভেবে যে কমপক্ষে ২৬০ এর আশেপাশের রান তাড়া করতে হবেই।অশ্বিন, পীযুষ চাওলা দলে আছেন, সেটা আমার মনে হয় দল করার স্বার্থেই। কেউই খুব বেশি ম্যাচ খেলবেন না বা টিম ম্যানেজম্যান্টই খেলাবে না। তবে ধোনি অশ্বিনকে নিয়ে জুয়া খেলতে পারে। দুজনেই আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের খেলোয়াড়, বেশ ভালো একটা বোঝাপরা আছে।ভারতীয় দলটা বেশ ভালোই, তবে প্রবীন কুমারের জায়গায় ইরফান পাঠান হতে পারতো।
সবমিলিয়ে ভারতীয় দল হচ্ছে অনেকটা একসময়ের এসএসসি পরীক্ষার মত! রচনামূলকে ৫০ আর নৈর্ব্যক্তিকে ৫০। দুটো মিলে ৮০ হলেই তো এ প্লাস! ব্যাটিং আমার কাছে পাবে ৫০ এর মধ্যে ৪৯!(১ হাতে রাখলাম)।কিন্তু বোলিং…২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে। আর ভালো বোলিং এর সঙ্গে ভালো ফিল্ডিংটাও জরুরী। রায়না, যুবরাজ, বিরাট কোহলি ভালো ফিল্ডার হলেও জহির, গম্ভীর,নেহরা,ঠিক ততটা নন। ফিল্ডিং তো শুধু ক্যাচ ধরা দিয়ে নয়! যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা শুধু ফিল্ডিং দিয়েই ম্যাচে ২৫ থেকে ৩০ রান বাঁচিয়ে দেয়। আমার চোখে ভারতের দৌড় এবারও সেমিফাইনাল পর্যন্তই। কারণ সিরিজ বা শিরোপা নিষ্পত্তি অথবা “ডু অর ডাই” ম্যাচে ভারত এখনো স্নায়ুটা শক্ত রাখতে শেখেনি।তার উপরে নিজের দেশের দর্শকদের সামনে খেলার চাপ। তাই আমার মনে হয় কোয়ার্টার ফাইনালে উতরে গেলেও সেমিফাইনালে ভারত বাদ পরে যেতে পারে।কারণ ততদিনে উপমহাদেশের বাইরের দলগুলো কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেবে।
গণমাধ্যমগুলোতে ইউসুফ পাঠানের খুব প্রশংসা হচ্ছে।একটি সাক্ষাতকারে বড় পাঠান বলেছেন ক্রিকেট হচ্ছে অনেকটা বক্সিং এর মত, যে মাঠের মাঝখানে সবকিছুই নির্ভর করে দুটো হাতের উপর। খুবই সহজ দর্শন। কিন্তু মস্তিষ্কের যোগও থাকতে হয় কিছুটা। নইলে ক্রিকেটেও যে ভারোত্তোলক, কুস্তির মত মুশকো সব লোকে আসতো! তাই বিশ্বকাপে আমার চোখে ভারতের তুরুপের তাশ বিরাট কোহলি। দারুণ ব্যাটিং, ঠান্ডা মস্তিষ্ক ও ইনিংসকে বড় করার প্রবণতাটা আছে। আর একটা ছোট্য ইনটুইশন! আমার কেন জানি মনে হচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকার খেলবেন না। একটু ইনজুরি থাকায় ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট চাইবে শচীন যেন শেষ অবধি ফিট থাকে। তাই বাংলাদেশের ম্যাচের জন্য তাকে ঢাকায় নাও উড়িয়ে আনতে পারে বিসিসিআই। এটা স্রেফ একটা “ফিল” বলা যায়। কোন পুর্বাভাষ নয়।
১৭ টি মন্তব্য : “বিশ্বকাপ পূর্বানুমান-২”
মন্তব্য করুন
😮
সব মিলিয়ে ভাল বিশ্লেষন :hatsoff:
......সামীউর ভাই, যথারীতি সিরামমম বিশ্লেষণ। :thumbup:
......একমত ভাইজান। অপেক্ষায় থাকলাম।
:)) :)) :))
কোথায় যেন একটা লেখা পড়েছিলাম, ক্রিকিনফোর পেজ টু তে মনে হয়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মাস্টার প্লান করছে ভারত যাতে সেমিফাইনালে গিয়ে হেরে যায়। কারন ভারত যদি কোন ভাবে চ্যাম্পিয়ন হইয়ে যায়, তাহলে বিশ্বকাপের ঠিক পরপর শুরু হওয়া আইপিএল এর উপর থেকে লাইমলাইট অনেকটাই সরে যেতে পারে, যদিও সেটা ছিল একটা রম্য রচনা, তারপরো ভারতীয় বোর্ডের কাছে বিশ্বকাপের চেয়ে আইপিএল বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ইউসুফ পাঠানের দক্ষিন আফ্রিকা সিরিজের দুটি অমানবিক ইনিংস যেকোন প্রতিপক্ষ অনেক নিয়ে আলাদা হিসাব নিকাশ শুরু করবে তবে যেমনটা বলেছো, ওদের বোলিং এটাক যেকোন দলকেই আশাবাদি করে তুলবে।
