টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২০] [২১] [২২] [২৩] [২৪] [২৫] [২৬] [২৭] [২৯]
১. ছোটবেলার অনেক জিনিস শেখার কথা মনে না থাকলেও “রওয়ানা” ও “পৌঁছানো”র পার্থক্য কিভাবে শিখেছিলাম ঠিক মনে আছে। ট্রেনে বগুড়া থেকে বেশ ঘুরপাক খেয়ে ফরিদপুর যাবার পথে সন্ধ্যা হয়ে গেলে বলে বসলাম, “সেই কোন সকালে ‘পৌঁছ’ দিছি এখনও বাড়ীতে ‘পৌঁছাতে’ পারলাম না”। সেটা শুনে আব্বা, আম্মা থেকে শুরু করে আশেপাশের যাত্রীরা পর্যন্ত বিমলানন্দে আকর্ণ বিস্তৃত হাসি হেসেছিলেন।
২. আমার এক কাজিনের কাছে ক্যান্টনমেন্টের সংজ্ঞা হলো, “….এক রিকশায় তিনজন উঠলে যেইখান থেকে ঘাড় ধরে একজনরে নামায় দেয় সেই জায়গা”।
৩. কম্যান্ডো ট্রেনিং এর একটা অংশ হিসেবে হাতে কলমে সিলেট বিমান বন্দর রেইড করানো শেখানো হয়। বিস্তারিত প্ল্যান করে সেটা একজিকিউট করার পর একটা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কি কি থাকে তা দেখানোর জন্য রাত ২টার সময় আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো মূল ভবনের ভিতর। আমাদের সবার পরনে হেলমেটসহ ফুল ফ্লেজেড কম্ব্যাট পোষাক, হাতে এসএমজি ও পিঠে ২০ পাউন্ড ওজনের ব্যাকপ্যাক। আমাদের একজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিমান বন্দরে রক্ষিত মালামাল ওজন করার প্রমাণ সাইজ যন্ত্রটি। খানিক্ষণ কি চিন্তা করে সে সব সমেত উঠে দাড়াল সেই মেশিনের উপর। দূর থেকে আমাদের এক ইন্সট্রাকটর সেটা দেখলেন। কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, “নিজেরে কি মাল মাল মনে হচ্ছে”?
৪. শীতকালের কোন এক সন্ধ্যায় আমার এক জুনিয়র কলিগের সিএমএইচ এলাকা থেকে আর্মি স্টেডিয়াম এলাকায় পৌঁছানো দরকার ছিল পাঁচ মিনিটের ভিতরে। সে তার এক মোটর সাইকেল চালানোয় এক্সপার্ট বন্ধুকে (সেও আমার কলিগ) বলল এক টানে নামিয়ে দিয়ে আসতে। যথারীতি তার ইয়ামাহা উড়াল দিল। ভয়ঙ্কর গতিতে ভীত হয়ে কলিগ বলে বসল, “দোস্ত, আস্তে চালা – ঠান্ডা লাগে”। বন্ধু তখন দুই হাতই বাইকের হ্যান্ডেল থেকে তুলে এনে নিজের হেলমেট মাথা থেকে খুলে ফেলল। তারপর পিছন ফিরে সেটা বন্ধুর মাথায় গলিয়ে দিয়ে বলল, “নে, এখন আর ঠান্ডা লাগবে না”।
৫. এই বাইক এক্সপার্ট কলিগ আরেকদিন একরকম বিনা উস্কানিতেই নিজের বাইক দিয়ে সামনের প্রাইভেট কারের পিছনে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বসল। সাথে সাথে প্রাইভেট কার থেমে গেল, ভিতরের যাত্রীরা উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে ফিরে তাকালেন আর ড্রাইভার ভদ্রলোক নেমে আসলেন ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে। বাইকের আরোহীরাও পরিস্থিতি মাপছে। কোন ক্ষয়ক্ষতি না হওয়াতে মিনিটখানেক রোষকষায়িত দৃষ্টি হেনে ড্রাইভার ভদ্রলোক গাড়ীতে ফেরত গেলেন। তখন বাইক চালক কলিগ তার পিছনে বসা বন্ধুকে একটা ৩২ দাঁতের হাসি দিয়ে বলল, “দোস্ত, গাড়ীর মেয়ে দুইটা সেইরকম সুন্দর না”?
৬. আমাদের একজন মনরোভিয়ার সী-বিচগুলো দেখে এসে তার অভিজ্ঞতা বয়ান করছে, “জানিস, এখানের সবগুলো সী-বিচই না সমুদ্রের তীরে”।
৭. সন্ধ্যার পর চারদিক খোলা শেডের নিচে বসে ছিলাম কলিগরা মিলে। কি কারণে খানিক্ষণের জন্য লাইট জ্বালানো হলে একটা ইঞ্চিখানেক লম্বা পোকা উড়ে যেয়ে পড়ল মহিলা সহকর্মীর উপর। খানিক হুলুস্থূলের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বন্ধু পুট করে কমেন্ট করল, “পোকায় আগুন চেনে” 😛 ।
********
* কৃতজ্ঞতা: শাহাদুজ্জামান (বকক, ১৯৯৩-১৯৯৯) ও রিশাদ (ককর, ১৯৯২-১৯৯৮)।
** লাইবেরিয়া থেকে সবাইকে এটাই আমার তরফ থেকে সর্বশেষ শুভেচ্ছা। পরবর্তীতে দেশে দেখা হবে (গেট টুগেদার যেন কবে 😀 ?)।
১ম 😀
বহুতদিন বাদে সায়েদ ভাই টুশকি দিছেন, আর আমি তাতে ফাশ্টো! ওয়ে ওয়ে! :awesome: :awesome:
সাত নাম্বারটা জোশ হইছে!
পাঁচ নাম্বারএর কাছাকাছি ঘটনা নিজের চোখেই দেখছি বলে ঐটাও জোশ লাগলো!
তবে সেরার সেরা হলো তিন নাম্বার টা!! =)) =))
😛 :shy: 😛
Life is Mad.
স্বপ্ন নাকি সত্যি :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: যাই পইড়া আসি।
মনডা এক্কেরে পানির লাহান ফুরফুরা হইয়া গেলো। ১, ২, ৩, ৪, ৭ পইড়া তো পিরা গেলাম। এইবার আর কোট করলাম না। সায়েদ ভাই টিজ করে।
দেশে আসেন। প্রিত্যেকদিন গিট টিগেদার হিবে।
আবেগে পিরা ভাষায় কথা কওয়া শুরু কইরা দিসি।
সবশেষে :guitar: :guitar:
:dreamy: :dreamy:
Life is Mad.
:goragori: :goragori: :goragori: :pira: :pira: :khekz: :khekz: :awesome: :awesome:
যাক টুশকি দিলা তাইলে। ভাবছিলাম প্রোডাকশন বন্ধ করি ফেলছ। 😀
আছ কেমন?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাল বস :hatsoff:
Life is Mad.
কমান্ডোরা ভাই একেকটা মাল!!
ভাই ৬ নাম্বার টা কি দিলেন !! ওরে আল্লাহ রে!!
:tuski: :tuski: :tuski: :tuski:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সায়েদ ভাই,আপনের ঝিকিঝিকি পমপমের কেইস এখন সারা নসু জানে।এই পাড়ায় বেড়াইতে আইলে কইলাম খুব খিয়াল কইরা..."দ্যাট গুডলুকিং,আর্মি ফেলো উইদ আওসাম ফানি স্টোরিজ" রে এমন ভাবে পরিচয় করায় দিছি যে দেইখা জড়ায় টরায় ধইরা এক্কেরে কেলেঙ্কারি করতে পারে...ভাবী সামনে থাকলে কিন্তু আপনেরে ভুল বুইঝা সাইজ দিতে পারে...উনি তো আর জানবেন না যে কেইস কি...
আহ এতদিন পরে টুশকি পইড়া দিল পুরা গার্ডেন গার্ডেন হো গিয়া... :shy:
😕 😕 😮 😕
Life is Mad.
সায়েদ ভাই আপনিতো পুরা হিঠই গেছেন নসুতে। খিয়াল কইরা খুব খিয়াল কইরা।
সায়েদ ভাই, রিপ্লিজ বিলিভ ইট অর নট এ সেইদিন পড়লাম যে এই ফেব্রুয়ারিতে নাকি দানবাকৃতি শুঁয়োপোকার কারণে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করছিলেন।কাহিনী কি সত্যি নাকি?প্রথম আলোয় রিপ্লিজ এ যেই সিরিজ থাকে ওইটায় পড়ছি...পারলে এট্টু জানায়েন বস...লাইবেরিয়া শুইনাই আপনার কথা মনে পড়ছিল...
কাহিনী সত্যি 🙂 🙂
Life is Mad.
মজাক পাইলাম 🙂
শেষেরটা মজাক টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি। =))
সায়েদ : টুশকি নিয়া ফিরা আসায় :hatsoff: । দেশে ফিরাও চালাইয়ো। ওয়েলকাম ব্যাক ।
৩ আর ৭ নম্বরটা জোস। ৫ আর ৬ নম্বরগুলাও দারুণ।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:salute: :salute: :guitar:
Life is Mad.
:khekz: :khekz: :khekz:
😉 :boss: :boss:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
সায়েদ অনেকদিন পরে টুশকি পড়ে ভালো লাগলো অনেক। দেশ ফিরো সহি সালামতে সেই কামনা রইল।
সেইরকম ভাই। আছেন কেমন? কবে আসছেন??
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
বহু দিন পর আইল.........আহহহহহহ
পুরাই :tuski: :tuski: :tuski:
কেমন আছেন সায়েদ ভাই? 🙂 অনেক অনেকদিন পর লিখলেন। ভালমত ফিরে আসেন এই দোয়া করি।
টুশকি নিয়ে নো কমেন্ট 😛
কাইলকা পইড়া কমেন্টাইতে পারি নাই, সায়েদ ভাইয়েরে কিছু কওনের নাই... পুরা সেই রকম সবগুলাই বস লাগছে।
ভাই কবে আইতাছেন?
খুশিতে বাগবাগুম টুশকি পইড়া। অনেকদিন পর টুশকি।
সায়েদ ভাই কে :salute: :salute: :salute:
এইখানে আইসে প্রথম এই টুশকি পড়েই :pira: :pira: :pira: গেছিলাম!!!
চমৎকার :clap: :clap: । সবগুলো টুশকি পড়তে হবে। 🙂
:just: :pira:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
প্রত্যেকটা পইড়াই পুরা পিরা যাবার দশা হইলো =)) =))
ক্যামনে ক্যামনে টুশকিগুলা মিস কইরা যাই, আইজকা রিভিশন করতে গিয়া চোখে পিড়ছে 😡
দোস্ত, নিরাপদে দেশে আয় :hug:
:goragori: :goragori: সেরকম, পুরা সেরকম :gulli:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:pira:
=)) =)) =)) :khekz: :khekz: :goragori: :goragori:
ম্যালাদিন টুশকি পড়িনা 🙁