এই পোস্টের যাবতীয় কাহিনী, স্থান-কাল এবং পাএ-পাএী কাল্পনিক। তাই কোন জীবিত অথবা মৃত ব্যাক্তির সাথে কোনভাবে মিলে গেলে তা নিছক কাকতালীয়। এর জন্য লেখক কোন ভাবেই দায়ী নন। এইডা পিওর চাপা।
স্থান : ২০৭ নম্বর রুম, ভাসানী হাউস, পাবনা ক্যাডেট কলেজ
সময় : ২০০২ সাল
পাএ-পাএী : সারোয়ার, রিফাত, তানজিলুর
রিফাতঃ ওস্তাদ, কি করতাসেন?
সারোয়ারঃ একটা কবিতা লিখি।আর কইস না, কাল রাতে একটা রোমান্টিক স্বপ্ন দেখছি।স্বপ্নের মধ্যে থিমডা পাইলাম।
রিফাতঃ ওস্তাদ সিরিয়াস নাকি? চাপা ছাড়তাসেন না তো?
সারোয়ারঃ এখন যা ডিস্টার্ব দিস না। প্রতিভা থাকা লাগে। কবিতা বুঝস কিচ্ছু?
[রুমে তাঞ্জিলুরের প্রবেশ]
তাঞ্জিলুরঃ ওস্তাদ, ক্রিকেট খেলবেন না? আজ তো আন্তঃরুম ব্লক ক্রিকেট হইবো ভুইলা গেছেন?
সারোয়ারঃ ও তাইতো। তোরা যা আমি আইতাসি।
[আধ ঘন্টা পর সারোয়ারের আগমন]
ওস্তাদ আইছেন। পরিস্থিতি কিন্তু ভালো না।একটা ম্যাচ কিন্তু অলরেডি হারছি আমরা। কইতে কইতে রিফাত, তাঞ্জিলুর এগিয়ে আসে।
সারোয়ারঃ টেনশান নিস না। আমাগো নতুন ব্যাটটা লইয়া আয়।
আবার ব্লক ক্রিকেট জমে উঠলো।রিফাত, তাঞ্জিলুর ২জন অন্যান্য রুমের সাথে প্রুতিযোগিতায় পেরে উঠছিলো না। সারোয়ার আসার পর রিফাত তাঞ্জিলুর আরো যোশে খেলা শুরু করলো। সারোয়ার ও ওদের সাপোর্ট দিলো। টিম স্পিরিটের বদৌলতে আন্তঃব্লক ক্রিকেট কম্পিটিশানে ২০৭ নম্বর রুম জয়ী হলো। জয়োধ্বনী করতে করতে তারা রুমে চলে গেলো
উল্লেখ্য, যে কম্পিটিশানই হোক ২০৭ নম্বর রুম জিতবেই। সোভিয়েত ইউনিয়নের মত রিফাত, সারোয়ার, তাঞ্জিলুরের ইউনিয়নও ছিলো ফেবিকলের আঠার মতো মজবুদ, জবরদস্তও হার মেনে যেতো। যোগ্যতা দিয়ে জিততে না পারলে ওস্তাদের মাস্টার প্লানিং এ কর্ম হাসিল করে নিত তারা। সব খানেই ২০৭এর দাদাগিরি চলছিলো। দাদাগিরি ভালোই উপভোগ করছিলো “থ্রি-বন্ধুস”(“বন্ধু” নামকরনের একটা পটভুমি রয়েছে সেটা পরে আসবে তবু একটা হিন্টস দিয়ে রাখি। এই “বন্ধু” এসেছে মূলশব্দ প্রতিবন্ধু{প্রতিবন্ধী} থেকে), সোভিয়েত রাশিয়ার শএু আমেরিকার মতো ওস্তাদের শএু হিসেবে নাযিল হলেন “সন্টে ওস্তাদ”।
এই সন্টে ওস্তাদ কিন্তু যেন তেন লোক নন, একজন সাক্ষাৎ মহানপুরুষ তিনি একজন শক্তিমান, একজন বুদ্ধিমান, একজন প্রধান, একজন বলবান, একজন ধর্মপ্রাণ, একজন আত্মসম্মানে বলীয়ান ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি একাই ৫০জন। মানে ৫০জনের সমান আরকি।
“সন্টে ওস্তাদ ও তার চারুনি”
যারা সন্টে ওস্তাদকে চিনেন তারা জানেন তার প্রধান আস্ত্রু চারুনি, যারা চিনেন না তাদের জন্য বলছি থরের (মিথোলজিকাল ক্যারেক্টার) যেমন প্রধান অস্ত্র ছিলো হ্যামার(হাতুড়ি) ঠিক তেমনি সন্টে ওস্তাদের ছিলো চারুনি। সে, যে সে চারূনি না, ওস্তাদ তার ৫ম জন্মদিনে বৃহস্পতিতে গিয়েছিলেন বেড়াতে, সেখান থেকে আনা জগতের সবচেয়ে শক্তিমালী চারূনি।অকস্মাৎ একদিন সন্টে ওস্তাদ এই চারুনি দিয়ে রিফাতকে হামলা করলেন।সবাই ভাবলো আজ শ্যাষ কোন বাঁচন নাই। সবাই লা ইলাহা পড়া শুরু করেদিলো।কিন্তু অলৌ্কিক ভাবে বেঁচে গেলো রিফাত, আর ওদিকে ওস্তাদের চারুনির একটা দাঁত হলো শহীদ।
২দিন যেতে না যেতেই সন্টে ওস্তাদের সকল কুকীর্তি, এক কান দুই কান হতে হতে সবার কানে পৌঁছে গেলো। বলেনতো টাইটানিক কীভাবে ডুবে গিয়েছিলো?
