অন্যদের বেলায় কি হয় জানিনা, আমার ক্ষেত্রে যা হয় তা হল ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারী কিংবা মার্চ মাসে পত্রিকায় আবেগঘণ, দূর্দান্ত কয়েকটা লেখা পড়ি আর কিছু চোখের জল ফেলে আবার সব ভুলে যাই। আমার ভুল ও হতে পারে তবে ইদানিং মনে হয় আমরা সবাই তাই করছি; দেশপ্রেমের খ্যাপ মারছি। আমি এই দুষ্টচক্রের হাত থেকে মুক্তি চাই।
আরো একটা কাজ আমি করি সেটা হল সবাইকে গালি দেই, আর আফসোস করি। তবে নিজে কোন দায়িত্ব নেইনা আর নেয়ার কথা ভাবিওনা। সবচেয়ে ভয়ংকর কথা হল এর পেছনেও আমি কঠিন যুক্তি দিয়ে নিজেকে সবার চেয়ে ভালো ভাবতে থাকি (ফয়েজ ভাইয়ের লেখা থেকে, ‘যে কিছু করেনা তার এক দোষ, আর যে কিছু করে তার দোষ হাজারটা’)। এর একটা শেষ দরকার। আমি হয়তো সমস্যার অংশ নই কিন্তু আমি সমাধানেরও অংশ নই; আর এখন আমাদের দরকার সমাধান, এবং সমাধানের পথ। কারণ প্রশ্ন এবং কিছু উত্তর ও হয়তো আমাদের জানা আছে।
রাজনৈতিক দল দেশে থাকবেই, তাদের মধ্যে ভালো খারাপ তো অবশ্যি থাকবে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের ক্ষেত্রে খারাপের পরিমাণ টা অনেক অনেক বেশী। একটা কথা আমাদের বুঝতে হবে, এই রাজনৈতিক দলগুলোই সময়ের আবর্তনে ক্ষমতায় আসবে আর এদেরকে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। এদের মধ্যে একদলকে আমরা ভোট দেই, এবং দেব। কাজেই আমার মনে হয় আমাদের ও খানিকটা দায়িত্ব আছে, সময় এসেছে সেটাকে স্বীকার করার এবং তা পালন করার। আমরা যে যেই দলকেই সমর্থন করিনা কেন তা যেন অন্ধ সমর্থন না হয়। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা দল-মত নির্বিশেষে যেন একই মত প্রকাশ করি। সেই সাথে মনে রাখতে হবে মাদককে যেমন সব সময় না বলি, তেমনি অন্য আরো কিছু জায়গায় আমাদেরকে না বলতে শিখতে হবে। আসুন এই নির্বাচনে আমরা রাজাকারদেরকে না বলি, দূর্নীতিবাজদের না বলি। এটা আমাদের কাজ, আমরা যদি তা না করি তাহলে আর কে করবে?
আমার কাছে সবসময় মনে হয়েছে আমরা প্রথম থেকেই একটা দূরদর্শী নেতৃত্বের অভাবে ছিলাম আর এখন তা আরো প্রকট। তবে আশার কথা এটাই যে হয়তো বদলের সময় এসেছে, সবার মনেই জাগছে প্রশ্ন। প্রশ্নগুলিকে হয় একটু এদিক-সেদিক করে একটা সাধারণ ধারার মধ্যেই ফেলা যায়।
এখনি সময় এই ধারাটাকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। সমাধানের কোনো পথ কি আমরা দেখতে পাচ্ছি? কিংবা চিন্তা করছি? যদি করে থাকি তাহলে সেগুলো কি আমরা এই প্ল্যাটফর্মে সবার সাথে ভাগ করতে পারি?
