>> শুক্রবার <<
শুক্রবার দিনটাই আলাদা। যাকে বলা যেতে পারে সাদামাটা একটা ওভারের টানা পাঁচ বল অফ স্পিনের শেষে হঠাৎ এক আশ্চর্য গুগলি। কিংবা মাঝমাঠ থেকে রঙধনুর মত বাঁক নিয়ে জালে জড়ানো ফ্রি-কিক। বিগত রাতের অ্যাকশন ম্যুভির রেশ মেখে সকাল দশটা অবধি শান্তির ঘুম। আবার কখনও নিরিবিলি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ব্যস্ততাহীন সকাল হতে দেখা।
পরিবারের কারো জন্য সপ্তাহের সব ধুলো ঝেড়ে আরামের এক গোসল। শ্যাম্পু করা ঝরঝরে চুল। ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবির কলারে পরিচিত আতরের ঘ্রাণ। দুপুরে অন্যদিনের চেয়ে একটু ভালো খাবার। সাথে অমাবস্যার চাঁদের মত জুটে যাওয়া দুপুরের বিখ্যাত ভাত ঘুম। কারো জন্য পাড়ার মাঠে দুই লিটার কোকের বাজিতে ষোল ওভারের মরণপণ ক্রিকেট ম্যাচ। সংসারের কাজ সেরে পুরনো অ্যালবামে সোনালি অতীত দেখে ঠোঁটের কোণে জেগে ওঠা গৃহিণীর মিষ্টি হাসি।
শুক্রবার মানেই ব্যস্ত নগরীর দূষিত ফুসফুসে এক পশলা বিশুদ্ধ অক্সিজেন। শুক্রবার মানেই আরও সাতটি দিন অর্থপূর্ণ বেঁচে থাকার প্রেরণা। নাগরিক জীবনের ধূসর ক্যানভাসে ছোপ ছোপ জলরঙ। আর আপনমনে সেই রঙে ছবি আঁকার সীমাবদ্ধ অথচ দুর্লভ স্বাধীনতা।
>> বিয়ে <<
কাজ না থাকলে অনেকে অনেক কিছু করে। কেউ ঘুমায়, কেউ টিভি দেখে, কেউ সাজুগুজু করে। আবার কেউ ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়, ছবি দেয়, গুঁতাগুঁতি করে। তবে এক বিশেষ প্রজাতি আছে যারা কাজ না থাকলে দুনিয়ার সব মানুষের “বিয়ে” প্রসঙ্গে হাস্যকর সব সমালোচনা শুরু করে। সেটা আড্ডাতেই হোক, অনলাইনের ভার্চুয়াল জগতেই হোক, কিংবা বাবা-মায়ের সাথে রাতের খাবার টেবিলেই হোক।
আসিফ নজরুল বিয়ে করেছে হুমায়ুন আহমেদের রুপবতী কন্যা শীলা আহমেদকে। তাদের লাইফ, তাদের চয়েস। তাদের ইচ্ছা হয়েছে, তারা বিয়ে করেছে। আপনার কী??
সাকিব আল হাসান বিয়ে করেছে সেমি-বিদেশিনী কন্যা শিশির কে। তাদের লাইফ, তাদের চয়েস। তাদের ইচ্ছা হয়েছে, তারা বিয়ে করেছে। আপনার কী??
হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেছিল শাওন কে। তাদের লাইফ, তাদের চয়েস। তাদের ইচ্ছা হয়েছিল, তারা বিয়ে করেছিল। আপনার কী??
ব্রিটেনের যুবরাজ উইলিয়াম বিয়ে করেছে লাস্যময়ী কেট মিডলটন কে। তাদের লাইফ, তাদের চয়েস। তাদের ইচ্ছা হয়েছে, তারা বিয়ে করেছে। আপনার কী?
শেষকথাঃ আমার বিয়া আমি করুম, যারে খুশি তারে করুম। আপনার কী???
>> রবীন্দ্র সংগীত <<
রবীন্দ্রসংগীত শুধু গান নয়, শুধু সুর নয়, শুধু তাল-লয় কিংবা ভরাট কণ্ঠের গম্ভীর কারুকাজ নয়। রবীন্দ্রসংগীত আমার আশ্রয়। মায়ের তাঁতের শাড়ির কলাপাতা রঙের আঁচলের মতো। বাবার কড়ে আঙুল ধরে ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় কালো পিচের নির্জন রাস্তায় হেঁটে যাবার মতো। হাজার মাইল দূরের মহাদেশের এক টেলিফোন থেকে ভেসে আসা বড়ভাইয়ের কাঁপা কাঁপা গলার আওয়াজের মতো। পাঠ্যবইয়ের মলাটে আর রাফখাতার প্রথম পাতায় গোপনীয় সাংকেতিক ভাষায় লেখা প্রেমিকার ডাকনামের মতো। অন্ধকার মহাসড়ক ধরে ছুটে চলা দূরপাল্লার বাসের আরামদায়ক দুলুনিতে প্রিয় বন্ধুর কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যাবার মতো।
যা কিছু চিরকালের জন্য একান্ত আপন, রবীন্দ্রসংগীত তার সবকিছুর মতো।
>> রাত দশটা <<
রাত দশটা বাজতেই মেয়েদের পেটে কথা জমতে শুরু করে। আর ছেলেদের পেটে জমতে শুরু করে ক্ষুধা। কথা বেশি জমে গেলে মেয়েদের পেটে ব্যথা হয়, মধ্যরাত পর্যন্ত আড্ডা হয়, ফোনে কথা হয়। ক্ষুধা বেশি জমে গেলে ছেলেদের ভালো ঘুম হয়। এক ঘুমে রাত পার হয়, প্রভাত গড়িয়ে বেলা এগারোটার দিকে জ্ঞান ফেরে। দিন পেরিয়ে সূর্য ডোবে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত দশটা বেজে যায় আবার।
রাত দশটা খুবই রহস্যময়।
>> আঠারো বছর বয়স <<
আঠারো বছর বয়সে এমন অনেক কিছুই করা যায় যা বাইশে করা যায় না। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বাইশ-তেইশ-চব্বিশ-পঁচিশে এসে নিজেকে আগাগোড়া বদলে ফেলা অসম্ভব। চৌদ্দ থেকে আঠারোর মাঝের চার বছরে কিশোরী যেমন শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতি হয়ে ওঠে, তেমনি আঠারো বছরের নব্য তরুণ এবং বাইশ বছরের পোঁড় খাওয়া তরুণের মাঝেও কয়েক আলোকবর্ষের দূরত্ব।
বাইশ থেকে পঁচিশের তরুণ তাই চাইলে বলতেই পারে, “সেদ্ধ ডিমে তা দিয়ে কি আর বাচ্চা ফোটানো যায়”!
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:clap: :clap: :clap:
• জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •
ফাঁকিবাজ পোলা :duel:
দোস্ত পরীক্ষা চলে :(( :((
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
লেগস্পিনের মত করে ছোঁড়া অফস্পিন বলকে গুগলি বলে :duel:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মোস্তাফিজ ভাই এর সাথে একমত। অফ স্পিনের ক্ষেত্রে 'দুসরা' বলাটাই যুক্তিযুক্ত।
আর শুক্রবার মানেই আরও সাতটি দিন অর্থপূর্ণ বেঁচে থাকার প্রেরণা।
এটা তো মনে হয় ছয়দিন হবে। কেননা ছয়দিন পরই তো... 😀
যাই হোক, অনেক ভাল লেগেছে... :clap:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
দারুন :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আগে কি পড়েছি দুইচারটা? যাই হোক। বিনোদন পাইলাম! 😀 😀 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সবগুলাই ফেইসবুক থেকে নেয়া, ফাঁকিবাজি পোস্ট 😀
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
:gulli2: :gulli2: :gulli2:
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
হুম।
দার্শনিক কথাবার্তা।