বিশ্লেষন দারুন হয়েছে :boss: (সম্পাদিত)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি মনে প্রানে চাই ভারত-পাকিস্তানের কেউ যাতে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন না হয়।
তবে ভারত এমনিতেই পারবে না। শুধু ব্যাটসম্যান দিয়ে তো আর ক্রিকেট খেলা হয় না।
কোয়ার্টার ফাইনাল পেরিয়ে সেমিফাইনাল-ফাইনাল পর্যন্তও যদি যায়, প্রতিপক্ষের কেউ একজন ভারতীয় বোলারদের একদিন উপর্যুপরি ধর্ষন করবে।
যেভাবে রিকি পন্টিং করেছিল ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ভারতকে নিয়ে এবার একটু ভয়েই আছি, ওদের ব্যাটিং মারাত্মক, সবাই পিটায়ে খেলে। বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করলে ৩০০ এর কম টার্গেট দেয়া যাবেই না।
ভারত চ্যাম্পিয়ন হবে না ইনশাল্লাহ 😀
সিরাম বিশ্লেষণ বস :boss:
বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করলে ২৫০ যথেষ্ট হবে। তবে ইন্ডিয়া ব্যাটিং করলে ২২০ যথেষ্ট হইতে পারে। কারণ মিরপুর এ লো স্কোরিং ম্যাচ হবে। 😕
বাংলাদেশ জিতলে তো ভালই, তবে ২৫০ কে ভারতের ব্যাটিং এর কাছে বড় কিছু মনে হচ্ছে না, যতই লো স্কোরিং ম্যাচ হোক।
আর ভারতপাট্টি এবার বাংলাদেশের সাথে ম্যাচকে অনেক সিরিয়াসলি নিবে, নিশ্চিত থাকেন।
টেল্ডুল আসবে এবং খেলবে মনে হয়, ভারত রিস্ক নিবে না, সর্বশক্তি নিয়ে নামবে বাংলাদেশের সংগে। আর বাংলাদেশের সংগে হারলে এরা সেমিফাইনালে যেতে পারবে কিনা সন্দেহ।
এইটা হইলো ক্রিকেট নিয়ে মহা বিরক্ত এক দর্শকের অভিমত। আমাকে বলেছে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমিও ক্রিকেট নিয়ে মহা বিরক্ত বস ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
পরের বিশ্লেষণ গুলার অপেক্ষায় রইলাম সামীউর ভাই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভারত এর টার্গেট হলো চেজ করা। ওদের ব্যাটিং ৪০০ রান চেজ করতে পারবে।
আমার কিন্তু মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারত চ্যাম্পিওন হবে। তুমি দুইটারেই সেমিতে বাদ দিলা।
যদিও আমার মনে হয় ইংল্যান্ড যদি বাংলাদেশরে হারাতে পারে তাহলে ওরা ফাইনাল খেলতে পারে।
:clap: :clap: :clap:
সামীউর মিয়া ... পল'এর ব্যবসায় কবে নামলি
এ ব্যবসা কিন্তু তেমন সুবিধার না
বিশ্বকাপ শেষে পল কিন্তু মইরা ... :grr:
লেখার স্টাইল, বিশ্লেষণ ভাল লাগছে (সম্পাদিত)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
স্পিন দূর্বল একগাদা প্রতিপক্ষের সাথে ইন্ডিয়ার গ্রুপিং [বাংলাদেশ ছাড়া 😀 ]
নক আউটে গিয়াই বাদ পড়বে, নিশ্চিত। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট গড শচীন বেচারার বিশ্বকাপ কোলে তোলা আর হবেনা।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
'তাই বিশ্বকাপে আমার চোখে ভারতের তুরুপের তাশ বিরাট কোহলি। দারুণ ব্যাটিং, ঠান্ডা মস্তিষ্ক ও ইনিংসকে বড় করার প্রবণতাটা আছে।' (সম্পাদিত)
বিশ্বকাপ পূর্বানুমান - ৩ কই??????