আপনি হয়ত বলবেন, একটা আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লাগায় টাইটানিক ডুবে গিয়েছিলো। কিন্তু আপনি কি জানেন এই আইসবার্গ কোথা থেকে আসলো?
এটা আর কিছুইনা সন্টে ওস্তাদেরি কুকীর্তি। আটলান্টিকে পা ডুবিয়ে বসে বসে ওস্তাদ সেদিন আইসক্রিম খাচ্ছিলেন।পোলার আইসক্রিমের সেদিনের ফ্লেভারটা তার মনঃপূত হলো না তাই সমুদ্রে দিলেন ফেলে। অতঃপর টাইটানিকের কী দশা হলো আপনারা সবাই কম বেশী জানেন।
সন্টে ওস্তাদের কুকীর্তি কি এখানেই শেষ? না একদম না।
আচ্ছা বলেনতো পৃথিবীর চাঁদ কয়টা?
আপনার উত্তর; কেন? একটা।
একদম সঠিক।
কিন্তু আপনি কি জানেন আগে পৃথিবীর ৭টা চাঁদ ছিলো? জানেন না তো? তাহলে শোনেন, পৃথিবীর সব ডাইনোসর খেয়ে সাবার করার পর সন্টে ওস্তাদ যখন হজমজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তখন হাজমলা কেন্ডি মনে করে টপাটপ ৬টা চাঁদ খেয়ে নিলেন।
একটা চাঁদ অবশিষ্ট ছিলো সেটাই এখন আকাশে দেখা যায়।
এখন জানলেন তো ডাইনোসর বিলুপ্তির পিছনের নাটের গুরু কে?
_____ চলবে
=)) =)) =)) =))
😕 কাহিনী বুঝতাসিনা 🙁
কিন্তু প্রথম 🙂
চলুক...।।সন্টে ওস্তাদরে বইলা এই দেশের একটা গতি কী করা সম্ভব?
সন্টে ওস্তাদরে মেলা দিন পড়ে মনে পড়ে গেল...ও কই এখন? পোস্টিং কই?
ওরে সরো,সন্টে যদি দেখে তোর খবর আছে। :gulli: :gulli2:
এখন কুমিল্লায় । :guitar:
আউলা ঝাউলা 😕
এখন পর্যন্ত কিছু বুঝলাম না, দেখি আগামী পর্বে কিছু বোঝা যায় নাকি 😕
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এখন পর্যন্ত কিছু বুঝলাম না, দেখি আগামী পর্বে কিছু বোঝা যায় নাকি 😕 (কপি পেস্ট)
ভাই আশা করি আস্তে আস্তে কাহিনী তার আপন রঙ প্রকাশ করবে।
অফ টপিকঃ আন্নেরে খুব ভালা পাই বাই। আমার সব(যদিও মোটে ২ডা পোস্ট দিইচি) পোস্টে আন্নের কমেন্ট থাকবই থাকবো(থাকপেই থাকপে)।
থ্যাংকু।
কপি পেস্ট।
সারোয়ার
এখন পর্যন্ত কিছু বুঝলাম না, দেখি আগামী পর্বে কিছু বোঝা যায় নাকি 😕 (কপি পেস্ট)
ইটুস খানি খোলাশা কইরা লেখ বাই। যাতে হগ্গতেরে বোঝে।
মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ
এই রকম অস্থির একটা লেখা আর সবাই কইতাচে কি :grr: :)) :)) :)) :)) :)) :)) 😛
সারোয়ার
তোরা কেউ সন্টে ওস্তাদ রে কইস না দোস্ত জানে মাইরা ফালাইবো। আমি শ্যাষ, খুবি শ্যাষ 😡
সারোয়ার
আসিফ বাই, সন্টে ওস্তাদ এত ছোড খাডো বিষয়ে চারুনি বাহির করবো বইলা মনে অয় না। তয় ওস্তাদের গ্যালাক্সি ফোনে (স্যাটেলাইট ফোন) এক খান কল দিয়া আর্জি পেশ করুম নে আপ্নের হইয়া। ওস্তাদের মর্জি হইলে বাংলাদ্যাশরে পুরা বাংলামহাদেশ বানায়া দিবো রাতারাতি। ধরেন পাশের ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, নেপাল সবগুলারে দড়ি দিয়া বাইন্ধা বাংলাদ্যাশের ল্যাজের লগে জোড়া দিয়া দিলো। (সম্পাদিত)
সারোয়ার
আহসান আকাশ ভাই আশা করি আস্তে আস্তে কাহিনী তার আপন রঙ প্রকাশ করবে।
অফ টপিকঃ আন্নেরে খুব ভালা পাই বাই। আমার সব(যদিও মোটে ২ডা পোস্ট দিইচি) পোস্টে আন্নের কমেন্ট থাকবই থাকবো(থাকপেই থাকপে)।
থ্যাংকু।
সারোয়ার
হা হা, নিয়মিত লিখতে থাক , আর আমিও নিয়মিত কমেন্ট করতে থাকি...
একটা টিপস, প্রতিটি মন্তব্যের নিচে দেখবে জবাব দিন লেখা আছে, ওখানে ক্লিক করে কমেন্টের উত্তর দিলে কমেন্টের নীচেই জবাব দিতে পারবে, আলাদা ভাবে আবার মন্তব্য করুন বক্সে গিয়ে জবাব দেবার দরকার নেই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
থ্যাংকু ভাই।
সারোয়ার
ভালোই লাগল দোস্ত
থ্যাংকু।
সারোয়ার