অনেক কান্না ছিলো জমা হয়ে
তোমার অপেক্ষায় ।
দোয়েল আর শালিখের চঞ্চুতে
মাখা বালির মতোন
অংগাঙ্গি মিশে হৃদয়ের খোপে
সাবলীল নিঃশ্বাসের
মতো একাংগী অন্তর্গত
আত্মার পুরাতন ক্ষত
ধুয়ে দেবে বলে আষাঢ়ের বেনো জল
অবারিত শ্রাবণের ঢল !
কতোখানি ঢেলে দিলে ভূমি ধুয়ে নেবে
বুকের কাতর ব্যথা !
সেইমতো ঝরবার লাগি জলো ছলো
আষাঢ় তুমি আসো কি !
কতোটুকু জমা জল, বাষ্প দল,
ব্যাথা সারাবার উৎপল
অনুষঙ্গ হয়ে জীবনেরে আঁকো
সুখবত পল অনুপল !
ওই আনন্দ উচ্ছ্বাসে তুমি
ঝরনার মতো হাসো কি !
সেই সব গল্প কল্প কথা
আষাঢ়ের বুক থেকে আজ
আমার কান্নার সাথে তোমারো
মিলে বাজিয়েছে এস্রাজ ।
কতোটা জলের আড়াল পেলে
জীবনের সব ছবিগুলো
স্মৃতির পাতা থেকে কখনোই খুব
সহজে যাবে না ধুয়ে !
সেই সব জলমগ্ন দিনের
লাগি ধনুকের মতো নুয়ে
অপেক্ষার দশ মাসে ক্ষণ গুনে
কদম কেয়ারা ছুঁলো
যেনো সব স্বপ্ন আর সাধের
হেলানো ইজেলগুলো !
জমানো কান্নারা আজ বুঝি তাই
গোপনে ঝরবার লাগি
বিশ্বস্ত আড়াল পেয়ে বলে
সময় হয়েছে, যাই !
১৮ জুন ২০১৫ ~ শেষ প্রহর
ফিরে এসে লিখতে হবে লুৎফুল ভাই।
এক দু' শব্দে এ লেখা নিয়ে কথা বলা যাবেনা। একটা বেলা চাই।
মুগ্ধতার ইশারা দিয়ে গেলাম শুধু
অপেক্ষার সময় থাকলো রেকাবিতে ঢাকা পড়ে ।
🙂 🙂
প্রথমে বলে নিচ্ছি কবিতা বুঝিনা। ছন্দ, মাত্রা সম্পর্কে লেখা পড়া নেই। পড়ার সময় কান আর মনের উপর বিশ্বাস রাখি। গানের মত। কান ভালো শুনলে ছন্দ, মাত্রা ভালো, মন ভালো বুঝলে কবিতা ভালো। সেই বিবেচনায় বহুদিন যাবৎ আমার প্রিয় কবিতার নাম ছিলো শাশ্বতী ওই যে যেটায়
'ভরা নদী তার আবেগের প্রতিনিধি/ অবাধ সাগরে উধাও অগাধ থেকে'
লাইন গুলি আছে।
আজ থেকে শাশ্বতীর পাশে যোগ 'হল আষাড় দিনে ভাসি'। অসাধারণ একটি কবিতা। তবে শিরোনামটা ভাল লাগলো না।
তোমাকে অভিবাদন কবি (সম্পাদিত)
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
আজ সেই কবির প্রয়াণ দিবস। মনে আছে, নিশ্চয়ই।
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
শুধু জানতাম ১৯৬০ সালে মৃত্যু। তবে দিনটা জানলাম তোমার কাছ থেকে । ধন্যবাদ
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য ।
(সম্পাদিত)
নাহহ । লিংকটা সছেই না । (সম্পাদিত)
ভাই প্রথমত বলে নিতে হয় নিদারুন আপ্লুত হলাম আপনার মন্তব্যে । এর চেয়ে উত্তম কনো পুরষার আমার জানা নেই ।
আমার ক্ষেত্রেও পঁচানব্বুই ভাগ সময়ে ব্যাপারটা তাই । পাঠের আর কানের ভরসা ও ভালো লাগা ।
তবে ওই পাঁচ ভাগ সময়ে বোদ্ধাজনের ভুত মনে ও মস্তিষ্কে হয়তো চাপে ।
তাই দেখি । তবে পড়বার সময় সেই দেখা তবু চলে, লিখবার সময় তা যেনো আবেগগুলোকে আর স্বতস্ফুর্ত শব্দমালাকে বড্ড বেশী রকম নির্মম কয়েদখানায় ফেলে দিয়ে ছিনতাই করে নেয় তার তাল লয় ভাব গতি সব ।
আপনাকে সশ্রদ্ধ সালাম ।
:boss: :boss:
এর চেয়ে উত্তম কনো পুরষ্কার আমার জানা নেই ।
শিরোনামটা আসলে আমারো মনঃপুত হয়নি ।
দু তিন ভাবে লিখে এটা দিয়ে পোস্ট করে দিয়েছি ।
খুব যথার্থ বলেছেন সাইদুল ভাই ।
আগের জবাবে এটা বলতে গিয়ে মিস করে গিয়েছিলাম ।
আষাঢ় বানানটি ভুল লিখেছি, মোস্তফা, নুপুর দেখার আগেই মুছে ফেলতে চেয়েছিলাম, এখন দেখি মন্তব্য যখন ইচ্ছে সম্পাদনা কয়া যায়না
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
ভাল লেগেছে।
খুব ভাল!!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অনেক ধন্যবাদ বন্ধু ।
মুগ্ধ একটা দুঃখবোধ আছে প্রতিটা চরণে। :boss: :boss: :boss: :boss:
কি এক দুঃখবোধ যেনো আমার বোধের প্রকোষ্ঠে প্রকোষ্ঠে পাকা গেরিলার মতোন ওত পেতে থাকে ।
🙂 🙂
পুরো কবিতাটা যেন অকৃপণভাবে শ্রাবণের অঝোর 'বৃষ্টান্ন' বিলাচ্ছে! মুগ্ধকর!
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
তোমার লিখার মাঝে একটা না একটা চমক আর নতুনের তকমা থাকবেই ।
বৃষ্টান্ন ... সেই সুবাদে রেখে যেতে চাই অকৃপণ । সবার জন্য ।
ওই জলে ভেজা মানে তরতাজা,
ওই জলে ভেজা মানে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা,
ওই জলে ভেজা মানে সব শোক
সব কান্না, সব ব্যাথা, সব নীল
অনায়াসে ধুয়ে নিয়ে বুকের বৃক্ষের
পাতাদের অনাবিল হেসে ওঠা
বাতাসের বিষ মুছে তরতাজা
ঝরঝরে হয়ে ওঠা ...
বৃষ্টান্ন মানে বুকের জমিনে অবারিত ধানখেত সীমাহীন প্রান্তর সবার লাগি অনিমেষ সেধে রাখা ...
ভাই, পুরোপুরি আস্বাদন পাবার জন্য বেশ কয়েকবার পড়তে হল... 😀
দারুণ লাগল, দারুণ! :clap:
দু'টি প্রশ্ন-
১। সাধু-চলিত মিশ্রণ কি ইচ্ছাকৃত? বেশ মানিয়ে গেছে অবশ্য... 😀
২। অপেক্ষার দশ মাস কেন?
কয়েকটি টাইপো চোখে পড়ল-
শালিখ>শালিক, ব্যাথা>ব্যথা, উতপল>উৎপল, অনুসঙ্গ>অনুষঙ্গ
ঝরণা>ঝরনা, নূয়ে>নুয়ে...
নূপুরদা বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম!
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
এই আর এক জন পাওয়া গেলো ।
ভাই । খুব ভালো হলো ।
আমার হলো বিবিধ সমস্যা ।
মোস্ট অব দা টাইম লিখি সেলফোনে ।
যেখানে আমার নামটাই লিখতে পারি না কোনোভাবেই ।
খন্ডত, উওগ, উও, এমন অক্ষরগুলো আসেই না ।
তার উপর আছে চন্দ্রবিন্দু বিভ্রাট । যা না দিতে পারলে কোথাও কোথাও মানেই পালটে যায় ।
পাঠকেরা অনুগ্রহ করে সঠিকটা বুঝে নিয়ে বাঁচান।
আর ওই শিফটের হ্যাপাটা এই জনমে কাটবার নয় ।
তার ওপর তুমি বলাতেও দু এক জায়গায় আমি কিছুই দেখতেও পাচ্ছি না ।
তোমার কমেন্ট থেকে কপি পেস্ট করলাম।
তবে শালিখ টা আমি ইচ্ছে করেই লিখি ।
ভাই এই সাপোর্টটা নূপুর দিতে শুরু করেছিলো ।
এক সময় মনে হলো হাল ছেড়ে দিয়েছে ! 😀
সাধু চলিতের মিশ্রণটি ইচ্ছাকৃত ।
কবিতায় বাংলা, ইংরেজী, এমনকি অন্য ভাষার শব্দ,
সাধু চলিত, আমনকি বানানো নতুন কিসিমের শব্দের ব্যবহারের
স্পর্ধা কবিরা দেখান বটে ।
তা আমারও একটু অমন দুঃসাহস মাঝে মধ্যে ঘটে ।
বারো মাসের বছরে বর্ষাকাল আসে দশ মাস পর পর ।
তাই অপেক্ষার সাত/আট/নয় না হয়ে দশ মাস ।
এমন আলোচনা হলেই মনে হয় ব্লগে লেখা পোস্ট করাটা সার্থকতা পেলো ।
আপনি মোবাইল থেকে টাইপ করেন??!! 😮
খাইছে!! 😕
আপনাকে সশস্ত্র সালাম! 😀 :gulli: ::salute::
'অভ্র স্পেল চেকার' এই ক্ষেত্রে খুব কাজে দেয়।
আপনি যখন কম্পিউটারে বসবেন, পুরোটা একবার চেক করে নিতে পারেন! ৯৯% গ্যারান্টি, ইনশাল্লাহ! 😀
('দশ মাস' ব্যাপারটা ঋতু হিসেবে দিয়েছেন সন্দেহ হয়েছিল...কিন্তু 'আষাঢ় তো মাস'- এটা ভেবে ধোঁকা খেয়ে গিয়েছিলাম!)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আসলে স্পেল চেকারটা ডাউনলোড দেবো ভেবেই জীবনপাত হলো ।
পেরে আর ঊঠলাম না ।
