বাংলাদেশে এখন গণমাধ্যম, বিশেষ করে অনলাইন গণমাধ্যমের যুগ চলছে। দেশে বর্তমানে কত শত যে অনলাইন পত্রিকা আছে তার কোনো হিসাব নেই। হাতে কিছু টাকা হলেই যে কেউ একটি মিডিয়া হাউসের মালিক হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সংবাদজগৎ এবং পাঠক সমাজের কতটা উপকার হচ্ছে জানি না, তবে হলুদ সাংবাদিকতার প্রকোপ বাড়ছে। একটাই কারন, প্রতিযোগিতা। শত শত অনলাইন পত্রিকার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, বিজ্ঞাপন পেতে হলে অবশ্যই আলেক্সা র্যাংকিং-এ উপর দিকে থাকতে হবে। এজন্য পত্রিকার পাঠক সংখ্যা বাড়াতে হবে, সাইটে ক্লিক বাড়াতে হবে। যত বেশি ক্লিক, পত্রিকার র্যাং কিং ততো উপরে।
এই ধারণার উপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কে কার আগে সংবাদ প্রচার করতে পারে। এর একটি ভাল দিক হল, যে কোনো ধরণের সংবাদ আমরা তৎক্ষণাৎ পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এর ভাল দিক এর থেকে খারাপ দিকই বেশি। দ্রুত সংবাদ প্রচার করতে গিয়ে একজন প্রতিবেদক তথ্য যাচাই-বাছাই করার সময়ই পায় না অথবা যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজনীয়তাই বোধ করে না। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এখন সংবাদের কোয়ালিটির চেয়ে কোয়ান্টিটি টাই বেশি প্রাধান্য পায়।
আর একটি বিষয় হল পাঠকের কৌতুহল। সংবাদমাধ্যমগুলো পাঠকের কৌতুহলকে পুজি করে ব্যবসা করে। একটি সংবাদকে মিডিয়াগুলো এমনভাবে প্রচার করে যেন পাঠক সেখানে ক্লিক করতে বাধ্য হয়। আর অনলাইন পত্রিকাগুলো এই হাতিয়ারটাই বেশি ব্যবহার করে। এজন্য তারা সংবাদের মূল উপাদান ‘বস্তুনিষ্ঠতা’কে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে ভুয়া, ভিত্তিহীন, বানোয়াট অথচ পাঠকের কৌতুহল অনুযায়ী সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। অর্থাৎ পাঠক যা জানতে চায় সেই অনুযায়ী গণমাধ্যমগুলো ভুয়া সংবাদ সৃষ্টি করে।
অভিনেত্রী মিতা নূরের আত্নহত্যাকে কেন্দ্র করে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে মনগড়া সংবাদ প্রচারের প্রতিযোগিতা দেখে আমি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকদের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ হয়েই এই পোস্টটি লেখা শুরু করেছি। একজন মানুষের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মিডিয়াগুলো যে এমন ব্যবসা করতে পারে, খুব কাছে থেকে না দেখলে বিষয়টি আমি বুঝতেই পারতাম না।
তার মৃদ্যু নিয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যমের দাবি, মিতা নূর নিজেই পরকিয়ায় আসক্ত ছিলেন। এজন্যই তিনি আত্নহত্যা করেছেন। আবার কয়েকটি গণমাধ্যম এই তারকার মৃত্যুর পিছনে তার স্বামী শাহানূর রহমান মজুমদার রানার পরকিয়ার সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। এছাড়া, কেউ কেউ আবার দাবি করছে স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনেই মিতা নূরের মৃত্যু হয়েছে।
যদিও এসব তথ্যের কোনোটাই এখন পর্যন্ত পুলিশ আর তদন্ত সংস্থা প্রমাণ করতে পারেনি, তার পরেও মিডিয়াগুলো এরকম ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করেই যাচ্ছে।
গত দুইদিনের বিভিন্ন পত্রিকায় মিতা নূর সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদগুলো যাচাই বাছাই করে এবং সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য নিয়ে আজ আমি একটি বিশেষ প্রতিবেদন লিখে অফিসে জমা দিয়েছিলাম। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, আমাদের পত্রিকার বার্তা বিভাগ আমার প্রতিবেদনটিকে এমনভাবে পরিবর্তন করেছে যে আমি নিজেই সেটি চিনতে পারিনি।
আরো কাহিনী আছে, রাতে অফিসে যাওয়ার পর বার্তা সম্পাদক আমাকে ডেকে বললেনন,“আপনি তো ভাই খুব ভয়ংকর লোক। মিডিয়ার লোক হয়ে মিডিয়ার বিপক্ষে এভাবে কেউ লেখে?” কথাটা শুনে আমার একটা কথাই মনে হল, তাইতো, কাকের মাংস তো কাক খায়না। যাই হোক, আমি সে অফিসে চাকরি করি তারাও তো ব্যবসার উদ্দেশ্যেই পত্রিকা চালায়। তারা কেন সত্য ঘটনা তুলে ধরবে?? তারা তো চাইবেই স্বজাতির কোনো ক্ষতি না করে নিজেদের সাইটে ক্লিক বাড়াতে।
