সিয়াটলের শীত – ২

সিয়াটলের শীত – ১
লেখাটা শুরু করেছিলাম সিয়াটলের বাজে আবহাওয়া নিয়ে। শিরোনামও তাই বলে। কিন্তু যতদুর লিখেছি তাতে আমার পা দুটো তখন পর্যন্ত দেশের মাটিতেই ছিল। (নোটিশ ফর বদ পুলাপাইনঃ খবরদার, পায়ের হিসাব তুইলা আবার সব কিছু আউলা কইরা দিবি না কইলাম)।

গতকাল রাতে বৌ এর সাথে এক চোট ঝগড়া করে মন মেজাজ খারাপ করে ব্লগটা লেখা শুরু করেছিলাম। ঘুমাতে গিয়েছিলাম তখন রাত একটা কি দুইটা। আমার হিসাবে একটু বেশিই, কারন আমি বেশি রাত জাগি না। আর সকালে উঠে অফিসে আসার ঝামেলাও আছে। যথারীতি সকালে উঠে দেখি দশটা বাজে। তাও খুব একটা গা করলাম না। কারন গত সপ্তাহে আমাদের প্রোডাক্টের বেটা-২ রিলিজ হয়েছে। তাই আজকে সপ্তাহের প্রথম দিনে কাজ তেমন না থাকারই কথা। যাহা ভাবিয়াছিলাম তাহাই, তেমন কোন কাম নাই। কম্পিউটারডারে .NET4.0 সোর্স কোড ট্রিতে এনলিস্টমেন্টের জন্য জব সাবমিট কইরা বইসা আছি। কারণ নেক্সট কয়েকদিন .NET এর বাগ ফিক্স করতে হবে। আল্লায় দিলে খালি সোর্স কোড নামাইতে টাইম নিব ঘন্টাখানেক, তারপরে বিল্ড করতে আরও কয়েক ঘন্টার মামলা। সো, নো কাম, বল্গানো শুরু।

যাই হোক, যেখানে শেষ করেছিলাম, ফান্ডের ইমেইল পাইয়া তো আমার পোয়াবারো। ইমেইল পইড়া পরথম যে কাম করলাম সেইটা হইল নিচে গিয়া একখান বিড়ি ধরাইলাম। তারপরে বাপরে ফোন দিলাম “আব্বা, বিয়া করুম”। আমার বাপ মা অবশ্য অনেক আগে থেকেই আমার প্রেমলীলা সম্পর্কে জানত। যদিও আমি ভাবতাম কেউ কিছু জানেনা। বুয়েটে ঢোকার প্রথম থেকেই পার্বতীর সাথে আমার পরিচয়। বাপের সরকারি ফোন দিয়া ম্যালা বিল তুলসি, না জানার কথা না। বোনকেও আগে থেকে জানিয়ে রেখেছিলাম। সুতরাং সমস্যা হয়নি কোন। যেহেতু ক্লাস শুরু হতে মাস খানেকের বেশি বাকি নেই, বাপ-মাকে বললাম আকদ করে ফেলার জন্য। বিয়ের আসল অনুষ্ঠান পরে করা যাবে। ভিসায় দাড়ানোর জন্য আপাতত কোনমতে বিয়েটা দরকার। গলায় গামছা বেধে বসে পড়লাম বিয়ের পিড়িতে। বিয়ের সপ্তাহখানেক পরেই দাড়ালাম ভিসার জন্য। জীবনে অনেক পাপ করেছি, ভুল করেছি, কিন্তু কোন ভুলের জন্য যে বিধি মুখ ফিরিয়ে নিলেন জানিনা। আমার ভিসা হোল, বৌয়ের হোল না। আধভাঙ্গা স্বপ্ন নিয়ে ফিরে এলাম। আবার মনে হতে লাগলো স্বপ্নগুলো যেন জন্মায় ভেঙ্গে যাবার জন্য। বৌয়ের দিকে চেয়ে একবার ভাবি, থাক দরকার নাই। আবার ভাবি সুযোগটা ছাড়া ঠিক হবে না। শেষ পর্যন্ত ঠিক করলাম যাব। স্বার্থপরের মত পার্বতীকে ফেলেই যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার মধ্যে ভাবালুতা একটু কম, বাস্তবতাটা একটু বেশি দেখি। তাই সব বন্ধন পিছনে ফেলে স্বপ্নের পিছনে যাত্রা।