যেটা হয়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বসে খানিক সময় পেলেই হয়তো কিছু পড়লাম এই ব্লগে বা অন্য দু একটা ব্লগ যেগুলোতে ঢু মারি, লেখা পোস্ট করি। চলতে ফিরতে নানান কিছু দেখে বা পড়ে হয়তো কিছু লেখার ভাবনা বা কবিতার লাইন তৈরী হতে থাকে মাথায় । তো সুযোগ পেলেই ভুলে যাবার আগে তা লিখে ফেলি সেলফোনে ।
এই যেমন এই ব্লগেই বেশ কটা কবিতা আছে যা লিখেছি সেলফোনে । প্রেম প্রণয় সিরিজের কিছু এখানে পোস্ট করেছি যার সতেরোটা পর্ব সেলফোনে লেখা । আমার ফেবু স্ট্যাটাস অলমোস্ট অল আর ফ্রম সেলফোন । এই যে রোজা নিয়ে সেদিনের লেখাটা, সেটাও ।
আসলে একটা সময় পর পর এই বর্ষার আগমন বোঝাতে খুব গভীর ভাবনা বাদেই ঝট করে ওই দশ মাসের কথা লেখা ।
এনজয়েড ইয়োর ডিস্কাশান্স ।
চিয়ার্স !
'শালিক' ও 'শালিখ', দুটো বানানই ঠিক বলে জানি। যেমন পাখী, পাখি।
ধন্যবাদ ভাই।
কবিতা অল্পস্বল্প বুঝি ভাই। চাষা লোক। যে টুকুই বুঝলাম, দারুণ।
দোয়েল আর শালিখের চঞ্চুতে
মাখা বালির মতোন
অংগাঙ্গি মিশে হৃদয়ের খোপে
লাইন তিনটা কয়েকবার পড়লাম। সুন্দর।
জাউল্যার ব্যামো বুঝতে তো একটুখানি চাষা-ভুষো না হয়ে উপায় নেই ভায়া ।
মন্তব্যে প্রীত হলাম ।
লাইন কটার উদ্ধৃতিতে ঋদ্ধ ।
অনেক ধন্যবাদ ।
মনে হল, টিনের চাল গড়িয়ে, গাছের পাতা গড়িয়ে আকাশ চুঁয়ে চুঁয়ে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো নরম মাটির বুকে দাগ কেটে কেটে বুকে হেঁটে আমার জানলার পাশ দিয়ে কুলকুল কই জানি ছুটে চলেছে। এস্রাজের উল্লেখ একটানে কবেকার পুরনো, বিলীন যুগে নিয়ে গেছে যেন হ্যাঁচকা টানে।
বৃষ্টি শুনে যাচ্ছি, দেখে যাচ্ছি।
'বাজায়েছে', 'ঝরাবার লাগি' --র প্রয়োগ বাকি কবিতার সঙ্গে কেমন একটা দূরত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
অনেক ধন্যবাদ নূপুর ।
জুনায়েদ কবীর উল্লেখ করেছিলো এমনটা ।
এমন শব্দের ব্যবহার ইচ্ছাকৃত ।
আসলে আমার কিছু কবিতা আছে আঞ্চলিক ভাষায়।
সেই হিসেবে মাঝে মধ্যেই এমন শব্দের ব্যবহারে মনে হচ্ছে আমার এক রকম দুর্বলতা আছে ।
কিন্তু পাঠক প্রতিক্রিয়ায় মনে হচ্ছে প্রচেষ্টাটি বর্জনীয় ।
তবে তাই হোক ।
এখানেই পালটে দিচ্ছি ।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
"লাগি"-টা তবু থেকে গেলো । তাও দু জায়গায় ।
সেইমতো ঝরবার লাগি জলো ছলো
আষাঢ় তুমি আসো কি !
- এটাকে পালটে করা যায় ~
সেইমতো ঝরবার সাধে জলো ছলো
আষাঢ় তুমি আসো কি !
জমানো কান্নারা আজ বুঝি তাই
গোপনে ঝরবার লাগি
- এটাকে পালটে করা যায় ~
জমানো কান্নারা আজ বুঝি তাই
গোপনে ঝরবার জেদে
মতামত দিও ।
মন্তব্য আর কি করবো- :boss:
দু চার ঘা না দিলে যে শীত শীত লাগে ।
😀
দিনোপযোগী কবিতা পড়লাম। খুব ভালো লাগলো।
শেষ স্তবকটা অতি চমৎকার!
আপনার মন্তব্য বরাবরের মতোনই অনুপ্রাণিত করলো। অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।