(কসাই কাদেরের আপিলের রায়ের খুশীতে তাড়াহুড়ো করে ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটি দেই।আগের ফেসবুক প্রোফাইলটি বিকল হয়ে যাওয়ায় ফেসবুকে অনেক পুরনো বন্ধু-বান্ধব/জুনিয়র/সিনিয়রকে আর খুঁজে পাচ্ছিনা।তাই সিসিবিতে শেয়ার দিলাম)
প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এমন কিছু দৃশ্য আছে যা অসহনীয়।যা দেখলে পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়,থাবড়ায়া কান-চাপা লাল করে দিতে মন চায়,রাগে দাঁত কিড়মিড় করতে করতে গালের মাংসে কামড় লেগে যায়।
আমার জীবনের (বোধকরি বাংলাদেশের আরও অনেকের) এরকম মাথা গরম করা একটা দৃশ্য হলো কাদের মোল্লার “V” চিহ্ন।তর্জনী আর মধ্যমা কিঞ্চিৎ ফাঁক করে করা এই চিহ্নটি যে এতোটা বিরক্তের জন্ম দিতে পারে তা সেই সকালের আগে জানা ছিলোনা।সেই দিনের পর থেকে এই ভি সাইনটা আমার জন্য এক বিভীষিকা।যখন যেখানেই ভি দেখতাম মেজাজটা প্রচণ্ড খারাপ হতো।এখনো মনে আছে ফেসবুকে মুভি সাজেশনে v for vendetta দেখলেও গা জ্বলত। মনে মনে বলতাম এতো সুন্দর চিহ্নটারে কেন কলঙ্কিত করলি কসাই কাদের?
এরপরের ঘটনা তো কেবলই ইতিহাস।শাহবাগ জ্বলে উঠলো বিকট শব্দ করে।তারুণ্য জেগে উঠলো ৪২ বছরের ঘুম ভেঙে।সবাই আসলো শাহবাগে।বুড়ো-বুড়ি আসলো,তাগড়া জোয়ান নর-নারী আসলো,স্কুল ফাঁকি দিয়ে টিনএজার আসলো,বাবার হাত ধরে ক্লাস থ্রির পিচ্চি বাবু আসলো,ক্রিকেটার আসলো,শিল্পী,কবি,সাহিত্যিক এমনকি ৫১ বছর ধরে অরাজনৈতিক থাকা ক্যাডেট কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও আসলো।বিদেশে বসে তেমন কিছু করার ছিলোনা তাই সারাদিন শাহবাগের লাইভ প্রোগ্রাম দেখতে দেখতে পরীক্ষাই খারাপ দিয়ে হয়ে গেল।
তারপর রাজিব,জগতজ্যোতি,দীপরা প্রাণ দিলো।আমারদেশ,বাঁশেরকেল্লা সকল শাহবাগিকে (শোলাকিয়ার ইমামও ইনক্লুডেড) নাস্তিক ঘোষণা করলো।জামাত-বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় শফি সাহেব তেঁতুল চাটতে চাটতে রাস্তায় নামলেন।মাদ্রাসার সরলমনা ছেলেগুলো নাস্তিক বলগারদের পুসি(পড়ুন ফাঁসি) চাইলো।সরকার কি জানি মনে করে জনপ্রিয় ৪ ব্লগারকে গ্রফতার করে বসলো।শাহবাগ বেশ কয়েকটা ভাগ হয়ে গেল।
তবে কথায় আছে সব ভালো যার শেষ ভালো তার।আজকের ঐতিহাসিক রায়ে শাহবাগকে অনেকাংশেই সফল বলা যেতে পারে।তবে এখনো অনেক পথ বাকি।আজকের এই দিনে ধন্যবাদ জানাই সেই সকল ব্লগার/অনলাইন যোদ্ধাদের যারা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন জাতির কলঙ্কের কালি মুছতে,ধন্যবাদ জানাই সেইসব সোনার সন্তানদের যারা সারাদিন না খেয়ে,সারারাত না ঘুমিয়ে শাহবাগ সহ সারা দেশের সব গণজাগরণ মঞ্চে অবস্থান করেছে শুধুমাত্র ন্যায় বিচারের আশায়।সবশেষে ধন্যবাদ দেই আওয়ামীলীগ সরকারকে।ভালোয় মন্দে মেশানো এই সরকার না থাকলে হয়তো রাজাকারে গাড়িতে আবার লাল-সবুজ পতাকা উড়ত,হয়তো আবার ২৬শে মার্চ/১৬ই ডিসেম্বরের কোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতথি হতো কোন স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী,হয়তো আবার কোন কসাই বলে উঠতো “৭১ এ মানুষ যুদ্ধে গেছে ধনসম্পত্তি/নারীর লোভে”,হয়তো কোন মুজাহিদ বলে উঠতো “দেশে যুদ্ধাপরাধী বলতে কিছু নেই” ।
কাদের মোল্লারা আজ থেকে মনে রাখবে “V WAS NEVER FOR THEM”
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় তারুণ্য।
নামটা বাংলায় করে দিলে ভাল হত। দেখতে অস্বস্তি হচ্ছে।
আমারও অস্বস্তি হচ্ছিল আপু 🙂
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আপনার কালকের টক-শোটাও দারুন ছিল :clap:
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
১। ভ্যানডেটা ঠিক জাস্টিস এর সাথে যায় না, বরং রিভেঞ্জ এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই শব্দটা ব্যবহার না করাই ভাল...(আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় জামাত-শিবিরের লবিস্টরা এটা নিয়ে বহু ত্যানা পেঁচিয়েছে/প্যাঁচাচ্ছে)
২। বর্তমান সরকারকে এখনই ধন্যবাদ দেবার কিছু দেখছি না, ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তাছাড়া এটা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেই ছিল। বরং আওয়ামী লিগ এর কাছ থেকে আমাদের ধন্যবাদ পাওনা রয়েছে...
৩।
এটা ঠিকাছে... :thumbup:
(ব্যক্তিগত মতামত 😀 )
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমিও জুনায়েদ কবিরের সাথে একমত প্রথম দুটিতে।
জয় বাংলা নয় বরং বলতে চাই জয় বাংলাদেশী।আমি একজন শুধু বাঙালী নই আমি পুরাদস্তুর বাংলাদেশী।
জয় বাংলাদেশী জনগণের জয়।
এর সাথে আরেকটু এ্যাড করতে চাই।
আমি নিজেও একজন ব্লগার কিন্তু আসলে এটা কোন পরিচয় নইয়।আমরা দেশের আপামর জনগণ এই শাস্তি চেয়েছিলাম তাই আমি বিড়ানি,মাংস খাওয়া এবং ছাত্রলীগ ও আওয়ামিলীগ নেতাদের সাথে নিয়ে জনসভাকারি গণজাগরণ মঞ্চকে ধন্যবাদ জানাতে চাই না।
ধন্যবাদ জানাই দেশের আমজনতাকে,তারুণ্য কে।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
জয় বাংলা না জয় বাংলাদেশি এই তর্কে যেতে চাইনা।আপনার যদি জয় বাংলা বলতে মুখে বাধে তাহলে আপনাকে বলার কিছুই নাই।আরেকটা কথা বিরানি/মাংসের কথা বলে বাঁশেরকেল্লা আর আমারদেশ।আমার পরিচিত অনেক বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয় স্বজন ও দিনের পর দিন গণজাগরণ মঞ্চে পড়ে ছিল।কোনদিন শুনিনি কেউ হালুয়া-রুটি খেতে গেছে।আমার ছোট ভাইটি বাসা থেকে টাকা নিয়ে যেত,সকালে কেক আর চা দিয়ে ব্রেকফাস্ট আর দুপুরে ডাল/ভাজি/মাছ দিয়ে লাঞ্চ।ওকেও কোনদিন বলতে শুনিনি যে বিরানি/মাংস খেতে শাহবাগে গেছে।
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
হুমায়ুন কবির
তোমার লেখাটা সম্পুর্ণ দলীয় দৃস্টিকোণ থেকে লিখেছো তাই আমার,তোমার মত জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলতে বাধে।যখন শেখ মুজিব এই কথাগুলো বলতেন তখন বাংলাদেশ সৃস্টি হয়নি কিন্তু এখন আমরা বাংলাদেশী তাই আমার মনে হয় এখন আমরা শুধু বাঙ্গালী না বরং বেশি করে বাংলাদেশী। বাঙালি বলতে বোঝায় বিশ্বের সব মানে ভারতের বাঙালিও।তাই আমি নির্দিস্ট করতে জয় বাংলাদেশ বলেছি আজকে আমরা যারা উপজাতি বলি তারাও কিন্তু বাংলাদেশি তাই শুধু জয় বাংলা বলে আমি আলাদা করতে চাই না।
আর বিড়ানি মাংস মানে যে সেই খাওয়ার বিড়ানি মাংস সেটা নয়।সরকারি নিরাপত্তা,সুযোগ,সুবিধা,আওয়ামিলীগ,ছাত্রলীগ বেস্টিত হয়ে সমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে।আজকে আমরা সবাই জানি গণজাগরণ মঞ্চের ভূমিকা কি।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
সিরাজ ভাই, আপনি নিজে কয়দিন বিরানি খেয়েছেন বা কাউকে খেতে দেখেছেন? আমি কিন্তু কখনো বিরানি পাইনি বা কাউকে খেতেও দেখি নি...দু একদিন হয়ত কারো পৃষ্ঠপোষকতায় খাবারের ব্যবস্থা হয়েছিল, কিন্তু নানা-রকম কন্সপিরেসি থিওরির কারনে পরে একসময় তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল...
গনজাগরণ মঞ্চের শুরুতে কিন্তু সবাইকেই সাদরে গ্রহণ করা হয়েছিল, কিন্তু দুঃখের বিষয় তখন বিএনপি'র কেউ যায় নি- তারা নাকি 'পর্যবেক্ষণ করছিল'!! তারা যদি যেত তাহলে সব ধরনের নেতাকেই ওখানে দেখা যেত...তাছাড়া সবসময় কিছু জ্যুস খাওয়া পাবলিক থাকে, আপনি-আমি নানা গুজব, মিথ্যাচারের অসিলা দিয়ে গনজাগরন মঞ্চ থেকে দূরে থেকে ওদের তো জুস খাবার সুযোগ করে দিয়েছি...দোষ কিন্তু আমাদেরই...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আর আমার মত বাইরে থাকা ম্যাঙ্গোর কথা চিন্তা করেন। আরলিংটন টেক্সাস অধিবাসী আমার এক বন্ধু জানালো বাংলাদেশি স্টুডেন্ট ওর্গানাইজেশান, টেক্সাস (BSO, Texas) প্রচুর টাকা তুলে ঢাকায় কার না কার একাউন্টে পাঠিয়েছে আন্দোলনের সাপোর্ট হিসাবে সেগুলোর খোঁজ নাকি আর পাওয়া যায়নি বা এরকম কিছু। কথা হলো ১০০ মানুষ লাফ দিলে ৫টা মানুষ থাকবেই যারা দাঁড়িয়ে থেকে বাকিদের লাফ দেয়া দেখবে।
ন্যাশনাল হিরোকে বা ন্যাশনাল ইভেন্ট কে কত দ্রুত প্যান্ট খুলে দিতে পারে এইটার যদি প্রতিযোগিতা করা হয় তাহলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ানশীপ ঠেকানোর শক্তি পৃথিবীতে তৈরী হয় নাই। পৃথিবীর প্রায় সবদেশ এই ব্যাপারে বেশ পটু কিন্তু আমরা বস! কিভাবে করি ও পারি জানি না। 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমি গণজাগরণ মঞ্চে যাইনি তাই বিড়ানি মাংস খাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।
আর বিড়ানি মাংস মানে যে সেই খাওয়ার বিড়ানি মাংস সেটা নয়।সরকারি নিরাপত্তা,সুযোগ,সুবিধা,আওয়ামিলীগ,ছাত্রলীগ বেস্টিত হয়ে সমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে।আজকে আমরা সবাই জানি গণজাগরণ মঞ্চের ভূমিকা কি।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
সিরাজ ভাই,
এই কথা জানার পর আপনার আগের সব 'গনজাগরণ মঞ্চ হেন-তেন' মার্কা কথাগুলো আমার কাছে হাস্যকর শোনাচ্ছে! ক্ষমা করবেন!! আর হাসতে হাসতে পড়ে যাবার মতন অবস্থা হচ্ছে যখন আপনার সিগনেচার দেখছি- যুক্তি, সঠিক তথ্য, কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
বেয়াদবি মনে হলে ক্ষমা করবেন!! ;;)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমরা হুযুগে বাঙালি,তুমিও তার বাইরে না। আমরা অনেকটা শিয়ালের মতন। এক শিয়াল ডাক দিলে বাকিগুলা সব হুক্কা হুয়া করে। আমি কয়েকদিন আগে একটা ছবি দিয়েছিলাম যে ছবিটা আসল নাকি সাজানো। ঐ দিন মানে ২১শে ফ্রেব্রুয়ারী তে ছবিটা প্রদর্শন করা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল এটা মুক্তিযুদ্ধের নির্যাতনের ছবি। অথচ কেউ তলিয়ে দেখেনি আসলেই এই ছবিটা ১৯৭১ সালে তোলা হয়েছিল কিনা। আমরা কোন জিনিস ভেরিফাই না করেই মন্তব্য করা শুরু করি। আর শিয়ালের মতন হুক্কা হুয়া করি।
তোমার জিজ্ঞাসা করা উচিৎ ছিল গনজাগরণ মঞ্চে আমি কেন যাই নি।তা না জিজ্ঞাসা করে তুমি আমার সিগ্নেচারের কথা বলেছো যে তোমার নাকি হাসি পায়।আবার বলেছো বেয়াদবি করলে মাফ করে দিতে।যাই হোক এসব লেখা সবাই পড়ছে তারাই বুঝবে।
গনজাগরণ মঞ্চে আমি যাইনি তার মানে এই না যে আমি রাজাকারদের বিচার চাই না কিন্তু আমার প্রশ্ন হল এটাই খালি বাংলাদেশের একমাত্র বা সবচেয়ে বড় সমস্যা না কিন্তু এটাতেই আমরা আজকে তথাকথিত মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত সমাজ রাস্তায় নেমে এসেছি।কখনো কি দেখাতে পারবা যে এখানে যারা পারফর্ম করেছে তারা কখনোও চালের দাম কমানোর জন্য রাস্তায় নেমেছে?বিদ্যুতের জন্য মিছিল করেছে?
এই আন্দোলনে আমিও থাকতাম, যদি রাজনীতি না থাকতো।
দেশে কি শুধু একটা সমস্যা ?
সীমান্তে হত্যা, পদ্মা সেতু, সাগর-রুনি, ইলিয়াস আলী, বিশ্বজিৎ, চালের দাম, তেলের দাম........ আরও অনেক কিছু।
এগুলা নিয়া কথা বললে শাহবাগ যেতাম।পদ্মা সেতু দক্ষিনাচলের সারে ৪কোটি মানুষের চাওয়া।কৈ একজনকেও তো দেখলাম না এর জন্য আন্দোলন করে রাস্তায় নেমে এসেছে যে দুর্ণিতি করুক না করুক আবুল হোসেন পদত্যাগ করলেই যেখানে সেতুটা হয়ে যায় সেখানে কেউ শাহবাগে আন্দোলন করেছে?সুন্দর,দুর্ণিতি মুক্ত,মারামারি,কাটাকাটি,টেন্ডার বাজি,দলবাজি মুক্ত বাংলাদেশের গড়ার জন্য আন্দোল করতে কেউ শাহবাগে যায় না। বিএনপির সময়ে পুলিশের ইয়াসমিন হত্যা,স্পেক্ট্রাম গার্মেন্টস এ শ্রমিক মারা গেল,তারেক রহমান দুর্নীতি করলো কই কেউ তো শাহবাগে আন্দোলন করলো না। কাগজ পড়লেই কত দেখি ৪বছরের শিশু পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে কিন্তু কেউ তো শাহবাগে আন্দোল করে না খুনি বা ধর্ষক কে ধরার জন্য,রানা প্লাজায় যে ১২০০ মানুষ মারা গেলো তার কোন খোজ আমরা রাখি?কেউ কি রানা প্লাজার মালিক রানার ফাসির জন্য শাহবাগে আন্দোলন করেছে? ঐ যে লাকি মেয়েটাকে দেখেছি মাইক্রোফোন নিয়ে গলা উচু করে গান গাচ্ছে।ঐ সময়েই একটা মেয়েকে মানিকগঞ্জে যাবার সময় বাসে ড্রাইভার ধর্ষন করেছিল এবং এক বাদাম বিক্রেতা মেয়েটাকে বাচিঁয়েছিল কৈ তখন তো এই লাকি মেয়েটা জোড় গলায় বলেনি যে ঐ ধর্ষক কে গ্রেফতার কর বা বিচার কর।তাজরিন গার্মেন্টস এ ১২০জন শ্রমিক পুড়ে মারা গেলো কেউ কি আন্দোলন করেছে মালিক কে গ্রেফতার কর। কেউ কি শাহবাগে আন্দোলন করেছে?শুধু ১৯৭১সালেই জেনোসাইড হয়েছিল? যেগুলো বল্লাম এগুলো জেনোসাইড না?ফেলানী কে কিভাবে মেরে ঝুলিয়ে রাখলো।কোথায় আমার গনজাগরণ মঞ্চ?শুধু ফেলানী না বরং প্রতিদিন এরকম মানুষ মারা যাচ্ছে সিমান্ত হত্যায়।কেউ কি শাহবাগে আন্দোলন করেছে?বৃদ্ধ মানুষ পেনসনের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরেও পেনসনের টাকা পায় না শেষ পর্যন্ত মারাই যায়,যেখান রন্ধ্রে রন্ধ্রে করাপশন,এরকম হাজার হাজার খারাপ কাজ প্রতিনিয়ত ঘটছে আমাদের বাংলাদেশে,কেউ তো আন্দোলন করেনি ঘুষ মুক্ত দেশ গরার জন্য।
আজকে যদি যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের সাথে সাথে এসব বিষয় গুলো নিয়ে আন্দোলন হত তাহলে আমি যেতাম।এবার আমার সিগনেচারের সাথে আমার দেয়া যুক্তি মিলিয়ে দেখো।শুধু ১৯৭১সালের জেনোসাইড টাই শুধু বড় আর যার কাছে শিশু ধর্ষন,পুড়িয়ে মারা,চাপ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিং এ কাজ করিয়ে ১২০০জন মানুষ কে মেরা ফেলা ১৯৭১ এর মতন অপরাধ মনে হয় না।তাকে এর চেয়ে আর বেশি কিছু বলার নাই।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
সিরাজ ভাই, আমি আগের কমেন্টে 'আপনি কি শাহবাগে গিয়েছিলেন?' এই প্রশ্ন করেও মুছে দিয়েছিলাম। কেননা আপনি কোথায় থাকেন আমি জানি না। এবং সবচেয়ে বড় কথা আমি আশা করেছিলাম আপনি দেশে ছিলেন না, শুধুমাত্র টিভি-ইন্টারনেট এ শাহবাগ দেখে, শাহবাগের বিরুদ্ধে কথা শুনে এই রকম বিরূপ মনোভাব পোষন করছেন।
কিন্তু উপরের মন্তব্য পড়ে বুঝলাম আমি ভুল আশা করেছিলাম।
১। শাহবাগের আন্দোলনে সরকারি প্রভাব, রাজনীতি- এসব আপনি প্রথম দিন থেকেই আঁচ পেয়েছিলেন? একবারও ইচ্ছে করল না নিজের চোখে দেখতে? পত্রিকা-টিভি চ্যানেল বা ব্লগের উপর ভরসা করে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন কেমন করে? আপনার সিগনেচারে লেখা 'সঠিক তথ্য' এবং 'প্রমানের উপর' বিশ্বাস রাখি- ঠিক থাকল কি?
২। শাহবাগ আন্দোলনে এত লক্ষ-কোটি বার 'জয় বাংলা' স্লোগান দেয়া হয়েছিল, কিন্তু কেউ মুখ ফসকে বা ভুল করেও বহুল প্রচলিত পরের অংশ 'জয় বংগবন্ধু' উচ্চারণ করে নি। কেননা 'ঐ' স্লোগানটাকে আমরা একটি দলের ট্যাগ দিয়ে রেখেছি, অথচ শাহবাগে যারা গিয়েছে বেশিরভাগই কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের বিশ্বাস করার কারনে না-শুধু মাত্র যুদ্ধাপরাধীদের প্রাপ্য বিচারের দাবীতে গিয়েছিল। শাহবাগে যাওয়া আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই আওয়ামীপন্থী বলে মনে হয় আপনার? আপনার কমন সেন্স কি বলে?
৩। শাহবাগ আন্দোলনে সবার যদি অংশগ্রহণ থাকত এটাতে কি কেউ 'আওয়ামী ট্যাগ' লাগাতে পারত? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া শুধু একটি গ্রপের নাকি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবী? আপনার যুক্তি কি বলে?
৪। আপনি যত সমস্যা তুলে ধরলেন শাহবাগের কেউ কি এর বিরোধিতা করেছে? শাহবাগে গেলেন না, কারন ঐ সমস্ত সমস্যা সমাধান চান- ভাল কথা, সেজন্য শাহবাগে গিয়ে ওদের সাথে একাত্ম ঘোষনা করে দাবী করা যেত না?
ছোটবেলায় দশের লাঠি একের বোঝা গল্পটা নিশ্চয়ই মনে আছে। আমাদের দেশের সমস্যার সমাধান ঐ শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে করতে হবে। সবগুলো সমস্যা তো একবারে দূর করা সম্ভব নয়, এক এক করে করতে হবে। তা না হলে কোনটাই হবে না। অথচ আমরা এই কাজটাই বেশি করি।
# কেউ দারিদ্র নিয়ে কথা বললে বলি- আরে মিয়া বেকারত্ব নিয়ে বলনা কেন?
# কেউ জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে কথা বললে বলি- আরে মিয়া দুর্নীতি নিয়ে বলনা কেন?
# কেউ সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বললে বলি- আরে মিয়া দূষন নিয়ে বলনা কেন?
অর্থাৎ একে অন্যকে টেনে নামানোর প্রতিযোগিতা। এভাবে কোন সমস্যার সমাধান কি সম্ভব?
চিন্তা করে দেখেন- শাহবাগে আন্দোলনে সবাই যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে গিয়ে একসাথে দাবী আদায় করে ঘরে ফিরে আসতে পারত, কত বড় একটা উদাহরণ তৈরি হত। এরপর শুধুমাত্র একটি ডাক দিয়ে যে কোন রাষ্ট্রীয় সমস্যা বা দাবী আদায়ের জন্য আমরা এক হতে পারতাম। আপনাদের এত এত কন্সপিরেসি থিওরির কারনে এরপর থেকে যে কোন আন্দোলনে যাবার আগে লোকে আগে যাচাই করতে চাইবে। আমি নিজেও তাই ই করব।
সবশেষে যুদ্ধাপরাধীদের ইস্যুর সাথে অন্যগুলোকে এক করে দেখার প্রয়াসকে প্রত্যাখান করে শেষ করছি। কেননা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমাদের অস্তিত্বের ব্যাপার, এর সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না।
এটাই এই পোস্টে আমার শেষ মন্তব্য।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:boss: :boss: :boss:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভাইজান লক্ষণ তো ভালো না।
পারভেজ ভাই চরম উদাসের যে লিঙ্কটা দিয়েছেন তা পড়ে দেখার অনুরোধ রইল।
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
আমি একটা সাজেশন যোগ করলামঃ
এসো নিজে করি ১১ - কিভাবে গুজব তৈরি করবেন / How to cook
rumor
http://www.sachalayatan.com/udash/50032
😛 😀 😛
ফর বোথ, নূপুর এন্ড হুমায়ুন (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভাই, আপনার ত্যানালাইসিস স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হয়েছে। :thumbup:
শাহবাগে সুযোগ পেলেই দিন রাত পড়ে থাকতাম আর ভোর বেলা সবাই একসাথে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে তারপর বন্ধুরা একসাথে বাসায় ফিরতাম। আর ঘরে ফিরে কম্প্যুটার খুলে শুনতে হয় শাহবাগ আওয়ামীলীগের দয়ায় বিরিয়ানি আর টেকাটুকা খেয়ে সৃষ্ট। পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে সেখানে আওয়ামী ইনফ্লুয়েন্স স্পষ্ট, কিন্তু সেই দোহাই দিয়ে আপনি যদি পুরো আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন সেক্ষেত্রে আপনার মোটিভ কিংবা অবস্থান সম্পর্কে বুঝতে খুব বেশি জ্ঞান ধারণ করতে হয়না। খালি আফসোস লাগতেসে আপনি শাহবাগ না গিয়াই যেইভাবে বিরানি মাংস আর টেকাটুকার গন্ধ পাইলেন শাহবাগে দিনের পর দিন গিয়েও কারো কাছ থেকে দুই পয়সা পাইলাম না। স্বাধীন বাংলাদেশের একজন স্বাধীন মানুষ হয়ে আপনার "জয় বাংলা" বলতে খারাপ লাগে এইটা শুনে আপনার প্রতি গভীর সমবেদনা রইলো।
নিচে একটা ভিডিও দিয়ে গেলাম। ভিডিওটা আমি নিজে মোবাইল ক্যামেরায় তুলছিলাম। সময় থাকলে দেখতে পারেন। এই জনসমুদ্রে কোন আওয়ামীলীগ বিএনপি ডান বাম পরিচয়ে আসেনি। এরা সবাই নিজেদের "জয় বাংলা"র লোক ভাবে দেখেই দেশের টানে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাইতে গিয়েছিলো।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:boss: :boss: :boss:
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
ভাই জিহাদ
আমি খুব স্পষ্ট করে কিছু কথা বলেছি এবং আমি জয় বাংলা না বলে জয় বাংলাদেশ কেন বলতে চাই সেটাও বলেছি। আমাকে যদি উত্তর দিতেই হয় তাহলে আমি পরের যে কথাগুলো বলেছি কবির এবং সামিয়াকে সেগুলোর উত্তর দিবা।আমার সমস্যা মনে হয় আমি কথাগুলো খুব সোজা করে বলি তাই অনেকের নিতে কষ্ট হয়।আমি যে সমস্যার কথা গুলো বলেছি যে যুদ্ধাপরাধিদের সাথে সাথে আমি যে পইয়েন্ট গুলো বলেছি সেগুলো উচ্চারিত হবার দরকার ছিল সেগুলো হয় নি। এবং যে বা যারা আমার বলা সমস্যার কথাগুলো কে আমলে নেয় না বা যারা ওগুলো কে যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করে আমার,তাদের মানবিকতা নিয়ে সন্দেহ জাগে। সত্যি কথা বলে আমি মনে করি আমি নিজেও একজন কাপুরুষ এবং যারা শুধু যুদ্ধাপরাধির বিচারের জন্য শাহবাগে গেছে তারাও আমার মতন কাপুরুষ। তুমি যেমন ভিডিওটা দিয়ে বল্লা যে দেখেন সেখানে কোথাও বিএনপি বা আওয়ামীলীগ ছিলোনা আবার শেষের লাইনে এরা সবাই নিজেদের "জয় বাংলা"র লোক ভাবে দেখেই দেশের টানে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাইতে গিয়েছিলো। বলে আবার তুমি দলীয় কোরাসের কথা বল্লা।১৯৭১ সালে আসলে কোন আওয়ামিলীগ বা অন্যকোন দল ছিলনা তখন একটাই ছিল জয় বাংলা। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পর এখন আমরা সবাই শুধু বাঙ্গালী না বরং বাংলাদেশি। দেশের বাইরে যখন যাও তখন তুমি কি বাঙ্গালী পাসপোর্ট নিয়ে যাও নাকি বাংলাদেশি? বাইরের মানুষ তোমাকে কি বাংগালী নামে চিনে নাকি বাংলাদেশী? আশা করি তুমি আমার পয়েন্ট বুঝতে পেরেছো কেন আমি বলি জয় বাংলাদেশ।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
সিরাজ ভাই, গণজাগরণ মঞ্চের প্রতি আপনার অসন্তোষের জায়গাটা বুঝতে পারছি। আওয়ামী লীগ কর্তৃক আন্দোলন ছিনতাইয়ের অভিযোগও মিথ্যে নয়।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই শাহবাগ আন্দোলনে যে পরিমান আওয়ামী ছিল, তার ৪০ গুণ ছিল না'আওয়ামী মানুষ। এরা কেবলই মানুষ। এরা সকাল বিকাল রাত চিল্লিয়েছে, গলা ভেঙ্গেছে, পরের দিন আবার চিল্লিয়েছে। এই চিল্লাচিল্লির জন্য আজকে আইন শোধিত হয়ে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় এসেছে। এই অবস্থানেই শাহবাগ আন্দোলন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। অবশ্য কাদের মোল্লার ফাঁসী হবে এই পয়েন্টে যদি নাখোশ থাকেন, তাহলে ভিন্ন কথা।
এখানে যোগ দিলে আপনি বুঝতেন, ৪৩ বছর পর 'জয় বাংলা'কে বাঙ্গালী আবার নিজের করে পেয়েছে। লীগের নাম মুখে নিতেও যাদের ঘেন্না হয়, লীগের মুক্তিযুদ্ধকে ভাঙ্গিয়ে খাওয়া দেখে মুক্তিযুদ্ধের নাম শুনলেও যাদের বিরক্ত লাগত, তারাও বুক ভরে শ্বাস নিয়ে জয় বাংলা বলতে পেরেছে এই শাহবাগেই।
তেমন জয় বাংলার বাঙ্গালীও আক্ষরিক অর্থে বাঙ্গালী নয়, বাংলাদেশের মানুষেরা জয় বাংলার বাঙ্গালী। এই আন্দোলনে আদিবাসীরাও ছিল, শ্লোগান দেয়া হয়েছে 'আমি কে তুমি কে, আদিবাসী বাঙ্গালী'।
এই আন্দোলন হাইজ্যাক হয়েছে এটা সত্য, এই আন্দোলন আউটপুট এনেছে এটাও সত্য।
ফেইসবুকে ছোট একটা ক্লিপ ছিল কোন এক ছাদ থেকে। স্লোগানে কাঁপছে পুরো শাহবাগ। অফিসে বসে বিড়বিড় করে স্লোগান দিয়েছি ঐ ক্লিপ দেখে। আমরা বাঙালীরা নৈরাশ্যবাদী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি বলবো অবজ্ঞাবাদী (এরকম শব্দ আছে কিনা জানি না) মানে ভালোটুকু আমলে নিতে ইচ্ছা করে না। আজকে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় হলো আপীলের পর, তুলে আনছি আওয়ামীলীগের ছিনতাই, তুলে আনছি শফির তেতুলতত্বের উত্থানের পেছনে নতুন কন্সপিরেসি থিওরী। হা-হুতাশ বড় ভালোলাগে আমাদের! 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
একমত সামিয়াপা
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
সামিয়া আপু তোমার কিছুটা উত্তর উপরেই দিয়েছি।যুদ্ধাপরাধী,রাজাকারদের বিচার যেমন আমি চাই সাথে সাথে আমি যেসব উল্লেখ করেছি সেসবের বিচারো চাই।সবগুলো একই প্লাটফর্ম এ রাখতে হবে।১৯৭১ আমি দেখিনি।ওটার আচ আমাদের বাবা মা দের লেগেছে কিন্তু সেই খারাপ কাজগুলোর বিচার যেমন চাই সাথে সাথে এখন যেসব খারাপ কাজ গুলো হচ্ছে যেসবের বিচারের কথাও একসাথে উচ্চারণ করা চাই। আমরা যারা বাংলাদেশে থাকি তাদেরকে কোন কোন না ভাবেই খারাপ কিছু কাজের সাথে দেখা হয়েছে।সেটা ঘুষ বল,দুর্নীতি যাই বল না কেনো। এই জন্য কি আমাদের মুক্তি যুদ্ধ হইয়েছিল? শেয়ার কেলেংকারির জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ পথে বসে গেছে। আমরা কি শাহবাগে কেঊ এদের জন্য কিছু বলেছি? এই যে লক্ষ্য মানুষ এদের বিচার কে চাইবে?৪০টাকার পেঁয়াজ এখন ৮৫টাকা কেন? কেউ কি শাহবাগে আন্দোলন করেছে? নাকি খুব লজ্জা লাগবে এই বিষয়ে আন্দোলন করতে? তাই বলে কি এটা ছোট সমস্যা?তোমার বা আমার না হয় ক্ষমতা আছে এই দামে খাওয়ার কিন্তু বাংলাদেশের কয়জনের ক্ষমতা আছে? চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু কারো কিছু বলার নাই।ঈদ আসলে জিনিসের দাম বেড়ে যায়,বেশি দাম দিয়ে টিকিট কাট তে হয়।এরকম হাজারো সমস্যা আমাদের দেশে বছরের পর বছর চলে আসছে কিন্তু কেঊ কি আমরা এসব নিয়ে আন্দোলন করেছি?নাকি এসব সমস্যা কিছুই না যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তুলনায়? আমি ভেবেছিলাম সবাই যখন আন্দোলনে নেমেছে তখন বুঝি এবার সব কিছুই উঠে আসবে কিন্তু সেটা হয়নি।খুলনা বরিশালের দিকে যাদের বাড়ি তারাই ভাল জানে কত কষ্ট করে যেতে হয়।কিন্তু এক মন্ত্রীর জন্য পদ্মা সেতুটা হল না।এর জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ কষ্ট করতেছে সেটা বুঝি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ????
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
সিরাজ ভাই, কিছু বলার নাই আসলে।
একটা কথা বলেন, ৪২ বছর আগে যেই হত্যা হয়েছিল, তার বিচার করতে পারিনাই আমরা, গত বছর যেই হত্যা হইসে সেটার বিচার কেম্নে আশা করি?
সামিয়া আমি কিন্তু শুধু হত্যার কথা বলিনি,আরো কিছু বিষয় খুব স্পষ্ট করে বলেছি.আর মানু্ষকে খালি গুলি করেই নয় আরো অনেকভাবেই হত্যা করা যায়.উদাহরণ হিসাবে শেয়ার মার্কেট কারসাজির ফলে লাখ লাখ মানু্ষ পথে বসে গেছে তাদের কথা চিন্তা করোতো.৪২ বছর আগে হয়নি বলে গত বছরের হত্যার বিচার আশা করা যাবে না বা আরো ৪২বছর অপেক্ষা করতে হবে এটা কেমন কথা
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
:clap: :clap:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:thumbup: :thumbup:
সামিয়া
১/ঐ মুভিটা ভালো লাগে বলে ভি চিহ্নের মানে আমার কাছে আগে ভ্যানডেট্টা পরে ভিক্টরি।(একান্তই ব্যাক্তিগত মতামত)
২/আওয়ামীলীগকে ধন্যবাদ দেয়ার কারণ স্বাধীনতার এত বছর পর তারা এই বিচারের কাজ শুরু করার সাহস দেখিয়েছে।আর ভাই আওয়ামীলীগও ভালো করেই জানে রায় কার্যকর না হইলে কপালে দুর্গতি আছে।
লেটস হোপ ফর দ্যা বেষ্ট। 🙂
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
যারা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কথা বলে মুখে ফেনা তোলেন আল্লামা শফী ও তাঁর হেফাজতের অভ্যুদয় তাদের কারণেই হয়েছে। জামায়াত বা হেফাজত তাদের রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করলেও সাধারণ মানুষকে নয়। কারণ পশ্চিমা দেশ থেকে যেমন রাষ্ট্র পরিচালনার কর্তৃত্ব থেকে গির্জা আর পোপের আধিপত্যের অবসান ঘটেছে তেমনি এদেশে ধর্ম-পুঁজিবাদের প্রভাব প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে। তথাপি শাহবাগের কিছু নষ্ট-ভ্রষ্ট কুলাঙ্গার যারা প্রতিনিয়ত স্রষ্টা, ইসলাম এবং ইসলামী নারীনীতি, পর্দাপ্রথা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রবর্তক হিসেবে মহানবী মুহাম্মদ সাঃ-কে পর্যন্ত অকথ্য ভাষায় কটুক্তি করতে দ্বিধা করেনা, তারাই আহমদ শফীর মতো এক নগণ্য বান্দার বাস্তবতার নিরিখে কথিত ‘সুপার ইম্পোসড’ বক্তব্য নিয়ে 'পাইছিরে..আস্ত একটা..' বলে চিৎকার শুরু করেছে।
কি রয়েছে তার সেই বক্তব্যে? তিনি নারীকে তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন, নারীকে গৃহে অবস্থানের উপদেশ দিয়েছেন, সহশিক্ষার বিরুদ্ধে ওয়াজ করেছেন- এ বক্তব্যে এতো আস্ফালনের হেতু কি? তাঁর বক্তব্য শুনে গা ঘিন ঘিন করা, অশ্লীলতার গন্ধ শুঁকে বমি বমি লাগা, নোংরামি ও জঘন্য বলে আখ্যায়িত করার আসল রহস্য কি? এর নেপথ্যে কি নারীর প্রতি সম্ভ্রমের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন, না হেফাজতের উত্তুংগ ইমেজের প্রতি অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে দেয়ার নতুন নীলনকশা বাস্তবায়ন-তা পাবলিক ভাল করেই বুঝে।
তোমার লেখার মূল বিষয়বস্তুর সাথে সম্পূর্ণ সহমত। জয়বাংলা।।
শুধু যাওয়া আসা শুধু স্রোতে ভাসা..
ভাই আপনার বক্তব্যের মাঝেই আপনার প্রশ্নের উত্তর লুকায়িত।না ধরতে পারলে বলবেন প্লিজ।
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
রতনে রতন চেনে আর শুয়োরে চেনে কচু।
গত সাত মাসে শাহবাগ, গণজাগরণ মঞ্চ ঘিরে কতকিছু ঘটে গেছে কিন্তু কি অবাক কান্ড, কিছু মানুষ সেখন থেকে বিরানী ছাড়া আর কোন কিছুরই নাকি গন্ধ পায় নাই।
বাংলাদেশে আজকাল মিসকিনদের ও মূল্যস্ফিতি ঘটেছে, এটা হয়তো বিদেশে বসে অনেকে জানেন না। টাকা না দিলে শুধু বিরানি খেয়ে পুন্য বিতরন করতে আজকাল ফকিরও পাওয়া যায় না। সেখানে দিনের পর দিন হাজার হাজার মানুষ রাতদিন শুধু বিরিয়ানীর লোভে বসে ছিলেন, এটা পাগলেও বিশ্বাস করে না।
তাছাড়া ওখানে এমন অনেকেই দিন-রাত ছিলেন যাদের কেউ কেউকে আমি চিনি। তারা ছয় অঙ্কে বেতন পান। বিরিয়ানির লোভে তাঁরা ওখানে ছয় অঙ্কের বেতন ছেড়ে বসে ছিলেন, এটা যারা ভাবেন তাদের মানসিক সুস্থ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিৎ।
যাহোক এসব বলে উলু বনে মুক্তো ছড়িয়ে লাভ নাই। যারা বিশেষ কোন কারনে পণ করেছেন এজাতির ভালো কোন অর্জনকে স্বীকৃতি না দেয়ার, তাদের জন্য করুনা বোধ করা ছাড়া আর কিছু করার নাই এই মুহুর্তে...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
কয়েকশ' পারসেন্ট সহমত।
সিরাজ,
আমার মনে হয়না তোমার ধন্যবাদের জন্য শাহবাগ বা গণজাগরণমঞ্চ বসে আছে বা ছিলো।
শাস্তি চেয়ে আকাশের পানে তাকিয়ে চাওয়ার থেকে বিরিয়ানি, নাস্তিকতা বা আওয়ামী লীগের সাথে সভা করার 'অপবাদ' নেয়া অনেক ভাল। কারণ কাজের কাজটা সেভাবেই করতে হয়।
কন্সপিরেসি থিওরি প্রোপাগেট করা যত সহজ, আলামত/প্রমাণ দাখিল করা কিন্তু ততটাই কঠিন। তবু প্রতীক্ষায় রইলাম।
অনেকগুলা সহমত...
তারই কোন ভুল হয় না, যে কাজ ফেলে অলস বসে থাকে। কাজ করলে ভুল-ভ্রান্তি হবেই। ভুল করার ভয়ে কাজ ফেলে বসে থাকা কোন কাজের কথা হতে পারে না।
যে যত কথাই বলুক, এটা সবাই জানে, শাহবাগ না হলে, আইন সংশোধন হত না, শাস্তি বৃদ্ধির আবেদন করা যেত না, মোমেনাদের মত যাঁদের পরিবার কাদের মোল্লা পাকিস্তানি জোশে নিজ হাতে নিশ্চিহ্ন করেছে, ক্ষমতার পালাবদলে বের হয়ে এসে বেচে যাওয়া, তার বিরুদ্ধাচারন করা সব মোমেনাদের বাংলাদেশে আরেকবার দেখে নিত।
শাহবাগ-এর কোন অর্জন আছে কিনা, তা একে ওকে নয়, জিজ্ঞাসা করুন মোমেনাদের কে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ফেসবুকে খুজিয়া পাইছি। 😀
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
আমিও বিচার চাই, কিন্তু......
আমিও শাহবাগে যেতাম, তবে.....
এই "কিন্তু" "তবে"-কে অনলাইনিয় ভাষায় বলা হয় "ত্যানা প্যাচানো সিনড্রোম"।
আর এই ত্যানা প্যাচানো সিনড্রোম-এর উপর "চরম উদাস" নামক এক ব্লগারের এক চরম ব্লগপোস্ট আছে।
ত্যানা প্যাচানোর যে ক্লাসিক এক্সামপল এখানে দেখলাম, চরম উদাসীও ব্লগপোস্টের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে।
ব্লগপোস্টটি দেখতে পারেন এখানে
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
=)) =)) =)) =)) =))
চরম উদাস- এর লেখাটা আবার পড়লাম পারভেজ ভাই।
পড়ি আর মেলাই, মেলাই আর পড়ি।
হাহাহাহা...
বিমলানন্দ।
😀 😀 😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
শুনেছিলাম মানুষ যত বুড়ো হয় ততই তার মধ্যে প্রতিক্রিয়াশীলতা বাড়ে। সিসিবিতে এরকম বুড়ো বুড়ো সিনিয়রদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাব দেখে যারপরনাই বিস্মিত হচ্ছি। এরা অধিকাংশই নতুন ব্লগার, তাই আরো অবাক লাগছে কারণ এতোদিন সিনিয়র যাদের দেখেছি তারা প্রায় সকলেই অত্যন্ত উদারমনা এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মতধারায় বিশ্বাস করেন। এখন দেখছি মোটামুটি ত্যানা-প্যাঁচানো ও গোঁড়ামিতে ভরা মন মানসিকতার কিছু লোকজন! ~x(
:teacup: :teacup:
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
সিরাজ ভাই, আপনি কি জাতীয় সংগীত এ সোনার বাংলা বদলে সোনার বাংলাদেশ করার পক্ষে?
:duel: :duel:
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
কোপায় লাভ নাইরে ভাই, দুই সপ্তাহ হয়ে গেল এই প্রশ্নের উত্তর পাইলাম না 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বিরিয়ানির নাম শুনলাম ! ক্ষিদা লাইগা গেল 😀