ফয়েজ ভাই এবং মুহম্মদের লেখা এবং অন্যদের মন্তব্যগুলোতে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার এই লেখার অবতারণা। আপনাদের দুজনকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মনোজগতে প্রচন্ড একটা আলোড়ন তোলার জন্য।
অফটপিকঃ
আপনারা কেউ কি নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট দেখেছেন? [www.ecs.gov.bd] ওরা একটা ভালো কাজ করেছে, প্রত্যেক প্রার্থীর নামের পাশে একটা ডিসক্লোজার লিঙ্ক দেয়া আছে যেখানে তাদের সম্পদ বিবরণী আছে। এটাও আমার মনে হয় একটা শুভসূচনা, কেউ সরিয়ে ফেলার আগেই একটা আর্কাইভ করে ফেলা দরকার, পরে মিলিয়ে দেখা যাবে।
১ম হইসি............ 😀 😀 😀 😀 😀 :awesome: :awesome: :awesome: :awesome:
হুমমমম......আসলেই সুযোগ্য নেতার অভাব এখন সবাই অনুভব করছেন... B-) B-) B-)
সময়োপোযোগি একটি লেখা...যাক এতদিনে আপনি কলম খুলেছেন... :clap: :clap: :clap:
একদম একমত। রাজনীতি খুব খ্রাপ বলে দূরে সরে থেকে কোন লাভ নেই। এই দলগুলো নিয়েই আমাদের চলতে হবে। এবার গত যেকোন বারের তুলনায় অনেক যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য কিছু দুর্নীতিবাজ আর রাজাকার রয়ে গেছে। এই দুই গোষ্ঠী বাদ দিলে, এবারের নির্বাচন নিয়ে অনেক আশা করা যায়। বাংলাদেশে একটু-আধটু দুর্নীতি প্রায় সবাই করে। এটা যেন নিয়ম হয়ে গেছে। পুকুর চুরিগুলো ঠেকাতে না পারলে এই ছোপখাট দুর্নীতিও বন্ধ হবে না। পুকুর চুরি করা অনেকেই এবার নেই।
তবে দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের আসনে (ময়মনসিংহ-৪) আবারও চারদলীয় জোট থেকে "এ কে এম মোশাররফ হোসেন" দাঁড়িয়েছে। গতবারের এই জ্বালানি মন্ত্রী প্রায় কত কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় যেন ধরা খেয়েছিল। জ্বালানি মন্ত্রীর পদ থেকে লজ্জায় পদত্যাগও করেছিল। কিন্তু সে-ই আবার মনোনয়ন পেয়েছে। সুতরাং চারদলকে ভোট দেয়ার প্রশ্নই উঠে না।
আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটেও ঝামেলা বেঁধেছে। একই আসনে দুইজন দাড়িয়ে গেছে: লীগের "প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান" আর জাতীয় পার্টির "রওশন এরশাদ"। হাইকোর্টের রায় অনুসারেই তাই মহাজোটের প্রার্থী নির্বাচিত হবে। শেষ পর্যন্ত না ভোটই দিতে হবে কি-না বুঝতে পারছি না। তবে জরিপ বলছে, ময়মনসিংহ শহরের এই আসনে মহাজোটই জিতবে।
মুহাম্মদ, ময়মনসিং-১ এ ধানের শীষ প্রার্থী আফজাল এইচ খান লোক কেমন জান?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আর্কাইভ করে ফেলা দরকার। সেলিনা আপা, সুন্দর লেখা।
একটা অপ্রাসঙ্গিক অনুরোধ করব। A Wednesday. একটা হিন্দি সিনেমা দেখেন। সবার দেখার মত সিনেমা। ওইখানে একজন সাধারন মানুষের ফ্যান্টাসী দেখান হইসে। সিনেমাটা আমারে Rang de Basanti এর মত আলোড়িত করে নাই কিন্তু যথেষ্ট ভাবিয়েছে।
আমরা নাসিরুদ্দিন শাহ এর মত বোমা না বানালেও দূর্নীতিবাজ আর যুদ্ধ অপরাধীদের একটা 'না' ভোট অবশ্যই দিতে পারি.
আমিও অনুরোধ করছি দেখার।
অনেকদিন পর আমার দেখা অসাধারন ভারতীয় ছবি।
ভালো লেখা, সেলিনা আপা।
তবে দেশপ্রেমের খ্যাপ মারা ব্যাপারে আমার নিজের একটা কথা আছে। আমরা (আমি, আপনি, সবাই) কিন্তু দেশপ্রেমের খ্যাপ মারছি না। ভিতরে ভিতরে আমাদের সব সময় কিছু না কিছু করতে ইচ্ছে করে কিন্তু ঐ যে ফয়েজ ভাই বলেছেন, আমরা বৃত্তবন্ধী হয়ে গেছি। এ থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়। এ বড় দুষ্টচক্র।
শুধু আশায় আছি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
এবার নির্বাচনের কথা বলি,
আমার আসনে মহাজোট থেকে -রাশেদ খান মেনন
চারদল থেকে -হাবিবুন্নবী সোহেল
আর কল্যান পার্টী থেকে -জেনারেল ইব্রাহিম।
দ্বিতীয়জন স্বীকৃত সন্ত্রাসী। সুতরাং ভোট দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
রাশেদ খান মেনন রাজনৈতিক হিসেবে গনবিচ্ছিন্ন। তবে যতটুকু জানি তার বিরুদ্ধে এখনো দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি কখোনো। তাকে দিবো কিনা ভাবছি।
জেনারেল ইব্রাহিম সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সাধারন মানুষের কাছে তিনি রাজনৈতিক হিসেবে কিছুই না। মিনিমাম ভোট না পাওয়ার কারনে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যেতে পারে।
যদিও আমি এখন পর্যন্ত তাকেও ভোট দেয়ার কথা ভাবছি।
জেনারেল ইব্রাহিম ভাইতো এক্স ক্যাডেট।
বেচারার জামানতটা না টিকার চান্স ব্যাপক :((
রাশেদ খান মেননের ভাগ্যে শিকে এবার ছিঁড়তেও পারে সব হিসাব নিকাশে।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
শুধু তাই না উনার ছেলেও কুমিল্লার এক্স ক্যাডেট। 😀
মনে হয় না। এ জীবনে তার মনে হয় সংসদের বারান্দায় হাঁটা হবে না। 🙁 🙁
ক্যাডেট ফিলিংস থেকে হইলেও জেনারেল ইব্রাহিম ভাইকে ভোট দেওয়া উচিত...
আমার চাচাও কল্যাণ পার্টি থেকে ঢাকা-৯ আসনে দাড়াইসে...এই চান্সে চামে একটু ক্যাম্পেইন কইরা নিই :guitar:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
হাবিবুন্নবী সোহেল ব্যাসিক্যালি রংপুরে পোলা। গতবার রংপুর-৩ সদর আসনে দাড়িয়েছিল এবং হেরেছিল।
একটা জিনিস পরিষ্কার, সোহেল দাড়িয়েছে মির্জা আব্বাসের ডামি হিসেবে।
সোহেল সামনে থাকবে,ঘুটি চালাবে আব্বাস। সোহেলের চেয়ে না ভোটটা বেটার অপশন আমার মনে হয়।
মেনন নিয়ে কিছু বলবনা। কারন তার কোন নীতি নাই। বাম দল করেন, খানা খাজানায় একরাতে ১৮ হাজারের বিল তোলেন আর চিকিৎসার জন্য সিংগাপুর যান। পুরা আলু ভর্তা টাইপ লোক। বৃত্ত ভাঙ্গার জন্য এক্স-ক্যাডেট সবচেয়ে উপযুক্ত।
চিটাগাং-৯ আসনে আনারসের জন্য অফিসের বিশটার মত ভোট কনর্ফাম করে ফেলেছি। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
লেখাটা ভালো হইছে আপু।
সিসিবিতে ইদানিং বেশ কয়েকটা চিন্তা ভাবনা করার মতো লেখা এবং তাতে সবার কমেন্ট দেখলে আশাবাদী হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকেনা 🙂 অনেক ব্যর্থতা কিংবা না পাওয়ার মধ্যেও একটু হলেও আলোর সুরঙ্গ দেখি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু লেখাটার জন্য।
কামরুলের কথাটাই একেবারে টু দ্য পয়েন্ট মনে করি।
একদিনযে সব ঠিক হয়ে যাবে সেটা প্রবলভাবেই বিশ্বাস করতে চাই।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
"জুনায়েদ কবীর(৯৫-০১) বলেছেনঃ
ডিসেম্বর ১৯, ২০০৮ @ ১:৩০ অপরাহ্ন
দুই বন্ধুর দেখা হল বেশ কিছুদিন পর। চা দোকানে গল্প চলছে।। প্রসংগতঃ উল্লেখ্য তারা দুজনেই সিসিবিয়ান…
১ম বন্ধুঃ মামা জানোস, সেলিনা আপা এডিটেড হয়ে গেছেন…
২য় বন্ধুঃ সেকি রে…? নাম বদলায়া ফেলছেন নাকি???
১ম বন্ধুঃ আরে বোকা, তা না, …উনি ব্লগে লেখা দিয়েছেন…
২য় বন্ধুঃ নাম বদলায় নাই, পদবী বদলায় নাই, পেশা বদলায় নাই…তাইলে এডিটেড??? কেম্নে কি? …মিলল না তো…
১ম বন্ধুঃ মিলে নাই তাতে কি? উনি লেখা তো দিয়েছেন…
আপু, আশা করব আপনি অনেক অনেক লেখা দিতেই থাকবেন…, দিতেই থাকবেন 😀 "
আপু, আপনার আগের পোষ্টে আমাদের কথাশিল্পী জুনায়েদের উপরের এই কমেন্টটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। অনেকে হয়তো দেখেনি। তাই এখানে পুরাটুকুই তুলে দিলাম।
এবারো লেখা খুব ভাল হয়েছে আপু 🙂 , আরো অনুপ্রানিত হন এবং
:guitar: :guitar: :guitar:
রহমান ভাই, আপনে তো মিয়া আমারে শর্মিন্দায় ফালায়া দিলেন... :shy: :shy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
Life is Mad.
সেলিনা আপু আরো লিখেন আরো লিখেন :boss: :boss: :boss: :boss:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
সেলিনা আপু, প্রথমেই ধন্যবাদ চমৎকার এবং সময়োপযোগী একটা পোস্টের জন্য। :clap:
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই প্রজন্ম আগের চেয়ে অনেক বেশী সচেতন, ভবিষ্যতে হয়ত আরো সচেতন হবে। আমি আশাবাদীদের দলে। অপেক্ষায় আছি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে এবং তাতে আমার নিজের কিছুটা হলেও অবদান থাকবে।
আপু, আপনি আরো লিখেন। শুভকামনা রইল।
সহমত।
মানুষ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নিরুপায় হয়ে রুখে দাড়ায়।কাজেই আশা ছাড়ছি না।
শেখ মুজিবের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বাম রাজনীতির চর্চা, সামরিক প্রধান থেকে রাষ্ট্রপ্রধান, হ্যা ভোট না ভোট, স্বৈরাচার পতন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার , সামরিক সমর্থিত সরকার ইত্যাদি প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে। আমি এনজয় করছি।
কারণ এক্সপেরিমেন্ট শেষে সব সময়ই ভাল কিছু আসে
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
সেলিনা, একটা ব্যাপার পরিষ্কার, সিসষ্টেমের ভিতর থেকেই সিসষ্টেমকে বদলাতে হবে। বাইরে থেকে এটা হবে না। অনেকটা ফল পাকার মত। আগে পরিপক্ক হতে হবে এর পর পাকবে। কেমিক্যাল দিয়ে পাকালে নষ্ট হয়ে যাবে।
১৪ ই ডিসেম্বরের ক্ষতি টা বড় বেশি অনুভব করি। বিচক্ষন লোক গুলো কে মেরে ফেল্ল শুয়োরের বাচ্চারা। কত পিছিয়ে দিয়েছে আমাদের, পুরো একটা জেনারেশন।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আপু গতকাল জিহাদরে বলতেছিলাম এই সাইটার কথা। খুবই ভাল হইছে। ভোটার লিস্টে নামটা খুজে পাইলাম। আমাদের এলাকা থেকে জোট প্রার্থী ব্রিগে. (অবঃ) হান্নান শাহ আর মহাজোট প্রার্থী এরশাদ দাঁড়াইছে। কল্যাণ পার্টির এক ইব্রাহিমরে দেখলাম কিন্তু ইনিই কি জেনারেল ইব্রাহিম? বুঝতে পারলাম না। আর বাকিদের কাউরে চিনলাম না। শেষ পর্যন্ত মনে লয় 'না'-ই হইব। 🙁
আপু,
অনেক সুন্দর পোস্ট হইসে...
আপনার এডিট হওয়া আমাদের সিসিবিকে পূর্ণাঙ্গ ব্লগ হিসাবে আরো সামনে নিয়ে যাবে... :thumbup:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
আমাদের এলাকার একটা দুর্নাম আছে যে আমরা নাকি ভালো প্রার্থী নির্বাচিত করি না। আমরা যারা নতুন ভোটার তাদের মানসিকতা অবশ্য ভিন্ন মনে হচ্ছে। সবার মুখেই এক কথা হয় ভালো মানুষকে ভোট দেবে নয় না ভোট দেবে। কিন্তু আমার এতে একটা আশংকার কথা ব্যক্ত করতে চাই। আমাদের এলাকায়(ঢাকা-৫) এবার উল্লেখযোগ্য প্রার্থী ৩ জন। বি এন পির সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ(বিখ্যাত দৌড় সালাহ উদ্দিন), আওয়ামি লিগের হাবিবুর রহমান মোল্লা(এই লোকের কোন মেরুদন্ড নাই) এবং জাপার সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা(ইনি মানুষ ভালো তবে জনপ্রিয় নন)। সালাহ উদ্দিন তো শনির আখড়ায় জনগণের কাছ থেকে দৌড় খেয়ে পালিয়েছিল। মোল্লার সমস্যা হল তার কোন ভাষ্য নাই। তার দলের সন্ত্রাসিরা যা বলে তাই আইন বা নিয়ম হয়ে যায় এই এলাকায়। আর তার দলের ক্যাডাররা কতটা খারাপ তা ভদ্র ভাষায় বলতে পারবো না বলে বলছি না। বাবলা মানুষ হিসেবে ভালো কিন্তু সে জনপ্রিয় নয়। এনার কোন বড় মিছিল যায় না। বাবলা একটু কম পয়সাওয়ালা অপরদের তুলনায়। আমার ভোটটা যদিও আমি ওনাকে দেবো কিন্তু আমার তাও আশংকা হচ্ছে যে নির্বাচিত উপরোক্ত দুই অযোগ্য প্রার্থির মধ্যে হতেই কেউ হবে। আমাদের এলাকার লোকদের আবার সেই পুরানো দুর্নাম শুনতে হবে। তবুও আশা রাখি, কারন
"আশা নিয়ে ঘর গড়ি
আশায় পকেট ভরি"
সেলিনা,
তোর জন্য :salute:
তুই তো অনেক সুন্দর লিখিস রে...
সাবাশ...নিয়মিত লিখিস...
সেলিনা আপু,
আপনার লেখার প্রথম অংশটুকু নির্মম সত্যটাকে তুলে এনেছে... :salute:
তবে আশার কথা হচ্ছে, দেশে শিক্ষিতের হার বাড়ার সাথে সাথে সচেতনতাও যদি বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের আর আটকানো যাবে না...
দুষ্টচক্রের ভিত নড়ে গেছে...মেরামত করার আগেই যদি জোরসে একটা ধাক্কা দেয়া যায়॥।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সবাইকে ধন্যবাদ। সময় মত কমেন্টগুলোর জবাব দিতে পারলে আরো ভালো লাগত। বদলাতে আমদের হবেই, সময় কতটা লাগে সেটাই দেখার বিষয়।
এবং সেই বদলানোটা সময় মত হলে সবচে ভাল হয় 😛
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কেন যেন এই চিন্তাশীল পোস্টগুলাতে আমার কমেন্ট করা হয় না। কি লিখবো খুজে পাই না, তার পর এক সময়ে আর কিছু বলাও হয় না। আমি নিজেকে পরিবর্তিত আমি দেখার জন্য বসে আছি। তবেই বসেই আছি, চেষ্টা করা হচ্ছে না
আপনার দেয়া সাইটটা খুবই কাজের, আমার মতন আলসে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে ফেলেছে।
:salute: :salute: :salute:
:salute: :salute: :salute: