সনাতন ধর্মে ‘টিপ’ ব্যবহার শুরুর দিকে ছিল আধ্যাত্মিক! কপালের “টিপ” তখন “তৃতীয় নয়ন” এর রূপকার্থে মুনি ঋষিদের অলংকৃত করত।
হাজার বছর ধরে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের বাইরেও মানুষ খুজে ফিরেছে “আরও” কিছু। আর সেই ‘আরো কিছু’ যে কি? তার সঠিক হদিস আমাদের সাধারন মানুষের কারো কাছে অবশ্যই নেই, হলফ করে বলতে পারি।
কেও ধ্যান মগ্ন থেকে, কেও নৃত্যে,গীতে,তালে,সুরে,লয়ে,জিকিরে-আজগারে সাধারনকে অতিক্রম করে সেই অতীন্দ্রিয়, ষষ্ঠইন্দ্রিয়ের সাধনায় লিপ্ত। অনেকটা ক্ষ্যাপা’র পরশ পাথরের মত! বিজ্ঞান বা বিশেষ জ্ঞ্যান এই রুদ্ধ দ্বারে বিভিন্ন ভাবে করাঘাত করে, অবশেষে ক্লান্ত হয়েই “প্যরা সাইকোলজি” “প্যরা নরমাল একটিভিটি” “প্যরা সাইন্স” নামোল্লেখ করে “এক্স” ফাইল বোলে বদ্ধ করে রাখে ফাইল।
আসলে ব্যপার যে কি, কে তার সঠিক জবাব দিবে?
একই মানুষ কিভাবে একি সময়ে একি সাথে দুনিয়ার দুই জায়গায় দেখা যাওয়ার দাবি উঠে? কেন হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও প্রকৃত ঘটনা চাক্ষুষ দেখার মত বর্ণনা পাওয়া যায় ?? ভবিষ্যতের ঘটনা অতীত ইতিহাসের মত লিপি বদ্ধ বর্ণনা কিভাবে হাতে আসে????
আমি জানিনা, আমি শুধু হাতে পাওয়া কিছু অব্যাক্ষায়িত বস্তুনিষ্ঠ ঘটনা, ইতিহাস,লিপির উল্ল্যেখ করে, নিজের মত আমার পাঠকদের মনেও প্রশ্নের ফল্গুধারা জাগাতে চাই।
নষ্ট্রডোমাস, শাহ নিয়ামতুল্লাহ এঁরা কি সাধনায় “ভবিষ্যৎ” কে “অতীত” হিসাবে দেখতে পেতেন?
তানসেনের ‘মেঘ মাল্লার রাগ’ এ কেন অসময়ে বৃষ্টি ঝরতো ??
তার ও আনেক অনেক পূর্বে কি করে নতুন তারার উদয় দেখে মুনিষিরা যীশুর আবির্ভাবের ভবিষ্যৎ বানী করেন??
পারস্যের চার হাজার বছরের প্রজ্বলিত অগ্নিপুজারকদের অগ্নিশিখা ও পুজা মন্দপ ভুমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় কার আগমনবার্তায় ভীত কম্পমান মন্তব্য রাখেন রাজ পুরোহিত??
তারও অনেক অনেক আগে, প্রায় ৩০০০ হাজার বছর পূর্বে প্রাচিনতম ইতিহাসে ‘গৌতম বুদ্ধের’ জন্ম বিত্যান্তে বস্তুনিষ্ঠ অতীন্দ্রিয়ের যে বিষয়াদির বিবরণ পাওয়া যায়, তাঁরই বা ব্যাক্ষা কি ???
