আজকাল খুব ব্যস্ত পড়াশোনা আর থিসিস নিয়ে। কাজ করতে অনেক রাত হয়ে যাই সকাল ঘুম থেকে উঠে আবার পুরান গৎবাধা জীবন।আমি এখন সবার থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করি সবার থেকে কারণটা হল আমার একটা দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে গেছে সেটা হল আমার প্রিয় জিনিষ গুলো আমার কাছ থেকে কেন জানি দূরে সরে যাই হাজার চেষ্টা করেও আমি আমার কাছে নিজের করে রাখতে পারিনা।তাই অজানা ভয়ে প্রিয় মানুষ গুলোর কাছ থেকে দূরে দুরে থাকার চেষ্টা আমাকে করতে হয়।
আমার একটা খুব বাজে অভ্যাস হল নিজের দুঃখ গুলো নিজের মধ্যে রাখতে আমার খুব ভাল লাগে এজন্য আমার কষ্ট গুলো বাড়তে বাড়তে নিজের সাধ্যের বাইরে চলে যাই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনা।আজকে আমার মনটা খুব খারাপ।আজ দুইদিন ধরে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে।কারণ আমার একটা অভিশাপ পাওনা হয়ে গেছে কিন্তু সে না দিয়ে চলে গেছে
অভি ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয়টা অদ্ভুত ভাবে।আমি একদিন মালিবাগ মোড়ে দাড়িয়ে আছি হঠাৎ একটা লম্বা মত ছেলে এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করল ভাই আপনার বয়স কত? আমিতো একটু হচকচিয়ে গেলাম মেজাজটাও খারাপ হল আমি বললাম কেন আপনার তাতে দরকার কি?সে একটু হেসে বলল ভাই বিয়ে করছি সাক্ষী দরকার।আমিতো পুরা থ হয়ে গেলাম পাগল নাকি লোকটা।আমি বললাম বয়স যাই হোক না কেন আপনার বিয়েতে সাক্ষী হবার ইচ্ছা আমার নেই।আমার কথা শুনে মনে একটু কষ্ট পেল ঘুরে চলে যাচ্ছিল এইসময় আমি বললাম চলেন লোকটা হাসল আমি গেলাম তার সাথে দেখি ছোট্ট একটা মেয়ে বললাম ভাই মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে তো আবার দেখেন বিপদে ফেলেন না।সে বলল ভাই ওটা নিয়ে চিন্তা করেন না ওটা কাজি সাহেব দেখবে।যা বুঝার বুঝে গেলাম।বিয়ে হয়ে গেল অনেক জোরাজুরি করে আমাকে হোটেলে নিয়ে খাওয়ালেন।শেষে বললেন ভাই আপনার বাসার ঠিকানাটা দেন এই মোবাইলের যুগে ঠিকানা চাওয়াতে একটু অবাক হলাম দিলাম।বলল আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে আপনাকে দাওয়াত করে খাওয়াব।
আমরা বড় যান্ত্রিক জীবন যাপন করি তাই আমি সেদিনের কথা ভুলে গেলাম।আমার সাথে লোকটার দেখা হল হঠাৎ করে ঢাকা মেডিকেলের বারান্দায় আমাকে দেখেই বললেন ভাই আমার বিপদের সময় আপনার দেখা পাই আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ আমার দশ হাজার টাকার খুব দরকার আমি দেখলাম মহাঝামেলা তো আমি বললাম আমার কাছে তো এত টাকা নাই ভাই আপনি আমার বাসায় আসেন বলে পালিয়ে বাচলাম।টাকা দেবার ভয়ে হক আর যে কারণেই হোক সেদিন আর বাসায় আসে শুনলাম এক লোক নাকি আমার জন্য অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে গেছে । এরপর আর আসেনি সে আমিও ভুলে গেলাম সব।এর প্রায় মাস ছয়েক পর একদিন বাসায় এসে শুনি এক মেয়ে নাকি আমার অপেক্ষা করেছে।আমি আমার হোষ্টেলের গেষ্ট রুমে যেয়ে দেখি অহনা আমি প্রচন্ড অবাক হলাম বললাম তুমি আমার থেকে মনে হয় সে বেশি অবাক হল।সে বলল অভি নামে কাউকে চেন।আমি বললাম চিনি।তুমি কি ভাবে চেন?
আমার মেয়েটার একটা কিডনী নষ্ট হয়ে গেলে উনি তার একটা কিডনী দেন।পরে আমরা জানতে পারি উনার স্ত্রী খুব অসুস্থ দশ হাজার টাকার দরকার আমরা দ্রুত টাকা নিয়ে যাবার পর দেখি তার স্ত্রী মারা গেছেন।তারপর কিছুদিন পর সেও মারা যাই তবে তোমার কথা বার বার বলতেন যে তোমাকে তাদের বিবাহ বার্ষিকীতে খাওয়ানোর কথা ছিল আজ সেই দিন তুমি চল।এতক্ষণ অহনা বলছিল কিন্তু আমার কানে শুধু সেই কথাই বাজছিল ভাই আমার বিপদের সময় আপনার দেখা পাই আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ আমার দশ হাজার টাকার খুব দরকার।অহনা বলল তুমি কিন্তু আমার মেয়ের কথা ভেবে হলেও এস উনার শেষ ইচ্ছা আমি পুরান করতে চাই।
আমি বললাম আচ্ছা অহণা অভি ভাইয়ের মৃত্যুর সময় তুমি পাশে ছিলে?
হ্যা ছিলাম কেন বলত?
আচ্ছা অভি ভাই কি মারা যাবার সময় কাউকে অভিশাপ দিয়ে গেছেন?
অহনা বলল না তো
আমি অবাক হলাম
জটিল জীবন 🙁
🙁 🙁 কিছুই বলার ভাষা নাই। 🙁
গল্পটা আরেকটু গুছিয়ে লিখলে আরও অসাধারন হত......খাপছাড়া খাপছাড়া মনে হল। তারপরও :clap:
সাদিক ভাই, মেলাদিন পর।
গল্পের কিছু কিছু জায়গায় কানেক্ট করতে একটু কষ্ট হচ্ছে; যোগসূত্র মিলছে না 🙁
অফটপিকঃ আপনি আমারে কবে মেসেজ করছেন? কিছুই তো পাই নাই। :((
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..