এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোনো সশস্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফোজদারীতে সোপর্দ কিংবা দন্ডদান করিবার বিধান সম্বলিত কোন আইন বা আইনের বিধান এই সংবিধানের কোনো বিধানের সহিত সামঞ্জস্য বা তাহার পরিপন্থী, আই কারণে বাতিল বা বেআইনী বলিয়া গণ্য হইবে না কিংবা কখনও বাতিল বা বেআইনী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না।
-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, ধারা-৪৭ (৩)।
দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এসেছে। বিচার করবে না এ কথাও তারা বলছে না। তবে বলার ক্ষেত্রে আগে গলায় যে জোরটি ছিল তা যেন মনে হয় খানিকটা কমে এসেছে। একবার তো দিন-তারিখও প্রায় দেওয়া হয়েছিল। এখন বলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পর শুরু হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই প্রণীত হয়েছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুনাল) অ্যাক্ট’। সরকার বলছে এই আইনেই বিচার করা হবে। ৯৭৩ সালে করা আইন দিয়ে ২০০৯ সালে বিচার করতে হলে আইনটির খানিকটা সংশোধন করা প্রয়োজন বলেই অনেকে মনে করেন। বিশেষ করে আইনটি আন্তর্জাতিক মানের কিনা সে প্রশ্নটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে সকলেই এই প্রশ্নটি তুলছেন। আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্য আইন না হলে বিচার করা সম্ভব হয়তো হবে না।
দেশে একটি আইন কমিশন রয়েছে। তাদের একটি কাজ হচ্ছে আইনকে সংশোধন বা পরিমার্জন করা। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুনাল) অ্যাক্ট’ নিয়ে তারা কাজটি করছে। আইন কমিশনের একটি ওয়েব সাইট রয়েছে। কমিশন সাধারণত সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে আইন সংশোধনের সুপারিশ করে। ওয়েব সাইটে গিয়ে অবাকই হলাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আমরা অনেক কথা বলছি। বিচার করার দাবি জানাচ্ছি জোড়ালো গলায়। কিন্তু আমরা যারা গলাবাজি করছি তাদের অনেক কিছু করারও আছে। সেই কাজটি যে আমরা করছি না তার প্রমান পাওয়া যায় আইন কমিশনের ওয়েব সাইটে গিয়ে।
সরকার আইনটি পর্যালোচনার জন্য আইন কমিশনের কাছে পাঠায় ২০০৯ সালের ২১ মে। কমিশন এরপর ৩৩জন বিশেষজ্ঞের কাছে মতামত চায়। আসুন দেখি কাদের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
১. বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেন
২. বিচারপতি এ টি এম আফজাল
৩. বিচারপতি হাবিবুর রহমান
৪. বিচারপতি মোস্তফা কামাল
৫. বিচারপতি গোলাম রব্বানি
৬. বিচারপতি কাজি এবাদুল হক
৭. চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮. চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৯. চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১০. চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
১১. চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
১২. সভাপতি, সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন
১৩. সাধারণ সম্পাদক, সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন
১৪. সভাপতি, ঢাকা বার এসোসিয়েশন
১৫. সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বার এসোসিয়েশন
১৬. ওয়ালিউর রহমান, পরিচালক, বিলিয়া
১৭. ব্যারিষ্টার টি এইচ খান
১৮. ব্যারিষ্টার রফিক উল হক
১৯. ড. এম এ জহির
২০. ব্যারিষ্টার খোন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমেদ
২১. ড. কামাল হোসেন
২২. ব্যারিষ্টার আমির-উল-ইসলাম
২৩. ব্যারিষ্টার মাহমুদুল ইসলাম
২৪. ব্যারিষ্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ
২৫. ব্যারিষ্টার আবদুল বাসেত
২৬. ব্যারিষ্টার আজমালুল হোসেন
২৭. ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন
২৮. ব্যারিষ্টার আখতার ইমাম
২৯. ব্যারিষ্টার শেখ রাজ্জাক আলী
৩০. ব্যারিষ্টার আবদুর রাজ্জাক
৩১. ব্যারিষ্টার তওফিক নেওয়াজ
৩২. ব্যারিষ্টার আবদুর রাজ্জাক খান এবং
৩৩. ব্যারিষ্টার খান সাইফুর রহমান।
এবার আসল কথায় আসি। এই ৩৩ জনের মধ্যে মতামত দিয়েছে মাত্র ২ জন। একজন হলেন বিচারপতি কাজি এবাদুল হক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক। সময় বাড়িয়েও কমিশন আর কারো কাছ থেকেই কোনো মতামত পায়নি। এর মধ্যে আবার ড. কামাল হোসেন এবং আজমালুল হোসেন সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। সময় বাড়ানো হলেও তারা কোনো মতামত দেননি।
আইন কমিশনের রিপোর্টটি পাবেন এখানে
আইন কমিশনের রিপোর্টটি পাবেন এখানে
এই হচ্ছে আমাদের দায়িত্ববোধ। টেলিভিশনে টক শো বা সেমিনারে যেয়ে এদের অনেকেই যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে অনেক কথা বলেন। কলামও লেখেন কেউ কেউ। কিন্তু আসল কাজটি কেউ করলেন না।
আমি বিশেষজ্ঞ নই, তবে দু-একজনের সাথে কথা বলে বুঝেছি যে আইন কমিশন আইনটির যেসব ধারা সংশোধনের সুপারিশ করেছেন তা পর্যপ্ত হয়নি। এখনও নাকি এর অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। সমস্যা থাকার কারনেই আইনটি সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক মানের হতে পারেনি। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত লাভবান হবে চিহ্নিত-অচিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরাই।
২.