গৌতমের গর্ভধারনের রাত্রিতে মা ‘রানী মহামায়া’ একটি ‘ছয় দাঁত যুক্ত সাদা হাতি’ ওঁর ডান কোলে স্থান করে নেয়ার স্বপ্নে দেখেন। যার দশ মাস পর শিশু সিদ্ধার্থের জন্ম হয়।
শিশুটি ভূমিষ্ঠের পর পরই, রাজ গুরু ‘শির আসিত’ পর্বত থেকে নেমে ঘোষণা দেন যে শিশু সিদ্ধার্থ হয় মহান ‘নৃপতি’, না হয় “জগদ্বিখ্যাত ধার্মিক” হিসাবে পৃথিবীতে স্বরনীয় হয়ে থাকবেন, এরই বা কি ব্যাক্ষা আছে আমাদের কাছে ?
সবশেষে ২৯ বছরের রাজপুত্র যখন স্ত্রী পুত্র ফেলে কপিলাবস্তু ত্যাগ করে নিরুদ্দেশ হন, বছর পার হবার পর পিতার নিকট তার সন্তান গৌতমের মৃত্যুর খবর আসে, ‘রাজা শুদ্ধদানা’ সাথে সাথে ধ্যান মগ্ন হন এবং বেশ কিছুদিন ধ্যানমগ্ন থাকার পর স্থিরসিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, তাঁর সন্তানের মৃত্যু সংবাদ সর্বৈব মিথ্যা। কারন হিসাবে তিনি ধ্যানমগ্ন অবস্থায় নিজের বিগত জীবন তন্ন তন্ন করে সম্পূর্ণ খুজেও কৃত কোন পাপ খুজে পাননি যে পাপের সাজা,পিতার জব্দশায় সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ হতে পারে ! তাই এই মিথ্যা সংবাদে তিনি বিচলিত হলেন না।কোন অতীন্দ্রিয় ক্ষমতায় তার এই দৃঢ় সিদ্ধান্ত?
আমি জানিনা ।লাখো প্রশ্নে আমিও হাবুডুবু খাই!
নবী-পয়গম্বর-দেবদূতদের সময় পেড়িয়ে আমদের এই বিজ্ঞান মনস্ক মন এর কোন উত্তর খুজে পায়না!
কেন এখনো দেশীয় বাংলা ছবির একটি জনপ্রিয় সিন হয়ঃ শহুরে ছেলে গাড়ী এক্সিডেন্টে, গ্রামে থাকা মা’র হাত থেকে গ্লাশ বা থালাটা পড়ে যায় মাটিতে।ছেলের অকল্যানে মার বুকটি হঠাৎ কেন কেঁপে উঠে???
বিনি সুতার কি সেই মালা?
নাস্তিকবাদীরা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে খালাস। আর বিজ্ঞান ‘প্যরা নরমাল বিহেভিয়ার’ হিসাবে রেখা টেনে শেষ!
আমরা যারা ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে আছি, তাদের জন্যে অনেক কিছুর ব্যাক্ষাই সহজ।আধ্যাত্মিক শক্তি, ঈশ্বরের সাধনা লব্ধ দৈব শক্তি এসবের একটা সহজ সমাধান দেয়, তবুও অনেক প্রশ্নের জট কিছুতেই খুলে না।
আমার মত অনেক ক্ষ্যপাই খুজে ফিরে পরশ পাথর! অনেক ক্ষ্যাপা ‘আট-নয়-দশ রশিতে’ ধন্যা দিয়ে সিদ্ধি লাভ করতে চায়। কোটিতে এক-আধ জন সংস্পর্শে আসে ‘পরশ পাথরের’ আর বাকিরা নকল হীরা পেয়েই খুশি।
আসল নকল বিচারের যোগ্যতা যেহেতু আমার নেই, তাই দূর থেকে শত কোটি সালাম।
পুনশ্চঃ আর আসল হীরা, সেতো অত্যন্ত সুরক্ষিত। একেবারেও যে দেখা মিলেনি সেটাও হয়তো সঠিক নয়!কিন্তু গরিবের ভাঙা ঘরে কি আর ‘চাঁদের আলো’ আটকে রাখা যায়?
সুস্থ মানুষ বাবাকে ঢাকা নেয়ার আগে বললেনঃ এটাই ওঁর শেষ যাত্রা। তখন মনক্ষুন্ন হলেও মাস খানেকের মধ্যে একশত ভাগ সত্যি হয়ে ফলেছে! যদিও আমি ভবিষ্যৎ বানীর বিশ্বাসী নই, আজ, চমৎকার স্বাস্থের অধিকারী/অধিকারীনি “ইন ‘ল” দের ব্যপারে একই কথা বলা হোল।মনটাকে শক্ত করি।দেখি কি হয়!
For more Info: Naimatullah Shah Wali’s predictions. http://www.davidicke.com/forum/showthread.php?t=69785
আপনার ইন ল-রা কি অসুস্থ আজিজ ভাই?
কামনা করি ওঁরা সুস্থ হয়ে উঠুন সব ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যে প্রমাণ করে।
নুপুর, তোমার সাথে কথা বলে চমৎকার লাগলো। তোমার মেয়েটিকেও!
আমার ইন 'লা রা তো এমনিতে শারীরিক দিক থেকে চমৎকার, বয়সজনিত টুক টাক সমস্যাতো আছেই।
যেই এরিনায় আমার কোনই দখল নেই, অন্ধকার হাতড়ানোর চাইতে, দূর থেকে নমস্কার দিয়ে 'একশত হাত তফাতেই থাকতে চাই'!
তবে একটা ঘটনা তোমাকে না লিখলেই নয়! একদিন সকাল এগারটার দিকে অফিসে ফোন এলো, আমার ম্যানেজার এর বাবা একটু আসুস্থ, ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে।
তক্ষনই গেলাম। দেখি একদম সুস্থ মানুষ বিছানায় পা দুলিয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। উচ্চ স্বরে হোহহো হাহা করে হাসছেন। সেই ভদ্রলোক সাথে ছিলেন, আমাকে একপাশে ডেকে নিয়ে বললেন,উনি আর বেশি ক্ষন নেই।
আমি অবাক হয়ে শুধু তাকিয়ে রইলাম। এমন একটি কথা ম্যানেজার কে কি করে বলি? ফিরে আসার সময় ম্যানেজার এর সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু কে কথাটা বলে, ওকে কাছে কাছে থাকতে বলে আসলাম। দুপুর একটা নাগাদ একা টয়লেটে যেয়ে উনি শেষ!
এর কি ব্যক্ষা আছে তোমার কাছে ???
ভাল থেকো। (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
Smile n live, help let others do!
আমারো খুব ভালো লেগেছে আজিজ ভাই। আপনার সাথে সাথে আমি যেন চিটাগাং মেডিকেলের আশেপাশের সেই স্থান আর কাল এ পৌঁছে গেলাম। কোনদিন না দেখেও আপনাকে অনেক চেনা মনে হচ্ছিলো।চিটাগাং এ গেলে আপনার বাসা থেকে ভরপেট না খেয়ে কিছুতেই আসবোনা। 😀
অদ্ভুত ঘটনা আমার জীবনেও কম নেই, রেশনালি যাকে ব্যাখ্যা করতে পারিনা।
তবে কোন না কোনভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে বলে আমার মনে হয়। আজ যার উত্তর আমার কাছে নেই, ভবিষ্যতে তার হয়তো খুব গ্রহণযোগ্য জলবৎ তরলং ব্যাখ্যা থাকবে।
আপনি স্পিরিচুয়াল মানুষ। যা কিছু এখানে বলেন তার সবকিছুর সাথে সবসময় একমত পোষণ না করলেও আপনার মনটাকে যেন পড়া যায়। মনে হয়, অনেক পোড় খেয়ে অনেক দেখে এ অবস্থায় থিতু হয়েছেন।ব্যাখ্যাতীত ঈশ্বরের চেয়ে আমারদের ভেতরের ঈশ্বর অনেক বড়- এটা আপনার দর্শন বলে আমার মনে হয়েছে।ভুল হলে শুধরে দেবেন।
সহমত দাদা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নূপুর, শুধু ভরাপেট খাবার না, বাসায় রেখে আথিতিয়েতা করার সুযোগ পেলে আনন্দিত হব। সেই সুযোগে তোমাদের নতুন ধ্যান ধারনা ও কিছু যেনে নিতে পারবো !
Smile n live, help let others do!
সহমত নই।
সময় করে আমার কথা লিখবো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব, আমিও এসব ব্যাপারে কিছুই বুঝিনা বলে "এক্স ফাইল" হিসাবে বন্ধ করে রেখেছি। এমন অনেক ঘটনা আছে যার সত্যি কোন ব্যখ্যা আমার কাছে নেই ! যদি তোমাদের কাছে কোন ব্যাখ্যা থাকে!
ছোট ছেলের গ্রেজুয়েশনে 'কার্ডিফ' এ আসছি। সেল নম্বর জানিও, আর কার্ডিফে চলে এসো।বিতর্কে বিনিদ্র রজনী অতিবাহিত করা যাবে। LOL!
Smile n live, help let others do!
আমার নাম্বার ভাইয়া ০৭৮৭৭০৭৭৪২৭
আর আপনি তো ফেসবুকে আছেনই।
কিছু একটা ঘটনা আছে এইটা আমিও মানি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আজিজ ভাই, এইটা আজকের প্রথম আলোয় আসা একটা আর্টিকেলের একসার্পট। কি বলবেন এটাকে, অতীন্দ্রিয়, ষষ্ঠইন্দ্রিয় না ভবিষ্যতবানী নাকি অভিশাপ????? বিজ্ঞানই বা কি বলবে???? B-)
শিশির, ভাই আমি আসলেই জানিনা। তোমার মত আমারো লক্ষ প্রশ্ন। তবে একটু বয়স বেশির কারনে, হয়ত এরকম কিছু 'আজব ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা' আমি কিছু বেশি প্রত্যক্ষ করেছি। যা এখানে আর লিখতে চাইনা।
(কারন কেউ কেউ আবার বাতাসে জীনদের নাক খুজে বেড়াবে! LOL!)
তবে একটা কথা আজ তোমাকে লিখতে পারি, সারা জনম এই 'অবোধ্য জগত' টা আমাকে আকর্ষণ করেছে। তাতে করে মাঝে মাঝে এমন সমস্ত ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি, যার উত্তর বা ব্যক্ষা কেউ আমাকে দিতে পারেনি।
ঘটনা গুলি ১০০ ভাগ সততা রেখে এই ব্লগে লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু "অতি সাধুতে যেমন গাজন নষ্ট, তেমনি অতি জ্ঞানি-বিজ্ঞানিতেও... নষ্ট" দেখে ক্ষ্যন্ত দিয়েছি।
তোমরাই এর কোন যুক্তি গ্রাহ্য সমাধান খুজে বের করে দাও না!
শুনেছি 'এপোলো ১১' থেকে প্রতিটি মিশনে চাঁদ টু পৃথিবী "ট্যালীপ্যথিক কমোনিকেশান" বিষয়টা জুড়ে দেয়া হয়েছিল, এবং বিস্ময়কর 'ডেটা' সংগ্রহীত হয়েছিল। সম্ভব হলে জোগাড় করো, আমার সাথেও শেয়ার করো!
Smile n live, help let others do!
বস, যারা এইগুলাতে বিশ্বাস করেনা তাদের বিশ্বাস, আবারো বলছি বিশ্বাস, যে একদিন বিজ্ঞান এইগুলার ব্যাখ্যা অবশ্যই দিতে সক্ষম হবে। বিজ্ঞানের প্রতি কি অবাধ বিশ্বাস। বিশ্বাস করে সবাই, দোষ শুধু আস্তিকদের।