শুনে বাবা খুশী হওয়ার বদলে গম্ভীর হয়ে পড়লেন।কারন টা দুদিনেই বুঝা গেল। আবার গ্রামে আর্মি আসছে।এবং এবার আর ফ্রেন্ডলি নয়।দুদিনেই গ্রামটার প্রান চঞ্চল্ল্য কোথায় যেন হারিয়ে গেল। কেমন থমথমে হয়ে পড়লো। শিশুরা কান্না করলে ও “আর্মি আসছে” বলে চুপ করানো হয়।
বর্ষার থৈ থৈ পানি চারিদিকে। রাস্তা ঘাট থক্-থকে কাঁদায় ভরপুর। আর্মিরা পারত পক্ষে থানা থেকে বেরুতে চাইতো না। সুদৃঢ় ব্যাংকার পরিবেষ্টিত হয়ে থানায়ই থাকা নিরাপদ মনে করতো। হয়তো একজন মেজর এর তত্ত্বাবোধনে এক প্লাটুন নিয়মিত সৈন্য , সাথে কিছু মিলিশিয়া ও রাজাকার । একদিন দুপুরে বাজারের কাঁচা রাস্তা ধরে লাইন করে পূর্ব দিকে এগিয়ে আসছে শুনলাম একদল আর্মি । আমাদেরই বাড়ীর দিকে। রাজাকাররা “হাজী বাড়ী” যাবার রাস্তার খোজ জানতে ছেয়েছিল, এক বুড়ো ওদের উল্টা রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে, বাড়ী বয়ে এসে খবর দিয়ে গেলো। আর আমরাও দশ মিনিটের মধ্যে বাড়ীর পিছনের খালে বাঁধা নৌকায় চড়ে বসলাম। জঙ্গলাকীর্ণ খাল বেয়ে নৌকা এগিয়ে চলল।
হাজী বাড়ী। সেই হাঁটা পথে হজ্জ গমনের সময় থেকে হাজী বলে, এই নাম। রাস্তা থেকে শাণ বাধানো পুকুর ঘাট, পার্শ্বে গত শতক এর ঐতিজ্জ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা থামওয়ালা মসজিদ,কাচারি ঘর, নকশী ফুল-পাতা বাহারি খিলান, কারুকাজ্জোময় সুবৃহৎ দোতালা দালান। কার না চোখ জুড়ায়।
সারা বাড়িতে কেও নেই। শুধু মসজিদ থেকে ইমাম সাহেব জহুরের নামাজ পরে বেরুতেই মেজর সাহেব সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন “উর্দু বাত আতা হ্যাঁয় ? ইমাম সাহেব না বলাতে পার্শ্বে দাঁড়ানো একদম বাচ্চা বয়সী সেকেন্ড লেফটেনেন্ট ছেলেটি পরিষ্কার বাংলায় প্রশ্ন করল ” চেয়ারম্যান সাহেব কোথায় ? তাকে আমাদের জরুরি প্রয়োজন। ইমাম সাহেব বললেন “উনিতো অসুস্থ, তাই ঢাকা গেছেন চিকিৎসা করাতে।
মেজর সাহেবের সাথে পরামর্শ করে এক সপ্তাহর সময় দিয়ে বললেন, এর মধ্যে উনি আমাদের সাথে দেখা না করলে ঠিক এক সপ্তাহ পর আমরা এসে বাড়ী জ্বালিয়ে দিব। দয়া করে খবরটা পৌছাবেন । কোন খারাপ ব্যাবহার না করে ওরা ফিরত গেল। আমরাও আবার বাড়ী ফিরলাম।
নিরুপদ্রবে চলতে লাগল দিন। বাড়িতে সকালবিকাল “খতম এ শাফা” পরা্ চলছে । বিপদ বালাই দূর হওয়ার জন্য। কোথা থেকে বোতল ভরতি তেঁতুলের বিচি আসলো লাখে লাখে।শতরঞ্জি বিছিয়ে দু পার্শ্বে বসে তেঁতুল বিচি pass-on game.
হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে উদ্ধার পেয়েছিলেন যে দোয়া পরে। এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বারে এক খতম।
বড়দের মধ্যে অনবরত মিটিং চলছিল। কিন্তু সিধান্তে পৌঁছানো যাচ্ছিলোনা। মুক্তি বাহিনীরা ও খবর পাঠিয়েছে, চেয়ারম্যান সাহেব কোন অবস্তায় ই যেন আর্মি কে ধরা না দেন। দিলে খুবি ক্ষতি হবে। প্রান হারানোর সমূহ সম্ভবনা ও আছে।এই নিয়ে পখে বিপক্ষে বিতর্ক। তবে আমার বাবা সত্যি বিচক্ষন ব্যক্তি ছিলেন। বড় ভাই হিসাবে মতামত দিতে গিয়ে উনি মুক্তি বাহিনীদের নির্দেশ পালন করতে বললেন।কারন হিশেবে বললেন, বিদেশিদের হাত থেকে জানে বাঁচা গেলেও দেশের মানুষ থেকে কিছুতেই পার পাওয়া যাবেনা।
শুধু খবর নয়, গভীর রাতে চাঁদরে মুখ ঢাকা ছায়া মূর্তিদের আবির্ভাব ঘটতে লাগল । ফিস ফিস কথা, কানাঘুষা। এরাই নাকি মুক্তি বাহিনী। জীবনে প্রথম দেখলাম। খোঁচা খোঁচা দাড়ি ভরতি তিন চারটি মলিন মুখ। বুদ্ধি দীপ্ত চোখ জ্বলজ্বল করছে । আহা মনে হয় কতদিন ভাল করে খায়নি। যিনি এদের কমান্ডার, উনি আমার ছোট চাচার বন্ধু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে একসাথে পড়তো। মান্নান খাঁন, আমার কিশোর মনে ছাপ ফেলা একটি মুখ।
গ্রীষ্ম কালেও চাদর এ আবৃত থাকার ব্যাপারটা বুঝা গেল অশ্রের নল উঁকি দেয়ায় । এরা প্রত্যেকে সশস্র।
অনেক আলোচনার পর বাবা-ছোট চাচা বুঝাতে সক্ষম হলেন যে মেঝো চাচা প্রথম অবস্তায় আর্মি দের ডাকে সারা দিয়ে একদিকে যেমন ভুল করেছিলেন, অন্যদিকে সেই hit of the moment এ তাদেরকে ‘হিন্দু নেই, মুক্তি নেই’ বলে ভুল তথ্য সরবরাহ করে হাজার গ্রামবাসীর জান- মাল বাঁচিয়ে ছিলেন । তাই কৃত অপরাধ (?),যদি হয়েই থাকে তাহলে এই অপরাধ ক্ষমার যোগ্য।
আর ক্ষমা মিলবে , তবে মাশুল দিতে হবে। দেশের প্রতি, মুক্তি যুদ্ধের প্রতি সহানুশিল হয়ে নিজেদের মালিকানার সব অশ্র-শস্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা দের সহায়তা করতে হবে । বাবা সানন্দে রাজি হলেন।
আমাদের উপর ভার পড়ল দোনালা, একনালা রেমিংটন বন্দুক দুইটা নিয়ে আসা, এবং টোটা গুলী চটের বস্তায় ভর্তি করা। বাঘ মারা স্পেশাল এক্সপ্লোসিভ ভরা ‘পেলেট গুলি’ গুলাও বাদ গেলনা। বাদ গেলনা, চাচার ‘ওয়েব্লি স্কট রিভোলবার’ ও ‘টু টু বোর চাইনীজ রাইফেলটা’ ও। নিচের নলে ২২ টা শর্ট রেঞ্জ গুলি অথবা ১৮টা লং রাঞ্জ গুলী ভরে সেমি অটোম্যাটিক মোডে ব্রাশ ফাইয়ার করা যায়।
‘রিভোলবার’ ও ‘ পয়েন্ট টু টু বোর’ চাইনীজ রাইফেলটা দিতে বুক ফেটে কান্না পাচ্ছিলো আমাদের। দাদার আমলের গাঁদা বন্দুক নিয়ে যায় যাক, কিন্তু চকচকে নতুন রাইফেল ও কালো কুঁচ কুচে কালো রিভল্বার টাও? চোখে পানি এসে যাচ্ছিলো আমাদের দুই ভাই এর। বাবা সান্ত্বনা দিলেন, অল্প দিনে দেশ স্বাধীন হলেই ফিরে পাবো আমাদের সব অশ্র।
আমরাও দোয়া করতে লাগলাম আল্লাহ্ জেনো শিঘ্রহি দেশটা স্বাধীন করে দেন ।
(চলবে)
এক নিমিশে পড়ে ফেললাম, এবার পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে কিছুদিন ছুটি চাচ্ছি । সপ্তাহ-দশ দিন! আর মেক্সিম্যাম দুই/তিন টা পর্ব লিখে শেষ করবো ভাবছি। স্বাধীনতার ঘটনাবলির প্রতি পরবর্তী প্রজন্মের এত আগ্রহও নেই! একবার লিখতে শুরু করায়, শেষ না করেও পারছিনা! দেখা যাক হয়তো ভবিষ্যতে শৈশবের স্মৃতি চারন বই লিখলে কাজে দিবে!!!!!!
Smile n live, help let others do!
