অপেক্ষার পালা শেষ। মঈনের পরিকল্পনা, রকিবের সমন্বয় আর আমার আস্ফালনকে সম্বল করে গত রবিবার বিকালে আমরা ঠিক করে ফেললাম অটোয়ায় একটা গেট টুগেদার হবে আসছে রোজ শনিবার। সাহায্যের হাত বাড়ালেন অনেকে। সিলেটের নাসিম ভাই বুকিং দিয়ে দিলেন রেস্টুরেন্ট। অনেককে আবার হারালাম হুঁট করে সিদ্ধান্ত নেবার কারণে। সিলেটের হিমেল দুই সপ্তাহ আগে সস্ত্রীক বন্ধুদের সাথে কটেজে উইকএন্ড যাপন করবে ঠিক করে রেখেছিল; আমরা হাঁরাতে যাচ্ছি তাকে। ঝিনাইদহের ১৯৬৪-৭০ ব্যাচের ক্যাডেট শাহেদ ভাইয়ের টেলিফোন ও ইমেইল ঠিকানা সংগ্রহ করে তাকে আমরা নাগালের মধ্যে পেলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্য যে ওনার বিশেষ প্রয়োজনে শনিবারে কিংসটন যাবার পরিকল্পনা। তাকেও আটকানো গেলনা। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বার্তা পাঠিয়েছেন। গেট টুগেদারের সফলতা কামনা করেছেন। আর ভাবী দেশ থেকে ফিরলে ওনার বাসায় সবাইকে একত্রিত করবেন বলে জানিয়েছেন।
মৌরীর আসার অনেক ইচ্ছে থাকলেও জানা গেল, তাদের একই দিন একটি পারিবারিক জাতীয় দিবসের কারণে দুপুর এবং রাতে তার বাসায় নানা দেশের নানা জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সস্বামীক অভ্যর্থনা ও আপ্যায়নে ব্যস্ত থাকতে হবে (রাতে অবশ্য আমারো চারটে ডাল-ভাতের নেমতন্ন রয়েছে সেখানে 😀 )। সেও খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত কন্ঠে জানালো তার জাতীয় জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটি পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করার বৃহত্তর স্বার্থে তাকে গেট টুগেদারটা হারাতে হচ্ছে। আজ সকালে কুমিল্লার রাহাত ভাই জানালেন দাপ্তরিক কাজে তাঁকে বাংলাদেশ হাইকমিশন অটোয়া থেকে টরোন্টোর কনসুলেট ভিজিট করতে হবে শনি ও রবিবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এইসব সরকারি পরিদর্শনের কোন মানে আছে!!! এত কাজ বাংলাদেশ সরকার ছাড়া আর কে করিতে পারে!!! তাহলে হারাধনের রইলো বাকি কয়টা? আছে, আছে। এখনো আশা হারাইনি আমরা। কাল দুপুরের আগে যদিও কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে, আশাকরছি রকিবের লিষ্টে বাদ বাকি যারা আছেন, তারা সবাই আসবেন।
কিছুক্ষন আগে অটোয়া এসে পৌছালো টরোন্টো পার্টি, অফিসিয়াল সময় রাত ১:২৫। চার সদস্যের প্রতিনিধিদল- মইন, রকিব, আসিফ, সোহেল। মেলিতা অবশ্য একদিন আগেই এসে পৌঁছেছে। সেই সাথে অফিসিয়ালি শুরু হলো আমাদের প্রাক গেট টুগেদার আড্ডা ও গুলতানি পর্ব। মতান্তরে এটাই গেট টুগেদারের শুরু। আমরা হয়তো গুটি কয়েক অটোয়ায় এখন, কিন্তু জানি আমাদের সাথে আছে সমগ্র সিসিবিবাসী। তাই আমরা মনে করছি, আমরা মূলতঃ সবার সাথে এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। ইতিমধ্যে রকিব তার চায়ের দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে আমার বাসায়। বাসার এক কোনার কিছু জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে রকিবের চায়ের স্টোভ, দুটো বেঞ্চ এবং একটা মুড়ির মোয়া ও একটা টোস্ট বিস্কুটের বাক্স রাখার জন্য। চা আর টায়ের সাথে আড্ডা চলবে সারা রাত। সেই সাথে, বিশেষ কোন আপডেট থাকলে তা সচিত্র পোস্টানোর আগ্রহ ব্যক্ত করে “যুক্ত মোরা মুক্ত মনে” শ্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হচ্ছে আড্ডা লাইভ। সাথে থাকুন সকলে।
আজ গেট টুগেদার, আজ অটোয়ার ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা। 😀 😀
আপাতত দু’একটা ছবি দেখা যাক :
আপাতত এটুকুই; সঙ্গে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
এবারে আজকের ফটো আপডেট (এইবার দেখে নিন কয়জন ছিলো :goragori: ) :
আজ গেট টুগেদার, আজ অটোয়ার ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা। :))
গেট টুগেদার শুভ হউক :grr:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সহমত এবং ঐ :grr:
বেশি মানুষ হয়নাই 😛
সহমত এবং ঐ :grr:
আরো বেশী মানুষকে নিয়ে যাতে গেট টুগেদার হয়, সেই শুভকামনা রইলো 😀 :thumbup:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
কম মানুষ হইলেও কি হইছে,গেট টুগেদার তো হবেই B-) :clap:
ছি,রায়হান ভাই...জেলাসিত হয়েন না...আর রেজু ভাই জেলাসন সাপোর্ট দিয়েন না :grr: :grr:
আরে এইটা তো গেট টুগেদারের ছবি না; :just: ওয়ার্ম আপ। গেট টুগেদার তো কাল সকালে। রাতে অটোয়া এসে, অলরেডি ক্যুইবেক থেকে ঘুরে আসছি লং ড্রাইভে। চরম আড্ডা চলতেছে। কালকে সকালে দেখামু লোক কম না বেশি :grr: :grr: :awesome: :gulli2:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হিমেল কি আমানত ভাই নাকি?
সম্ভবত একই লোক। আমার সাথে পরিচয় হিমেল নামে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
দিহান আপুর জামাইটা দেখি খেয়ে দেয়ে বেশ নাদুস-নুদুস হয়েছে। 😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমরাও কে এল এ গেট টুগেদার কইরা আইলাম ...... 😀 😀 😀 😀 😀
আপনাদের ব্যাচের সোহেল ভাই (এস,সি,সি) কেবল মাত্র একখানা প্রশ্ন রেখে গেলেন স্বপ্ন ভাইয়ের উদ্দেশ্যেঃ
"ভাই কে এল কি কল্যানপুর??"
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:khekz: :khekz:
অপেক্ষায় আছি, আরও আপডেটের জন্য :-B :-B
:)) :)) :)) :)) :)) :)) কল্যানপুর হইলে তো কে পি বলতাম ...
এখন বের হবো অটোয়া সিটিতে ছোট একটা চক্কর দিয়ে খাইতে থুক্কু গেট টুগেদারের ভেন্যুতে। :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
পরের গেট টুগেদারের ডেট আর ভেনু কি ঠিক করা হয়েছে??
এখনো কিছু পুরোপুরি ঠিক হয়নি। তবে পরের গেট টুগেদার আরো ভালভাবে সময় নিয়ে সামারে টরোন্টো বা মন্ট্রিয়ালে করা হবে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
গেট-টুগেদারে সবার হাসিমুখ দেখে একটু হিংসা-হিংসা লাগতেছে! 😛
আমরা সিসিবিয়ানরা আপনাদের সাথেই আছি সবসময়! অটোয়া গেট-টুগেদার হোক অনেক আনন্দময় 🙂
:thumbup:
দূর্দান্ত গেট-টুগেদার। রীতিমতো হিংসিত হচ্ছি। ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে ভালোই মজা করেছে সবাই। লোক সমাগমও বেশ। আগামীতে আরো বড় গেট-টুগেদার করতে হবে। আর সেখানে প্রিন্সিপালকে রিটার্ন টিকেটসহ আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টা নিশ্চয়ই মনে করিয়ে দিতে হবে না!
দেরিতে হলেও সিসিবি কানাডা চ্যাপ্টারের সবার জন্য শীতের দিনে উষ্ণ শুভেচ্ছা। তবে ছবির পাশাপাশি আড্ডা আর মজা করার লিখিত বিবরণ চাই। আর ছবিতে ক্যাপশন চাই। সবাইকে তো চিনিনা। না চেনালে কিভাবে হবে?
আমরা সবাই সিসিবিকে ভালোবাসি। সিসিবি সত্যই রক করে। :thumbup: :thumbup: :thumbup:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সাধু, সাধু।
৪/৫ দিনের নোটিশে এখানে লোক সমাগম করা খুবই কঠিন। গেট টুগেদারের সময়টা দারুন উপভোগ করেছি। আগামীতে প্রিন্সিপাল স্যারকে আমাদের মাঝে পাওয়া হবে পরম সৌভাগ্যের। আড্ডার চৌম্বক অংশ চাওয়ালা হাইলাইট করবে আশা করছি।
ধন্যবাদ লাবলু ভাই। 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
মাত্র নয়জন। কামরুল ভাইয়ের বাসার গলিতে সন্ধ্যায় চা খাইতে বইলেও এরচেয়ে বেশি মানুষ হয় 😀
চায়ের দোকানে মানুষ হবে সেটাই তো স্বাভাবিক, তাই না? 😉
আমার বন্ধুয়া বিহনে
মাত্র নয় জন 😛
আমাদের বাসায় ও গতকাল গেট টু গেদার হইছে B-)
হা হা হা
রঙ্গিলা
B-)
অতি অদ্ভুত একটা গেট টুগেদার করলাম।
আমার বর বাদে একটা মানুষের সাথে জীবনে দেখা হয় নাই(ব্যাতিক্রম আসিফ ভাই, পাবনা)কিন্তু গতকাল দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সময় খুব সুন্দর কাটলো।দিহান আপুকে অনেক মিস করেছি যদিও।
মেলিতা, আসিফ কোনটা? আদনান সামি যেইটা? দিহান ফাঁকি দিলো ক্যান??
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
😀 😀
ভাগ্যিস বরের সংগে আগেই দেখা হয়ে গিয়েছিল 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আসিফ ভাই ২ জন ছিলেন।আমি যার কথা বললাম উনি ৩ নং ছবির জন।
হুট করে আসার কারনে দিহান আপু বাবু গুলো কে সামলে আসতে পারেন নি। কাল মোটামুটি ১৪ জন ছিলেন। সবচেয়ে সিনিয়র ভাই ছিলেন সামি রিয়াজ ভাই।
সামার এ নর্থ আমেরিকার ক্যাডেট ও পরিবার পূনর্মিলনী হওয়ার সম্ভাবনা আছে(টরন্টো তে মনে হয়)।
সেক্ষেত্রে অনেক অনেক লোক হবে। কারন ক্যানাডায় ক্যাডেট অনেকে আছেন। টরন্টো তে হলে ইউএসএ এর কেউ কেউ আসতে পারেন।
মেলিতা, দাঁড়াও, দাঁড়াও.......... সামি রিয়াজ? ফৌজদারহাটের নাকি? আমাদের একবছরের জুনিয়র, নজরুল হাউজের, ছোটখাট ছেলেটা! ;)) টাক পইড়া গ্যাছে বিশাল, তাইতো? :-B
আর আমি তো তিন নম্বর ছবির আসিফকে "আদনান সামি জুনিয়র" মনে করলাম!! :grr:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
রিয়াজ ভাই ফৌজদারহাটের, ঠিকই ধরেছেন। আপনাকে খুব ভালভাবে চেনেন উনি।
কান ধরাটা আসিফ - “আদনান সামি জুনিয়র” :))
আমার বন্ধুয়া বিহনে
উনি ফৌজদারহাটের। খুবি মজার মানুষ, ফ্রেন্ডলি এবং স্মার্ট। আমরা যে উনার এতো ছোট বুঝাই যাচ্ছিল না। ভাইয়া আমাকে ছোট ভাবী বলে ডাকছিলেন। মগকক তে কেন ভর্তি পরীক্ষা দেইনাই তা জিগেস করলেন 🙂
আসিফ ভাই আমার বুয়েটীয় সিনিয়র, তাই কিছু বললাম না। আশা করি রাব্বি ভাই, মঈন ভাই, সোহেল ভাই কিছু বলবেন। 😛
আমি খালি একটা কথা কইয়া যাই, আসিফ ভাই বেশি বস; পুরা ৮ ঘন্টার জার্নি, রাব্বি ভাইয়ের বাসায় আড্ডা, গেট-টুগেদার একাই জমায় রাখছিল। B-)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
নিঃসন্দেহে আদনান সামি একটা ক্যারেকটার। কাল দুপুরে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তাই মাত্র পাঁচ প্লেট।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
জি২জি নিয়ে তোমার লেখা কই?
ছবিই বা কই?
কিন্তু সিসিবির টীশার্ট ঐখানে গেল ক্যামনে? তৌফিক ভাই নিয়া গেসিল নাকি? আর তৌফিক ভাই কি দৌড়ের উপর? সে নাই কেন?
আমি এত প্রশ্ন করতেসি ক্যানো? :((
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সিসিবির টিশার্ট মামুন নিয়ে এসেছিল। মাত্র দুইটা তাই সবচেয়ে সিনিয়র-জুনিয়রকে দেওয়া হয়েছে। তৌফিক থাকে অনেক দূরে।
কৌতুহল ভাল জিনিস। 😀
আমার বন্ধুয়া বিহনে
্টীশার্ট নিয়ে এসেছিল রকিব(নাকি মইন ভাই)
কানাডা অনেক বিশাল দেশ। শুধু অটোয়া টরন্টো এর দুরত্বই হল ৪৫০ কিমি.
আমিও 200 কিমি. পারি দিয়ে আসছি গেটটুগেদার এ।
দিহান আপু র বাসা থেকে অটোয়া প্রায় বাংলাদেশ কানাডা দুরত্ব(একটু বাড়ায়ে বললাম আর কি)।
তৌফিকেরও মনে হয় একি অবস্থা
এ আর এমন কি। টঙ্গী থেকে ঢাকা আসতে জ্যামে পড়লে যে টাইম লাগে সেই টাইমে ঢাকা-কানাডা-ঢাকা ঘুইরা আসা যায় B-)
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:)) :)) :)) :))
ঐ
ছবি গুলো দেখে খুব ভাল লাগছে... 😀