অনেক অনেক দিন পর সিসিবিতে আসলাম। সেই যে পিকনিক খাইয়া পালাইলাম, তারপর আর আমারে কেউ এইখানে দেখে নাই… দেখবে এমুন আশাও কেউ করে নাই, এইটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়… কারণ “পিকনিক আহমেদ” নামটা তো আর এমনি এমনি হয় নাই… জাউজ্ঞা… আবার চইলা আসছি, কার্যকরণঃ “পিকনিকের খাওয়া হইতে সিসিবিতে সময় কাটানো অধিকতর উত্তম”…(পুনশ্চঃ পিকনিক ও খারাপ না…) আসল ব্যাপারটা হলো, শেষ সেমিস্টার চলতেছে। পড়াশুনার ঠেলা, থিসিসের ধাক্কা, দুইদিন পরেই বাইর হইয়া যাবো- তাই বেশি কইরা আড্ডা… সব মিলাইয়া যতো না ব্যস্ত তার চেয়ে বেশি ব্যস্ততার ভাব, সময়ই যে মেলে না।
যাই হোক একটা গল্প বলিঃ
আমদের ক্যাম্পাসে সেই দিন একটা অদ্ভুত ঘটনা হলো, ডিপার্টমেন্টের দুইজন ভারিক্কি প্রফেসর এর সামনে দিয়ে তিন বালক হেঁটে যাচ্ছিল। স্যারগণ তাদের দিকে প্রশ্নের তীর ছুড়ে দিলেন, ‘কিহে বাবারা, দেশে আছো, নাকি বিদেশে??? পড়াশুনা হয় নাকি প্লেনে প্লেনেই দিন কাঁটে??’… স্যারদের মুখের কোণায় যেন হালকা হাসিও দেখা গেলো। কি করেছে এই বালকগুলা, যাতে কিনা এমন গুরুগম্ভীর স্যাররাও মজা পেলেন। ব্যাপারটা জানতে একটু অতীতে ফিরে যাই।
ঘটনা#১
এইতো কিছুদিন আগেই ঢাকায় হয়ে গেলো দেশজুড়ে আয়োজিত রোবোটিক্স কমপিটিশনের ফাইনাল রাউন্ড। ভারতীয় একটি কোম্পানীর তত্বাবধায়নে করা ঐ কমপিটিশনে সেই তিন বালক ভালো করল। ফলস্বরূপ তারা ভারতের গোয়াতে হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক রাউন্ডে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলো। বেচারাদের খুশি আর দেখে কে? হাজারো প্ল্যান চলতে থাকলো… কি করবে, কিভাবে যাবে, কোথায় থাকা হবে… কত যে চিন্তা… এইদিকে ভার্সিটিতেও খুশির আমেজ, সবাই তাদেরকে উৎসাহ দিলো। যাই হোক, প্রথম বাধা আসলো- স্পন্সর কে হবে? ভার্সিটিতো রাজী হওয়ার কথা না। তারপরেও দুরুদুরু বুকে তারা হেড স্যারের কাছে আপ্লিকেশন দিলো। স্যার তা নিয়ে গেলেন ভিসি স্যারের কাছে, ভিসি স্যার ঠিক রাজীও হলেন না, আবার নাও করলেন না… ফান্ড নিয়ে নানা সমস্যা দেখালেন। কিন্তু আমাদের স্যারতো উত্তেজিত, ডিপার্টমেন্টের প্রেস্টিজ ইস্যু। তিনি সবার সাথে মিটিং করে, মোটামোটি বলা যায় যুদ্ধ করে ঐ তিন বালককে ফান্ডের ব্যবস্থা করে দিলান। বালকরাও মহা খুশি। পাসপোর্টগুলা ভিসার জন্য জমা পরলো। ডেলিভারী দিতে দেরি হছে, এইদিকে কমপিটিশনের আর দেরি নেই। হালকা টেনশন। এম্বেসিতে খবর নিয়ে জানা গেল, ভিসা হবে কিন্তু একটু দেরি হচ্ছে, এই যা। অত:পর কি আর করা, তারা টিকেটও বুকিং দিয়ে ফেললো। ব্যাপারটা এমন দাঁড়ালো, যেদিন ভিসা পাবে, তারপরদিন ফ্লাই। আর মাত্র দুইদিন বাকি। তিনজন চিন্তা করলো, সবার থেকে দোয়া নেয়া দরকার। বেকুবরা বুঝতেও পারল না যে, জীবনের চরম ভুল একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেলো। ওরা ডিপার্টমেন্টের সবার কাছে বিদায় নিলো, সিনিয়র স্যারদের একেবারে পায়ে ছুয়ে সালাম, জুনিয়রদের উপদেশঃ আমরাতো ভার্সিটির নাম উজ্জ্বল করতে যাইতেছি, এইটা এবার তোমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। ছোটরাও ভাইয়াদের দিকে বড় বড় চোখ করে ভাবতে লাগলো, ইস্স্ ভাইয়ারা তো ‘সেইরকম’। স্যাররাও মহা খুশি, তিন সোনার টুকরা ছেলে দোয়া চাচ্ছে, মাশাল্লাহ্। এক স্যার তো পুরা একঘন্টা লেকচারই দিয়ে দিলেন, কিভাবে কি করতে হবে, তার উপর। সব কাহিনীরই শেষ আছে। পরদিন ভিসাবিহীন পাসপোর্ট ফেরত আসলো। তাদের মধ্যে একজন আমেরিকার গ্রীনকার্ডধারী, অন্য দুইজনের পাসপোর্টে গোটা সাত-আটেক দেশের ভিসা লাগানো, তারপরেও ভারতীয় এম্বেসি তাদেরকে ঐ দেশে ঢুকার মতন যথেষ্ট যোগ্যতা-সম্পর্ণ মনে করলো না। সেসব আন্য ব্যাপার। আগে তো ঐ তিনটাকে ভার্সিটিতে মুখ দেখাতে হবে। একবার তারা ভাবলো, যাহ্ সাতদিনের জন্য ডুব মারি… কিন্তু না, এটা করলে ধরা খাইতে হবে। তো কি আর করা… আবার ক্যাম্পাসে পদার্পণ। হেহেহে… তারপরের করুন কাহিনী আর বলার প্রয়োজন নাই, বেচারাদের অবস্থা অনেকটা “ক্লাস সেভেনের সামনে দিয়ে খুব পার্টে হেঁটে যাওয়া ক্লাস এইটের মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়ার মতন”।
ঘটনা#২
ঘটনা ১ এর কিছুদিন পরের কথা। ঐ ঘটনা মোটামোটি ধামা-চাপা পড়ছে। আবারো সেই, ঠিক সেই তিনজনেরই বিদেশে ভ্রমনের সুযোগ। এইবার থাইল্যান্ড। পেপার প্রেজেন্টেশনের জন্য কনফারেন্সে যেতে হবে। এইবার তারা খুবই সাবধান। আগে ভিসা, টিকেট সব কনফার্ম করলো, অনেকটা নিরবেই। সব শেষ, এখন শুধু ফান্ডটা পেলেই হয়। আবার গেল হেড স্যারের কাছে। স্যার গতবারের ব্যাপারটা নিয়ে হালকা রাগ করলেও, ফান্ড দিতে রাজী হলেন।
তিনি কাগজপত্র তৈরী করতে লাগলেন। এইফাকে অই তিনজনের আবার পুরো ভার্সিটি ভ্রমন, দোয়া দেয়া-নেয়া শেষ। এখন বাকি শুধু ভিসি স্যারের সাইন। হেড স্যার তিনজনকে নিয়ে গেলেন ভিসি স্যারের রুমে। আবারো রিয়েল লাইফ জোক্স্… ভিসি স্যার কিছুক্ষন আগে তিনদিনের ছুটিতে গেছেন এবং ভারপ্রাপ্ত-ভিসি স্যার ফান্ড দিতে রাজ়ী নন।… আবারো ক্লাস এইটের আছাড় আরকি…
ঘটনা#৩
গোপন সুত্রে পাওয়া খবর, তেনারা তিনজন নাকি এইবার চীন যাওয়ার দাওয়াত পাইছেন। দেখা যাক কি হয়…
[বি:দ্র: ঐ তিনজনের একজন আমি কিনা, সেই প্রশ্ন এইখানে অবান্তর…;-)]
🙂
আমি কি ১ম?? 😀 😀
ভাল কথা সিসিবি তে এত দিন পর আইসোস,এতদিনের অনুপস্থিতিতে তোর আগের ডিগবাজি বাতিল হয়ে গেছে,এখন আবার নতুন কইরা :frontroll: লাগা! 😡
আর আমি ইন্ডিয়া আর থাইল্যান্ড এর জন্য যেই লিস্ট রেডি করছিলাম,অইগুলার কি হবে জানাইলিনা তো x-( x-(
=)) =))
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
আগের সব লিস্ট বাদ। নতুন কইরা চায়নার জন্য রেডী কর...
চীনে কি কি পাওয়া যাই আগে তার একটা লিস্ট আমারে বানাইয়া দিস,আমি অইখান থেকে কাটছাট করে তোরে দিমু 😀 😀
জেরিনাপ্পু,টান্টু যেন ভুলেও থাইল্যান্ডের পাতায়া দ্বীপে না যায়...খুবখ্রাপজায়গা ;;;
:))
মাস্ফু ভাই জানলো কেমনে, খারাপ না ভালা??? x-(
গোপন সুত্রে পিকনিকের কোন আগাম সংবাদ পেয়েছ নাকি ;))
লেখা চমৎকার হয়েছে :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পিকনিকে যাইতে মঞ্চায় :((
আমার ও মঞ্ছায়,চলো আপু আমি র তুমি মিলে পিকনিক এ যাই
তুমি আর আমি মিলে যাব মানে কি x-( আমি পিকনিকে যাব আমার এত্তগুলা দেবর-ননদ-ভাই-বোন এদের বাদ দিয়ে 😮 এই কথা যেন দ্বিতীয় বার না শুনি, টান্টুর বৌ :grr:
আহ্ পিকনিক :dreamy:
টান্টু মিয়া, তোমাদের গ্রাজুয়েশনের পরে একটা পিকনিক এরেঞ্জ করে ফেল............কি বলেন কাইয়ুম ভাই 🙂
আহারে বেচারাগন... :bash: :bash:
তুমি মাথা ফাটাচ্ছ কেন! 😮
দুক্ষকরিস্নারেভাই........ :((
পার্টোফ্লাইফ 🙁
পার্টোফ্লাইফ দেখতে গিয়া তো লাইফটাই পার্ট পার্ট হইয়া যাইতেছে :bash:
অনেক শুভেচ্ছা আহমেদ! 🙂
ইনশাল্লাহ চীনে গিয়ে ব্যাপক শপিং করতে পারবা তো্মার পার্বতীর জন্য। 😀
তানভীর ভাই ,পার্বতী আবার কে?নতুন কেউ? আমারে টান্টু ধুকা দিছে :((
ধন্যবাদ তানভীর ভাই... ইনশাল্লাহ্ দোয়া রাইখেন...
আর... ইয়ে... মানে ভাইয়া... ইয়ে... পার্বতী দেখতে কেমুন? সিঙ্গেল নাকি? 😡
এইযে পার্বতী, সিঙ্গেলই আছে... তয় যা করবেন বুইঝা কইরেন... জরিনা ভাবী কইলাম ক্ষেইপা যাইতে পারে।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
রকিব্যাআআআআআআ,তুই লং আপ হো,এক্ষুনি(মাস্ফু ভাই ইস্টাইলে)
তোরে কোপামু আমি! x-( x-( x-(
😮
:no:
রিজওয়ান ভাই,শুধু অবাক হইলে হইবো? এই সব বেদ্দুপ জুনিয়র পুলাপান সিনিয়র ভাই রে পার্বতির খুজ আইনা দেয় ,এগুলান রে পাঙ্গানি দেওয়ার TIME আইসে!
তুমি তো জানোই না....এই বদ পুলা তলে তলে আরও কত্ত কি করে......... x-(
এইটারে একটা কঠিন সাইজ দেয়া লাগবে 😡
@জরিনা ভাবী- আপনারে যাতে সতীন না জোটে সেই ব্যবস্থা করতেই বৃদ্ধা পার্বতী নিয়ে আসলাম, আর আপনেই আমারে ঝাড়তেছেন; ঠিক আছে!! নেক্সট টাইম সিরাম পার্বতীই খুঁইজা দিমু তারে।
@রেজুদা- দুইন্যা থেইকা আসলেই মায়া মোহাব্বত উইঠা চাঁন্দে চইলা গেছে। আপনে আমার নামে এই সব কী কইতাছেন!!! :(( :((
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
Ole ole rokib babu!ami vabsi tui amare buri banaiya tantu k juyan parboti khuje dite chas..ahale...thak jhari ta jhaira fel.
(sry phn diya aslam,tai banglish)
ইয়ে... মানে... রকিব, তুই কি সিরিয়াসলি কইলি নাকি... কি মনে হয় তোর... পারবি??? :shy:
আল্লাহ ভরসা ।
এইবার ৩ডারে পাডাইয়াই ছাড়মু ।
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
আল্লাহ ভরসা ... আল্লাহ ভরসা ... আল্লাহ ভরসা ... 🙂
অভিনন্দন, তিনজনকেই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আরে না না, আমার কলেজের পোলাপাইনের এইসব দোষ নাই, তার উপর আমার হাউসের পোলা। 🙂
পার্বতী বলতে আমি তোমাকেই বুঝাইছি, তুমি মনে হয় এই পোস্টটা পড় নাই।
:shy: :shy:
ভালো ব্যাক-আপ দিছেন ভাই... থ্যাংকু থ্যাংকু... :thumbup:
আর ইয়ে, জেরিন...ঠিক ঠিক... পার্বতী মানে তুমিই, পার্বতী মানে তুমিই...
অভিনন্দন :party:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ধন্যবাদ আহমদ ভাই…
সফল চীন ভ্রমন এর শুভ কামনা রইল... :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আহ-মেদ ভাই ভাল আছেন 😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আলহামদুলিল্লাহ্... ভালা আছি ভাইজান... আপনার শরীরডা ভালা নি???
চীন থেকে আমার জন্য চকলেট আইনো 😛
চীনের চকলেট ভালা না, খাইতে কুনু মজা নাই, তিতা... :no:
আইসে আরেক চাপাবাজ 😛
এর আগে সিসিবি থেকে বিদায় নাও নাই তো, তাই কুফা লাগছিল। এইবার কুফা কাটার সম্ভাবনা প্রবল মনে হইতেছে
লাইগা রহো মুন্না ভাই 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
দোয়া রাইখেন ভাই। কুফাটা কাটা বড়ই জরুরী...
সাবাস আহমেদ। এক দুইবার মিস হইলেও তুই যে রক করিস তা আমরা সবাই মানি! এগিয়ে চল।
:shy: :shy: :shy:
জিহাদ বা রায়হানের কাছে টান্টু আহমেদরে নিয়া আগেই শুনছিলাম :clap:
বেস্ট অফ লাক :thumbup: চীন থেইকা ঘুইরা আস, পিকনিক হবে :gulli:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ইনশাল্লাহ্ ভাইজান... দোয়া রাইখেন... আর ইয়ে মানে পিকনিকটা একটু তাড়াতাড়ি হইলে ভালা হয়... ;))