ভাইয়া, শুভেচ্ছা নিবেন।
আপনার প্রতিটি পর্ব খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। (যদিও কখনও কমেন্ট করিনি)
আপনার লেখায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে তেমন কমেন্ট নেই বলে হয়তো আপনার লেখার প্রতি উত্সাহ কমে যাচ্ছে। সেজন্য পাঠক হিসেবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
স্বাধীনতা এবং এর পরবর্তী ঘটনাবলির প্রতি অন্তত আমার আগ্রহ আছে। আমার ধারনা সিসিবিতে আমার মতো আরো অনেকেই আছে যারা শুধু চুপচাপ পড়ে যায় এবং আগ্রহ নিয়েই পড়ে।
স্বাধীনতার ইতিহাস কিছুটা জানলেও পরবর্তী ১৫বছর আমার কাছে বিরাট ধোঁয়াশা। আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু শিখছি এবং জানছি। সুতরাং, প্লিজ আপনি লেখা চালিয়ে যাবেন।
শুভকামনা রইল।
স্বাধীনতার পরবর্তী ৫~৭ টা বছর এদেশের ভাগ্য নিয়ে যে কি ছিনি মিনি খেলা হয়েছে! একমাত্র আল্লাহ আমাদের সহায় ছিলেন, হয়তো সে জন্যে রুয়ান্ডা, সোমালিয়ার ভাগ্য আমাদের বরান করতে হয় নাই। (যদিও প্রতি মাসে অভুক্ত মৃত্যুর ৪/৫০০ লাশ, সর্বোচ্চ ৮৭৯ টি মৃত দেহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম ঢাকা শহর থেকে সৎকার করেন।)
তথ্য সূত্রঃ
দেখা যাক, প্রখ্যাত তথ্য-অনুসন্ধানী সাংবাদিক জন পিলজার ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কে কি বলেছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালের ১৭ই ডিসেম্বর লন্ডনের ডেইলী মিরর পত্রিকায় লিখেছেনঃ
“একটি তিন বছরের শিশু -এত শুকনো যে মনে হল যেন মায়ের পেটে থাকাকালীন অবস্থায় ফিরে গেছে। আমি তার হাতটা ধরলাম। মনে হল তার চামড়া আমার আঙ্গুলে মোমের মত লেগে গেছে। এই দুর্ভিক্ষের আর একটি ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান এই যে, বিশ্বস্বাস্থ্ সংস্থার মতে ৫০ লাখ মহিলা আজ নগ্ন দেহ। পরিধেয় বস্ত্র বিক্রি করে তারা চাল কিনে খেয়েছে।”
পিলজারের সে বক্তব্য এবং বিশ্বস্বাস্থ সংস্থার সে অভিমতের প্রমাণ মেলে ইত্তেফাকের একটি রিপোর্টে। উত্তর বংগের এক জেলেপাড়ার বস্ত্রহীন বাসন্তি জাল পড়ে লজ্জা ঢেকেছিল। সে ছবি ইত্তেফাক ছেপেছিল। পিলজার আরো লিখেছেন,
“সন্ধা ঘনিয়ে আসছে এবং গাড়ী আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম-এর লরীর পিছনে পিছনে চলেছে। এই সমিতি ঢাকার রাস্তা থেকে দুর্ভিক্ষের শেষ শিকারটিকে কুড়িয়ে তুলে নেয়। সমিতির ডাইরেক্টর ডাঃ আব্দুল ওয়াহিদ জানালেন,“স্বাভাবিক সময়ে আমরা হয়ত কয়েক জন ভিখারীর মৃতদেহ কুড়িয়ে থাকি। কিন্তু এখন মাসে অন্ততঃ ৬০০ লাশ কুড়াচ্ছি- সবই অনাহার জনিত মৃত্যু।”
লন্ডনের “ডেইলী টেলিগ্রাফ” ১৯৭৫ সালের ৬ই জানুয়ারী ছেপেছিল,
“গ্রাম বাংলায় প্রচুর ফসল হওয়া সত্ত্বেও একটি ইসলামিক কল্যাণ সমিতি (আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম) গত মাসে ঢাকার রাস্তা,রেল স্টেশন ও হাসাপাতালগুলোর মর্গ থেকে মোট ৮৭৯টি মৃতদেহ কুড়িয়ে দাফন করেছে। এরা সবাই অনাহারে মরেছে। সমিতিটি ১৯৭৪ সালের শেষার্ধে ২৫৪৩টি লাশ কুড়িয়েছে- সবগুলি বেওয়ারিশ। এগুলোর মধ্যে দেড় হাজারেরও বেশী রাস্তা থেকে কুড়ানো। ডিসেম্বরের মৃতের সংখ্যা জুলাইয়ের সংখ্যার সাতগুণ।.. (সম্পাদিত)
Smile n live, help let others do!
By the way, উপরে উল্লেখিত সেই অকূতভয় মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার "মানান খান" আজকের গণপূর্ত মন্ত্রী !ওঁর দীর্ঘ দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের সফলতা কামনা করছি!
Smile n live, help let others do!
ভাইয়া,
আগ্রহ নাই কে বলেছে ? প্রতিদিন আপনার post পড়ি।অফিসের যত কাজ থাক না কেন এক বার হলেও ব্লগে আসি।তাই অপেক্ষায় রইলাম।আর মুক্তিযুদ্ধ যদি বিষয় হয় তাহলে পড়ে বেশ ভাল লাগে।কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পোষ্ট কনেক কম।তাই আশা করি লিখে যাবেন।ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাই। ইনশাল্লাহ ঈদের বন্ধে, আর দু/তিন পর্ব লিখে, লিখাটা শেষ করতে পারবো।
Smile n live, help let others do!
ভাইয়া আসলে কমেন্ট করতে খুব অস্বস্তি হয়, সিসিবিতে এ ধরণের পোস্টগুলো এত তথ্যবহুল আর বাস্তব জীবনের কাছাকছি, যে থ হয়ে যেতে হয়। ব্লাড বা কারও চিকিৎসায় সাহায্যের পোস্টে দেখবেন কমেন্ট কম পড়ে। তার জন্য যে কেউ ব্লাড বা সাহায্য দিচ্ছে না তা কিন্তু না। বরঞ্চ তুলনামূলক ভাবে সাহায্য বা ব্লাডের পোস্টে আমি সবচেয়ে বেশি রেসপন্স পেয়েছি সিসিবি থেকে। মানুষজন পড়ে, সাধ্যমত সাহায্যও করে, কিন্তু এই ধরণের পোস্টে উপস্থিতিটা জানান দিতে অস্বস্তি হয়। আপনার পোস্টেরও সেই টাইপ দশা। এই লেখাগুলো পড়ার পর কি লিখবো? অসাধারণ হয়েছে? কিছু মানুষের অসীম প্রতিকূলতা নিয়ে লেখা একটা লেখায় 'অসাধারণ' শব্দটা কেমনে ব্যবহার করে? আবার, লিখবো, খুব টাচি লাগলো? কেমন যেন ইয়ো ইয়ো লাগতেসে...যদি লিখি, মন ছুঁইয়ে গেলো, কেমন কবি কবি লাগে... 😛
আপনার লেখায় অনেক আগ্রহ পাচ্ছি ভাইয়া...কেউ আগ্রহ পাচ্ছে না-আপনার ভুল ধারণা এটা। সকালেও পড়ে গেছি একবার। এখন আবার পড়তে এসে আপনার এই মন্তব্য দেখে বিশাল কমেন্ট করে ফেললাম... 😛 (সম্পাদিত)
সামিয়া ,স্বাধীনতার উপর লিখাটা আসলে অনেকটা ..." হাতী ঘোড়া গেল তল, গাধা বলে কত জল!" টাইপের ! অর্থাৎ দুনিয়ার তাবৎ বড় বড় লিখকের লিখা শেষে, আমি গাঁধা বলি কত জল! গোছের ব্যাপার।
এটা নিছক আমার নিজেস্ব ' জাবর কাটা ' বা ' চর্বিত চর্বণ ' বই আরতো কিছু নয়!!!
তবে আমার মতো করে যতটা সম্ভব ছোট ছোট ইনফরমেশন ঢুকাতে চেষ্টা করেছি, যেগুলি ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। যেমনঃ তখন পেট্রোল এর গ্যালন ছিল বার আনা , টয়োটা নতুন (RT-40 Model) গাড়ীর দাম ছিল বার হাজার টাকা , স্বর্ণের ভরি দেড় শত টাকা ইত্যাদি। বেশ মজার, তাইনা? (সম্পাদিত) (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
Smile n live, help let others do!
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জাবর কাটা বা চর্বিত চর্বন বলে কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি মূহুর্ত একেকটি ইতিহাস, আর যারা এর সাক্ষী এটা তাদের দায়িত্ব অন্যের কাছে তুলে ধরা।
এইসব টুকরো টুকরো লেখাই হয়ত একসময় কারো গবেষনার কাজে লেগে যাবে। এই যেমন আপনার লেখায় মুক্তিযোদ্ধা মান্নানের কথা এসেছে এখনকার মন্ত্রী।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেকোন লেখাই অনেক আগ্রহনিয়ে পড়ি, প্রতিটি লেখায় সেই সময়ের মানুষের ভাবনা, দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্খা সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহের ভিতর দিয়ে খুজে ফিরি। ভাল লাগছে, অপেক্ষায় রইলাম..
আপনার এই কথার সাথে একমত নই। আপনার প্রতিটি লেখাই গভীর মনোযোগের সাথে পরছি ভাইয়া।কমেন্ট করার ব্যাপারে সামিয়া আপুর সাথে একমত।