লেট লতিফ হিসেবে ব্যাপকহারে পরিচিতি না পেলেও আমি নিজে জানি, আমার উপর এর কিঞ্চিত প্রভাব আছে। ছোটবেলায় কোন এক অদ্ভুত কারণে কেন যেন শুধু অংক পরীক্ষাতেই আমি কোন দিন সময়মত হলে পৌঁছাতে পারিনি…এমনকি এসএসসিতেও না। এখনো যত চেষ্টাই করিনা কেন, জুম্মা’র নামাজে আগে পৌঁছাতে পারিনা। কিভাবে কিভাবে যেন এই কাজ সেই কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। যেদিন কাজ থাকেনা, সেদিন “না কাজের” কারণেই দেখা যায় খুতবা চলাকালীন মসজিদে ঢুকলাম। এরকম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একজন মানুষ দুই চার দিন আগে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা নিয়ে লিখবে এটা নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে দোষের কিছু নয় বলেই আমার বিশ্বাস। যাইহোক, ভূমিকা অনেক হলো…খোলস ছেড়ে ডিমের কুসুম এ আসি… । ইফতার এবং জিটুজি কুমিল্লা চ্যাপ্টার এর রিভিউ/নোটিফিকেশন/ছবি দেখতে দেখতে যারা ক্লান্ত, তাদের এই লেখায় আর না এগুনোই ভালো। জ্বী, আমি লেট লতিফ, কুমিল্লা চ্যাপ্টার নিয়েই লিখতে যাচ্ছি।
সম্ভবত ২১ মে ২০১৮ তারিখে ঝুমুর ইসিএফ এ এই ব্যাপারে পোস্ট দিয়েছিলো। সদ্য কুমিল্লা ফেরত আমি বিদেশ বিভুঁইয়ে “কুমিল্লা” শব্দটি দেখলেও নস্টালজিয়ায় ভুগি…কত শত অম্ল-মধুর স্মৃতি… তাই পোস্টটি এক নিমিষে পড়ে ফেললাম। সারসংক্ষেপ ছিলো, ৮জুন ২০১৮ তারিখে একটা ইফতার পার্টি এবং জিটুজি হবে যেখানে কুমিল্লায় অবস্থানরত এক্স ক্যাডেটদের পাশাপাশি সারা বাংলাদেশের এক্স-ক্যাডেটরা আমন্ত্রিত। নিজের ভিতরে ভীষণ চাঞ্চল্য অনুভব করলাম। দক্ষিন সুদানে বসে ঐ ২১ মে তারিখেই ক্যালেন্ডার নিয়ে বসে গেলাম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলতে হবে। নির্ধারিত তারিখটি আমার ছুটির মধ্যেই আছে। সিদ্ধান্ত নিলাম, কোনভাবেই মিস করা যাবেনা এই ইভেন্ট। সুদুর সাউথ সুদান থেকেই পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দিলাম, ০৮ জুন ২০১৮ দিনটি তোমাদের কারো জন্য নয়…বিশেষ এক উপলক্ষ্যে দিনটি অলরেডি বুকড।
এবারের এই ইভেন্টটিতে যোগদানের আরেকটি প্রধান কারণ ছিলো আমার একটু ইমোশনাল এটাচমেন্ট। কুমিল্লা চ্যাপ্টারের জন্য এবারের ইভেন্টটি ছিলো দ্বিতীয়বারের মত। কুমিল্লা চ্যাপ্টারের প্রথম ইভেন্টটি হয়েছিলো ২০১৫ সালে। গর্ব নিয়ে বলতে পারি কুমিল্লার ইতিহাসের এই প্রথম আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলাম আমি (যদিও মুল ঝামেলা ঝুমুরই সামলেছিলো)। তাই দ্বিতীয় আয়োজন থেকে কোনভাবেই নিজেকে বঞ্চিত করতে চাইছিলামনা। প্রথম আয়োজনেই ঝুমুর তার মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছিলো। এবার তার সাথে যোগ হয়েছে বন্ধু মোস্তফা (যার সাংগঠনিক দক্ষতা দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত অথচ ও নব উদ্যমে দিনকে দিন তার দক্ষতার গ্রাফ উপরের দিকে নিয়েই যাচ্ছে)। তাই এবারের আয়োজন যে ফাটাফাটি হবে তাতে আমার কোন সন্দেহই ছিলোনা।
০৭ জুন ২০১৮ তারিখে বন্ধু মোস্তফা (ইসিএফ এ তুষার ইকবাল নামে সেলিব্রিটি হিসেবে পরিচিত) কে ফোন দিয়ে জানালাম আমি আসছি। ৮ তারিখ সকালে মোস্তফা আবারো কনফার্ম করে নিলো আমার উপস্থিতি। প্ল্যান ছিলো জুম্মার নামাজ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এ পড়বো। এরপরে শহরে কিছু ব্যাক্তিগত কাজ সেরে ইফতারীর আগে আগে ভেন্যুতে হাজির হবো। কিন্তু বিধি শুধু বামই ই না…ডান, বাম, সামনে পিছে, উপরে, নীচে সব। মেঘনা ব্রীজ থেকে দাউদকান্দি ব্রীজ পর্যন্ত জ্যামের কল্যাণে কোনমতে সাড়ে তিনটার সময় ক্যান্টনমেন্ট এ পৌঁছলাম। ঢাকা থেকে সিসিআর এর আরো দু’জন বন্ধু রেজওয়ান এবং মাহবুব আলরেডি আগের রাতে ক্যান্ট এ চলে এসেছিলো। ক্যান্ট এ নামাজ পড়ে মোস্তফা’র ইউনিটটা ঘুড়ে ফিরে দেখলাম। অতঃপর শহরে ছুট দিলাম। ব্যক্তিগত কাজ পুরোটা সারতে পারিনি। তবে, ইভেন্টের কোন অংশ যেন মিস না হয় সেদিকে ছিলো সতর্ক দৃষ্টি।বিকেল ৫ টা ৩৫ মিঃ এ পৌঁছালাম ভেন্যুতে। এর মাঝেই জুনিয়র কেউ কেউ চলে এসেছে। আমি রিক্সা থেকে নামতে নামতেই সিসিআর এর বন্ধু জুলফিকার চলে আসলো। একই সাথে দেখলাম অন্যতম আয়োজক ঝুমুর গাড়ি থেকে নামছে হাতে আড়ং এর এক গাদা ব্যাগ নিয়ে। এর মাঝেই মোস্তফা, রেজওয়ান, মাহবুব (সবাই সিসিআর) এবং সিসিসি’র আমাদের ব্যাচমেট কিবরিয়া উপস্থিত। কিছু সময় নীচে কাটিয়ে সবাই মিলে ভেন্যু রেড রুফ রেস্টুরেন্ট এ আমাদের জন্য বুকড কনফারেন্স হলে ঢুকলাম। প্রতিটি ব্যাপারেই আন্তরিকতার ছাপ একদম প্রথম দেখায়ই নজরে পরেছে। একটা সুন্দর ব্যানারও টানানো হয়েছে। প্লেটে সাজানো ইফতারীর মেন্যু দেখে হতবাক আমি। অবাক হলাম যখন শুনলাম আরো কিছু আইটেম বাকি আছে। এরই মধ্যে ক্যান্ট থেকে কোস্টার বোঝাই করে একদল জুনিয়র ছেলে মেয়ে এসে হাজির। পুরো কনফারেন্স রুম তখন এক্স ক্যাডেটদের কলকাকলীতে মুখরিত। কোস্টারে করে মোস্তফা’র স্পন্সর করা কেক এসে হাজির। বাহারী রঙ এর হাউস কালারে রাঙ্গানো কেকটা যেন প্রতিটি ক্যাডেটের রাঙ্গা হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি। অনুষ্ঠানে সর্ব জ্যেষ্ঠ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল আহসান স্যার (সিসিআর ৩য় ব্যাচ)। এত সিনিয়র একজন মানুষ, অথচ মুহুর্তেই যেন আমাদেরই একজন হয়ে গেলেন। সকল কলেজ থেকে এক জন করে প্রতিনিধি নিয়ে কেক কাটা হলো। আর এর মাঝেই চলতে থাকলো আমাদের সবার কিচির মিচির করে কথা বার্তা এবং আপোষে পরিচয় পর্ব । অবশ্য, পরিচয় পর্বটি আরেকটু অর্গানাইজড হলে সবাই সবাইকে আরেকটু ভালোভাবে চিনতে জানতে পারতাম।। ইফতারীর কিছু আগে মেজর নাহিদের নেতৃত্বে মোনাজাত পর্ব শেষ হলো। ইফতারীর পর্বটা কিভাবে যেন শেষ হয়ে গেল। আমি ভীষণ একসাইটেড ছিলাম এই ইভেন্টে যোগদান নিয়ে। তাই খাবারের দুই তৃতীয়াংশও শেষ করতে পারিনি। তবে আড্ডাবাজী, সবার সাথে দেখা হওয়া, কথা হওয়া এটাই ছিলো উপভোগ্য। নামাজের পরে কেক, আবারো আড্ডাবাজী এবং গরম কফিতে চুমুক দেওয়া পর্ব ছিলো অসাধারণ। আমরা আমাদের মত উপভোগ করে গেলেও আয়জকরা ছিলো সর্ফু-তে। একটু পর পর এটা ঠিক আছে কিনা…ওটা ঠিক আছে কিনা…সবাই সব কিছু ঠিক মত পেলো কিনা…এসব কিছুতেই তারা ছিল ভিষণ ব্যস্ত। সব শেষে সবাই প্রস্থান পর্ব শুরু করলেও আয়োজকরা সবচেয়ে অপ্রীতিকর বিষয়-টাকা পয়সার হিসেব নিয়ে বসলেন। এর ফাঁকেই ঝুমুর সব উদ্বৃত্ত খাবার জড়ো করার কাজে লাগিয়ে দিলো হোটেলের ওয়েটারদের। যারা চলে যাচ্ছিলো, তারা সকলেই ঝুমুরের তরফ থেকে ছোট্ট স্যুভেনিয়র গ্রহন করে বিদায় নিয়েছে।
রাত আটটার দিকে ঢাকা ফেরত আসার জন্য আমরা ৩ জন (আমি, রেজওয়ান এবং মাহবুব) মোস্তফা সহ রেড রুফ থেকে রওয়ানা করলাম। মোস্তফা কে ক্যান্ট এর গেইটে নামিয়ে দিয়ে শুরু হলো আমাদের ঢাকা ফেরত পর্ব। খুব ভালো ভাবেই আমরা দাউদকান্দি পর্যন্ত পৌঁছালাম। অবশেষে শুরু হলো জান খারাপ করা জ্যাম। রেজওয়ানের দক্ষ হাতের ড্রাইভিং এবং মাহবুবের সুনিপুণ নেভিগেশন আর বোনাস হিসেবে উভয়ের হস্যরসে ভরা বাতচিত আমাদের ফিরতি যাত্রাকে মনোটনি থেকে রক্ষা করেছে। সবশেষে রাত পৌনে ২টায় আমাকে বাসার নীচে নামিয়ে দিয়ে ওরা দু’জন ওদের গন্তব্যে চলে গেল।
ধন্যবাদ দিয়ে কোনভাবেই আয়োজকদের প্রশংসা করা শেষ হবেনা। পর্দার সামনের টুকুই আমরা দেখতে পেয়েছি শুধুমাত্র। কিন্তু পিছনে কত পরিশ্রম যে করেছেন আয়োজকরা তা বলে বোঝানো সম্ভব না। প্ল্যানিং, ভেন্যু, মেন্যু, জনবলের হিসাব, সমন্বয় করে সবাইকে নিয়ে আসা – এসব কিছুতেই অত্যন্ত ধৈর্য্যের প্রয়োজন। গল্পচ্ছলে যা জানলাম তাহলো, প্রায় ৩/৪ বার ঝুমুরকে সমন্বয়ের জন্য রেড রুফে যেতে হয়েছে। চেম্বার থেকে ফেরার বা চেম্বারে যাওয়ার পথে বেচারীকে এই কষ্ট করতে হয়েছে। শুরুতে বুকিং ছিলো ২০ জনের এবং মেন্যু ছিল সিম্পল। পরে সেটা ৩০ থেকে ৪০ জনে এবং একদম প্রোগ্রামের দিন সকালে ৫০ জনে গিয়ে ঠেকেছে। মেন্যুতেও এসেছে পরিবর্তন। কুমিল্লার স্থানীয় হওয়ায় ঝুমুরকেই আয়োজনের গ্রাউন্ড লেভেলের কাজগুলো করতে হয়েছে। প্রোগ্রামের দিন দুপুর পর্যন্ত বেচারী ঝুমুর একাই সব সামলেছে। দুপুরে ও একা রেড রুফে গিয়ে যখন ফাইনাল মেন্যুর হিসাব, ব্যানার লাগানো, টেবিল লে আউট এসব করছিলো, তখন এফসিসি’র শুভাশীষ গিয়ে ঝুমুরের সাথে যোগ দিয়েছিলো। বন্ধু মোস্তফা প্ল্যানিং, জনবলের (বিশেষতঃ ক্যান্ট এর) সঠিক এবং আপডেটেড তথ্য দেয়া, ক্যান্ট থেকে সবাইকে একত্র করে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত সুচারুরুপে সম্পন্ন করেছে।
উদ্বৃত্ত খাবার গুলোর ব্যাপারে আমি একবার কথাচ্ছলে রেল স্টেশনে ছিন্নমূল মানুষদের মাঝে বিতরণের ব্যাপারে বলেছিলাম। তবে খুব শক্ত করে বলিনি। কারণ, আইডিয়া দেয়া খুব সহজ…কিন্তু তা এক্সিকিউট করা কঠিন। কিন্তু ছোট ভাইগুলো যে হাসিমুখে এই কষ্টের কিন্তু মহৎ কাজটি উতসাহের সাথে করে ফেলবে তা তখন শিওর ছিলাম না। পরে ফেসবুকে এ সংক্রান্ত পোস্ট দেখে জানলাম ওদের মনেও আমার মত চিন্তাই ছিল এবং তাই ওরা কোন কষ্টের কথা চিন্তা না করেই খাবার নিয়ে অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। একজন ক্যাডেট হিসেবে আবারো গর্ব অনুভব করলাম।
এবারের প্রোগ্রামের কয়েকটি লক্ষণীয় বিষয় ছিল। (১) এবার সিনিয়রদের উতসাহ উদ্দীপনা জুনিয়রদের তুলনায় বেশী পরিলক্ষিত হয়েছে। (২) একমাত্র জয়পুরহাট বাদে সব কলেজেরই রিপ্রেজেন্টেশন ছিল। (৩) সবচেয়ে বেশী ছিল সিসিআর এর উপস্থিতি। (৪) ব্যাচ হিসেবে আমাদের ৮৮-৯৪ ব্যাচের উপস্থিতি সর্বাধিক (৭ জন) মনে হলেও মুয়াজের তথ্যমতে ২০০৭-২০১৩ ব্যাচের উপস্থিতি ছিল সর্বাধিক (১০ জন)। (৫) সেলিব্রিটি তুষার ইকবালের কেক স্পন্সর। (৬) নারী উদ্যোক্তা/সংগঠক হিসেবে ঝুমুরের অবস্থান আরো শক্ত হিসেবে প্রকাশ এবং (৭) স্মৃতি স্মারক হিসেবে সবার জন্য ঝুমুরের ব্যাক্তিগতভাবে স্যুভেনিয়র এর ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে ৮ জুন ২০১৮ দিনটি একটি অত্যন্ত আনন্দঘন দিন হিসেবে স্মৃতিতে স্থান করে নিয়েছে।
“লেট লতিফ” প্রভাবের মত অল্প না, বরং “স্মৃতি কাতরতা” এবং “ইমোশন” এর প্রভাব আমার চরিত্রে তীব্র। আর সে কারণেই ক্যাডেটশীপ, ক্যাডেট পরিবার, ক্যাডেটীয় সম্পর্ক আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পেশাগত ও ব্যক্তিগত কারণে কুমিল্লার প্রতি আমি যথেষ্ট অনুরক্ত। আর তাই, যখন কুমিল্লা এবং ক্যাডেট এর সম্মিলন হয় কোন একটি উপলক্ষ্যে তখন তার আবেদন অনেক অনেক বেশী হয়ে যায়। ধন্যবাদ আয়োজকদের। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রইলাম কুমিল্লা চ্যাপ্টারের আবার কোন একটা প্রোগ্রামের জন্য। ভালো থাকুক সকল বর্তমান এবং এক্স ক্যাডেট। ভালো থাকুক ক্যাডেট পরিবার।।
ভাই এইখানে নাদান ব্যাচ ০৭-১৩ এর দশ জন উপস্থিত ছিল। এই ব্যাচের উপস্থিতিই সবচেয়ে বেশি ছিল মনে হয়।
তথ্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক করে দিচ্ছি।
বাহ! দারুণ... :clap: :clap:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
বাহ! খুব ভাল!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সুদুর সাউথ সুদান থেকেই পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দিলাম, ০৮ জুন ২০১৮ দিনটি তোমাদের কারো জন্য নয়…বিশেষ এক উপলক্ষ্যে দিনটি অলরেডি বুকড - এরই নাম ক্যাডেট স্পিরিট! :clap:
পেশাগত ও ব্যক্তিগত কারণে কুমিল্লার প্রতি আমি যথেষ্ট অনুরক্ত - ব্যক্তিগত কারণ না থাকলেও, পেশাগত কারণে আমিও কুমিল্লার প্রতি আমি অনুরক্ত। আমার সামরিক জীবন শুরু হয়েছিল ময়নামতি সেনানিবাসে, শেষও হয়েছে সেখানেই। সেজন্য কুমিল্লার কথা শুনলেই ভেতরে একটা আত্মিক টান অনুভব করি, যদিও আমি কুমিল্লার মানুষ নই।
দেরীতে হলেও, পোস্টটা পড়ে অনেক ভাল লাগলো। এমন একটা মহতি অনুষ্ঠানে যারা পর্দার অন্তরালে কাজ করেছিল, তাদের সবাইকে সাধুবাদ।
(কেকের ছবিটা দেখে একটা কথা না বললেই নয়, বর্তমানে চালুকৃত কুমিল্লার নতুন ইংরেজী বানানে ভীষণ অস্বস্তি বোধ করি)