বিয়ের রিসেপশান হোল জুলাই এর ৮ তারিখ, আর আমি পাড়ী জমালাম অগাস্টের ৭ তারিখ। ক্যাডেট কলেজে যাবার পর থেকেই ভাবতাম আমার ভিতরে পিছুটান জিনিসটা কম। ক্লাস সেভেনে ঢোকার দিন যখন সবার প্যারেন্টস চলে গেল, সবার কান্না দেখে কে। কিন্তু আমি তখন রীতিমত আনন্দে। নতুন অভিজ্ঞতার আনন্দ। বাপ মা ছেড়ে যে থাকব সে নিয়ে কোন চিন্তাই আমার ভিতর কাজ করেনি। কিন্তু যেদিন এয়ারপোর্ট যাবার সময় হোল, বুকটা ভেঙ্গে যেতে শুরু করলো বৌয়ের দিকে চেয়ে। এখনো সেই স্মৃতি মনে পড়লে না মনে করার চেষ্টা করি। ভুলে থাকতে চাই সেই মুহূর্তগুলো। সবার জীবনে যেমন কিছু মুহূর্ত থাকে যা সবাই ভুলে থাকতে চায়, আমার জীবনের সেই মুহূর্তগুলো হোল এয়ারপোর্ট যাবার মুহূর্ত। পর পর পাঁচবার এই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে গত তিন বছরে। অনেকে বিপদে পড়লে প্রার্থনা করে যেন এমন বিপদ আল্লাহ তার শত্রুকেও না দেন। আর আমি প্রার্থনা করি আমার অভিজ্ঞতা যেন অন্য কারো না হয়। বাপ মা ভাই বোন বৌ সবাইকে কাঁদিয়ে রওয়ানা দিলাম এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। মোহাম্মাদপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত কতক্ষন লাগে জানিনা, কিন্তু সারা পথে প্রার্থনা করেছি যেন পথটা অনেক লম্বা হয়। যে এয়ারপোর্টে যাবার জন্য আমার সারা জীবনের অপেক্ষা, যখন সত্যিকারের যাবার সময় হোল তখন মনে হোল না যেতে হলেই ভাল ছিল।

সবাইকে সজল চোখে বিদায় দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। আমার যাত্রাপথ ছিল ঢাকা-দুবাই-লন্ডন-আটলান্টা। এমিরেটস এর প্লেন। যদিও এয়ারপোর্টের প্রায় সবাই বলছিল আমিরাত। পরে বুঝেছি আমাদের দেশের বিদেশগামী নব্বই ভাগ বা তারও বেশি যাত্রী হলেন নিম্নবিত্তরা যারা কাজের উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্যে যান। যাদের টাকায় দেশে অর্থনীতির চাকা ঘোরে। তারা সবাই আমিরাত বলেই অভ্যস্ত, ইস্‌টাইল কইরা এমিরেটস কইবো কেডা। যাই হোক, এয়ারপোর্টে ঢুকে আর বুঝতে পারতেছিলাম না পরবর্তী কর্তব্য কি। এক কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করতেই উনি মহা উৎসাহে বললেন “আসেন, আমার সাথে আসেন”। আর সেই সাথে আমার ব্যাগ দুটা ট্রলিতে উঠিয়ে নিলেন। বাইরে থেকে ঢাকা এয়ারপোর্টকে কত বিশাল মনে হোত, ভাবতাম না জানি কত কিছু আছে তার ভিতরে। কিন্তু সেই ভাই সাহেব আমাকে ফুট দশে দূরে নিয়ে এমিরেটসের কাউন্টারে নিয়ে পৌছে দিয়ে বললেন “দ্যান”। আমি ভাবি কি দিমু। কিছুক্ষন হাঁ করে তাকিয়ে থাকার পর মাজেজা বুঝলাম, হালারপুত আমারে হাইকোর্ট দ্যাখাইয়া দিছে। দশ ফুট দূরে নিয়া এখন পকেট ভরার ধান্দা করতাছে। কিন্তু কি আর করা, ধরা যখন খাইছি, হাতে হারিকেন তো নিতেই হইবো। হালারে যখন দশ টাকা না বিশ টাকা দিলাম হালায় এমন ভাবে চাইল যেন মঙ্গল গ্রহ থিক্কা আইছি। বুঝলাম হাইকোর্ট না, রীতিমত সুপ্রীম কোর্ট দেইখা ফালাইছি। শেষমেষ একশ টাকা দিয়া রক্ষা। পৃথিবীর ইতিহাসে এত কম প্ররিশ্রমে এত বেশি কামাই আর কেউ করে কিনা সন্দেহ। কাউন্টার থেকে বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশান পার হয়ে লাউঞ্জে ঢুকলাম। প্রথম প্লেন ভ্রমন বলে এসেছি অনেক আগে। হাতে দেখি এখনও ঘন্টাখানেক সময়। কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ভাবলাম বাসার সবাইকে ফোন করি। পকেটে তখনো খুচরা কয়েকটাকা রয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফোন করতে গিয়ে দেখি প্রতি মিনিট খরচ বিশ টাকা। আমি ভাবি এ কোই আসলাম। বাইরে দুই/চাইর টাকা, আর ভিতরে দশগুন। ফোন আর করা হোল না। কপালগুনে সবার চোখ এড়িয়ে কয়েক প্যাকেট বেনসন নিয়ে এসেছিলাম। জানতাম আমেরিকাতে সিগারেটের অনেক দাম, তাই প্ল্যান ছিল এই শেষ, ওখানে গিয়ে আর খাবনা। সেই পরিকল্পনার অপমৃত্যু হতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি। সে পরের কথা। বসে বসে যাত্রার অপেক্ষা আর কিছুক্ষন পর পর বেনসন ধংস। এই করে ঘন্টা দুই কাটিয়ে দিলাম।

তারপরের ঘটনা খুব একটা ঘটনাবহুল কিছু হয়নি। টিপিক্যাল প্লেন জার্নি যেমন হয় আর কি। প্লেনের মধ্যে টাইট সিটে বসে খাওয়া, মনিটরে সিনেমা দেখা, পথে দুবাই এয়ারপোর্ট নাকি শপিং মল বলাই ভাল দেখা, লন্ডন এয়ারপোর্টের গলিঘুপচি পেরোতে ঘন্টাখানেক, শেষে আটলান্টায় অবতরন। তখনো বুঝিনি এই বিদেশ বিভুঁইয়ে কতকাল একা থাকতে হবে। ভেবেছিলাম খুব শীঘ্রি বৌকে নিয়ে আসার ব্যাবস্থা করতে পারব, তারপর স্বপ্নের পিছনে দৌড়ানো। নামের আগে ডক্টর শব্দটা যোগ না করলেই যে নয়। কালে কালে যমুনার বুকে অনেক পানি গড়িয়েছে গত তিন বছরে। পানি না গড়ালেও ফারাক্কার কল্যানে চর যে অনেক পড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আমি এখনো একা। স্বপ্নটাকে পরিবর্তন করতে হয়েছে জীবনের প্রয়োজনে। তবে হারিয়ে যাইনি এখনো, জীবন যুদ্ধে এখনো টিকে আছি। হারতে হারতে হারিনি। হাল ছাড়িনি এখনো। সুমনের গানের মত “হাল ছেড়না বন্ধু, বরং কন্ঠ ছাড় জোরে”। সাফল্যের পতাকাটাকে ধরতে আর একটু বাকি… (চলবে)

৩,১৫৭ বার দেখা হয়েছে

৩২ টি মন্তব্য : “সিয়াটলের শীত – ২”

  1. ১.

    তারপরে বাপরে ফোন দিলাম “আব্বা, বিয়া করুম”।

    আমিও কতদিন ধইরা এমন একটা ফোন করতে চাইতেছি। কিন্তু হালার সেই সুযোগই কেউ দিলো না। 🙁
    ২.

    মোহাম্মাদপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত কতক্ষন লাগে জানিনা, কিন্তু সারা পথে প্রার্থনা করেছি যেন পথটা অনেক লম্বা হয়। যে এয়ারপোর্টে যাবার জন্য আমার সারা জীবনের অপেক্ষা, যখন সত্যিকারের যাবার সময় হোল তখন মনে হোল না যেতে হলেই ভাল ছিল।

    এর চেয়ে ভালো করে এই অনুভুতির কথা বলা বোধহয় সম্ভব না। :boss:
    ৩.

