আমার YouTube প্রোফাইলে অনেক চ্যানেলেই সাবস্ক্রাইব করা – এই যেমন VisioTrailers বা HollywoodStreams – শুধু নতুন মুভিগুলোর ট্রেলার দেখার জন্য, বা CollegeHumor – ওদের পোস্ট করা যতসব ফাজলামি দেখার জন্য। কিন্তু এর মধ্যে কবে যেন Al Jazeera’র চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করেছিলাম মনে নাই। তো হঠাৎ আজকে কি মনে করে ওদের নতুন যোগ করা ভিডিও গুলো দেখতে শুরু করলাম। এখন Al Jazeera তো টিভিতে অনেকেই ইদানীং দেখেন, কিন্তু আমি মোটামুটি নিশ্চিত, এই নিচের ভিডিও বা খবরটা অনেকেরই চোখে পরে নাই…
এখন এগুলা তো মনে হয় না নতুন কিছু… কিন্তু আর কত? যখন লিখছি তখন দেশে ২৫ মার্চ শুরু হয়ে গিয়েছে – সবাই পাকিস্তানী হানাদারদের অত্যাচার ও গণহত্যা নিয়ে বলতে বলতে মুখের ফেনা নাকে ঢুকায় ফেলছে – সবই ঠিক আছে; ওরা যা করেছে তা কোন কিছুর সাথেই তুলনা করা যাবেনা – তাই বলে এই বর্তমান স্বাধীন দেশে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে আরেকটু জোরসে ‘খেইপ্পা’ উঠা উচিৎ না???
খবরটা অবশ্যই দু:খজনক। তবে বেশ পুরোনো। হটাৎ করে এমন পুরোনো খবর আলজাজিরার মত চ্যানেলের কারেন্ট নিউজ বিভাগে টপে চলে এলো তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। পরে অবশ্য প্রতিবাদের মুখে আলজাজিরা খবরটি সরিয়ে নিয়েছে।
ইটভাটা থেকে শ্রমিক উদ্ধারের ২ মাস পুরনো খবর প্রচার করছে আল জাজিরা!
আরেকটা ব্যাপার : উইকিলিকসের মাধ্যমে জানা গেছে কাতার সরকার আলজাজিরাকে হাতিয়ার করে অনেকেই ইন্টেলেকচুয়াল ব্ল্যাকমেইলিং এর হুমকি ধামকি অতীতে দিয়েছে।
মান্নান ভাই, এই ব্যাপারটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ; অনেক কম মানুষই আল জাজিরার এই 'কাল'দিক টি সম্পর্কে জানে (যেমন আমি)। কিন্তু যখন ইউটিউবে মূল পাতায় এমন clip উঠে আসে, আর আজ এই পশ্চিমে এত মিথ্যায় ভরা মিডিয়া জগতে অনেকেই যখন আল জাজিরার মত নতুন ধারার নিউজ চ্যানেলের দিকে ঝোঁক বাড়াচ্ছে, তখন দেশের উপর এমন খবর সত্যিই কষ্টের!
এমন নিউজ বানানোর সুযোগ যেন ওরা না পায়, সেইদিকেও নজর দেওয়া উচিৎ।
দেখে খুব খারাপ লাগলো
রাফীকে দেখি কেউ কমেন্ট করে না 🙁 খুব খ্রাপ!
প্রথম ব্লগিংয়ের অভিনন্দন! প্রথমবার লিখলে কি কি যেন করতে হয়। এদের কাছাকাছি সিনিয়রগুলো ঘুমায় নাকি? :grr:
লেখা প্রসঙ্গে - পড়েছি আগেই। আল জাজিরার এই ঘটনাটা জানতাম না যেটা মান্নান বললো। তবে একবার শুনেছিলাম যে আল জাজিরা কোন একটি মার্কিন মিডিয়া গ্রুপ কিনে নেয়। নিকোলাস হক তো রির্পোটিং ভালই করে এমনিতে। এরকম শ্রম সুন্দরবনের দুবলার চরেও আছে শুটকি প্রসেসিং করার সাথে। আমরা যে শুটকি খাই তার একটা বড় অংশ উৎপাদিত হয় এই শ্রম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
অবশ্যই উচিত। এখানে হয়তো রিপোটিং এর কারণে বন্ধ হয়ে গেলো। অন্য কোথাও হয়তোবা চলছে।
নিয়মিত এখন লিখতে থাকো।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ধন্যবাদ, রাব্বী ভাই।
আশা করি নিয়মিত লিখতে পারব।
আর শুটকি মাছের কাহিনী আমার নিজ চোখে দেখা - অনেক কষ্টের ব্যাপার - আর লজ্জারও! কিন্তু ইটের ভাটার কাজে শ্রমের পরিমাণও যেমন বেশী, শিশুদের জন্য তেমন ক্ষতিকরও... আমার মতে স্কুলে 'শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য বা অর্থ' জাতীয় কিছু চালু করা উচিৎ, কিংবা already যদি থেকে থাকে - এটাকে আরো কার্যকর করা উচিৎ; তাহলে যদি এইসব একটু কমে!!