আমার দাদা ছিলেন ভ্রমন পিপাসু একজন দরবেশ টাইপের মানুষ। এমনকি তিনি পায়ে হেঁটে সুদূর মক্কা পর্যন্ত গিয়েছিলেন হজ্জ আদায় করতে। আমার বাবা এক্ষেত্রে একেবারেই বিপরীত, তিনি জীবনেও বাংলার বাইরে কোথাও যাননি। আমিও পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছি টানা তেত্রিশ বছর পর্যন্ত। কল্পনায় চষে বেড়িয়েছি সারা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড অথচ বাংলার বাইরে কোথাও এক পাও ফেলা হয়নি । কলকাতা আর দার্জিলিং গিয়েছিলাম বৈকি – কিন্ত তাওতো ঘুরে ফিরে ওই বাংলার মধ্যেই। মনে মনে নিজেকে ‘স্বপন বিহারী ব্রহ্মচারী’ উপাধি দিয়েছিলাম। তো সেই আমিই একদিন দুম করেই স্ত্রী-কন্যা(অনাগত) সমেত সপরিবারে বিলাত রওনা দিলাম, স্থায়ী ভাবে থেকে যাবার জন্য। এই তেত্রিশ বছর বয়েসে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলাম তা আরেক ইতিহাস, পরে সুযোগ পেলে বলতে পারি।
ঢাকা থেকে চেপে বসলাম ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এর বিমানে। আমি বলি ‘দাজ্জালের গাধা – এক এক লাফে চল্লিশ দিনের পথ পাড়ি দেয়। তো সেই গাধা চালক ‘গাধওয়ান’ এর সাঙ্গপাঙ্গরা অনেক ওয়াজ-নসিহত করে সবাইকে সেই গাধায় চড়ার সহি তরিকা শেখানোর পরে গাধা দিল লাফ। ধাঁই ধাঁই করে উপরে উঠতে লাগলো উপরে, সীটের সাথে লাগান মনিটরে ভেসে উঠছে উচ্চতা, তাপমাত্রা ইত্যাদি। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণের জিনিস ছিল মানচিত্রের উপর উড়োজাহাজের আপেক্ষিক অবস্থান। ছোটবেলায় বাবার মুখে এই জিনিষটার গল্প শুনেছি, ইন্ডিয়ানা জোনস এ দেখেছি, এখন একেবারে চর্মচক্ষে দেখতে পাচ্ছি। রাজশাহী এলাকার উপর দিয়ে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে কিছুটা উত্তর ঘেঁসে পশ্চিমের পানে ছুটে যাচ্ছি। হঠাৎ ইন্টারকমে পাইলট জানালো যে আমাদের ডান পাশে অদূরেই যে চূড়াটা দেখা জাচ্ছে সেটিই মাউন্ট এভারেস্ট! ডান দিকের সারির সবাই জানালায় হুমড়ি খেয়ে পড়লো। পোড়া কপাল আমার, আমদের সীট যে বাম দিকের সারিতে পরেছে! এতদিনে বুঝলাম দেশে বামপন্থীদের জনসমর্থন এত কম কেন। কী আর করা, পাছে যদি আবার পুরো বিমানটাই ডান দিকে কাত হয়ে যায়, সেই ভয়েই হোক কিম্বা ফ্লোর-ক্রসিং এ অনীহা থেকেই হোক, সীট থেকে উঠে ডান পাশে আর গেলাম না। বিমান দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, কাশ্মীর, পাকিস্তান পেরিয়ে আফগান মুলুকের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়লো। তখন আফগান মুলুকের বাতাস অনেক গরম, মনে মনে একটু ভয়ই পাচ্ছিলাম, দু একটা মিসাইল টিসাইল ছুঁড়ে দেবে নাতো? আবার মনে উঁকি দিচ্ছিল মুজতবা আলীর কথা। এই মুলুকেই তিনি এসেছিলেন, থেকেছিলেন, প্রেমেও পড়েছিলেন। আবার পরক্ষনেই মনিটরে তাকিয়ে দেখি আর মনে মনে চিন্তা করি এ দেশের সীমানা পেরোবার কত দেরী পাঞ্জেরী?