    পৃথিবীর ইতিহাসে এত কম প্ররিশ্রমে এত বেশি কামাই আর কেউ করে কিনা সন্দেহ।

    বস, হালার পুতেরা এখন আরো ফাজিল হইছে। এখন টাকা দিলে নেয় না। ডলার, পাউন্ড চায়। x-(

    অফ টপিকঃ

    “হাল ছেড়না বন্ধু, বরং কন্ঠ ছাড় জোরে”।

    আমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়া ছিলেন, উনি "হ" এর জায়গায় "ম" দিয়া গানটা গাইতেন । :khekz: :khekz:

    জবাব দিন
  2. জিহাদ (৯৯-০৫)

    চরম লাগতেসে।

    সময়‍ দীর্ঘ হোক। কিন্তু পার্বতী একসময় না একসময় কাছে আসবেই। পুরোপুরি হারানোর যন্ত্রণার চে কিছু সময় দুরে থাকার কষ্ট বোধহয় কিছুইনা। 🙂

    নেক্সট পর্ব তাড়াতাড়ি ছাড়েন দেখি এইবার। :grr:


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  3. গতকাল রাতে বৌ এর সাথে এক চোট ঝগড়া করে মন মেজাজ খারাপ করে ব্লগটা লেখা শুরু করেছিলাম।

    মরতুজা ঘটনা বুঝলাম না, যার জন্য এত কান্নাকাটি তার সংগে ঝগড়া কর ক্যান?
    পিছুটান নাই নাই কইরা এত চিল্লাপাল্লা করলা, আসলেই কি ঠিক?
    তাড়াতাড়ি বউ নিয়া যাও এই দোয়া করি।

    তোমরা বাবা খুব সাহসী পুলা, আমি দশদিনের বেশি দেশের বাইরে থাকতেই পারিনা। দম বন্ধ লাগে।

    জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)
    (নোটিশ ফর বদ পুলাপাইনঃ খবরদার, পায়ের হিসাব তুইলা আবার সব কিছু আউলা কইরা দিবি না কইলাম)।

    বস্, ইকটু আগে কবীর জানাইলো গত ক্লাশের পায়ের হিসাব এখনো নাকি ক্লিয়ার হয়নাই ওর কাছে। কিন্তু আপনারে জিগাইতে সাহস পাইতাছেনা। তার উপরে এইবার দেশের মাটিতে ছিলো লেইখা দিছেন আরো গড়বড় লাগায়া। একটু বুঝায়া দিলে বেচারারে একাডেমিক্সে হেল্প করতাম পারি, বুঝেনইতো হাউস চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যাপারে একাডেমিক্সের বিশাল ভূমিকা O:-)


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  5. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    কিন্তু যেদিন এয়ারপোর্ট যাবার সময় হোল, বুকটা ভেঙ্গে যেতে শুরু করলো বৌয়ের দিকে চেয়ে। এখনো সেই স্মৃতি মনে পড়লে না মনে করার চেষ্টা করি। ভুলে থাকতে চাই সেই মুহূর্তগুলো। সবার জীবনে যেমন কিছু মুহূর্ত থাকে যা সবাই ভুলে থাকতে চায়, আমার জীবনের সেই মুহূর্তগুলো হোল এয়ারপোর্ট যাবার মুহূর্ত।

    কলেজে না হয় আমাদের সবার স্মৃতি একই.......তাই বইলা বাইরেও এক!!
    একদম মনের কথা বলছেন মরতুজা ভাই =(( :(( ।
    আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা :boss: ।

    এই পর্বটা একটু দুঃখে ভরা

    এই জন্যই কি একটু বেশি ভালো লাগল :clap: :clap: ?


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  6. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    মরতুজা ভাই, বস্ লেখাটা খুব ভাল্লাগতাছে, দোয়া করি অফিসে আপনার কামকাজ কম থাকুক যাতে কইরা নেক্স্ট পার্ট টা তাড়াতাড়ি পাই 😀


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  7. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    মরতুজা, ভালো লাগছে তোমার লেখা। আগ্রহ নিয়েই পড়ছি। আর সিসিবির জন্য তোমার অবদানের কথা সবার মতো আমিও স্মরণ করছি। :salute: আর হ্যা, পাবর্তীর সাথে ঝগড়াঝাটি করো না। ভালো ছেলে হয়ে থেকো।

    ভিন্ন প্রসঙ্গ, সিয়াটলে আমাদের বন্ধু ফাহাদ আছে। অর্থনীতির শিক্ষক। ফৌজদারহাটের ২১তম ব্যাচের ফাহাদ আর ওর পার্বতী নন্দিনী আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার অর্থনীতি বিভাগের সহপাঠি। ফাহাদ ডিসেম্বরে ঢাকা আসবে।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।