প্রথম পর্ব থেকে….
বিদায় দিলাম বাসার উঠোন,বাবা এবং মাকে
বিদায় দিলাম সংগে আসা আগের জীবনটাকে
ভোরবেলাতে ঘুমটা যখন আসছে হয়ে গাঢ়
কী মুশকিল তখন উঠে জোরসে কদম মারো।
বাম ডান বাম চক্রপাকে পড়লো জীবন বাঁধা
লুজ পা মেরে স্টাফের চোখে প্রথম দিনেই গাধা।
পা’টা আরো হাইটে এনে করতে হবে প্রেস
সংগে নাকি থাকতে হবে ভীষণ রকম তেজ
সব সিনিয়র মজায় যখন করছে পিটি গেমস
তখন ভাবি “হাউ ক্যান উই সলভ দিজ প্রবলেমস্।”
ড্রিল প্র্যাকটিস নাই বা হলে কার কি এমন ক্ষতি
হঠাৎ স্টাফের চিল্লানিতে চিন্তাতে দেই যতি।
ফ্রন্টরোলে আর মকরামিতে আউলা প্যারেড গ্রাউন্ড
ফ্রগ জাম্পতো সাথেই আছে আনলিমিটেড রাউন্ড।
ড্রিলের শেষে ক্লান্ত বেশে ক্লাস রুমেতে ছুটি
ফার্স্ট ক্লাসেতেই যাই ঘুমিয়ে লাস্ট ক্লাসেতে উঠি।
তাও যদি সব ঝুটঝামেলার শেষ এখানেই হতো
এই দুনিয়ায় আর সুখী কেউ থাকতো আমার মতো?
হাউসে এলেই জন্ম আবার নানান রকম হ্যাপা’র
সুঁই পরিমাণ ফল্টটা ধরেও কয় সিনিয়র, “ব্যাপার”
হাঁটতে হবে নিচু মাথায়,লুকটা করে ডাউন
ক্লাস সিক্সের স্মার্ট ছেলে হয় ক্লাস সেভেনের ক্লাউন।
করিডোরে এক পা দিলেই গর্জে ওঠে- “ক্যাঠা?”
“ঐ জুনিয়র, কেলাস সেভেন,আয় তো এদিক ব্যাটা।”
কোয়াইট আওয়ার,লাইটস অফের ঘুমটা করে মাটি
দিন থেকে রাত গুরু ক্লাসের কামলা হয়ে খাটি।
স্বল্প ট্রাইয়ে অল্প দিনেই সব কাজেতে ফিট
মেটাল পালিশ,বুট পালিশে ডিপ্লোমা কমপ্লিট।
এবার আসি খাবার কথায়,প্রব্লেমস সব গ্রেটার
ডাইনিং হলে ঢোকার চেয়ে জাহান্নামও বেটার
প্রথম কদিন যুদ্ধ ভীষণ চামচ এবং ফর্কে
সংগে নানান নিয়ম কানুন,যাচ্ছি ভীষণ ভড়কে।
টেনশিত মন সারাটা ক্ষণ,টানতে গিয়ে ঘানি
ভাতটা কখন শেষ হয়ে যায় কিংবা জগের পানি।
পান থেকে চুন খসলে পড়েই “ঐ জুনিয়র গাধা”
“হাতটা কি তোর পেছন দিকে শক্ত করে বাঁধা?”
তাকিয়ে দেখি ডালটুকু শেষ,গালটা খাওয়াই বাকি
নিচু মাথায় হাঁত উচিয়ে মূর্তি সেজে থাকি।
others thought এর যন্ত্রণাতেই রই অলওয়েজ বাটে
খাওয়া দাওয়ার চিন্তা ওঠে এক নিমিষেই লাটে।
এক হিসেবে ক্লাস সেভেনই সকল কাজের কাজি
এরাই আবার তিন নাম্বার ছাগল শাবক সাজি।
বলছি এবার যাদের ভেবে শেষটাতে এই এসে
কষ্ট ভুলেও কলেজটাকে ফেলছি ভালোবেসে
যে মুখগুলো কদিন আগেও সব অচেনা ছিল
অল্পদিনের মাঝেই কেমন কাছের মানুষ হলো।
ওদেরকে পাই আমার সকল শুরু এবং শেষে
দুঃখ এবং কষ্ট ঘোঁচায় বন্ধু হয়ে এসে।
আঙুল গোণা পঞ্চাশ কলি এক কুঁড়িতে ফোটা
ওদের সাথেই আজকে আমার “আমি” হয়ে ওঠা।
এদের সংগে করেই দিলাম সবটুকু পথ পাড়ি
বলছি ধীরে,এতো আগেই দিচ্ছিনাকো দাঁড়ি।
দোস্ত এই চুপচাপ মানুষটার ভেতর এত ছন্দ আগে বুঝি নাই............জিহাদ খুব ভাল লাগসে। চালাইয়া যা.........
চলবে মানে কি বেটা......।। লাফাইবে......। মামমিয়া হয়ছে মাম......। জ টিল্লল্লল্লল্লল্লল্লল্লল্লল্লল্লল্লল্লল্ল.....।.।।.।।...। 😀
পুরা অসাধারণ এক মহাকাব্য। দারুন হয়েছে...
চলুক, মজা হচ্ছে। 🙂
khubbi valo hocche
bagher baccha........(nahh beshi kisu komuna taile amare B category er senior hishabe chalay dibi@Zihad...)
আহেম... আপনারা সবাই কি জানি বলতেসেন মনে হয় 😉
ঢিচ্চু
...ওদের সাথেই আজকে আমার “আমি” হয়ে ওঠা।...
a brilliant attempt.
Zihad tui ki wall magazine e likhti?tor house re defeat deoa to khobor asilo re beta.......eirokom poet thakte tor house nischoi comparative advantage paito....
ভাই যে কি কন।আমি ছিলাম অলওয়েজ পিছনের লাইনের লোক।সামনে আমারে খুব কম মানুষই দেখতো।ওয়াল ম্যাগাজিন এ কিছু টুকটাক কাজ করসি।বাট বলার মত না।
শুধু একবার সিনিয়র এর ফরমায়েশ খাটতে গিয়া এডিটোরিয়াল লিখে দিসিলাম।আর অইটাই ক্যামনে ক্যামনে জানি বেস্ট এডিটোরিয়াল হয়ে গেসিল 😆 কি আর করার,পুরস্কার এর বইটা বড়ভাই অবশ্য আমারেই দিসিল। বড় ভালা মানুষ ছিল।
এই ছড়াটা দারুণ হইসে...ছন্দগুলি খুব সুন্দর মিলানো। এতটা নিখুঁত করতে প্রতিভা লাগে অনেক 🙂
গোপন সুত্রে আপনার ছড়া প্রতিভার খবরও পাইসি কিন্তু 😉
কাজেই আপনেও কিছু ছেড়ে দেন এই ব্লগে :grr:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:clap:
চমৎকার... জিহাদ।
খুব ভাল লাগলো।
🙂
শুভেচ্ছা নাও ভাইয়া।
সৈয়দ সাফী