এই সপ্তাহ পুরোটাই ছুটিতে আছি। গত ছয় মাসের বেশি হোল কোন ছুটি কাটাইনি। তাই সাথে ল্যাপ্টপ্টা থাকলেও লেখার কোন ইচ্ছা ছিল না। তবে সিসিবিতে চোখ রাখছিলাম সবসময়ই। গতকালকে সাস্পেন্ডেড নোটিশ দেখে তো রীতিমত মেজাজ খারাপ। তবে আজকে সকালে মেজাজ খারাপ না, বরং মনটা খারাপ হয়ে গেল অন্য কারনে।
পত্রিকায় প্রকাশ, সারাদেশে এস এস সি তে মোট জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ষাট হাজারের বেশি। মনটা তখনই খারাপ হয়ে গেল। মনে হতে লাগল এখনকার ছাত্ররা সেরা বিশের, এমনকি স্টার মার্ক পাবার আনন্দটা বুঝতে পারল না। বরং রেজাল্ট বের হবার পরপরই কলেজে ভর্তি হতে পারবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। জিপিএ পদ্ধতির পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই (অন্তত এই পোস্টে, কারন এর সাথে আরও অনেক ব্যাপার চলে আসে)। তবে আমার কেন জানি মনে হয় বছর পাচেক আগে যখন জিপিএ সিস্টেমটা ছিলনা, তখন আমরা অংকে ১০০ পাবার জন্য কত চেস্টা চরিত্র করতাম। মনে আছে ইন্টারে পুরা স্থিতি আর গতিবিদ্যা বই মুখস্ত করে ফেলেছিলাম। যেখানে মাত্র দুই তিন চ্যাপটার পড়লেই কমন পড়ার নিশয়তা ছিল। আর এখন কেমন যেন মনে হয় সবাই কোনমতে ৮০ পেয়েই কাজ সমাধা করে ফেলছে। কোথায় যেন কম্পিটিশনের একটা অভাব। অন্যের সাথে নয়, নিজের সাথেও নয়, বরং ৮০ নম্বরের সাথে লড়াই। ৮১ পাবার ইচ্ছাটাও আছে কিনা জানিনা।
আর সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন মনে হয় ৬০,০০০ ছেলেমেয়ে সবাই এক কাতারে পরে যাচ্ছে। আগে তো মনে হয় স্টার মার্কও এত পেত না। যারা কলেজে আছ এখনও বা জিপিএ সিস্টেমে ভাল রেজাল্ট করেছ, তাদের অসম্মান করে বলছি না। কিন্তু সত্যি, তোমরা বোর্ডে প্রথম বিশে থাকার মজাটা বুঝলে না। কি জানি, হয়তবা আমার ধ্যান ধারনাটাই ভুল। এবারের এস এস সির সবাইকে অভিনন্দন।
লেখাপড়ার কথা শুনলে ভয় লাগে ।
একেবারে মনের কথা বলে দিলেন মরতুজা ভাই... ছোট বেলা থেকেই রেজাল্টের দিন অনেক আগ্রহের সাথে বসতাম বিটিভি'র খবরে স্ট্যান্ড করা ছাত্র ছাত্রীদের সাক্ষাতকার শোনার জন্য আর কোন স্কুল/কলেজ সবচেয়ে বেশি স্টান্ড করলো তা জানার জন্য । কলেজে যাওয়ার পর প্রথম প্রথম যখন সেই রকম রেজাল্ট করা ভাইয়াদের দেখতাম কেমন জানি কেমন জানি লাগত।এখন রেজাল্ট নিয়ে কোন উৎসাহ পাই না, শুধু জিপিএ ফাইভের সংখ্যা শুনে অবাক হওয়া ছাড়া।
আর আমরা হলাম মার্ক সিস্টেমের লাস্ট ব্যাচ, চান্স পাইলেই জুনিয়র পোলাপাইনের সাথে পার্ট নেই B-)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এখনও মনে পড়ে আমরা যখন এইটে, ইলেভেনের ভাইরা প্রথম কলেজে এলেন। দেবাসীষ ভাই সেবার বোর্ডে প্রথম। ওনাকে দেখে কেমন যেন অতিমানব টাইপ মনে হোত। বিশ্বাস হতে চাইত না এমন একজন মেধাবী ছাত্রকে সামনে থেকে দেখছি। আরো গর্ব হোত উনি শেরে বাংলায় ছিলেন বলে। আর কি দুর্দান্ত অ্যাথলেট ছিলেন।
আমার তো এখনো গর্ব হয় যে আপনি শেরে বাংলা হাউসের ছিলেন বলে :boss: :boss:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😀 😀 😀
অই তুমি শেরে বাংলার ছিলা নাকি? লম্বা কইরা ছিলা? আর আমি তো মনে হয় জুনিয়র গো কাছে মাইর পিটের কারনে বিশেষ প্রিয়পাত্র ছিলাম 😛
লম্বা কইরা না... খাটো কইরাই ছিলাম কলেজে আমার নাম ছিল আজাদ।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মাফ কইরা দিও মাগার চেহারা মনে পরতাছে না, নাম মনে পরতাছে। প্রোফাইল ছবি আপ্লোড কইরা দিলে সুবিধা হইত 🙂
ছি ছি , এইটা কি বলেন, নাম মনে আছে তাতেই খুশি 😀
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হুম্ম, এইবার মনে পরছে, আমি ভাবছিলাম তোমার নাম আহসান। আজাদ, পিচ্চি কইরা চিকি টাইপের আছিলা... 😀
আজাদ চিকি ছিল নাকি? জানতাম না তো ... 😀 😀 :)) :)) =)) =))
মেহেদি ভাই, আমি নিজেই আজকে জানতে পারলাম 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পিচ্চি কইরা আছিলাম, এইটা ঠিক আছে 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান, এই অবস্থা......???? 😀 😀
মরতুজা ভাই,
কলেজে যাওয়ার কয়েকদিন পরেই এস,এস,সি'র রেজাল্ট দিয়েছিলো ১৯৯৯ সালে। রিজওয়ান ভাই এলেন, আহা! কী অসাধারণ একজন পারফর্মার-- স্টেজ, মাঠ, বোর্ড পরীক্ষা--- সব কাঁপিয়ে তার চলাফেরা। মনে আছে-- এই লোকটাকে দেখে জীবনে অনেক কিছু শিখেছিলাম...