দশ ঘণ্টা পরে দুপুর একটার সময় হিথরোতে নামলো, আগেই বলেছি, দাজ্জালের গাধা, এক লাফে ঢাকা থেকে লন্ডন! রামায়নের বীর হনূমানও এক লাফে এতদূর পাড়ি দিতে পারতো কিনা সন্দেহ। যাহোক, দিনটা ছিল ৩১শে মার্চ ২০০৭, গ্রীস্ম প্রায় সমাগত। উড়োজাহাজের দরজা দিয়ে বেরুতেই ঠাণ্ডা বাতাসের ঝাপটা লাগলো গায়ে, অস্থি-মজ্জা সব যেন কেঁপে উঠলো। তাড়াতাড়ি করে বাসে উঠে বসলাম, নাহলে ওই দণ্ডেই হয়ত পৈতৃক প্রাণটা নিয়ে টানাটানি পড়ে যেত। অবশেষে টার্মিনাল বিল্ডিঙে ঢুকে এগুতে লাগলাম ইমিগ্রেসন ডেস্কের দিকে। অনেক মানুষের লম্বা লাইন, গোটা দশেক অফিসার বসে আছেন নিজ নিজ ডেস্কে। আমরা পড়লাম আমাদেরই মত চেহারা ওয়ালা এক মেয়ে, ইমিগ্রেসন অফিসারের হাতে। পাসপোর্ট হাতে নিয়ে এক ঝলক দেখেই কিছুটা রুঢ় গলায় জানতে চাইলো, “Why do you want to enter into OUR United Kingdom?” উচ্চারনের টান শুনে মনে হল উপমহাদেশীয় বংশোদ্ভূত। যথাযথ সম্মান পূর্বক জানালাম – “ভাগ্যের সন্ধানে।” “হুম High Skilled Migrant, বয়স থাটটি থিরী … তা কে তোমাকে HSMP দিল? কেন দিল?” হিন্দি টানে ‘থাটটি থিরী’ শুনেই তার আদিনিবাস সম্পর্কে আরেকটু নিশ্চিত হলাম, আর প্রশ্ন করার ধরন শুনে মনে মনে ভাবলাম ‘আজিকে গতিক মন্দ’। “Am I supposed to answer these questions?” বিড়বিড় করে নিজেকে জিজ্ঞাসা করলাম, তারপর বললাম যে, তোমার হোম অফিস এটা দিয়ছে, পর্যাপ্ত যোগ্যতা আছে বিধায় দিয়েছে…। “(নীচু স্বরে) উউহ… পর্যাপ্ত যোগ্যতা … আমাদের কত গ্র্যাজুয়েট বেকার বসে আছে … ” -“কিছু বললে আমাকে?” -“হু… না … হ্যাঁ … এই! তোমার বউ নিশ্চয়ই প্রেগন্যান্ট!?” -“হ্যাঁ – তো কি হয়েছে?” -“আহ হা … ধরে ফেলেছি, তোমার বউ প্রেগন্যান্ট! হুম কি আর করা, (নীচু স্বরে)যাও এসেই যখন পরেছ, (উচু স্বরে) রানী আমাদের বড়ই মহান … ” -“দেখো, সে প্রেগন্যান্ট – এটা তো গোপন করার মত কিছু না – এখানে তোমারও ধরে ফেলার মত কিছু নেই, আর তুমি তো জানো যে, তোমার মহান রানীর কোনও প্রকার দাক্ষিণ্য না নিয়েই আমাকে আগামী পাঁচ বছর চলতে হবে – এই শর্তেই সবাইকে HSMP দেয়া হয় … ” – কথা আর বাড়তে না দিয়ে পাসপোর্টে ছিল-ছাপ্পর মেরে ফেরত দিয়ে দিল আর ডাক্তারের রুম দেখিয়ে সেখানে যেতে বলল। ডাক্তারের রুমে ঢুকলাম, ভদ্রমহিলার আচরন একেবারেই বিপরীত। কোন প্রকার ভ্যান্তারার সম্মুখিন হতে হল না। কাগজপত্র দেখলেন, এখানে কোন ঠিকানায় থাকব তা টুকে নিলেন আর কিছু রুটিন কাজ সেরে সহাস্যে বিদায় জানালেন। এর মাঝে সাবরিনাকে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় লম্বা ভ্রমনের ক্লান্তির জন্য সহানুভুতি দেখাতেও ভুললেন না।
পরের পর্ব: প্রবাসে প্রাকৃতজন: পরিবেশ পরিচিতি (১ম ভাগ)
সিসিবিতে স্বাগতম মুজিব।
চমৎকার একটা প্রবাস সিরিজ পেতে যাচ্ছি এটা বুঝে গেছি। প্লিজ প্লিজ লেখাটাকে এগিয়ে নিয়ে যেয়ো। পাঠকদের বেশি অপেক্ষায় রেখোনা।
সাথে কিছু :frontroll: দিয়ে দিও সিসিবির ট্র্যাডিশন মোতাবেক। তোমাকে ডিগবাজি দেয়ানোর লোক বেশি নেই এখানে। হা হা
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,
নিয়মিত লেখা চালিয়ে যাওয়া আর জুনিয়রদের সামনে ফ্রন্টরোল দেয়া, দুটোই সমান কঠিন কাজ। আসলে এই রাজীব (১৯৯০-৯৬) ছোড়াটার বুদ্ধিতেই এখানে আসা। এসে এরকম বিপদে পড়ব তা কে জানত? ... :no:
যাহোক, আগে একটু ঘুরে ফিরে দেখি কতদূর যাওয়া যায়। মাঝে মধ্যেই সময়ে অসময়ে আপনাদের সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন হবে।
বাই দ্য ওয়ে, একটু বলবেন এই ফ্রন্ট রোলের অ্যানিমেশনটা কোথায় পেতে পারি? রাজীবকে কমেন্টের উত্তর দিতে হবে তো, তাই জানতে চাচ্ছিলাম ... 😀 😀
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
সেই একই রাজীব? যে আমাকেও টেনে হিচঁড়ে এই ব্লগের জগতে সেই যে ঢোকালো, এখনো সেকানেই আছি?
এই কাজটা রাজীব ভালোই পারে, বুঝতে পারছি।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ওই যে, এখন লুক ডাউন হয়ে আছে!
তবে, এই কাজে ছোড়াটার যে ভালো এলেম আছে সেটা মানতেই হবে। পরে কোন এক সময়ে একটু পিঠ চাপড়ে দিতে হবে।
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
আমারটাও।
কন্টিনেন্টাল গ্যাপের কারনে ফিজিকালই দেয়া সম্ভব না যেহেতু, তাই বাহক মাধ্যমে প্রেরিত বলে গন্য করা হোক...
"ছোড়াটার যে ভালো এলেম আছে"
ওরে বাবা, যে সে এলেম? ভয়াবহ এলেম। আমি তো ব্লগ লিখতাম না স্ট্যাটাস দিতাম।
রাজীবই আমাকে শেখালো ঐ স্ট্যাটাসে কিভাবে ঘষা মাজা করে ব্লগে পরিনত করা যায়। আর সিসিবিতে তা পোষট করা যায়।
আমার ব্লক-গুরু বললে অত্যুক্তি হবে না। (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ব্লগে স্বাগতম মুজিব ভাই।
আপাতত লুক ডাউন হয়ে আছি।
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
অনেক ধন্যবাদ রাজীব,
তোমাকে লুক ডাউন হতে কে বলল? হ্যান্ডস ডাউন! হ্যান্ডস ডাউন! :thumbdown: :thumbdown:
:frontroll: :frontroll:
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
:hatsoff:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দারুন সূচনা, এই ধারাবাহিকের আরো দারুন দারুন সব কিস্তির জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ব্লগে স্বাগতম ভাই, হ্যাপি ব্লগিং 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ আহসান 🙂
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
শুরুটা দারুন হল। :clap:
সিসিবিতে স্বাগতম মুজিব ভাই... :hatsoff:
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
থ্যাংকস জুনায়েদ 🙂
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
উপমাটি পছন্দ হইছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:thumbup:
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
২০০৫ এ লন্ডন আসছিলাম বাঙলাদেশ এয়ারলাইনস এ। এই জিনিসটা মিস করছি তখন। কিন্তু মনে হইছিলো থাকলে কতো ভালো হইতো। এখনো মনে হয় নাই।
আর বিমানে কোন ম্যাগাজিন নাই, কিছু নাই।
আরে বাবা রাতে আমার ঘুম না আসলে কি করবো!!!
দুবাই থেকে এক ছেলে বিয়ার নিয়া উঠছিলো। আমারে দেয়ায় একটা চুক চুক করে খাইছিলাম। তখন আবার বিয়ার ভালো লাগতো না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
একটানা সেই জার্নির প্রায় সারা সময়টা জুড়ে আমার কাছে ওটা ছিল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
হা; আলী সাহেবের সেই প্রেম।
জটিল প্রেম।
মেয়েটার নাম কি জেনো ছিলো; একটু ছেলে টাইপ নাম..
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ঠিক ধরতে পরছি না কোন ঘটনার কথা বলছ? আরেকটু খোলাসা কর
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
আফ্গানিস্থানে এক মেয়ে / কিশোরী আলী সাহেবের প্রেমে পড়লো না ; সেটার কথা বলছিলাম।
মেয়েটার নাম ভুলে গেছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আসল নাম মনে নাই রাজীব, তবে বইটার নাম শবনম, আর মুজতবা আলী সাহেব মেয়েটার নামের বঙ্গানুবাদ করেছিলেন "শবনম শিউলি"
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
বাঙলাদেশ সহ উপমহাদেশের প্রায় সব ইমিগ্রেশন অফিসার খচ্চর টাইপ। মজাটা হচ্ছে ওরা নিজেদের আয়নায় অপরকে দেখে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ওই অবস্থাতেও ভদ্রমহিলার বিশেষ জোর দিয়ে বলা "OUR UK", "OUR GRADUATES" - ইত্যাদি শুনে মনে মনে একটু হাসি পাচ্ছিলো
;))
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
এদেশের ডাক্তাররা বেশিরভাগ ভালো।
আমার নিজের ডাক্তার বাঙালি।
উনি অসম্ভব ভালো মানুষ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হ্যাঁ, এখানে এঁরা অনেক দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করেন। আসলে গোটা সিস্টেমটাই কাউকে খারাপ হবার মত পর্যাপ্ত স্পেস দেয় না
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ব্লগে স্বাগতম মুজিব ভাই। একটানে পড়ে গেলাম। পরেরটার জন্য বসে আছি! :dreamy:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
থ্যাংকস মোকাব্বির,
আমার হাতের লেখা খুবই স্লো। তবুও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন "এপিসোড" নামাবার চেষ্টা করব 🙂
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
ব্লগে স্বাগতম মুজিব ভাই। ::salute:: ::salute:: ::salute::
পরের কিস্তিটা যত তাড়াতাড়ি পারেন ছেড়ে দেন। অপেক্ষায় থাকলাম...
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
:thumbup: :thumbup:
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।