আইন: ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়। এ আইনে তিন থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাইবুনালকে হাইকোর্টের সম-মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মামলা বিরতিহীনভাবে চলবে এই ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।
এ আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী, প্রতিরক্ষা অথবা অক্সিলারি ফোর্সেস এর যে কোন দেশের নাগরিকের বিচার করতে পারবে ট্রাইবুনাল। এ আইন প্রণয়নের আগে বা পরে আইন ভঙ্গ করলে অপরাধীদের বিচারের মতা ট্রাইবুনালকে দেওয়া হয়েছে।
৩(২) ধারায় অপরাধের প্রকৃতিগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ধারা অনুযায়ী হত্যা, ধ্বংস, জোরপূর্বক অবরুদ্ধ রাখা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ প্রভৃতি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ যখন কোন বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা হয় তখন তা এ আইনে বিচার হবে। এছাড়া গণহত্যা, যুদ্ধ আইনের লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচার এ আদালতে হবে।
এ আইনের ৪ ধারায় ‘অপরাধের দায়’ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সংগঠিতভাবে অনেকে মিলে অপরাধ সংগঠন করলেও সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। এক্ষেত্রে ওই অপরাধ তিনি একাই করেছেন বলে সাব্যস্ত হবে।
এ আইনে আরো বলা হয়েছে অপরাধ সংগঠনের নির্দেশদাতা কমান্ডার, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এবং অপরাধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই এ আইনের ৩ ধারায় অপরাধের জন্য দোষী হবেন।
এ আইনের ৩ ধারায় বর্ণিত অপরাধের বিচারের জন্য সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এক বা একাধিক ট্রাইবুন্যাল গঠন করতে পারবে। প্রতিটি ট্রাইবুনালে একজন চেয়ারম্যান এবং সর্বনিম্ন দুই বা সর্বোচ্চ চারজন সদস্য থাকবে। হাইকোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন কেউ অথবা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কাউকে ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বা সদস্য করা যাবে।
এ আইনের বিচারের জন্য সরকার প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবেন। এমনকি সরকার চাইলে আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধ তদন্তের জন্য তদন্ত সংস্থাও গঠন করতে পারেন।
বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আইনের বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ার উল্লেখযোগ্য দিকের মধ্যে হলো, পুরো বিচার হবে ইংরেজীতে। তবে কারো প্রয়োজন হলে সরকার দোভাষী নিয়োগ দেবেন। ট্রাইবুনালের বিচার সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে আদালত মনে করলে ‘ক্যমেরা ট্রায়াল’ বিচার হতে পারে।
আইনের ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, বিচার কার্যক্রম স্থগিত করা যাবে। তবে ট্রাইবুনাল যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে ন্যায় বিচারের স্বার্থে মুলতবি প্রয়োজন তাহলে তারা সে আদেশ দিতে পারবেন।
আদালত বৈধ মনে করলে যে কোন সংবাদ পত্র, ম্যাগাজিনে প্রকাশিত খবর বা ছবি, ফিল্ম এবং রেকর্ড করা টেপ সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।
এ আইনের আওতায় দোষী ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডসহ উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার আদালতকে দেওয়া হয়েছে। এ আইনের অধীনে সংগঠিত অপরাধের জন্য দণ্ডিত আসামি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সাজা ঘোষনার ৬০ দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারবেন। প্রচলিত সাক্ষ্য আইন এবং দণ্ডবিধির বিধান এই আইনের বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
😀
সবার আগে ঐ ৩১ জন আইন বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিৎ... x-(
আমার মনে হয় আম্লীগ এইটারে টানতে টানতে ৩য় বা ৪র্থ বছরে নিয়ে যাবে...
অটঃ শওকত ভাই, দুএকটা টাইপো চোখে পড়ল, সময় পেলে ঠিক করে দিয়েন...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:thumbup: :thumbup:
ঐ :grr: :grr:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
৩য় 😀
দোস্তো তাও তো দুইজন মতামত দিসে। যেখানে এইসব আতেলরা পয়সা ছাড়া টকশোতেও আসে না তাদের মধ্যে অন্তত দুইজন তো বিনা পয়সায় মতামত দিসে এইটাই বা কম কি।
সদস্য ড. শাহ আলম কি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক??
হ্যাঁ। প্রতিষ্ঠাতা (এবং প্রাক্তন) ডীন। এই দ্বিতীয়বার তিনি আইন কমিশনে গেলেন।
:thumbup: ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা পোস্ট দেয়ার জন্য :thumbup:
ধন্যবাদ মাসুম ভাই পোস্টের জন্য। :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কথা বলি কিন্তু দায়িত্ব নেই না, সেটাইতো আমাদের জাতীয় চরিত্র। তবে দেখতে হবে যে কমিশনে যারা আছেন, তারা কি বাধ্য মতামত দিতে। মানে যখন নিজেরা কমিশনে যোগদান করতে সম্মত হোন তখন উনাদের দায়িত্ব পালনে উনারা বাধ্য কিনা। যদি বাধ্য হয় তবে এদের বিরুদ্ধেওতো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
আমাদের বুদ্ধিজীবিরা 'এটা সমস্যা, সেটা সমস্যা' বলেই খালাস। সমস্যা কি এবং কি করতে হবে এটা সবাই জানে, রাস্তার যে কেউই বলতে পারবে এগুলো। কিভাবে করা হবে, কি করলে সমাধানে সাফল্য আসবে সেটাই কেউ বলে না, গুরুত্ব ও বহন করে না, এটাই আসলে দরকার।
মাসুম ভালো লিখেছো। এ নিয়ে কি কোনো প্রতিবেদন হচ্ছে পত্রিকায়?? আমরা একটা রেডিওতে করি?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:thumbup:
উত্তম প্রস্তাব সানা ভাই :thumbup:
শওকত ভাই কি বলেন???
এটা কি বলতে হবে লাবলু ভাই?
বিচার করতে হবেই। দুর্দান্ত পোস্ট মাসুম ভাই।
"যুদ্ধাপরাধীদের বিচার" বিষয়টি এখন জাতির দাবীতে পরিনত হয়েছে।কখনো কখনো বিষয়টিকে রাজনৈতিক চেহারা দেবারও চেষ্টা আমরা দেখেছি এবং প্রকৃত বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যাবার চেষ্টা করা হয়েছে।এখন সময় হয়েছে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার।এরা পিছলা,এদের ধরতে তাই দেশের মানুষকে ভাল করে হাতে ছাই মাখাতে হবে।এজন্য প্রয়োজন ব্যপক গনজাগরণ ও সচেতনতা।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ব্লগে স্বাগতম রিয়াজ।
চমৎকার বলেছ রিয়াজ। :thumbup:
সন্দেহাতীত ভাবে এ ব্যর্থতা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের। সন্দেহাতীত ভাবে এ ব্যর্থতা এ দেশের রাজনীতিবিদদের, আমাদের সাধারণ মানুষের, আমার , আপনার, সবার।
এ এমন এক লজ্জা যার ভার বইতে হবে সবাইকে। যে ব্যর্থতার নজির আমরা স্থাপন করেছি তা এমনকি ইহুদীরাও করেনি, জার্মানরাও না।
ব্যর্থতার দায়ভার এড়াতে হলে দৃঢ় নৈতিক অবস্থান নিতে হবে, দরকার হলে জোর প্রয়োগ করতে হবে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী আসলে খুব চমৎকার নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়। যেখানে পরিবারে সন্তান মুক্তিযোদ্ধা অথচ চাচা রাজাকার, খালু শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান সেখানে সুষ্টূ বিচার সম্ভব না। আওয়ামী লীগ চাইবে এই দাবী জিইয়ে রেখে আবারো নির্বাচনে এটাকে ব্যবহার করতে।(সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত)
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে লিজেকে দাবী করে আসল সময়ে এই ধরনের দোনোমনা করা আসলেই হতাশাজনক।
পুরোপুরি সহমত রিয়াজের সাথে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে - এইটা আরোও হাজার হাজারটা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির মতই অর্থহীন হয়ে গিয়েছে। গনজাগরণ আর আমাদের সচেতনতা ছাড়া কিছুই শুরু হবে না।
অসাধারন পোস্ট শওকত ভাই ...... :boss: :boss: :boss:
এখন তো আবার প্রায়ারোটাইজ(বাংলা খুঁজে পাচ্ছি না 🙁 ) করা শুরু হয়েছে। আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শেষ হবে, তারপরে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে, এরপরে রাজাকারদের।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
চমৎকার পোস্ট শওকত ভাই। সানাউল্লাহ ভাই এর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান।
খুব আশায় ছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এখানে যে দেরী দেখতে পাচ্ছি তাতে মনের ভেতর একটা আশংকা ঢুকে যাচ্ছে। আসলেই ওদের বিচার হবে কি? নাকি এটাও অন্য সব কিছুর মতই একটা প্রতিশ্রুতি মাত্র!
চমৎকার পোস্ট মাসুম ভাই।
ভাইয়া আমার প্রশ্ন হলো এখানে ভূতাপেক্ষা কার্যকারিতা কি দেয়া যাবে আদৌ.....১৯৭১-এর ঘটনার বিচার ১৯৭৩-এর আইনে বা ২০০৯-এর সংশোধনীর উপরে কি করা যাবে???
আমরা যেমন দেখলাম বি.ডি.আর. আইন সংশোধন করে ২৫/২৬ ফেব্রুয়ারীর বিদ্রোহের ঘটনা বিচার সম্ভব নয়......
রশিদ, তুমি ঠিক ধরেছো। এই বিষয়টি যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রেও আইনী দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার আশংকা রয়েছে। ন্যুরেমবার্গেও হয়েছিল।
দারুন প্রস্তাব সানাউল্লাহ ভাইয়ের।
পাশাপাশি এই ৩৩ জন টক শো, মিডিয়া এবং অন্যান্য যেখানে সে রকম গলাবাজি করেছেন সেগুলো সংগ্রহ করে এবং আইন কমিশন এর প্রতি বৃদ্ধাগুলি প্রদশন করে যে অবজ্ঞা দেখিয়েছেন মূল ব্যাপারটার প্রতি, তা পাশাপাশি রেখে প্রকাশ করা গেলে দারুন একটা কাজ হবে। এইসব লোকদের মুখোশ উন্মোচন করা খুব দরকার। এদের কারনেই আমরা দূর্নিতীতে চ্যাম্পিয়ন হই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
একটু ব্যাখ্যা করি যেহেতু বলেই ফেলেছি, বুদ্ধিজীবিদের কারনেই আমরা দূর্ণিতীতে চ্যাম্পিয়ন,
আমি যতটুকু জানি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্ট তৈরী করেন পাব্লিক প্রসিকিউশন সংক্ষেপে পিপি এর উপর ভিত্তি করে। মানে ধারনা আর কি, জনগন কি ধারনা পোষন করেন রাস্ট্রের বিভিন্ন ব্যাপারে।
আমাদের বুদ্ধিজীবিরা নেতি বাচক কথা বলায় উস্তাদ। কারন হয়তো আমরা, জনগন নেতিবাচক কথা বেশি পছন্দ করি। নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করার লোকের অভাব নাই, যেন ইতিবাচক কিছুই নাই আমাদের। জনসভায় গেলাম, টক শো তে গেলাম, ইচ্ছামত গালি দিলাম, সমালোচনা করলাম মেলা হাততালি দিলাম, কিন্তু দায়িত্বের বেলায় "ডিম্ব"।
আমার ভূল হতে পারে, ধরিয়ে দিলে শুধরে নিব।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সম্ভবত 'পারসেপশন' লিখতে চেয়েছো। এই যে বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে তোমার মতামত, এটাও কিন্তু পারসেপশনই। পারসেপশন এর মজার একটা দিক আছে। তা হল - সেটা সঠিক কি ভুল সেটা খুব কমই ম্যাটার করে। পারসেপশন পারসেপশনই, এবং এর গুরুত্ব কিন্তু খুব কম না। কারণ আরও অনেকগুলো ফ্যাক্টরের মতো এর ওপর ভিত্তি করেও কিন্তু আমরা অনেক কাজ করি - যেমন: সমর্থন নির্দিষ্ট করি, কার বিরোধিতা কিভাবে করবো কেন করবো সে সব ঠিক করি ইত্যাদি। এখন এই প্রশ্ন অবান্তর বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে তোমার মতামত/পারসেপশন কতখানি সঠিক বা বেঠিক। কারণ, সেটা হবে কাটাছেঁড়ার বিষয়।
কেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি কি করছে? কিম্বা সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম? তাদের প্রস্তুতি কি? এতোদিন কি করেছে? কোন আইনে বিচার হবে, কিভাবে হবে, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা- এসব নিয়ে কাজ চলতে থাকুক। পাশাপাশি সরকার একটা যুদ্ধপরাধের তথ্য সংগ্রহ কমিশন করছে না কেন? এটাও তো জরুরি।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
খুব গুরুত্বপূর্ণ আপনার প্রশ্নগুলো, সানা ভাই।
ধন্যবাদ শওকত মাসুম ভাই পোস্টটির জন্য। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে লিখতে হচ্ছে; তাই দ্রুত লিখছি। ভুল ত্রুটি নিজ গুণে ক্ষমা করবেন প্লীজ।
আপনি লিখেছেন:
এই 'অনেকে' বলতে কাদের বুঝিয়েছেন - সেটা একটু স্পষ্ট করলে ভাল হয়। আদৌ সংশোধন করা উচিত কিনা, আর তা করলে (বা না করলে) সম্ভাব্য আইনগত সুবিধা/বিপদগুলো কি কি সে বিষয়ে একটু জানার আগ্রহ থেকে আপনার পোস্টটি পড়তে এসেছিলাম। দয়া করে যদি একটু লেখেন সে বিষয়গুলো নিয়ে তাহলে আমরা উপকৃত হই।
যত দুর জানি, যুদ্ধাপরাধের বিচারের সাথে গত প্রায় আড়াই যুগ ধরে সংশ্লিষ্ট আছেন, এবং যাদের নিষ্ঠাকে প্রশ্ন করার মতো এখনো কিছুই খুঁজে পাইনি, তাদেরও 'অনেকে'-ই কিন্তু খুব সচেতনভাবে সংশোধনের বিপক্ষে। এই পক্ষের যুক্তিগুলোও আপনি তুলে ধরলে ভাল হোতো মনে হয়।
আপনি লিখেছেন:
বিষয়টা মনে হয় না অতোটা সরল। এই বিষয়ে আপনার অবস্থানটা কিন্তু ব্যাখ্যা করলেন না। সেটা জানতে পারলে আমরাও কিছুটা দিক নির্দেশনা পেতাম হয়তো। আর 'আন্তর্জাতিক মান' বলতে আপনি ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটার ব্যাখ্যাও মনে হয় জরুরী।
জাতিসংঘের সেই অবস্থানের পক্ষে-বিপক্ষে বাংলাদেশের মিডিয়াতেও গত এক বছরে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। আপনার নিশ্চয়ই শাহরিয়ার কবির, বিচারপতি গোলাম রাব্বানীসহ বাকীদের লেখাগুলো পড়া রয়েছে। এই বিতর্কগুলোর সারসংক্ষেপসহ আপনার নিজ অবস্থানটা কি একটু তুলে ধরবেন দয়া করে? এই বিষয়টা জরুরী, কারণ 'জাতিসংঘ' কিংবা 'আন্তর্জাতিক মান' ইত্যাদি বিষয়গুলো অনেকেই সরল-সাদা মনে তুলছেন। আবার এই বিষয়গুলোর ধোঁয়া তোলা একটা মতলববাজ শ্রেনীকেও আমরা এখন মাঠে দেখতে পাচ্ছি। আর, জোট এবং মোর্চাগুলোকে সার্বক্ষণিকভাবে এদের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রচুর সময় নষ্ট করতে হচ্ছে, যেটা আসলেই খুব বিরক্তিকর!
আপনি লিখেছেন:
সেই দু'একজনের ভাষ্যগুলোর বিস্তারিত জানতে পারলে সুবিধা হতো। সে সব না উল্লেখ করলে, আমি মনে করি, বাকীদের বিভ্রান্ত হবার যথেষ্ট সুযোগ থেকে যায়। আর আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন, আইন এবং আইনী পন্থা নিয়ে বিতর্ক সব সময়ই থাকবে। বিশেষ করে আইনের ক্ষেত্রে এই doctrinal difference অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, এর ওপর ভিত্তি করেই যুগে যুগে আইন এগিয়ে যায়। আপনি যতটা সরলভাবে বিষয়টা উপস্থাপন করেছেন, আমার ধারণা বিষয়টা অতখানি সরল নয়।
মাত্র দু'দিন আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের আইন বিষয়ে সম্ভাব্য পিএইচডি'র প্রোপোজাল নিয়ে আমরা দু'জন কাজ করছিলাম। সেখানে এই তাত্ত্বিক বিষয়গুলোর গভীরতা থেকে অন্তত এটুকু আমাদের কাছে বেশ স্পষ্ট হয়েছে যে এ নিয়ে খান-দুই (কিংবা তারও বেশী) পিএইচডি থিসিস অনায়াসেই করা যেতে পারে, বাংলাদেশকে পরিপ্রেক্ষিত ধরে নিয়ে। এজন্য জানার আগ্রহ হচ্ছে আপনি যাদের কাছ থেকে এই বিষয়গুলো জেনেছেন, তারা যুদ্ধাপরাধ বিষয়ের আইনী তাত্ত্বিক বিষয়গুলোকে কতখানি গভীরতা থেকে যাচাই করে তারপর তাদের মূল্যবান মতামত দিয়েছেন আপনাকে?
এ প্রসঙ্গে (ঠিক) আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইনের সাথে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা এবং এই সুনির্দিষ্ট বিষয়ে specialisation এর বিষয়েও জানতে আগ্রহী আমি। স্পেসিয়ালাইজেশন এর কথাটা তুললাম, কারণ, 'যুদ্ধাপরাধের দাবী কিংবা আন্দোলন' এর সাথে 'যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং প্রয়োজনীয় আইন/প্রতিষ্ঠান' দু'টোর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। দ্বিতীয়টা একটা specialised এবং অত্যন্ত জটিল ক্ষেত্র, যেটা প্রথমটা নয়। আর স্পেশালাইজড বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া আরেকটু মনে হয় সাবধানে করা দরকার আমাদের। আর যত দিন পর্যন্ত এই সুনির্দিষ্ট বিষয়টির জটিলতার ব্যাপ্তি এবং গভীরতা আমরা সবাই অনুধাবন না করতে পারবো, তত দিন মনে হয় না আমাদের আর কোথাও এগোনো হবে, কেবল মাঝে মাঝে খুঁত অনুসন্ধান ছাড়া।
নিতান্ত বাধ্য হয়েই উপরে এ প্রশ্নগুলো করতে হয়েছে আপনাকে, শওকত ভাই। কারণ, এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে অর্ধেক জেনে কিংবা না জেনে আজকাল বহু মানুষই মতামত বিবৃতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাতে তাদের নিজেদের কি লাভ হচ্ছে জানি না, তবে ইস্যুটার যে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে - সেটা যারা মাঠে কাজ করছেন (এই বিষয় নিয়ে) তারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। কারণ, লক্ষ্য করলাম, আপনার পোস্টটা পড়েও কিন্তু উপরে কয়েকজন কিছু বিভ্রান্তিপ্রসূত মন্তব্য করে বসেছে; তাতে মনে হয় না যুদ্ধাপরাধের বিচার কোনো দিক থেকে বেগবান হয়েছে!
আপনি লিখেছেন:
একটি রিপোর্টকে উপস্থাপন করার সময় সেই রিপোর্টটি 'আমলাতান্ত্রিক ধরণের রিপোর্ট' কিনা সেটাও মনে হয় আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন। আমি মনে করি রিপোর্টটির ওপর আপনি একটু বেশীই জোর দিয়ে ফেলেছেন এবং সে অনুযায়ী নিজস্ব সিদ্ধান্ত টেনেছেন।
কেবল কয়েকটা বিষয় তুলে ধরছি:
১) লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই - নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, প্রজন্ম '৭১, জাতীয় তদন্ত কমিশন - ইত্যাদি মোর্চাগুলোর কাছ থেকে কিন্তু Formal Opinion চাওয়া হয়নি। তাতে কিন্তু কিছুই প্রমাণ হয় না। কারণ, সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে কাজ করে না। খুব কম ক্ষেত্রেই সরকারী প্রতিষ্ঠান ইনফর্মাল-প্রাইভেট মোর্চাগুলোকে আমলে এনে থাকে। আর আমলে আনলেও সেটা স্বীকার করে আরও কম, অন্তত ফর্মাল-রিপোর্টে তো তা করেই না।
২) এখন প্রশ্ন তো করাই যেতে পারে- যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে উপরের সংগঠনগুলোর এবং নেটওয়ার্কগুলোর জ্ঞান, দক্ষতা এবং যোগাযোগ বেশী নাকি এই উল্লেখিত ৩৩ জনের? তাহলে আইন কমিশন মূল মানুষদের বাদ দিয়ে এই ৩৩ জনের পেছনে কেন ছুটলেন? আর কেবল ৩৩ জনের পেছনে ছুটেছে বলেই কি গল্পের শেষ নাকি তাতে কিছু প্রমাণ হয়? আমি যত দূর জানি, এই বিষয়ে নেটওয়ার্কগুলো বর্তমানে একটু ভিন্নভাবে কাজ করছে।
৩) অফিশিয়ালী না হয় বাকী সংগঠনগুলোর মতামত নেয়া হয়নি, তার মানে কি আমরা এই সিদ্ধান্ত টানবো যে তাঁদের মতামত আসলেই প্রতিফলিত হয়নি চূড়ান্তভাবে সংশোধিত ১৯৭৩ এর আইনটিতে? আমার তো ধারণা তাঁদের মতামত-অবস্থানই প্রতিফলিত হয়েছে চূড়ান্ত আইনটিতে, যদি ভুল না বুঝে থাকি। তাহলে, সেটা কিভাবে ঘটলো? আপনি যদি নির্মূল কমিটি, তদন্ত কমিশনের প্রধানদের সাথে কথা বলেন, তাহলে তাঁরা সংশোধিত আইনটি সম্বন্ধে ভিন্ন কিছু জানাবেন আপনাকে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
৪) আর আইন কমিশন থেকে মতামত চাইলেই যে সবাইকেই মতামত দিতে হবে, সেটা মনে হয় একটু বিভ্রান্তিকর চাওয়া। এখানে মতামত কেবল তাঁরাই অফিশিয়ালী দিয়েছেন, যাঁরা মনে করেন আইনটির পরিবর্তন দরকার, কিংবা সে বিষয়ে দেয়ার মতো যাঁদের কোন 'মতামত' রয়েছে। উপরের সংগঠনগুলোর অনেকগুলোই কিন্তু খোলাখুলিভাবেই আইনটির বিষয়ে minimal change (or no change) এর পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে আগেই। (এ বিষয়ে আপিল বিভাগের প্রাক্তন বিচারপতি গোলাম রাব্বানীর মতামতটিও দ্রষ্টব্য)। সেটা কিন্তু আপনার পোস্টে উল্লেখ করেননি। আর, একটা ল'ফার্ম বা একজন আইনজীবির মতামত-প্রক্রিয়ায় প্রকাশ্যে (on record) অংশগ্রহণ না করার পেছনে অনেক কৌশলগত কারণ থাকতে পারে। কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের ব্যাপার থাকতে পারে (একজন আইনজীবি নিশ্চয়ই একটি ব্রিফের পক্ষ-বিপক্ষ দু'দিকেই জড়িয়ে যাবার আগে দু'বার চিন্তা করবেন), যুদ্ধাপরাধ আইন বিষয়ে specialisation এর অভাবের ব্যাপার থাকতে পারে, রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে, পেশাগত সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে - আরও কত কিছু থাকতে পারে! আমি জানি না কে কেন মতামত দেননি (কারো কারোটা আবার জানিও)। কিন্তু 'মাত্র দু'জন কেন মতামত দিলেন বাকীরা কি করছিল' জাতীয় আপনার ইঙ্গিতের সাথে ঠিক একমত হতে পারলাম না। হয়তো আপনি এমন কিছু জানেন, যেটা আমার জানা নেই। জানালে বাধিত হবো।
৫) আর মতামত তো জামায়াতের ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এর ল'ফার্ম থেকেও চাওয়া হয়েছে। বলুন তো, জামায়াত কেন কোন সংশোধনী প্রস্তাব আনলো না? আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ১৯৭৩ এর মূল আইনটির ব্যাপারে জামায়াত নেতারা সন্তুষ্ট? আমার কিন্তু মনে হয়না। অল্প কিছুদিন পর ওদেরই দেখবেন মামলাগুলো শুরু হলে বানিয়ে বানিয়ে এই আইনের কত ধরণের খুঁত বের করার চেষ্টা করবে।
সবশেষে:
যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে বাজারে প্রচুর বিভ্রান্তিকর লেখালিখি হচ্ছে আজকাল। আশা করি এই মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে আপনার কাছ থেকে আরও কিছু বিষয়ে জানতে পারবো যাতে করে আমরা সবাই মিলে বিভ্রান্তিগুলোর বিপক্ষে দাঁড়াতে পারি। কেবল সেভাবেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ, শওকত মাসুম ভাই।
একটি সনির্বন্ধ অনুরোধ:
আপনার এই পোস্টটি মুক্তাঙ্গনেও প্রকাশ করার অনুরোধ থাকলো। এই বিষয়বস্তুর ওপর সরাসরি কাজ করছেন এমন অনেককেই ঐ ফোরামে পাবেন।
একটা ভাল আলোচনার আশায় আছি।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমিও ।
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেই সবার কাছ থেকে। ভীষণ ব্যস্ততার কারণে গত দুদিন ব্লগে ঢুকতেই পারিনি বলতে গেলে। ফলে কারো মন্তব্য নিয়েই কথা বলতে পারি নি। তবে রায়হানের লেখাটা পড়ে ভাবলাম একটু সময় বের করি।
আগেই বলেছি আমি বিশেষজ্ঞ নই। আমি কখনোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে আইনগত বিষয় নিয়ে খুব ভাল জেনেছি তা বলবো না। ফলে, তোমার মত করে এতটা গভীর বিশ্লেষণ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। বরং তুমি যে প্রশ্নগুলো করেছো তার আরো বিশ্লেষন তোমার কাছ থেকে আসলে আমার মনে হয় সবাই অনেকটাই উপকৃত হবে। জানা-বোঝার পরিধি বাড়বে।
কিছুদিন আগে প্রথম আলো একটি গোলটেবিলের আয়োজন করেছিল। সেখানে প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন আসিফ নজরুল। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
আর কিছুদিন আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন এখানে। তিনিও আইনটি আর্ন্তজাতিক মান সম্পন্ন কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।
আগেই বলেছি, আমি বিশেষজ্ঞ নই। তাই কি হলে আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন হবে সেটি আমি বলতে পারবো না। আমি বরং জানতে আগ্রহী। আমার ধারণা তুমি এ নিয়ে লিখলে সেটিই ভাল হবে।
জামায়াতের কেউ মতামত দেবে না সেটি তো পরিস্কার। তাই কেন মতামত চাওয়া হল সে প্রশ্ন আমারো। তবে আইনটি যদি প্রশ্নবোধক থাকে সেটি যে জামাতের জন্য লাভজনক সেটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
সরকারি কমিশন আর সরকার একভাবে চলবে সেটি হওয়া উচিৎ না। ফলে যারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করেন, ব্যক্তি ছাড়াও সংগঠন তাদের মতামত নেওয়ার সুযোগ তাদের ছিল।
আমার ভয় হচ্ছে এসব নানা বিভ্রান্তির কারণে শেষ পর্যন্ত বিচার কি হবে? রায়হান তোমার পক্ষে যতটা সম্ভব বিভ্রান্তি দূর করো.....
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
মতামত তো মতামতই। তিনি কোণ দৃষ্টিকোণ থেকে কি বিষয় (কিংবা কাকে) মাথায় রেখে এই মতামত দিয়েছেন আমার জানা নেই। জানার চেষ্টা করবো। কারও কি জানা আছে তাঁর স্পেশালাইজেশনের ফিল্ড কোনটি?
যুদ্ধাপরাধ আমার নিজেরও ফিল্ড না। সিরিয়াসভাবে মাত্র দেড় বছর হল বিষয়টা জানার এবং বোঝার (কেবল) চেষ্টা করছি, অন্তত আইনী দিকগুলো। এ কারণে নিজেকে আমি বড়জোর এই বিষয়ে একজন 'ছাত্র' বলে দাবী করবো, বিশেষজ্ঞ না। আসিফ নজরুল সেদিক থেকে কোন্ অবস্থানে আছেন, সেটাও দেখার বিষয়। সেমিনার-টেমিনারে মতামত দিচ্ছেন, বিশেষজ্ঞই হবেন হয়তো।
আপনার উত্থাপিত যুক্তিটা ভাববার মতো। সত্যি বলতে কি, বেশ কিছু সংগঠন কিন্তু এ নিয়ে আপত্তিও তুলেছিল। আমি যতদূর বুঝেছি, এর পেছনে আইন কমিশনের ভূমিকা কিছুটা (অন্তত মতামত চাওয়ার ক্ষেত্রে) 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' তৈরীর। যেখানে সারা দেশের আর সব প্রথম সারীর ল'ফার্মের মতামত চাওয়া হচ্ছে, সেখানে কোন একটি ফার্মের মতামত কেবল জামায়াত-সংশ্লিষ্টতার কারণে যদি না নেয়া হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটা একটু বেশীর রাজনীতি প্রভাবিত হয়ে যেতো না? তখন কিন্তু এই সুশীল সমাজই প্রতিবাদ করতো রাজনীতি-দুষ্টতার! কি জানি, হয়তো এই সব বিবেচনাই কাজ করেছিল।
আর ৩৩ জনের মধ্যে বাকীদের অনেকেই আইন কমিশনের চিঠি পেয়েছে পদাধিকার বলে। সেখানে পদটা জরুরী, ব্যক্তি নন। এদের মধ্যেও কিন্তু কারও কারও বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এবং প্রমাণ রয়েছে। এটাই তো আমাদের প্রাপ্য, তাই না? এই সব লোককে বছরের বছর বিভিন্ন উচ্চ পদে বসাতে পেরেছি আমরা (প্রতিবাদ করিনি), এখন তো তাদের মতামত নিতেই হবে, কারণ তারা পদাসীন। কোন্ যুক্তিতে আমরা তাদের বাদ দেবো বলুন?
আইনটি 'প্রশ্নবোধক', এই মতামত কার? কবে কোন্ কালে দু'একজনের মতামত কোনো আইনের বিষয়ে 'শেষ কথা' বলে বিবেচিত হয়েছে? কিছু ধরে নিয়ে না এগুনোই মঙ্গল।
ধন্যবাদ রায়হান তোমার মন্তব্যের জন্য। তুমি যে পড়াশুনায় এখন এতোটা ব্যস্ত জানতাম না। তারপরও সময় নিয়ে যে মন্তব্য করেছো সেটা আমাদের জন্য মূল্যবান। এ কারণেই তোমাকে লিংকটি দিয়েছিলাম।
আমার কথা বলি, আসলেই এ সম্পর্কে কিচ্ছু জানি না। আমার ধারণা সিসিবির অধিকাংশ সদস্যেরও একই অবস্থা। তুমি আগেও এ নিয়ে আমাকে সক্রিয় হতে বলেছিলে। কিন্তু আদতে এ বিষয়ে নিজের জ্ঞান এতো কম যে আমি সাহস পাইনি। আর নানা মন্তব্য পড়ে, জেনে বিভ্রান্ত তো হচ্ছিই।
তুমি একটু সময় পেলে মুক্তাঙ্গনের পাশাপাশি সিসিবিতে যুদ্ধাপরাধ আইন এবং এদের বিচার নিয়ে সরকার যেভাবে এগোচ্ছে তার যথার্থতা নিয়ে একটা পোস্ট দিলে খুশি হবো। আমরা আসলেই উপকৃত হবো। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত তৈরি করা ও বিভ্রান্তি দূর করার জন্য সিসিবিও ভূমিকা রাখতে পারে। আর আমার মনে হয় অধিকাংশ সিসিবি সদস্যই সেটা চাইবে। তোমার নেতৃত্বে আমরা সেটা করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। তোমার এ কাজে আমাকে অবশ্যই পাশে পাবে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমিও আওয়াজ দিলাম, আছি। 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চেষ্টা করবো সানা ভাই। এই বিষয়ে খুঁটিনাটি সব কিছু খোলামেলা আলোচনার বিষয় না বলেই মনে করি, অন্তত এ পর্যায়ে। কারণ, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। তবে, একটা লেভেল পর্যন্ত তো লেখা যায়ই। একটু সময় চেয়ে নিচ্ছি।
আরও আলোচনার স্বার্থে পোস্টটাকে স্টিকি করার অনুরোধ করছি, অল্প সময়ের জন্য হলেও। আর মাসুম ভাই মনে হয় খুব ব্যস্ত, কম দেখছি। যাদের সংগে মাসুম ভাইয়ের নিয়মিত যোগাযোগ হয় তাদের অনুরোধ করবো পোস্টটার ব্যাপারে তাকে আপডেট করার জন্য।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
রায়হানকে অনুরোধ করছি, বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে আলাদা একটা লেখা দিতে পারো।
একটু সময় প্রার্থনা করছি।
একটা দুর্দান্ত, প্রাণবন্ত আলোচনার অপেক্ষায় থাকলাম।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আলোচনার জন্যে অপেক্ষায় থাকলাম।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
আমিও
হূম
রায়হান রশীদ ভাইকে অনুরোধ করব এই ব্যাপার নিয়ে একটি পোস্ট লিখতে ।
মাসুম ভাইকে ধন্যবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সামনে আনার জন্য।
এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতেই হবে আজ হোক কাল । কোন মাফ নাই।
যুদ্ধাপরীধের নিয়ে এতো টালবাহানা করলে সবশেষে যা দাঁড়াবে বলে আমার ধারণা একটা নামমাত্র বিচার হবে যেখানে আইনের ফাক গলিয়ে তারা পার পেয়ে যাবে, পরে তারা বলতে পারবে আমাদেরতো বিচার করা হয়েছিল কিছু পায়নি আমাদের বিরুদ্ধে। আর সরকারও বলতে পারবে যে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি অনু্যায়ী বিচার করেছে।
জনমত গড়ে কি খুব লাভ হয় বাংলাদেশে? কখনো কি হয়েছিল?
@ সামি,
মন্তব্যের প্রতিটা অক্ষর সত্য।
আর গণসচেতনতা বা জনমত এর আরেকটা দিকও আছে যেটা আমরা কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ই বলি না। যেমন: সাধারণভাবে 'সচেতনতা সৃষ্টি' কথাটাই একটু vague। সচেতনতা সৃষ্টির এই প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ এবং সময়সাপেক্ষ। কিন্তু খুব কম সময়ই সচেতনতা সৃষ্টিকারীরা এই প্রশ্নগুলো করেন:
- কাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে?
- কি কারণে ঠিক একটি নির্দিষ্ট শ্রেনীকেই বেছে নেয়া হচ্ছে এই সচেতনতার আলো পৌঁছে দেয়ার জন্য? [আর যখন কোন নির্দিষ্ট শ্রেনী বা সমষ্টিকে বাছাই করা হয় না, তখন তো সময় নষ্টের সম্ভাবনা আরও বেশী]।
- ঠিক কি বিষয়ে এবং কি উদ্দেশ্য মাথায় রেখে এই শ্রেনীটিকেই সচেতন করার জন্য বেছে নেয়া হয়েছে?
- সবচেয়ে জরুরী: যে শ্রেনী বা সমষ্টিকে সচেতন করার জন্য এত সময়সাপেক্ষ আয়োজন, জিজ্ঞেস করা - সে শ্রেনীটি সচেতন হলে আসলে সত্যিকারের কোন লাভ আছে কিনা? কোন সত্যিকারের পরিমাপযোগ্য ইমপ্যাক্ট/পরিবর্তন/সংস্কার সাধিত হবে কিনা তাতে?
এই বিষয়গুলো প্রথমেই precisely আমলে না আনলে সচেতনতা সৃষ্টি বা জনমত তৈরীর পুরো বিষয়টাই কেবলমাত্র 'জানার আনন্দে জানা', 'জানানোর আনন্দে জানানো', 'আলোকপ্রাপ্তের আত্মতুষ্টি' জাতীয় exercise এ পরিণত হয়। তাতে বাংলাদেশ কেন, পৃথিবীর কোথাও-ই কোন লাভ হওয়ার কথা না।
তাই বলেতো আর ভেঙ্গে পড়লে চলবেনা। আমি মন্তব্য করিনি কারণ আমি এই বিষয়ে অজ্ঞ। কিন্ত প্রানবন্ত বিতর্কের আশায় আছি।।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
কয়েকদিন ধরে এই লেখাটা আর মন্তব্যগুলো পড়ে চলেছি।
রায়হানকে সাধুবাদ জানাচ্ছি তার বিশ্লেষণের জন্য।
সবচেয়ে বড় কথা হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে......তার জন্য যেকোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এই সরকার বাধ্য......
রায়হান রশীদ ভাইয়া কে একটু উত্তেজিত মনে হচ্ছে। আসলে ভাইয়া আমার যারা সাধারণ তারা তো আর এতো আইনি দিক বুঝিনা।কিন্তু সাদা চোখে মনে হচ্ছে এটা কে দীঘায়িত করার চেছ্টা হচ্ছে। বিশেষ করে যখন আওয়ামী লীগ এর মত দল যারা নিজেদের কে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে দাবি করে তারাও যখন গলার জোর আগের থেকে কমিয়ে দেয়, তখন একটু হতাশ ই লাগে। চার দলীয় জোট সরকার এর সময় মনে আছে কিনা জানিনা জামায়াতের মুজাহিদিন বলেছিল যে দেশে নাকি কোন যুদ্ধাপরাধী নাই। মুক্তিযোদ্ধারা নাকি নারী আর টাকার জন্য ভারতের সহযোগীতায় গন্ডগোল করছে। কুত্তার বাচ্চারে সামনে পেলে ওরে আমি জুতা পিটা করতাম। সাথে সাথে খালেদার ও (মুক্তিযদ্ধার স্ত্রী হয়েও মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেয়ার কারণে)।
সেদিন অফিসের গাড়ীতে দেলওয়ার হসেন সাঈদীর ওয়াজ শুনলাম। অফিসের ড্রাইভার অফিসের গাড়িতে শুনতেছে। অফিসের গাড়ি না হইলে আমি গাড়িটা পুড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করছিলো।আর কারো ওয়াজ নাই। রাজাকারের ওয়াজ শুনার কি আছে??
বিঃ দ্রঃ অফটপিক আলীচনার জন্য। আসলে সকাল থেকে কেনো জানি মাথা টা গরম হয়ে আছে। দুঃখিত।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
রাজাকারদের কুকীর্তিগুলোর পর মাথা ঠান্ডা থাকাটাই অস্বাভাবিক।আমার ব্যক্তিগত যে কোন শত্রুর চাইতে আমি রাজাকারের বাচ্চাদের বেশি ঘৃণা করি।