পরের বছর৩৩ তম ব্যাচের সাইদ ভাই বোর্ডে ফার্স্ট স্ট্যান্ড সহ ১০ জন স্ট্যান্ড করেছিলেন উনাদের মোট ৩৩ জনের মধ্যে... জীবনে স্বপ্ন দেখা ওইদিন শুরু হয়েছিল আমার-- সাইদ ভাইকে দেখলে বুকের মধ্যে কেমন যেন করত !! আহা! এই মানুষটা সবাইকে টপকে সেরা !!! :dreamy: :dreamy:
তারপর এইচ,এস,সি-র রেজাল্ট--- ১ম মাইনুল ভাই*( ৯৫০) , ২য় কলেজ প্রিফেক্ট ইফতেখার ভাই (৯৪৯), ৩য় আহমেদ ভাই সহ ১২ জন বোর্ড স্ট্যান্ড... ... আহা আহা !! উনাদের নাম্বারগুলো পর্যন্ত এখনো মুখস্ত আছে। কত স্বপ্ন ছিলো-- একদিন আমিও ওইরকম হব।
যতদিন একাডেমি ব্লকে ঢুকতাম আর বের হইতাম--- অনার বোর্ডে চোখ গেলে মনে হত শুধু , এখানে আমার নাম লিখাবো... ... সেই স্বপ্ন আর সত্যি হয়নি। আমাদের সময় গ্রেডিং সিস্টেম চলে এলো। সেরাদের আর আলাদা করে রাখার উপায় রইলো না। ১৯৬৮ সাল থেকে সেরা ১০ জনের নাম শুধু লিখা হতো রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে অনার বোর্ডে। এখন শুধু কোন ব্যাচে মোট কত জিপিএ ৫ পেল তা লিখেই খালাস! 🙁 🙁
আপনার পোস্টের প্রতিটি বর্ণই তাই যথার্থ সত্য।
আহা, অনার বোর্ডের কথা তো ভুইলাই গেছিলাম। ওটাই মনে হয় সবচেয়ে বড় সার্টিফিকেট। কলেজে গেলে এখনও ওটার দিকে তাকিয়ে থাকি।
একমত :thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মজার কথা হইল,এখন আর অনার বোর্ড লিখাই হয় না জ়তদূর জানি 😀
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
আরে সোহরাওয়ার্দী হাউজের ফয়সাল বীন আব্দুল জব্বার ভাইতো আমরা ক্লাস সেভেনে থাকতে বাংলাদেশে প্রথম হইলো B-)
আর অনার বোর্ড :(( আমি এস এস সি এইচ এস সি এক্টাতেও a+ পাইনাই :(( আমাদের জারা a+ পাইসে তাদের নাম লিখা হইসিলো 🙁
মরতুজা ভাই এর এই কথাটা আমি সব সময় সাপোর্ট করি ।
এই সিস্টেমটা আমি সাপোর্ট করিনা x-(
মনে আছে, এস এস সি এর পর যখন কলেজে গেলাম খুব মুডে। টোটাল ২০ টা স্ট্যান্ড। ভাব ই আলাদা। (আমি করি নাই কিন্তু)।
হুমমম ...... আমাদেরও মনে হয় ২০টা বা ২১টা স্ট্যান্ড করসিলো ওই বছর। গোমতীর ১৭টার মধ্যে ১১টা স্ট্যান্ড করসিলো। বাকি ৬ জনের মধ্যে আমরা ১ নং রুমের তিনজন ছিলাম ...... 🙁 🙁 🙁
:boss: :boss: আমাদের এক বস সিসিবি তে আছে। তানভীর। এস এস সি তে ২য়, এইচ এস সি তে ১ম
হুমমম ...... তানভীর মামার কথা তো বহু আগে থেকেই নিহাদের কাছে থেকে শুনেছি। :boss: :boss:
দেখি আমাদের পারভেজকে সিসিবিতে আনা যায় কিনা ......
আর আমাগো দায়েমতো একটি অশালীন গল্প দিয়া খালাস 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
শালা তুমি তো লাস্ট লিখসো ফেব্রুয়ারীতে। তোর যদি পাইতাম সিরিজ কই???
দোস্ত আমিতো লিখিনা, কমেন্ট করি 😀 দেখ আমার লাস্ট কমেন্টটা কখন, এই একটু আগেই 😛 :hug:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মজা পাইলাম... :awesome: :awesome:
আচ্ছা দোস্ত, রবিনের নাম পিরা হওনের স্টোরিটা কি রে ??
😀 এইটা দেখ এইখান থেইকাই সেই অমর ভাষার উৎপত্তি 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
হটাত আপনার মনে এইটা আইলো কেন?
সেই
😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
একদম ঠিক কইছ। আমার এই সিস্টেম পছন্দ না। তখন ব্যাচে ব্যাচেও কম্পিটিশান হইত। কোন ব্যাচ সবচেয়ে ভালো করছে। আবার কোন ব্যাচে কেউ ষ্টান্ড না করতে পারলে কি লজ্জা পাইত।
পুরা বিখাউজ সিষ্টেম এখন। ৬২ হাজার এ+। কোন মজা নাই।
এখন সব মজা মিষ্টি বিক্রেতার।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
৬৮ হাজার এরা পড়বে কোন কলেজে ?
সহমত
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
সহমত :thumbup: :thumbup: :thumbup:
যেইদিন থেকে এই গ্রেডিং চালু হলো সেইদিন থেকে বাংলাদেশের এস এস সি, আর এইচ এস সি র লেবু চিবড়ায়ে রসটা বের করে ছোবড়াটা ফেলে রাখল সরকার।
আহা সে কি দিন ছিল, এখনো মনে পড়ে আমরা তখন ক্লাস সেভেনে পরের দিন কলেজ বন্ধ হয়ে যাবে এস এস সি ক্যানডিডেটরা সেইবার দূর্দান্ত রেজাল্ট করার ফলে প্রিন্সিপাল ওই একদিনের জন্য তাদেরকে কলেজে নিয়ে আসছিল সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য। আমি তাদের রুমের সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে ডাক ওই ক্লাস সেভেন রুমে ঢুকো। তো ঢুকলাম তো এইটা অইটা জানতে চাইলেন উনারা তারপর আমি সাহস করে জানতে চাইলাম ভাই আপনাদের মধ্যে আসাদুজ্জামান ভাই কোনজন (উনি ওইবার প্রথম আর চার বোর্ডে দ্বিতীয় হয়েছিল আমাদের তারিক হাউসের 😀 ), তখন উনারা সবাই বলেন যে আমিই আসাদুজ্জামান। খালি কোণের একজন কিছু না বলে হাসছিলেন পরে উনারাই বললেন অই যে কোণে দাড়ানো ওর নাম আসাদুজ্জামান। প্রথম সামনা সামনি একজন প্রথম স্থান অধিকারীকে দেখলাম।
কলেজে রেজাল্টের সময় কি উত্তেজনা কি হবে রেজাল্ট কয়জন বিশের মধ্যে থাকবে। কলেজ থেকে বের হবার পর প্রতি বছর খুটায়ে খুটায়ে তালিকা দেখতাম আর গুনতাম রাজশাহীর কয়জন স্ট্যান্ড করল। আর এখন কিসের কি, ৬৮,০০০ ছাত্র ছাত্রীকে এক কাতারে ফেলে দিল? আজব ব্যাপার স্যাপার।
এইমাত্র দেখলাম ৬৮,০০০ না এইবার এ প্লাস পেয়েছে ৪২,৯৩৪ জন। ক্যাডেট কলেজগুলার মধ্যে আমাদের কলেজ সবচেয়ে কম এ প্লাস পেয়েছে 🙁
...........................
মরতুজা ভাই ......... আরেকটা আজাইরা পোস্ট দিয়া দেন, দেখবেন মন আবার ভালো হই গেসে।
ইয়েস
আজাইরা পোস্ট চাই/
মন ভালো করতে চাই
:thumbup: :thumbup:
আজাইরা, আইলসা, হুদাই সব পোষ্ট চাই
তোমার গল্পের কদ্দুর হলো ?
এখনো কি খাড়া হয় নাই ???
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এই ৪২০০০ ই মনে করে তারা সেরা। ভর্তি পরীক্ষায় যখন গোল্লা মারে তখন প্যারেন্টসরা আফসোস করে বলে, "আমার ছেলে/মেয়ে তো এ+ পাইছিল কিন্তু চান্স পাইলো না কেন"? :hatsoff: :hatsoff:
একেবারে পচা সিস্টেম। :thumbdown: :thumbdown:
ঠিক কথা