১. কোন একদিন গেমস টাইমে ভালো একদফা ঘষামাজা দেবার পর পুরো কলেজকে এ্যাডজুট্যান্ট এর জিজ্ঞাসা, “হাউ ইজ ইওর মোরাল”? আমরা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বললাম, “হাই স্যার”। রাশভারী এ্যাডজুট্যান্ট এর মুখে তখন মজা পাওয়া চিকন হাসি, “কোন হাই? ম্যাথমেটিক্স এর মিস্টার হাই”?
২. আইসিসি ১৯৯৮এ বাস্কেটবল কম্পিটিশনে খেলা হচ্ছে বরিশাল ও সিলেটের মধ্যে। খেলার মধ্যে আমাদের পাভেল নিতান্ত অন্যায্যভাবে জার্সি টেনে ধরে ফাউল করলে খেপে অস্থির হয়ে যায় ফুয়াদ (যদি স্মৃতি বিট্রে না করে তবে এটা ফুয়াদই ‘৯৩-৯৯)। সেটা খেয়াল করে ফ্রি শট দেবার সময় রেফারীর কমেন্ট, “তোমারে টাইনা ধরবে না তো কি চুমা দেবে? নাও ধর …মার”।
৩. “এই সাবধান এরা কিন্তু ..লসে হাত দেয়” – এক্সকারশনের শেষের দিকে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে পৌঁছালে দল বেধে দেখা করতে আসা ক্লাসমেটদের একজনের একান্ত ব্যক্তিগত স্থানে নাড়া লাগার (আমাদের দ্বারা) ঠিক আগ মুহূর্তের সতর্কবাণী। বেচারা পাগলরে সাঁকো নাড়ানোর কথা মনে করায়ে দিছিল মাত্র।
৪. আইএসএসবি’র ভাইবাতে ডেপুটি কমান্ড্যান্ট যখন জানতে পারলেন তার সামনে বসা ক্যান্ডিডেট (একজন সদ্য এক্স-ক্যাডেট) এসএসসি’তে বোর্ডে সেকেন্ড স্ট্যান্ড করার পর এইচএসসি’তে সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছে, তখন ইংরেজি ভুলে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “এই অসাধ্য তুমি ক্যামনে সাধন করলা”? বলা বাহুল্য সে গ্রীন কার্ডই অর্জন করেছিল।
৫. কম্যান্ডো ট্রেনিং এর গল্প: অবসট্যাকল গ্রাউন্ডে একটা একটা গ্রুপ করে ছাড়া হলে বাকিদের বাধ্যতামূলকভাবে সাবধান হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু এসএমজি, হেলমেট আর পিঠে ১৫ পাউন্ড ওজন নিয়ে কি ছাই টানা সাবধান হয়ে থাকা যায়? যথারীতি কেউ না কেউ নড়াচড়া করে আর স্টাফ এসে হ্যান্ডস ডাউন করিয়ে পুশ আপের কাউন্ট শুরু করে। বলে,”স্যার, হয় চা খান নয় ঘুমান। চাও খাবেন আবার ঘুমাবেনও – তাতো হবে না। হয় সাবধান হয়ে দাঁড়ায়া থাকবেন না হয় পুশ আপ দেবেন….বুঝছেন”?
আমার সমস্বরে চিৎকার করে বলি, “জি স্টাপ”।
৬. এমএমএ সিকদার স্যার (ইংরেজি) একবার আমাদের জ্যামিতি পড়িয়েছিলেন। A,B,C যদি কোন ত্রিভুজের তিনটি শীর্ষবিন্দু হয় আর যদি বিন্দু A তে একটা কুকুর রেখে বিন্দু B তে কিছু খাবার রাখা যায় তাহলে কুকুরটা ACB পথে না যেয়ে সরাসরি AB পথেই দৌড়ে খাবারের কাছে যাবে, কারণ কুকুরমাত্রই জানে “ত্রিভুজের দুই বাহুর সমষ্টি তৃতীয় বাহু অপেক্ষা বৃহত্তর”।
৭. আইএসএসবি মেডিকেলে জনৈক ক্যাডেটের কাশি দেয়া পর্ব চলছে। ঐ অবস্থাতে মেডিক্যাল অফিসার জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি সিগারেট খাও”? ঐরকম স্পর্শকাতর, বেকায়দা অবস্থানেও রসিক ক্যাডেটের উত্তর, “কেন স্যার, ধোঁয়া বের হচ্ছে নাকি”?
******
সিসিবি পরিবারের সবাইকে ঈদুল ফিতরের উষ্ণ শুভেচ্ছা।
:)) 😛
:)) :)) :)) :))
কঠিন হইছে ওস্তাদ।
ঈদের কারণে পোলাপান ব্যস্ত তাই মনে হয় এই ফাটাফাটি পোস্টে কমেন্ট এত কম...।
সায়েদ ভাই,একেকটার চেয়ে একেকটা জটিল!!!সেইরকম হইছে বস!!! :)) :)) :))
জটিল দোস্ত, জটিল , ধোঁয়া বের হওয়ারটা 'সেইরকম', হাহাহাহাহাহাহাহা
থ্যাংকু দোস্ত 😛 ।
Life is Mad.
জটিল হইছে সায়েদ ভাই। গেমস টাইম এর পাঙ্গা তে আমিও আসিলাম। অনেক দিন পর শিকদার স্যার এর কথা মনে করাইয়া দিলেন(সামান্য বুকে ব্যথা) :)) । এই জোকস টা উনি সব ক্লাস এ বলছেন।
টুশকি সিরিজটা পুরা দৌড়াইতেসে । i m lovin it 😡
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আবার জিগায় এিরিজ টা এখন long jump দিতাসে...... 😀 😀
আজ থেকে আর কখনও পাবলিক প্লেসে কাশব না...!!! :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
x-( x-( x-(
আসুন আমরা মেনে চলি সুন্দর দেশ গড়ি...।।
:)) =)) সবগুলাই জটিল্স!
www.tareqnurulhasan.com
আসুন আমরা সবাই কাশি। ধোঁয়া নিয়ে এত চিন্তা না করলেও চলবে। সবাই তো আর ডাক্তার না!
”এই সাবধান এরা কিন্তু ..লসে হাত দেয়”
এইখানে আসলেই হাত দিয়েছিলেন নাকি ভাই??? :)) :))
টুশকি সিরিজের প্রেমে পড়ে গেলাম । হকির কথা বললেন ভাইয়া সেই আইসিসি তে আমাদের শামীম ভাই ছিলেন উনি নাকি একবার রেফারীর উপর বিরক্ত হয়ে মাঠের মাঝখানে হকিস্টিক রেখে টানা খাটি বাংলায় গালিগালাজ করেছিলেন। সত্যি নাকি জানিনা। কলেজে শোনা।
ঘটনা সত্যি বলেই তো মনে পড়ে। যদিও আমি অনেক দূরের দর্শক ছিলাম 😛 ।
Life is Mad.
:gulli:
সায়েদ ভাই ব্র্যান্ড নেম বানায়া ফেললো টুশকি নামটারে।
:gulli: ঢিচা ঢিচা। সায়েদ ভাই MIST তে আপনারে পড়াশোনায় অনেক সিরিয়াস লাগত। আপনার "এথিনার" গল্পটা এখানে দিয়ে দেন
সাব্বির ভালো কথা মনে করায়ে দিছ। গল্পটার ক্যারেক্টারগুলো সবই আমার কলেজের বন্ধুরা আর যেহেতু গল্পে রোমান্স রোমান্স টাচ আছে সেহেতু ভালোই লাগবে বলে মনে হয়। কিন্তু গল্পের নায়ক যে মাইরগুলো :chup: দিবে সেগুলো কে খাবে সাব্বির 😮 ?? রাজী থাকলে আওয়াজ দাও.... 😛 ।
Life is Mad.
মাইর্দিবোনা, আম্রা আচি না? কাভারিং ফায়ার দিব, চিন্তা কইরেন না। :gulli: :gulli: :gulli:
জোরসে বললাম....... একটু কষ্ট করে মার টা খেয়ে নেন ;;)
মাইর আমি খাবো না, কারন আমি রোজা। O:-) O:-) O:-)
ওক্কে ওক্কে........ :shy:
Life is Mad.
সায়েদ,
জটিল লেখা হইছে...। আমিও তোমার টুশকীর প্রেমে পইরা গেছি...।
শিকদার স্যার আর বাসুনিয়া স্যারের কথা মনে করাইয়া দিলা...।
ও হ্যা, ১১তারিখ ঢাকা থেকে আসার সময় বাসুনিয়া স্যারের সাথে দেখা হইলো। আমাদের ব্যাচের ফজল (শেরে বাংলা হাউসের)আমারে সি-অফ করার জন্য রাজারবাগ গ্রীন লাইন কাউন্টারে আসছিলো। কথা-বার্তার এক পর্যায়ে আমারে কইলো, "চল সিগারেট কিনমু।" দুইজনে মিইলা সিগারেট কিনতে গেলাম। টাকা দিয়া সিগারেট চাইলো ফজল। আমি হঠাৎ আবিষ্কার করলাম পাশের ব্যাক্তিটি বাসুনিয়া স্যার। অবশেষে কিছুক্ষণ কথা বলার পর স্যারই সিগারেট খেতে বললেন। স্যার এখন ডাচ-বাংলা ব্যাঙ্ক এ ফার্স্ট এসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন। একই সাথে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতেও পার্ট টাইম জব করছেন।
যাইহোক, আরো টুশকী চাই ভবিষ্যতে।
ভালো থেকো।
আহসান ভাই,
থ্যাংকস :shy: ।
পরবর্তী টুশকি আন্ডার প্রসেস আছে 😛 । একটু সময় লাগবে।
Life is Mad.