– হ্যালো …
: হ্যালো, আমি।
– কি ব্যাপার? এত রাতে? তোমার ওখানে তো এখন শেষ রাত।
: ঘুম আসছিল না তাই। নির্ঘুম রাতগুলো এত কষ্টের হয়, কাউকে বুঝাতে পারবো না। তুমি ব্যস্ত নাতো?
– নাহ! এ্যা ওয়াক ইন দ্য ক্লাউডস দেখছিলাম। আজ তো সানডে।
: হটাৎ এতো পুরোনো মুভি?
– এমনি। পেলাম তাই দেখছিলাম।
: আমার ফোনটা তাহলে ঠিক সময়ে করা হয়নি। ডিস্টার্ব করলাম?
– আমি বলেছি তাই?
: নিউইয়র্ক যাওয়া হচ্ছে?
– হ্যাঁ।
: দারুন! হিংসায় জ্বলে পুড়ে গেলাম। কি আর করা! কতদিনের জন্য যাচ্ছো?
– থার্ড অগাষ্ট ফিরবো।
– তুমি কবে ফিরে যাচ্ছো?
: একই দিন। থার্ড অগাষ্ট।
: শোনো …
– কি?
: আমার একদমই যেতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে একটা জেলে আবার ফিরে যাচ্ছি।
– পোর্ট অব এন্ট্রি কোথায়?
: হিউস্টন। হিউস্টন হয়ে হান্টসভিল কাছে হয়। তোমার থেকে অনেক দূরে।
– কঠিন দিনগুলো তো পার করে ফেলেছো। আর একটা বছর খুব দ্রুত চলে যাবে, দেখো।
: আসবে হান্টসভিলে?
– আসবো তো বলেছি…
: কবে?
– দেখি কবে আসা যায় …
: উমম … এবার হবেনা, না? এটা হয়তো আমরা দুজনই জানি হয়তো কখনোই হবে না।
– তাই? আমার তেমনটা মনে হয় না।
: আমার যা মনে হয় তাই আমি বলেছি …
– আমি আসবো।
: জানিনা, হয়তো আসবে …
– বাসা ঠিক করতে পেরেছো?
: হুঁ, পারলাম কোনরকমে। এবার একেবারে নিজের বাসা। ছোট, কিন্তু আমি খুশী কারণ আই ওন্ট হ্যাভ টু শেয়ার রুমস উইথ এ্যা শ্যাভ এ্যনিমোর। ছবিতে দেখলাম, সুন্দর একটা পোর্চ আছে। বসে আয়েশ করে চা খেতে পারবো নিজের মতো করে।
– বাহ, তাহলে তো বেশ ভাল।
: মন ভাল নেই, বুঝলে। শরীরটা বেশ খারাপ যাচ্ছে গত দুদিন ধরে। সার্জারিটা ঢাকা থেকে করাতে পারলে ভাল হতো। হলো না। সময় নেই। দুশ্চিন্তা হচ্ছে, একা একা যদি হাসপাতালের ঝক্কি সামলাতে হয় মরার হান্টসভিলে।
– অযথা চিন্তা করো না। কিচ্ছু হবে না। তুমি ভাল থাকবে।
: নিজের উপর ভরসা হয়না। ইনফ্যাক্ট, কোন কিছুতেই হয় না।
– আর এবার ফিরে গিয়ে পাগলামিটা একটু কম করে করো।
: কম কি করে করবো, শুনি? আমার পুরো ফ্যামিলির ক্রনিক পাগলামির রোগ আছে।
– হাঃ হাঃ হাঃ … খুবই খাঁটি কথা।
: শোনো পৌছে একটা মেইল করে দিও। তোমার জন্য কিন্তু মানুষ চিন্তা করে।
– হ্যাঁ, জানি। আসলে একদম খেয়াল থাকে না। মেইল পাবে।
– মন ভাল হলো?
: কিছুটা বোধহয়। নিশ্চিত না। আচ্ছা, আমি ছাড়ছি এখন। হান্টসভিল থেকে কথা বলবো। নিজের খেয়াল রেখো।
– ঠিক আছে। পরে কথা হবে। ভাল থেকো।
: তুমিও। নাইট, নাইট।
– নাইট।
*** *** ***
ছবি: সালভাতোরে ফিউম
কারা এরা ???
এরা মানুষ, স্বপ্নচারী। তাদের পরাবাস্তব কথোপকথনের টুকরো এটা।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
এর পর কি হয় তা জানতে ইচ্ছা করছে.....
২ আসবে তো শীঘ্রই ?
রেজওয়ান, সবকথা জেনে নিলে জীবন ষোল আনাই বৃথা মনে হবে। বাকিটা কল্পনা করে নাও।
দুই তাড়াতাড়িই আসবে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
জীবনান্দ পড়তে বল হান্টসভিলের ঐ ব্যাটারে 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, আপনার পরামর্শ আকাশের ঠিকানায় পৌছে যাবে। ইয়ে মানে, হান্টসভিলের উনি হলেন বেটি 😛
আমার বন্ধুয়া বিহনে
🙂 :thumbup:
Life is Mad.
ধন্যবাদ সায়েদ!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
জটিল, দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম 🙂
ধন্যবাদ, হাসান! পরের পর্বে কিন্তু স্থান, কাল এবং পাত্র বদলে যাবে। আমিও লেখাটা প্রথম পাতা থেকে যাবার অপেক্ষায় রইলাম।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আমি আগেই বুঝছি যে হান্টসভিলেরটা বেটি ।
😀 😀
কত কথা বোঝেরে ... 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
:clap:
বাহ, সার্থক লেখা! ছেলেটার জায়গায় রাব্বী ভাইকে চিন্তা করে নিতে একটুও কষ্ট হলোনা! 😉
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
=)) =))
😕
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ঈশ! এত একটা সহজ চিন্তা আমি কেন করতে পারলাম না ! এইটা তুমি আগে বললে পুররা কথোপকথন পাল্টে যেতে পারতো! 🙁
আমার বন্ধুয়া বিহনে
দুই জন কী বুড়া-বুড়ি ? 🙂
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
এইতো, কনফিউজ করে দিলে! খুব সম্ভবত তরুন-তরুনী।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
পরের পর্ব কই????
মূলা ঝুলায় রাখলেন ক্যান?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সারাদিন এতো কথা বলার পরও পুলাপান মানুষের কথা শোনার জন্য অধৈর্য্য হয়ে পড়ে!
আসিতেছে ...
আমার বন্ধুয়া বিহনে
হান্টসভিল উইড়া যাইতে মঞ্চায় :dreamy:
রাব্বীর মতো লিখতে মঞ্চায় :bash:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
হান্টসভিল যাইতে সবারই মঞ্চায়। দেখি কি করা যায় :dreamy:
তুই কিন্তু একজন পুরাতন খেলাপি ব্লগার।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
:clap: :clap: :clap:
কেমন লাগে, এতো পুরানো লেখায় কোনো কমেন্ট পেলে ??
ভাল লাগে 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে