১. ক্লাস টুয়েলভে ওঠার পর আমাদের ক্লাসের সবার চিকি নাম্বারিং (!) শুরু হল। এক থেকে তিপ্পান্ন পর্যন্ত সবাইকে নাম্বারিং করা হলে তিপ্পান্নতম হবার গৌরব অর্জন করে মঈনুল। এটা জানার পর বাহান্ন নম্বর স্থান অর্জনকারী আহমেদের বড় বড় হাত পা ইত্যাদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুঃখ দুঃখ স্বরে মঈনুলের বক্তব্য,”…আমারে তোরা তিপ্পান্ন নম্বরে দিলি! আমার চেয়ে আহমেদের হাত পা থেকে সবকিছু (!!) কত বড় বড়, ও কি তিপ্পান্ন নম্বর হইতে পারত না”?
২. টি ব্রেকের সময় আম দেয়া হয়েছে। ছোট ছোট সাইজের আমের স্কেল প্রতি ক্যাডেট দুইটা করে। ডিউটি মাস্টার সেই তথ্যই জানাচ্ছেন, “শোন ছেলেরা, পার ম্যাংগো টু ম্যান”।
৩. পৌরণীতি ক্লাসে আলোচিত বিষয়বস্তুর কোন সা-রে-গা-মা থাকত না। একদিন স্যার খুব করে বকাবকি করার ভঙ্গিতে ক্যাডেটদের সিভিক সেন্স শেখাচ্ছেন, “হুম…..ক্যাডেটের কোন সিভিক সেন্স নাই”। বলেই “হো-ও-আঁ-ক….থুহ্” করে সামনের জানালা দিয়ে একগাদা থু থু ফেলে সিভিক সেন্সের উপসংহার টানলেন।
৪. ১৯৯৮ এ এইচএসসি পরীক্ষার আগ দিয়ে যমুনা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন হলে আমাদের মির্জাপুরিয়ান ক্লাসমেটরা সেটা দেখতে যাওয়ার বায়না ধরলে অথোরিটি একবাক্যে না করে দেয়। ফলাফল: অর্ধেক ক্লাসের কলেজ পালিয়ে যমুনা সেতু দেখতে যাওয়া এবং পরদিন সকালে কলেজে প্রত্যাবর্তন। রাত কোথায় না কোথায়, কার না কার সাথে কাটিয়েছে (!) এই উছিলায় কলেজে ফেরার সাথে সাথেই এ্যাডজুট্যান্টের নির্দেশে সবার মেডিক্যাল চেক আপ সম্পন্ন করা হয়। মেডিক্যাল চেক আপের সাহায্যে কেউ কারও সাথে রাত কাটিয়েছে কিনা কিভাবে নির্ণয় করা সম্ভব সেটা মেডিক্যাল এ্যাসিসট্যান্ট স্টাফকে জিজ্ঞেস করতেই স্টাফের উত্তর, “..*নটা ধইরা একটা টান মারলেই মুখ দিয়া সব সুরসুর কইরা বাইরায়া আসব”।
৫. বিএমএ’তে পিটি পরীক্ষার আগে স্টাফের বক্তব্য, “শোনেন, কালকে পিটি পরীক্ষা আছে। সকালে এক মাইল দৌড় দিয়া পরীক্ষা শুরু হবে। তারপর একের পর এক বিম, ভার্টিক্যাল রোপ, পুশ আপ, রিচ আপ আর হর্স আছে। কোশ্চেন কিন্তু পুরাই আউট কইরা দিলাম। এরপরও যদি ফেল করেন তাইলে কিন্তু খবর আছে”।
৬. বিএমএ’তে একদিন গেমসের শেষে প্লাটুন কমান্ডার হেলথ এ্যান্ড হাইজিনের অংশ হিসেবে সবার আর্মপিট চেক করলেন। জনৈক ক্যাডেটের অবস্থা দেখে তার মন্তব্য, “স্টাফ লেখেন – তিন মাস”। পরদিন সেটার বিপরীতে ৭টা ইডি ইস্যু করার পর পুরো কোর্সের সামনে স্টাফের বক্তব্য, “….উনারটা দিয়ে র্যাপেলিং করা যাবে”। উল্লেখ্য, হেলিকপ্টার থেকে দ্রুত দড়ি বেয়ে নামাকে র্যাপেলিং বলে।
৭. বিএমএ’তে আরেকদিন ইফতারের আগে দিয়ে শোনা গেল ক্যাডেটরা শ্লোগানের মতোন সমস্বরে চিৎকার করে বলছে:
“ইফতারের পর পাঙ্গা হবে,
তখন ভারী মজা হবে”।।
৮. এমআইএসটি’র অফিসার্স মেসে একদিন খেতে বসে চামচে কিম্ভুতকিমাকার শাক মুখের সামনে তুলে ধরে জনৈক অফিসারের বক্তব্য, “নিজেরে গরু গরু লাগতেছে”। সাথে সাথে তার সতীর্থ অফিসারের মন্তব্য, “দেখিস, কেউ যেন আবার তোরে দুয়ায়ে না ফেলে”।
কৃতজ্ঞতা: মুশফিক ইস সালেহীন নওরোজ, এমসিসি (১৯৯২-১৯৯৮)।
এখন পর্যন্ত কোন লেখায় ভোট দেয়া হয় নাই। আপ্নারটাতে দিলাম।
বিরাট মজা পাইছি। 😀
থ্যাংকু ভাইয়া 😀 ।
Life is Mad.
মজা লাগল।
=)) =)) =)) =)) দোস্ত, টু মাচ, এক্কেবারে বেশি বেশি =)) =)) =))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:shy: :shy: 😛 😛 :shy: :shy:
থ্যাংকস দোস্ত।
Life is Mad.
সায়েদ ভাই, ঈমানে কইতাছি, এই ওয়াক থু কইয়া সিভিক সেন্সের ঘটনা আমার সাথে কেলাস সেভেনে পেরেকের কেলাসে অন্তত ১০ বার ঘটছে! =)) =))হাসতে হাসতে চেয়ার থিকা উল্টায় পইড়া যাইতে নিছিলাম টুশকি পইড়া!! =)) =))
ক্যান...সীটবেল্ট নাই 😛 😀 ?
Life is Mad.
আমি "কাউয়া" নাকি যে সিটবেল্ট থাকবো?আমি ছিলাম হাঁটু 😀
হাসতে হাসতে বরবাদ হয়া গেলাম। কোনটা ছাইড়া কোনটার কথা কই।
=)) =)) পুরা উরন্ত। :gulli: :))
বস আরেকটা কথা,
আপকা নাম্বার কেয়া থা? 😉 😉
আমি এই প্রশ্নটার জন্যই মনে মনে অপেক্ষা করতে আছিলাম 😉 😀 । কে যে আগে জিগায় সেইটাই মনে মনে ভাবতেছিলাম।
যাই হোক, আমার আগে আর পরে ২৫ জন কইরা আছিল 😛 😛 । এইবার বুইজা লও আমার নাম্বার কেয়া থা........ ;;) ।
Life is Mad.
আপনি তো তাইলে সৌন্দর্যের দেবী থুক্কু দেবতা আছিলেন।। :grr: :grr:
:)) :)) :))
মাঝখানে সিরিয়াল দিয়া ডাউট দিলি নাকিরে 😉 😉
দাড়া, রাকিব নাইলে রাজিকরে জিগায়া আসল কাহিনি শুইনা লইতাছি B-)
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তাইলে তো কইতে অয় তোমার রেটিং ঠিক আছিল না। তুমি তো যতদূর মনে লয় আরো বেশি চিকি আছিলা 😀
ঠিক কইসেন ওস্তাদ। :grr: :grr:
সিনিয়র বইলা আমি বলতে পারতেছিলাম না।
সায়েদ ভাই আমাদের 'ব' ও-কার, 'ক' আ-কার বানাইতেছিলো। 😉 😉
=)) আপনাদের ব্যাচের কাছে? =))
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আইহায়..সায়েদ ভাইর তো জীবন শ্যাষ!!আগে ২৫ জন,পিছে ২৫ জন!!!! :grr:
আমার আগে আর পরে ২৫ জন কইরা আছিল 😉 😉
😉 😉 😉
আমাগো সায়েদ ভাই হইলো গিয়া দেবী ভেনাস থুক্কু দেবতা এ্যাপোলোর ক্যাডেটীয় সংস্করণ 😀
সায়েদ ভাই,আপনি বললেন আপনার ক্লাশে ৫৩ জন কিন্তু আপনার সিরিয়াল যদি ২৫ জন করে সামনে পিছনে থাকে..তবে ক্লাশেতো ৫১ জন হয়? আর মঈনুল ভাই আমাগো মানে শউহা তে ছিলেননা?
আপনি এইভাবে টুশকি লিখতে লাগলে..দেখবেন আপনার নাম শুধু হাসমত ভাই হয়ে যাবে,সায়েদ আর থাকবেনা....... 😛 :boss: :clap:
আমাদের মঈনুল সোহরাওয়ার্দী হাউসে ছিল 😛 ।
আর আমার নামটা সায়েদ এর পরিবর্তে হাসমত হইলে তো খুবই সমস্যার কথা :dreamy: ....। আমার আব্বার নাম হাসমত 😛 😛 ।
Life is Mad.
:khekz: :khekz: :khekz:
ফাটাফাটি সায়েদ ভাই
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আর যাই হোক, টুশকি সিরিজ বন্ধ কইরো না।
চিকি, পয় নিয়া একটা লিখছিলাম সচলে, ভাবতেছি, কপি পেষ্ট করব।
করেন। এট্টু বেশি কইরা কইরেন। 😉 😉 😉
সায়েদ,
যথারীতি ফাটাফাটি...।
তয় নিজের নাম্বারিংটা মনে হয় একটু সাবধানে করছো...। তুমি তো আমাগো হাউসেই আছিলা তাইনা? 😉 থাউক আর কমুনা...। পরে অভিমান কইরা টুশকী সিরিজ বন্ধ কইরা দিলে সমস্যা...। ভাইজানেরা-বুবুজানেরা আমি কিন্তু কিছু কই নাই...। 😀
আমরাও কিছু শুনি নাই।
😉 😉 😉 😉 😉
আহসান ভাই,
আমি খেলুম না কইলাম :(( ~x( :(( ।
Life is Mad.
ওই মিয়া...না খেললে ভান্ড-বাডি(তৈজষপত্র-বরিশালের ভাষা) ফেরত দাও...।
ভাইজান
লেখাটা ফাটাফাটি , কিন্তুক কমেন্টগুলা আরো ফাটাফাটি :)) :)) :)) :))
:grr: :grr: :grr:
:grr: :grr: :grr:
ভাই ... হাসতে হাসতে খবর হইয়া জাইতেসে !!
“..*নটা ধইরা একটা টান মারলেই মুখ দিয়া সব সুরসুর কইরা বাইরায়া আসব”।
উস্তাদ, আপনে ভচ। জয় হো... :hatsoff:
সায়েদ ভাই আপনেরে গুরু মানচি :boss: :boss: :boss: