জুন-জুলাই মাসের এই বৃষ্টির মা বাপ নাই। আসবে, ভিজাবে, চলে যাবে। একটু আগে ভিজিয়ে গেছে;মোটামুটি ভাবে কাউয়াভেজা। ফুলাররোড থেকে হাকিম চত্বর,পাঁচ মিনিটের এই পথটুকুতেই সর্বনাশ। মরণের দৌড় দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। ভিজে একেবারে ন্যাতা ন্যাতা অবস্থা। নতুন কেনা জেলটা নাকি পানিতেও কিছু হবে না। ব্যাটা পুরাই ফলস মারছে। সারা মুখ আঠা আঠা হয়ে আছে। শার্টের হাতায় কোনো রকমে মুখ মুছে দাড়িয়েছি মাত্র, ঠিক এই সময়…
: এই গাধা…!! এখানে কি করিস?
চেনা কণ্ঠ। ঘাড় ঘুরিয়ে খুঁজতে হয়না। অনুপমা সামনে এসে দাড়ায়। কাঁধে ব্যাগ,লাল একটা ছাতা হাতে।
: কিছু করিনা। বাসায় যাব। ৫ টা ২০ এ বাস। তুই এখানে কেন?
: আমি এখানে কেন মানে? আমার কাম্পাস, আমার হল। এইটা তো আমার এলাকা। আমি ‘তোমার’ মত লুতুপুতু টাইপ না। হলে থাকি, একটা ভাব আছে।
: বাসায় থাকলে,কেউ লুতুপুতু হয়ে যায় নাকি? কই শিখছিস এই সব কথা?
: অবশ্যই। যারা বাসায় থাকে তারা এক একটা বিশাল লুতুপুতু। আর তুই তো আরও এক কাঠি উপরে। গাধা লুতুপুতু…!!
মেজাজ চরম খারাপ হয়ে যায়। ঠোঁট কাটা হলেও একটা কথা ছিল। এই মেয়ের ঠোঁটই নাই। ধ্বংসাত্বক সমালোচনা ব্যাপারটা অনুপমার চেয়ে ভাল কেউ করতে পারে না। এর সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নাই। জেতা যাবে না। কেটে পড়াই ভাল।
: শোন,মেলা বয়ান দিছিস। তুই ঘুরাঘুরি কর। আর লুতুপুতুদের লিস্ট বানা। আমি যাই……।।
: কেন…?সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরলে আম্মু কি বকা দিবে?
: শুধু বকাই দিবে না। কান ধরে দাড়ায়েও রাখতে পারে…!!
: আচ্ছা গাধা, তুই যা তাইলে …!! বাসায় গিয়ে হরলিক্স খা…!!
: আরেকটা কথা বলি, শোন। “রাস্তাঘাটে গাধা বলে ডাকাডাকি করবি না। শুনলাম,সাদা পোশাকে ডিবির লোকজন ঘুরাঘুরি করে। যেকোনো দিন তোরে পিকআপে তুলবে। দেশে ইভটিজার আর অ্যাডামটিজার সবার জন্য একই আইন। তুই যেকোনো দিন কেস খাবি।” সাবধান…!!
অনুপমা হেসে ফেলে। বেয়াদপ এই মেয়েটার হাসি সুন্দর। চোখ বন্ধ করে দশে সাড়ে আট দেওয়া যায়। এমনিতে সারাদিনই হাসে। আমরা অবশ্য দেখেও না দেখার ভান করে থাকি। ও যদি একবার বোঝে, ওর মুখের দিকে কেউ তাকিয়ে আছে, তাহলেই সে শেষ। ও এইটারে তিল থেকে তাল বানাবে। সেই তাল পাকিয়ে পিঠা হবে। আর অনুপমা এই পিঠা ক্লাসের সবাইকে ডেকে ডেকে খাওয়াবে। এতটা ঝুঁকি নেওয়া যায় না।
ওকে বিদায় দিয়ে বাড়ির পথ ধরি। ঠিক সন্ধ্যার আগে আগে বৃষ্টিস্নাত ঢাকা। রোদ নিভে আসা ঢাকা শহর। এই শহরের লোকগুলো কি জানে বৃষ্টি শেষেরও একটা গন্ধ আছে? কাছে টানার গন্ধ। সবাই জানেনা মনে হয়। অবশ্য সবাইকে সব কিছু জানতে হবে,এমনটা না। অনুপমাও যেমন জানলো না যে, আজকে ওর হাসি আমার বুকে মাঝারি মানের একটা ধাক্কা দিয়েছে। ভাগ্য ভাল…!! ধাক্কাটা মাঝারি মানের। বড়সড় হলে বিপদ ছিল। নির্ঘাত মাথা কাটা যেত। এই মেয়ের সাথে কোনো কিছু…?? ভাবাই যায় না।
অনুপমার ব্যাপারে একটু বলি। ওর বাবা-মা মনে হয় শখ করে তাঁদের মেয়ের জন্য শান্ত, নম্র, কোমল ধরনের একটা নাম রেখেছিলেন। মেয়ে লক্ষ্মী হবে এই আশায়। সেই আশার চিনিতে নীলফামারীর ডোমার(বালুর জন্য বিখ্যাত) বালু পড়েছে। এই মেয়ে মোটেও লক্ষ্মী হয়নি। ক্লাসের সিটবেঞ্চ গুলো যে বসার জন্য, অনুপমা ব্যাপারটা বিশ্বাস করে না। যতক্ষণ স্যার থাকে,সে খুব কষ্ট করে বসে থাকে। বাকি সময়টুকু উড়ে উড়ে বেড়ায়। আবীরের বড় বড় চোখ দেখে,তার সেটা দিয়ে টেবিল টেনিস খেলতে ইচ্ছে করে; কিংবা “পার্লার খাতে” ইরার প্রতি মাসে কত যায়?- এই সব ব্যাপারে সে একের পর এক মূল্যবান আলোচনা (ধ্বংসাত্মক সমালোচনা) করে বেড়ায়। তাই সবাই ভয় পায়। আমিও পাই। নিদেনপক্ষে ওর সাথে সন্ধিনীতি মেনে চলি। কোনদিন জানি একবার বেশ সাহসী হয়ে উঠেছিলাম। ওরে একটা খোঁচা মারতে গিয়ে বললাম,
: অনুপমা, তুই এক কাজ কর। ‘ঢাকা মহানগর মহিলা বেয়াদপ সমিতির’ ব্যানারে চেয়ারপার্সন পদের জন্য ইলেকশন কর। আমার বিশ্বাস তুই বিশাল ভোটে, রীতিমত রেকর্ড করে জিতবি।
: তাই নাকি? আমার মার্কা কি রে? গাধা মার্কা নিলে কেমন হয়? মনে কর, তোর একটা পাসপোর্ট সাইজ ছবি মার্কা হিসেবে থাকলো। আর তার নিচে বড় বড় করে লিখে দিলাম,”অনুপমাকে গাধা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।” আইডিয়াটা কেমন? অস্থির না?
নগদে বোল্ড। আমি অফ খেয়ে মুখ কালো করে ফেলি। এই মেয়ে আমাকে গাধা যে কেন বলে? যাই হোক, ওর নিজের কিন্তু খুব সুন্দর একটা নাম আছে। ক্লাসে সবাই ওকে “চড়ুই পাখি” বলে, ওর তিড়িং-বিড়িং ছট-ফট স্বভাবের জন্য। আমি অবশ্য এই নামকরণের ঘোর বিরোধী। “খুন্তিকুমারী” কিংবা “কাঠবিষনী” টাইপ নাম ওর সাথে ভাল যায়। কিন্তু ঐ যে ওর হাসি! ঐ হাসিটাই যত গোলমাল পাকায়!! আমার মত অনেকেই মনে হয়, প্রায়ই ধাক্কা খায়। ওর “চড়ুই পাখি” নামটাই ভালো।
ও যে ওর আরেকটা চেহারা লুকিয়ে রেখেছে,সেটা আমি একদমই জানতাম না। জানলাম অনেক পরে। আম্মা তখন বারডেমে ভর্তি । সন্ধ্যায় অপারেশন। দুই ব্যাগ রক্ত লাগবে। আমি নিজেই দিতে পারতাম। ঝামেলা বাঁধালো জন্ডিস। দুই মাসের আগে নাকি রক্ত দেওয়া যায় না, কী সব হাবিজাবি!! বিকেলের দিকে অনুপমাকে ফোন দিলাম।
: অনুপমা,তুই কি হলে?
: হুঁ, হলে। ক্যান কি হইছে? তুই এইদিকে নাকি?
: নাহ। আম্মা বারডেমে অ্যাডমিট। দুই ব্যাগ রক্ত লাগবে। তুই একটু দেখিসতো হলে, “এ পজেটিভ” কেউ আছে নাকি?
: আরে আমি নিজেইতো এ পজেটিভ। আমিই চলে আসবো নাহয়। কখন আসতে হবে?
: ধুর!! তুই কি রক্ত দিবি? চানখারপুলে জোরে বাতাস দিলে নিউ মার্কেটে গিয়া পরিস। তুই আগে দুধ-ডিম খা। নেক্সট টাইম আমার একটা কিছু হোক। তখন আমারে দিস নাহয়…!!
: চড় খাবি, গাধা!! বেশি বুঝিস না। আমি ছয়টার দিকে আসতেসি।
ওর সাথে বরাবরের মত এবারও কথা বাড়ানো গেল না। আমি ওরে রিজার্ভ হিসেবে রেখে, অন্যসব জায়গায় ফোন দিতে থাকলাম। ওই বার দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ঢাকা শহরে এ পজেটিভ রক্তের আকাল পড়লো। কাউকে পেলাম না। গাধা বলেই পারলাম না মনে হয়।
অনুপমা আসলো ছয়টার একটু পরে। ব্লাডগ্রুপ ম্যাচিং ইত্যাদি হাবিযাবি করার পর,কী একটা রুমে নিয়ে গেল। এইখানে রক্ত নেয় মনে হয়। ডাক্তার নাম-ধাম,সাত সতেরো জিজ্ঞেস করার ফাঁকে টুক করে ওর বাম হাতের কব্জিতে সুইের মত কী জানি ফুটিয়ে দিল। আমি ওর মুখের দিকে তাকালাম একবার। ব্যাথা পেলে-ওকে দেখতে কেমন লাগে,ব্যাপারটা দেখবো বলে। তাকিয়ে কিছুই বুঝলাম না। “নো ফীলিংস” টাইপ একটা ভাব। আরে ধুর!! এই মেয়ের চোখ-মুখে হিব্রু ভাষায় ‘গরু রচনা’ লেখা। কিচ্ছু বোঝা যায় না।
আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে। ও স্বভাবমত ডাক্তারের সাথে দুনিয়ার গল্প শুরু করেছে। করতে থাকুক। আম্মার কেবিনের দিকে যাই।
মিনিট চল্লিশেক পরে ফিরে আসি। ওর রক্ত দেওয়া প্রায় শেষের দিকে। রক্তের ব্যাগটার দিকে তাকিয়ে খারাপই লাগলো। এমনি ছোট-খাটো মানুষ। এতো গুলো রক্ত!! কিন্তু করারই বা কি ছিল? কাউকে পেলাম নাতো। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার চলে গেল। যাওয়ার আগে, অবশ্যই ওকে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে বললো। অনুপমা বিছানায় শুয়ে। উঠে বসতে চায়। আমাকে দেখে লজ্জা-টজ্জা পাচ্ছে নাকি? (এইটা একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা)
: ওই!! উঠিস ক্যান?? শুয়ে থাক…কিছু খাবি? কেমন লাগছে এখন?
: আরে ধুর!! গত এক ঘণ্টা ধরে শুয়ে আছি। আর কি এক ফাঊল ডাক্তার!! বিশাল বোরিং।আর তুই কই ছিলি গাধা?
: ছিলাম আশে পাশেই। দেখলাম বুইড়া ডাক্তারের সাথে আলাপ জমাইছিস, তাই আর বিরক্ত করিনি।
: যা ভাগ! চড় খাবি…!!
আমি হাসি। ওর কাছ থেকে আমার মেলা চড় পাওনা আছে। মনে করে কোনো একদিন খেয়ে নিতে হবে। আপাতত সুদে-আসলে বাড়তে থাকুক।
ঘরটায় শুধু আমি আর অনুপমা। সবুজ একটা টিপ ওর কপালে। আমি খেয়ালই করিনি। এই মাত্র দেখলাম। ওর দিকে কি একবার তাকাবো? ধরা খেয়ে যাবোনা তো? ও লজ্জা পাচ্ছে,নাকি আমি? আমিই পাচ্ছি, মনে হয়। ইতিমধ্যে কথা বলতে গিয়ে বেশ কয় বার hang খাইছি। নাহ লজ্জা পাওয়া যাবেনা। ও বুঝে ফেললে,খেলা শেষ। কাল সকালে ক্লাসে গিয়ে আমাকে মুরগি বানাবে। সেই মুরগি ডিম পারবে। আর ও সেই ডিম ভাজি করে,সবাইকে খেতে ডাকবে। স্বাভাবিক থাকার যুদ্ধে নামলাম। মুখের মানচিত্র এখন যথাসাধ্য সহজ।
-তোর হলের গেট কয়টায় বন্ধ করবে?
-এইতো। এগারোটায় মনে হয়। আমার উঠতে হবে এখন!!
-কি বলিস? ডাক্তার যে বলল, মিনিমাম আধাঘণ্টা শুয়ে থাকতে!!
-ওই ব্যাটা কি বুঝে? আমি ঠিক আছি। একটু আগে অবশ্য ঘুম ঘুম লাগছিলো। কিন্তু এখন ঠিক আছি।
অনুপমা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট কারো কথাই শোনে না। উঠে বসতে চায়। ও বাম হাতের কব্জিতে ভর দিয়ে উঠতে চাইলো।
ঠিক এই সময়টায়,হঠাৎ করেই আমাদের দুই জনকে অবাক করে দিয়ে অনুপমার বাম হাত থেকে অনেকটা রক্ত!! শুরুতে আমি কিছুই বুঝিনা। পরে ব্যাপার বুঝলাম, ডাক্তার কিছুক্ষণ ওকে বামহাতটা ভাজ করে রাখতে বলেছিল । গল্পের তালে, ওর আর সেটা মনে নাই। যা হবার তাই, রক্ত আর বন্ধ হওয়ার সুযোগ পায়নি। ও হাতের ওই জায়গাটা থেকে তুলোটুকু সরাতেই, মোটামুটি ভয়াবহ এক দৃশ্যের শুরু। প্রথম কয়েক সেকেন্ড কি করব, কিচ্ছু বুঝছিলাম না। পরে দৌড়ে গিয়ে ওর বাম হাতের ওই জায়গাটা চেপে ধরলাম। ততক্ষণে ওই রুমের চিত্র বদলে গেছে। আমার শার্টের হাতা মোটামুটিভাবে ওর রক্তে লাল। ওর বাম হাতের নিচে,বিছানার সাদা রং এর চাদর মুহূর্তেই রং পাল্টালো। অনুপমা চোখ বন্ধ করে ফেলে। আমি চিৎকার করে, কাউকে ডাকলাম কি না জানিনা। আমি শুধু টের পাচ্ছি, উষ্ণ একটা রক্তের স্রোতকে আমি কোনোভাবেই থামাতে পারছি না।
কতক্ষণ ওভাবে ছিলাম জানি না। মনে হয়,আমার জীবনের দীর্ঘতম দেড় মিনিট পার করলাম। দেড় মিনিটের মাথায় ডাক্তার আসলো। আমি ওর হাত ছেড়ে, রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। বের হওয়ার সময় ওর মুখের দিকে একবারও তাকাইনি। আসলে তাকানোর সাহস পাইনি। তখনও কি ওর চোখ বন্ধ ছিল?
কতক্ষণ ওভাবে ছিলাম জানি না। মনে হয়,আমার জীবনের দীর্ঘতম দেড় মিনিট পার করলাম। দেড় মিনিটের মাথায় ডাক্তার আসলো। আমি ওর হাত ছেড়ে, রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। বের হওয়ার সময় ওর মুখের দিকে একবারও তাকাইনি। আসলে তাকানোর সাহস পাইনি। তখনও কি ওর চোখ বন্ধ ছিল?
সেই রাতে অনুপমার আর হলে ফেরা হয়নি। আম্মার জন্য রাখা কেবিনটায় অনুপমার জায়গা হয়। আম্মা তখনও পোস্ট অপারেটিভে। অনুপমার কেবিনের বাইরে আমি সারা রাত ডিউটি দিলাম।
জুন মাসের এলোমেলো বৃষ্টি ছিল প্রায় সারা রাত ধরেই। সকাল হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। সকাল বেলা যেখান থেকে পারি,বেলী ফুল খুঁজে আনতে হবে। অনুপমার জন্য……।।
দোস্ত, ঠিক শেষ হয়ে গেল কী না ধরতে পারি নাই। ধারাবাহিক, নাকী ছোট গল্প।
অফটপিকঃ কেন জানি মনে হলো হুমায়ুন আহমেদের ব্যাপক প্রভাব বিদ্যমান তোর এই লেখাটায়। ডায়লগ, বর্ণনাভঙ্গি, উপমার ব্যবহার। আমার কাছে অবশ্য তোর আগের লেখাগুলোর স্টাইল বেশি ভালো লাগছে দোস্ত।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তুই শেষ না হওয়ার আগেই পড়ে ফেলছিস। ভুল অবশ্য আমারই। আমি ভুল করে আগেই পাবলিশে দিয়ে দিছি। পরে এডিট মারতে হইছে।
প্রভাবের ব্যাপারটা থাকতে পারে দোস্ত। উনিশ-কুড়ির প্রেম মানেইতো হুমায়ুন।
গল্পের ঘটনা সত্য।খুব কাছের বন্ধুর মুখ থেকে শোনা। বন্ধু এখন বিমান চালায়... 😛 😛
মিছা কথা কইলি না তো!!! বন্ধুর নামে নিজের গল্প চালাস নাই তো আবার 😛 😛
পুরাটা পইড়া ভালো পাইলাম 🙂
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আরেহ নাহ...!! বন্ধুর গল্প।।
ঢাকা শহরে এ পজেটিভের আকাল ফালাইলা ?? আমার কাজিন যখন অসুস্থ ছিলো তার জন্য এক বুয়েট থেকেই ১৩ ব্যাগ রক্ত যোগাড় করছি। মজার কথা হইলো আমার এক দোস্ত রক্ত দিয়ে অসুস্থ হয়ে গেছিলো। যাহোক আমার ক্ষেত্রে এই কেস হয় নাই।
কাইয়ুম ভাইয়ের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর কথাও মনে হলো হঠাৎ করেই।
গল্পের ব্যাপারে বলি, গল্পটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ফিনিশিং এ বেশ একটা দ্ব্যর্থকতার সুর পেলাম। তোমার লেখার স্টাইলটা আমার ভালো লাগে।
শুভকামনা।
ভাইয়া মাঝে মাঝে আকাল পরে। আকাল পরে বলেই, বালিকারা বেলী ফুল পায়...। 😛 😛
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।।
অফটপিকঃ বাকী ১৩ ব্যাগ রক্ত দিয়ে পরে কী করা হয়েছিল?
বাকী ১৩ ব্যাগ না শুধু তার সাথে আড়ো ৫৪ ব্যাগ যোগ করো। সবটাই লেগেছিলো।
আসল কথা হলো আমার কাজিন মৃত্যুপথযাত্রী ছিলেন। এই ৬৭ ব্যাগ রক্ত থেকে সংগৃহীত কোন একটা কিছু তার মৃত্যুকে বিলম্বিত করেছে মাত্র।
দুঃখিত এমন সুন্দর লেখায় এ জাতীয় স্মৃতিচারণের জন্য।
🙁
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মনটা খারাপ হয়ে গেল ভাইয়া... (সম্পাদিত)
:clap:
রেজা,
খুব সুন্দর।
তোমার সাবলীল লেখনী আর উপস্থাপনা মনে দাগ কাটলো।
গাধা এবং চড়ুই পাখি - কে অনেক শুভেচ্ছা জনিও।
সৈয়দ সাফী
ভাইয়া ধন্যবাদ...
বার্তা পৌঁছে যাবে...!!
তোর লেখায় একটা ধার আছে। ভাল লাগে ...
বন্ধু দিদার
🙂 🙂
ভাইয়া খুব ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে :clap: :clap:
ছবি পাল্টাইছিস দেখা যায়...
ধন্যবাদ...
:clap:
😛
ভাইয়া আপনার গল্পটা পড়ে খুবই ভাল লাগলো............চড়ুই পাখিকে অনেক মিষ্টি মনে হল.................. 😡
প্রেমিকের চোখ আপনার...চড়ুই-কাউয়া সব পাখিরেই তো মিষ্টি লাগবো...!!
::salute::
😀 😀
ভালো লাগলো খুব...
সামি ভাই ধন্যবাদ...।।
বাহ, দারুন লিখেছো তো তুমি। :thumbup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই।
পুরা :duel: দিলি।
(সম্পাদিত)
সারোয়ার
:teacup: 😀 😀
দারুন লিখেছ :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার লাগলো 🙂
আপা ধন্যবাদ...
সিদ্দিক তোর গল্প এত্ত রোমান্টিক ক্যানো???
মাথা নষ্ট হয়ে গেল :dreamy:
বেশি রোম্যান্টিক নাকি ভাই?
বিয়াপার নাহ!! আমরা ধরে নিলাম, আপনার মনে প্রেম বেশি।
অফটপিকঃ ২য় পর্ব আসিতেছে...।।
দ্বিতীয় কিস্তি তাড়াতাড়ি দে কইলাম...... x-( x-( x-(
নাইলে তোর খবর আছে... :duel: :duel: :duel:
আর কতদিন বসায় রাখবি ??? 🙁 🙁 🙁
বাহ! দারুন!
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
পাঁচ তারা :clap: যাই পরের পর্ব পড়ি গিয়া 😀
nice.....