আটলান্টিসের গল্প শুরু হয় প্লেটোর একটি লেখায়।এই লেখায় প্রথম উঠে আসে আটলান্টিসের হারিয়ে যাওয়া জনপদের কথা।অনেকেই ভাবে আটলান্টিস আর কিছুই ছিলনা প্লেটোর কল্পনা মাত্র।আবার অনেকেই খুজে যাচ্ছেন আটলান্টিসের জনপদকে।আজ পর্যন্ত অনেক প্রত্নতাত্বিক নির্দশন আবিষ্কার হয়েছে তবে এগুলো যে হারানো আটলান্টিস তার কোন জোরালো প্রমাণ নাই।
প্রায় এগারো হাজার বছর আগে আটলান্টিক মহাসাগরের কোন এক দ্বীপ নগরী ছিল আটলান্টিস।আটলান্টিসের কথা প্রথম জানা যায় প্লেটোর ডায়লগ Timaeus and Critias এ।এখানে তিনি বলেন আটআন্টিস প্রায় নয় হাজার বছর পূর্বে কোন ভূমিক্প বা সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যায়।তিনি বলেন আটলান্টিসের আবস্থান ছিল পিলার অব হারকিউলিসের আশে-পাশে।আর প্লেটো এই কাহিনী শোনেন মিশরীয় পুরোহিতদের কাছ থেকে।
আটলান্টিসের খোজে অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা আর অনুসন্ধান চলেছে।হারানো আটলান্টিসের হাজারো অবস্থান চিহ্নিত করেছেন অনেক প্রত্নত্তবিদরা।কিন্তু কেউই জোর কোন প্রমাণ দেখাতে পারেন নি।১৯৬৮ সালে এগার ক্যাচি তার বই On Atlantis এ দাবি করেন তিনি মিশরের নীল নদ এবং স্ফিংস এর মূর্তির মাঝে Hall of Records অবিষ্কার করেন যা তিনি দাবি করেন আটলান্টিসের ধ্বংসাবশেষ।
আসলেই কি আটলান্টিসের কোন অস্তিত্ব ছিল??????????
ম্যাক্রাইন এসার (Maxine Asher) ১৯৭৩ গ্রীষ্মকালে ইপিআই(United Press International) এবং আরো গুরূর্ত্বপূর্ণ কিছু সংবাদ সংষ্থাকে জানান তার অনুসন্ধান দলের স্কুবা ডাইভাররা সমুদ্রের তলদেশ থেকে আটলান্টিসের নিদর্শন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।এই নিদর্শন ঘুলোর মধ্যে ছিল স্তম্ভ আর প্লেটোর বর্ণণা করা সপর্লি রাস্তা।
এছাড়াও বাহামাস আর ইউরোপ-আফ্রিকা এর মধ্যে কিছু পিরামিড,রাস্তা,স্তম্ভ,দালান এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
আর অনেক ইতিহাসবিদ আর প্রত্নত্ত্ববিদরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন আটলান্টিসের অস্তিত্ব কারন মায়া পুরাণেও আছে তারা এক প্রলয়ের পর তাদের সমুদ্রের মাঝখানের দেশ থেকে এখানে আসে।
১৯৭০ তে ডক্টর রে ব্রাউন(Dr Ray Brown) বাহামাস এর কাছ থেকে কিছু ধাতব বস্তু এবং আম্চর্য এক কৃস্টাল।যার মধ্যে দিয়ে শক্তি প্রবেশ করলে তা বহুগুণে বর্ধিত হয়।
১৯৬০ সালে ডক্টর ভ্যালেনটাইন(Dr Mansan Valentine) বাহামাস এর সমুদ্রের নীচে প্রাচীন দালান,রাস্তার ছবি তোলেন।
বিভিন্ন পুরোন যেসব ম্যাপ আছে সেখানেও আটলান্টিস নামের ভূ-খন্ড দেখানো হয়েছে।এমন কি কলম্বাস আমেরিকা যাবার পথ অনুসন্ধান করার জন্য যে প্রাচীন গ্রিক ম্যাপ ব্যবহার করেছিলেন তাতেও আটলান্টিস নামের ভূ-খন্ড ছিল।
মায়া.ভারত,মিশর,আটলান্টিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপ এর প্রাচীন পুথি আর পুরাণে সমুদ্র মাঝের ভূ-খন্ড এবং এর সাথে ব্যাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা আছে।
আসলে কারা ছিল এই আটলান্টিসের বাসিন্দা তা খুজতে যেয়ে প্রত্নত্ত্ববিদরা কিছু মজার তথ্য পান তাহল মায়া পুরাণে বলছে-
“দেবতারা নেমে আসলেন আকাশ থেকে তারা ছিলেন আমাদের আদি পুরুষের মত।আর তারা গর্ভবতী করলেন মানবীদের আর জন্ম নিল বিশাল দানব।অবশেষে দেবতাদের কাজ হয়ে গেলে তাদের সমুদ্রে ডুবিয়ে দিলনে।
আসলে আদি পুরুষ না বলে ওখানে মায়া ব্যবহার করেছে”এ্যাডামউ(Adamu)।শব্দটা শোনা শোনা লাগছে আসলে আমরা জানি তাহলো আদম(adam) থেকেই এসেছে এ্যাডামউ(Adamu)।আর হযরত নুহূ(আ) এর ঘটনায় আছে এক মানুষের কথা প্লাবনের পানি যার হাটু পর্যন্ত হয়েছিল।
আবার গ্রীক মেথোলজিতে আছে টাইটানদের কথা যারা ছিল দানবীয় মানুষ।আর জিউস পুত্র হারকিউলিস তাদের হারিয়ে পাতালে পাঠায়।
একসময় পর্যন্ত এগুলো বোশ মুখোরোচক কাহিনী ছিল।কিন্তু ১৯৮০ সালে স্পেনে আট ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মানুষের খুলি আবিষ্কৃত হয়,যা পুরা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের অবাক করে দেয়।
তাহলে কি আসলেই আটলান্টিয়ানরা অন্যগ্রহের মানুষ ছিল????????
নাকি ছিল কোন উন্নত সভ্যতা যা আমাদের অজানা?????????
উত্তর আমার জানা নেই।
তবে আশা করি একদিন আমরা পারবো আমাদের পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া রহস্যের সমাধান করতে।
ফেসবুকে এই পেজে সুন্দর কিছু লিংক আছে
(বি.দ্র. হ্যালো ভাইয়া আর বন্ধুরা
আমি তো বেশ ভালো আছি আপনারা।
আমার একঠা তথ্য দরকার তা হল আপনারা কেউ যদি সুইডেন অথবা ফিনল্যান্ড এ থাকেন বা পড়াশোনা করেন আমার একটু সাহায্য লাগবে।
তো দয়াকরে আমাকে বার্তার উত্তর দিবেন।)
প্রথম
চমৎকার ... :clap: :clap: :clap: ...... এই টাইপের একটা পোস্ট দিতে ইচ্ছে করতেসে ......
ইচ্ছেটা থাকতে থাকতেই দিয়ে দেন... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
প্রথম দিকের ঐতিহাসিক তথ্যনির্ভর কথাগুলো খুব ভাল লাগল। কিন্তু সেই ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্যের সাথে যখন দুয়ে দুই মিলিয়ে পুরাণ আর ধর্মের কথা বলা শুরু করলে তখন ঠিক ভাল লাগাতে পারলাম না।
কলেজে থাকতে এরিক ফন দানিকেন এর বই পড়তাম। ভাবতাম তিনি পুরো বিশ্ব ঘুরে নিশ্চয়ই চরম চরম জিনিস বের করে চলেছেন। কিন্তু এখন জানি তিনি প্রকৃতপক্ষে এরকম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সাথে পৌরাণিক কাহিনী মিলিয়ে এমনই মুখরোচক একটা গল্প তৈরি করতেন যেটা অস্বীকার করাও অসম্ভব হয়ে উঠে।
পৃথিবীতে কিভাবে প্রথম প্রাণ এসেছে এটা নিয়ে এলিয়েন এ বিশ্বাসীদের মধ্যে এরিক ফন দানিকেন এর বিশাল পাঠকগোষ্ঠী আছে। আমি সেই গোষ্ঠীর নই। বিশ্বাস নয়, কেবল সুস্পষ্ট তথ্য পেলেই সিদ্ধান্ত টানি। তবে রহস্য যে আমার ভাল লাগে না তা না। রহস্যের জগতে যাওয়ার জন্য তো আর্ট আছেই।
তবে আটলান্টিস নিয়ে আমারও জানার ইচ্ছা ছিল। তোমার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানলাম। শুধু প্রথম অংশেরটুকু। শেষ অংশ থেকে নতুন কিছু বুঝতে পারি নি, শেষ অংশটুকু মনে হয়েছে বিশ্বাস থেকে বলা। আটলান্টিস সম্পর্কে যেটুকু জানি তাতে মনে হয়েছে এরকম কোন জায়গা আসলেই থেকে থাকলে, সেটা মানুষের পক্ষেই বানানো সম্ভব। মানুষ তো পিরামিডও বানিয়েছে।
গ্রিকদের ব্যাপারটা অন্যভাবে দেখা উচিত। গ্রিক পুরাণ অনেকটা স্বপ্নাদিষ্ট সত্যের মত। তারা সবকিছুকেই শৈল্পিক রূপ দেয়ার জন্য দেবতা দের টেনে আনতেন। হোমার এর ইলিয়াড-অডিসি থেকে শুরু করে প্রায় সব জায়গাতেই এটা আছে। এগুলোকে আক্ষরিক অর্থে নেয়ার কোন কারণ দেখি না। প্রকৃত পক্ষে পুরাণ বা ধর্মগ্রন্থ এমন কিছু বই যেগুলোকে আক্ষরিক অর্থে নেয়ার কোনই সুযোগ নেই।
মজা লাগল পড়ে......এরকম আরও আশা করছি :clap: :clap: :clap:
আমার কাছেও সেরকমটিই লেগেছে।
বোঝাই যাচ্ছে বেশ যত্ন নিয়ে লিখেছো। এজন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে এ ধরণের লেখায় কোন ধরণের সিদ্ধান্তের দিকে যাওয়ার চেয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পুরো ঘটনার বর্ণনা সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঠককে আরো সহজে লেখার সাথে সম্পৃক্ত করে।
এরকম আরো লিখতে থাকো। মনযোগ দিয়ে পড়বো।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
এবং আম্চর্য এক কৃস্টাল।যার মধ্যে দিয়ে শক্তি প্রবেশ করলে তা বহুগুণে বর্ধিত হয়।
শক্তির নিত্যতা সূত্র থেকে আমরা জানি যে শক্তির কোন সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই-এর মোট পরিমান সুনির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।শক্তি কেবলমাত্র এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হয়।
কেম্নে কি?শক্তি বর্ধিত করার কোন উপায় কি আদৌ আছে?থাকলে সেটা নিয়া বৈজ্ঞানিকদের মাতামাতি কিরকম? শক্তি বর্ধিত করা গেলে এই শক্তি সংকট কেন সারাবিশ্বে?
কি মুশকিল!কেউ সাহায্য করবেন?
সাদিক,লেখাটা ভাল লাগছে।তবে এর সাথে যদি পার উপরের কথাগুলার একটু ডিটেইলস জানালে ভাল হয়।
এখানে বোধহয় কৃষ্টাল এর বর্ধিত হবার কথা বলা হয়েছে, শক্তির নয়। :-B
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তাই নাকি? 🙁
এইটা কি কস!
অবশ্যই উপায় আছে।
শক্তি বাড়ানোর হাজার এড চারপাশে আর তুই কস বাড়ে না। দাওয়া খানায় ভ্রমণ করে আয় তাইলেই বুঝবি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আটলান্টিস-এর ব্যাপারে খুব বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু লেখা পড়েছি। আর দেখেছিলাম একটা অ্যানিমেশন মুভি। আজকে বিস্তারিত ঘটনা জানা হলো। আমার মনে হয় পুরো ঘটনাগুলো এরকম বিচ্ছিন্নই, কারণ সম্পূর্ণ সভ্যতা আবিষ্কৃত না হলে টুকরো টুকরো নিদর্শন দিয়ে এভাবে অনুমান করেই নিতে হবে। ফাঁকা জায়গাগুলো হয়তো আরো নিদর্শন পেলে ভরে উঠবে।
লেখা চলুক সাদিক।
অ্যানিমেশন মুভি আমিও দেখছি......এখনও আছে পিসিতে 😀 😀 😀
নাইকাডারে আমার খুব্বালালাগে :shy: :shy: :shy: :shy:
হায় রে,মানুষ তো মানুষ তোর হাত থিকা এনিমেটেড ক্যারেকটারেরো দেখি রক্ষা নাই ~x(
:)) :))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি ভাই রিয়ালিটি শো'তে আপনার চেয়ে বড়ই দুব্বল 🙁 🙁 🙁
x-( এইডার মানে কি খুইলা ক
=))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ
আরও লেখার অপেক্ষায়। :hatsoff: :hatsoff: :hug: :hug: কিছু লিঙ্ক দিলে ভাল হত। B-)
আটলান্টিস নিয়ে তেমন কিছু জানতাম না, তবে লেখাটা পড়ে মনে হয়েছে এ সভ্যতার ব্যাপারটা এখনও অনেকটাই অনুমান নির্ভর।
এরকম লেখালেখি চালিয়ে যাও, আর পারলে জিহাদ যেমন করে বলেছে তেমন নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে লেখার চেষ্টা কর। 🙂
ভালো লাগলো সাদিক ভাই। বিশেষত ছবিগুলো লেখাটাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। প্রথম ছবিটা সম্পর্কে একটা প্রশ্ন আছে, ওটা কি হাতে আঁকা ছবি, নাকি বাস্তবে তোলা ছবি? শেষোক্ত লাইগুলোতে পৌরাণিক কথাগুলোও কিন্তু মন্দ লাগেনি।
অফটপিকঃ ভাইয়া, আপনি কলেজে থাকতে যেই জমায়ে গল্প বলতেন (বহুত ফ্রি ডেতে আমি তৌসিফ, কাদির, হোসেন আপনার সাথে আড্ডা মেরে পুরো দিন কাটিয়ে দিতাম); তেমনি দু-চারটা পুরানো স্মৃতিকথা লেখেন ভাইয়া। এইটা আমার বিশেষ অনুরোধ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমরা কোথা থেকে এসেছি???????
মানুষ যখন থেকে তাদের আশে-পাশে জগ৭ নিয়ে চিন্তা করেছে তখন থেকে এক প্রশ্ন আমরা কোথা থেকে এসেছি?
এই প্রশ্নের উত্তর আমরা বিভিন্ন ভাবে দিয়েছি।কিন্তু আমরা যদি খুব ভাল ভাবে চিন্তা করি তাহলে মূলত এই প্রশ্নের দুইটি উত্তর আমাদের জানা এবং তা এসেছে দুইটি বিখ্যাত তত্ত্ব থেকে তা হল-
১.ঐশ্বরিক তত্ত্ব
২.ডারউনের র্বিবতনবাদ তত্ত্ব
আমরা এই দুটি মতবাদ সর্ম্পকে কুব ভালো করে জানি।তবে একটা কথা বলতে হয় তা হল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আর আবিষ্কার বর্তমান কালে ডারউনের মতবাদের ভিত্তি খুব দূর্বল করে দিয়েছি।তাহলে শুধু বেচে থাকে ঐশ্বরিক তত্ত্ব।তবে একথা সত্য যে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ এটা প্রমাণ করে যে বিগ ব্যাং (big bang) এর পর কোন এক শক্তি কাজ করেছিল সে সময়ের অস্তিতিশীল বিশ্বকে একটি কঠোর নিয়মের মধ্যে আনতে।বিজ্ঞানীরা এই শক্তিকে বলছেন প্রাকৃতিক শক্তি আর আমরা বিশ্বাসীরা বলি ‘সৃষ্টিকর্তা’।
আমার আগের ব্লগে আমি ভিন্নগ্রহের প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু কথা বলব আসলে কি আমাদের এই পৃথিবীর বুকে এসেছিল কোন ভিন্নগ্রহের প্রাণী?
প্রথমে আমি একটা কথা বলি দানিকেন সম্র্পকে তাহল এইলোকটা আমাদের সামনে কিছু প্রশ্ন রেখেছে আর কিছু জিনিষের ব্যাখা চেয়েছে যা আমাদের বর্তমান বিজ্ঞান দিতে পারেনা।আর সে যেসব ব্যাখা দিয়েছে তা একদম উড়িয়ে দেওয়া যায়না।
আর আমি গত লেখায় মিথ,পুরাণ,ধর্মগ্রন্থ থেকে কিছু প্রমাণ রেথেছিলাম।আপনারা অনেকে বলেছেন এগুলো বিশ্বাস যোগ্য নই।কিন্তু আমি বলব আসলে এগুলো সত্যি হাওয়ার সম্ভবনা বেশি।কেন বেশি আমি ব্যাখা করব।
আমরা অনেক সময় অনেক রূপকথা পড়েছি আর আধুনিক কালে পড়ছি জাফর ইকবালের সাইন্স ফিকশন।আমি জানিনা আমরা কতটা মনোযোগ সহকারে পড়ি।আচ্ছা ‘হাট্টি মাটিম টিম’ কিতাটি পড়িনি এমন কেউ খুজে পাওয়া যাবেনা মনে হয়।
আচ্ছা অদ্ভুত জন্তুটার কয় শিং ছিল?
উত্তর:দুই শিং
আবার গ্রিক মেথোলজির সাইক্লপস কিংবা হ্যারি র্পটারের ইউনিকর্ণ এর কয় শিং?
উত্তর:এক শিং
আমি বাজি ধরে বলতে পারি আমরা দুই আর এক শিং বাদে কোন অদ্ভুত প্রাণী খুজে পাবনা।কারণ মানুষ যা দেখে তার থেকেই কল্পনা করে।একারনে আমরা দুই আর এক শিং বাদে কোন অদ্ভুত প্রাণী কল্পনা করতে পারিনা কারণ আমাদের বাস্তবের কোন প্রাণীর এর চেয়ে বেশি শিং নেই।
এবার আপনি একটু চিন্তা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন আসলে এটা সত্যি কথা।আর একটা কথা হল কোন চাক্ষুস ঘটনার বর্ণণা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে প্রত্যক্ষর্দশীর ঘটনা সর্ম্পকে অজ্ঞতার কারণে।উদাহরণ দিচ্ছি আজ থেকে হাজার বছর আগের কোন মানুষকে যদি কেপ কেনেডি মহাকাশযান উত্তরণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয তাহলে মহাকাশযান উড্ডয়ণ এর ঘটনার আসল র্বণণা তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।কারণ মহগাকাশযান সর্ম্পকে তার অজ্ঞতা।
আসলে আমাদের পূর্বপূরুষদের সাথেও এমনি কিছু একটা ঘটেছিল।আর একারণেই তারা ঘটনার বর্ণণা দিয়েছে অন্যরকম ভাবে।আমি আপনি যদি র্বণণাটা পড়ি তাহলে বুঝে পারব।মায়া পুরাণে বলা হয়েছে
“অবশেষে দেবতা চলে গেলেন তার রথে চড়ে।আর সে সময় আশ-পাশ প্রকম্পিত হল।আর দেবতার রথ করল অগ্নি উদগিরণ।“
আপনি ঘটনাটা চিন্তা করে দেথুন আপনার সামনে কিন্তু অন্য চবি আসে তা হল একটি রকেটের উড্ডয়নের চিত্র এটি।
আর আমাদের পূর্বপূরুষরা আমাদের সামনে এমন সব ধাধা রেখে গেছেন তার উত্তর আনেকেই খোজার চেষ্টা করেছেন কিন্তু উত্তর নাই।আর গত ব্লগের একটা প্রশ্নের উত্তর দিই যেটা মাসরূফ ভাই করেছেন।তাকে বলি ভাইয়া আপনি আসলে আমার কথা বুঝতে পারেননি অথবা আমি বুঝাতে পারিনি।তাহল ঐ কৃষ্টালটা হল একটি আ্যপ্লিফায়ার(amplifier)।আপনি চিন্তা করে দেখেন আ্যপ্লিফায়ার(amplifier) আবিস্কৃত হয়েছে খুব আধুনিক যুগে তাহলে প্রায় নয় হাজার বছর পুর্বে কে ছিল এর মালিক?
অন্যদিকে চলে গেলাম,আসলে আমাদের পূর্বপূরুষরা এমন কিছু তথ্য জানত যা আমরা জেনেছি খুব আধুনিক কালে।যেমন ধবুণ আফ্রিকার “ডোগান” উপজাতির দেবতা হল “লুব্ধক” তারা।তাদের পুবানে আছে দেবতার নাকি এক
অদৃশ্য সঙ্গী আছে।মজার বিষয় কি জানেন সত্যি এই তারাটি একটি অদৃশ্য বস্তুকে ঘিরে ঘুরছে।একে বলে ব্ল্যাক ম্যাটার(black matter)।প্রশ্ন জাগে অতি আধুনিক কালে আবিষ্কৃত এই তথ্যটি তারা জানল কি করে???????????????
আজ আর একটা কথা বলে শেষ করব তাহল ফ্রান্স নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল পিরি রইসের কাছে কিছু অতি প্রাচীন ম্যাপ ছিল যাতে ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু অংশ দেখান হয়েছে।তিনি খুব অবাক হলেন আসলেই ম্যাপটি কত পুরানো জানার জন্য তিনি এর কার্বন টেষ্ট করান পুরা ছয় হাজার বছর পুরানো।
তবে এটা ঠিক প্রমাণিত হয় যে এই ম্রাপটি আসল থেকে নকল করা।আধুনিক কালেও এই ম্যাপ নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে একটি মজার তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা হল কোন মহাকাশযান থেকে যদি পৃথিবীর ছবি নেওয়া হয় তাহলে লেন্স থেকে যে জায়গা ঘুলো দুরে তার ছবি বেকে যায় অ্যাডমিরাল পিরি রইসের ম্যাপেও এই বাকা দাগ দেখা যায়।প্রশ্ন হল এই ম্যাপ এর আসল কপি তাহলে মহাকাশ থেকে তোলা কোন ছবি ছিল???????
আমি জানি কিন্তু এটাও জানি আমার এই উত্তর আসলে অনেকেই বিশ্বাস করবে না তবুও গ্যালিলিওর মত বলল
“যে যাই বলুক পৃথিবী তার আপন নিয়মেই চলবে।
এই কথাটি কি একটু ব্যাখ্যা করবা?
আমার জানা মতে, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আর আবিষ্কার বর্তমান কালে ডারউনের মতবাদকে খুব শক্তিশালী করেছে, বিশেষ করে ডি,এন,এ এর সিকোএন্স থেকে পাওয়া ফাইলোজেনি / ট্রি অফ লাইফ।
ভাইয়া
আসলে আমরা সবসময় ডারউইনের বির্বতনবাদের সাথে আর একজন বিজ্ঞানী আমার নাম মনে পড়ছে না তবে মনে হয় ওয়াগনার এর "ন্যাচারাল সিলেকসন" মতবাদ গুলিয়ে ফেলি।আসলে ঐ তত্ত্বটা বেশ শক্তিশালী তবে এর ও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
আর আপনি যা বলছেন তা আমি মানি।তবে কি আসলে ডারউইনের যে মূল বির্বতনবাদ ছিল তা মূলত আজ আর সঠিক নয়।
কারণ বির্বতনবাদ এর সর্মথনে যেসব ফসিল ব্যবহার করা হত তার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফসিল পরে ফেক প্রমাণিত হয়।
তথ্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফী।
পড়ে খুবই মজা পেয়েছি । লিখতে থাক । লেখার বিষয়টা খুবই কৌতুহলোদ্দীপক ।