টুশকি ২৪

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২০] [২১] [২২] [২৩] [২৫]

১. আমার এক বন্ধুকে তার সিও’র চার বছর বয়সী ছেলে জিজ্ঞেস করছে: “আঙ্কেল আপনি কি এ্যাডজুট্যান্ট”?
বন্ধু বলে: “না”।
: “তাহলে আপনি কি কোয়ার্টার মাস্টার”?
: “না”।
: “তাহলে আপনি কি”?
কি বললে কি বুঝবে ইত্যাদি ভেবে বন্ধু বলল: “আঙ্কেল, আমি স্পেয়ার পার্টস”।

২. ক্লাস সেভেন থেকে কেবল ক্লাস এইটে উঠেছি। ফর্ম মাস্টার জামশেদ স্যার (জীববিজ্ঞান) সেন্ট্রাল ক্লাসে “জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ” পড়াচ্ছেন। ১৬টা আলাদা আলাদা কারণ ব্যাখাসহ বলে ১৭ নম্বর পয়েন্ট “বিনোদনের অভাব” বলে আর আগান না। খানিক্ষণ চুপ থেকে এই পয়েন্টটা কেটে দিতে বললেন। সেই ব্যাখ্যা জানতে জানতে আমাদের আরও বেশ কিছুদিন লেগেছিল 😛 ।

৩. “কোথাও কেউ নেই”এর বাকের ভাই তখন খুব হিট। আমাদের অল্টারনেটিভ সিনিয়র ভাইয়ারা বাকের ভাইকে তুলে আনলেন স্টেজে। সেখানে বাকের ভাইয়ের হাতে বদির চড় খাওয়ার একটা দৃশ্য আছে। রিহার্সালে বাকের ভাই চড় মারলেও (জোড়ে মারার ভাব করলেও তাতে তেজ থাকে না) বদিরূপী মঞ্জুর ভাইয়ের (যতদূর মনে পড়ে) হাসি হাসি মুখ আর গোমড়া হয় না। ফর্ম মাস্টারের বারংবার সংশোধনীর পরও যখন সেটা ঠিক হলো না তখন স্যার বাকের ভাইকে বলে দিলেন আসল অনুষ্ঠানের সময় কড়া করে আসল চড় বসিয়ে দিতে।

যথারীতি সেই চড়ের গুণে আমরা দর্শকরা শতভাগ নির্ভুল অভিব্যক্তিসহ বদির অভিনয় পেয়েছিলাম।

৪. আব্দুর রহমান নামের একজন একবার ভালো ঝামেলায় পড়লেন। ইতিমধ্যে একজনের নাম “রহমান” হয়ে যাওয়াতে তাকে “আব্দুর” নামটাই নেমপ্লেটে লাগিয়ে ঘুরতে হল কয়েকদিন। ব্যাপারটা কর্তৃপক্ষের কোন একজনের পছন্দ না হওয়াতে নামটা “এ রহমান”এ পরিবর্তিত হল। এইবার শুরু হল সতীর্থদের কেরদানী। ইংরেজিতে “A Rahman” মানে হলো “একটি রহমান”। তারা শেষমেষ সেটাকে কিঞ্চিত সাইজ করে বানিয়ে দিলেন “AR Ahman”…..উচ্চারণের ঠ্যালায় তার শেষ পরিণতি হলো “Air Ahoman” বা “এয়ার অহোমান”!!

৫. টিজিং এর খপ্পর থেকে রবীন্দ্রনাথও বাদ পড়েননি। কলেজে তার একটা গানের প্যারোডি হয়েছিল এইরকম:

“সেদিন দুজনে েেছিনু বনে
সারা বনে পানি ছিল না,
কচু পাতা দিযে োা মুছেছিনু
চুলকানি আজও গেল না….।”

৬. অনেকদিন আগের পত্রিকায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কথা পড়ছিলাম। তিনি সংসদে বক্তৃতা রাখার সময় মানব দেহের হাড়বিহীন অঙ্গ প্রত্যঙ্গসমূহের এক এক করে নাম বলেছিলেন। কিন্তু কেমন করে যেন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটার নাম বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন 😀 ।

৭. এখানে Wulki Farm নামে একটা ব্যক্তিগত ফার্ম হাউস আছে যেটাকে হলিডে রিসোর্ট বা মিনি চিড়িয়াখানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গত উইকএন্ডে সেখানে যেয়ে মর্কটকূলের একাকী এক সদস্যের সাথে দেখা হলো। সে তার অন্যান্য ভাই বেরাদরের তুলনায় অনেক বিষন্ন, দুঃখী। বেচারার জন্য মায়াই লাগল।

১০১ টি মন্তব্য : “টুশকি ২৪”

  1. শফি (৮৬-৯২)

    জামশেদ স্যারের কথা মনে পইড়া গেল। আমাদের তখন এইচএসসি থিওরী শেষ, প্র্যাক্টিকাল বাকি। একদিন ডিনার শেষে আমরা এক রুমে বসে টোবাকো মিক্‌চার বানাচ্ছি 😛 , স্যার প্রেপ গার্ডে যাবার সময় হাউজে একটু উঁকি দিলেন পরীক্ষার্থিরা পড়াশুনা করছে কিনা তার খোঁজ নিতে, যথারীতি স্যারের কাছে ধরা :bash: । ওনার কোমরে হাত দিয়ে কথা বলার অভ্যাস ছিল। উনি বললেন, "আর ক'দিন পরতো চলেই যাবে, তখন আমাকে এসে বোল, বোতল কিনে দেব; এই কটা দিন এসব না করলেই কি নয়?" 😀 যাই হউক ওগুলো সীজ্‌ করে নিয়ে গেলেন। আমরা কলেজ ছেড়ে চলে আসার দিন সবকিছু ফেরৎ দিয়ে দিয়েছিলেন। :awesome:

    সায়েদ ক্যারি অন ব্রো, ভাল হচ্ছে।

    জবাব দিন
  2. ২ নাম্বারটা পড়ে একটা কথা মনে পড়লো। এটা সম্ভবত ক্লাস নাইন-টেনের সামাজিক বিজ্ঞান বইতে পড়েছিলাম।
    জনসংখ্যা বৃদ্বির একটি কারন হচ্ছে, ক্ষুধার্ত মানুষের যৌন চাহিদা বেশি থাকে। অভাব অনটনের আমাদের এই দেশে তাই জনসংখ্যাও মাশাল্লাহ। 😀

    সবাই খাইয়া না খাইয়া াগায়না রে ভাই, কেউ কেউ শুধু না খাইয়া াগায়। 😀 😀 😀 😀

    আমি শুধু একটা কথাই বলি সবসময় ,টুশকি চলছে চলবে। :tuski:

    জবাব দিন
  3. নাজমুল (০২-০৮)
    যথারীতি স্যারের কাছে ধরা

    কী বলেন স্যার কিছু বলেনাই 😮

    আমরা কলেজ ছেড়ে চলে আসার দিন সবকিছু ফেরৎ দিয়ে দিয়েছিলেন।

    😮 😮
    আমি ধরা খাবার পর বলসে যা যা আসে সব জমা দিয়া যাও
    আমি ২টা লাঠি আর একটা আগুন দিয়া আসলাম
    অগুলা আর ফেরত দিলনা :bash:

    জবাব দিন
  4. টিটো রহমান (৯৪-০০)
    টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২০] [২১] [২২] [২৩]

    সায়েদ ভাই
    সত্যি আপনি ভাই :boss: :boss: :boss:
    আপনা আপনি মাথায় হাত উঠে গেল :hatsoff: :salute:


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  5. টুশকি উদযাপন প্রসঙ্গেঃ

    আচ্ছা টুশকির রজত জয়ন্তী উপলক্ষে একটা প্রীতি ভোজ করলে কেমন হয়?ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে স্পন্সর করবেন সায়েদ ভাই 😀 😀 😀 ভাইবোনেরা কে কে আছেন হাত তুলেন!!!!!!

    জবাব দিন
  6. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    আমাদের আশরাফকে জিজ্ঞেস করি- কীরে মাসুদ নাকী এডজুটেন্ট, ড়্যাংকও পড়লো সব পোলাপান, তোর এই অবস্থা ক্যান?

    ও বলে- আমি জমাখানায় জমা হয়ে গেছি। আমারে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। 😀

    জবাব দিন
  7. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    ওই মিয়া, তুমি সাকেব ভাই এর মত বস্ মানুষের কমেন্ট মিস করলা!!!

    তানভীর, আমি ঠিকই ধরসিলাম...তুমি অনেক দুষ্টু আছো x-(


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  8. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আমাদের একজন ছিল, চিনবা মনে হয়, ডন। এখন আর্মিতে। ওর পুরো নাম মাহমুদ মাওলা ডন।

    যখন কলেজে ডুকি তখন ওর নাম "মাওলা" তো মাওলা ছিল ওদের ফ্যামিলি টাইটেল, বাপে পোলায় এক লগে ঘুরলে, কেউ যদি মাওলা বলে ডাকে, দুইজনি জবাব দেয়। এই বিড়ম্বনা থেকে বাচানোর জন্য ওর নাম চেঞ্জ করে দেয়া হল "ডন", কারন মাহমুদ নামে আর একজন আছে। পড়ে প্রিন্সিপাল স্যার "ডন" চেঞ্জ করে বানিয়ে দিলেন "মাহমুদ" আর প্রথম মাহমুদ হয়ে গেল সৈয়দ।

    লেখা ভাল হইছে।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

      ২০০৭ এর প্রথম দিকে ডন স্যার সিলেটে একটা কোর্সে আমার ইন্সট্রাকটর ছিলেন 😀 😀 । কোর্স সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উনার নাম নিয়ে আমরা ছোট্ট একটা ফান করছিলাম 😛 😛 । ঐটা টুশকি ২৫ এ শেয়ার করব 😀 😀 ।

      বসের ক্যামেরায় হাত খুব খুব ভালো। উনার ক্যামেরাটা চামে চিকনে ব্যবহার করার সুযোগ হইছিল।

      আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।


      Life is Mad.

      জবাব দিন
  9. সায়েদ মামা,নিজামিরে নিয়া সেই জুকটা আমার ন্যাংটা কালের হইলেও লুকায় লুকাইয় যায়যায়দিন(বিশেষ কইরা প্রেমলীলা সেকশন) পড়তে গিয়া চোখে পড়ছিল। নিজামী সংসদে কইছিলেন যে জিহবা মানব দেহের একমাত্র হাড়হীন অংগ,এইটার পবিত্রতা বজায় রাখা উচিত।এই কথার সমালোচনা কইরা যাযাদিতে লিখা হইছিলঃমানব দেহের আরেকটা অংগ আছে হাড়হীন কিন্তু নিজামী সাহেবের ওই অংগ সম্ভবত এত শক্ত যে তিনি তা হাড়হীন কিনা বুঝতে পারেন না 😀 😀 😀

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।