হৃদয়

শিশিরভেজা ঘাস,
সমস্ত জল উড়িয়ে দিয়ে শুষ্ক হয়ে হাসে,
দিনের আলো বাড়তে বাড়তে তীব্র হয়ে আসে।
প্রখর রোদে শরীর ঘামে
তোমার আমার গল্প থামে,
প্রচণ্ড এক অস্থিরতা মাথায় জেঁকে বসে,

মানুষ নামের শ্রেষ্ঠ প্রাণীর,
হৃদয়ে তবু বর্ষা নামে!

রাত্রি গভীর অন্ধকারে
তারার আলো নেভে-জ্বলে,
নিস্তব্ধতা বিনাশব্দে গ্রাস করতে থাকে।
তোমায় ডাকে, আমায় ডাকে,
কিংবা হাতটা ছোঁয়ায় কাকে?
স্বপ্নরা সব ব্যর্থরোষে
ঘুমের ঘোরে হাঁকে।
তারপরও সেই সিক্ত হৃদয়
অপেক্ষাতেই থাকে।

৪,৮৭০ বার দেখা হয়েছে

৮ টি মন্তব্য : “হৃদয়”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    শিশিরভেজা নুয়ে পড়া ঘাসের মতো
    বিন্দুটি পূর্ণতায় চুঁইয়ে পড়বে
    সে আশায় স্বপ্নরা তারার সখ্যে
    রাতের অধিক রাত প্রহরাতীত প্রহর
    নিরন্তর জেগেই থাকে।

    জবাব দিন
  2. প্রত্যর্পন
    -আহসান হাবীব

    আকশের কাছে আমি চেয়েছি উদারতাটুকু তার
    বুক ভরা চাঁদতারার ঐশ্বর্য চাইনি।
    বাতাসের কাছে আমি মহাপ্রলয়ের শক্তি নয়
    উন্মুক্ততাটুকু চেয়েছি, তাও পাইনি।
    বৃষ্টির কাছে শুধু তার রিমঝিম সুরটুকু ছিল চাওয়া,
    মাঠঘাট ডোবা সীমাহীন জল নয়।
    বনানীর কাছে সাধ ছিল তার সজীবতাটুকু পাওয়া,
    সাজনো মাখানো বিশাল অরন্যময়।
    সবশেষে গেছি কুসুমের কাছে পেতে তার সুমিষ্ট সুঘ্রাণ
    চাইনি তার দেহভরা রূপের গৌরব।
    বলেছে কুসুম হেসে, সুরভিটুকুই আমাদের প্রান,
    নিতে পার রূপ তবু পাবেনা সৌরভ।
    শান্ত বিকেলে ক্লান্ত হয়ে ফিরেছি আপন ঘরে
    ভেবেছি কেন এই ছুটোছুটি মিছে?
    আমিতো মানুষ, সবই আছে মোর, শুধু অবহেলা ভরে
    পড়ে আছি আমি সকলের পিছে।
    উদ্ভাসিত উজ্জ্বল সবার চেয়ে বেশী প্রাণের ভেতরে
    দিতে পারি আমিইতো মুক্ত দু'হাতে।
    নিজের ভেতরে লুকিয়ে যা আছে, করতে প্রকাশ হবেই
    আমাকে তা'ই আগামী প্রভাতে।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।