নিচে আমি আজ আমার লেখা প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে দিলাম এবং তারপর আমার সাইটে প্রকাশিত এডিট করা সংবাদের লিংক দিয়ে দিচ্ছি। যদি আপনাদের সময় হয় তবে ধৈর্য ধরে পড়বেন।
“মিতা নূরের আত্নহত্যা নিয়ে গণমাধ্যমের ধুম্রজাল
হাসান মাহমুদ
আরটিএনএন
ঢাকা: মিতা নূরের আত্মহত্যার রহস্য নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এই অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই কোনো ধরণের তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিভিন্ন গণমাধ্যম নানারকম সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে।
কোনো কোনো গণমাধ্যমের দাবি, মিতা নূর নিজেই পরকিয়ায় আসক্ত ছিলেন। আবার কয়েকটি গণমাধ্যম এই তারকার মৃত্যুর পিছনে তার স্বামী শাহানূর রহমান মজুমদার রানার পরকিয়ার সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। এছাড়া, কেউ কেউ আবার দাবি করছে স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনেই মিতা নূরের মৃত্যু হয়েছে।
তবে মিতা নূর বা তার স্বামী রানার পরকীয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন এদের নিকটাত্মীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিতা নূরের এক আত্মীয় মিতা বা রানার পরকীয়ার সংবাদ ভুয়া দাবি করে আরটিএনএন-কে জানান, মিতা এবং রানা একে অপরের কাছে খুবই বিশ্বস্ত ছিলেন। স্বামী-স্ত্রী হলেও তারা ছিলেন বন্ধুর মত। একে অপরকে খুবই ভালবাসতেন তারা। মিতা অথবা রানা পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন, এতথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন প্রসঙ্গে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম আরটিএনএন-কে বলেন, অধিকাংশ প্রতিবেদনের সঙ্গেই বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যে যেমন পারছে, বিষয়টি নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। এমনকি অনেক আমার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যেগুলো আসলে আমি সেভাবে বলিনি।
এসময় তিনি গণমাধ্যমগুলোকে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ না করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান।
মিতা নূরের আত্মহত্যা নিয়ে দেশের গণমাধ্যমের বিশেষ করে অনলাইন গণমাধ্যমগুলো সংবাদ বিশ্লেষণ করলে বেশ কিছু অসামঞ্জস্যতা চোখে পড়ে।
মিতা নূরের মৃত্যুর পর একটি অনলাইন পত্রিকা ‘স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতনেই মিতা নূরের মৃত্যু’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার করে। সংবাদটিতে মিতার বাবা ফজলুর রহমানের বরাত দিয়ে বলা হয়, তার স্বামী তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ফলেই মিতা নূরের মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও নাকি মিতাকে দুইবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
তবে এব্যাপারে গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি (মিতা নূরের পিতা) কখনো এধরণের কোন কথা বলেননি। তিনি যখন গণমাধ্যমের সামনে কথাগুলো বলেছিলেন তখন তো ওই প্রতিবেদক একা ছিলেন না, আমরা সবাই সেখানে ছিলাম। আসলে তিনি বলেছিলেন, মিতা এর আগে দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। এরমধ্যে একবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে স্টমাক ওয়াশ করানো হয়। এসময় হত্যাচেষ্টার কথা তিনি কখনোই বলেননি।
একই দিনে আর একটি অনলাইন পত্রিকা ‘মিতা নূর: পরকীয়া কলহ ও হতাশা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে লেখা আছে, “মিতা নূরের স্বামী শাহানূর রহমান রানার আত্মীয় স্বজনরা দাবি করছেন মিতা নূর বেপরোয়া জীবনযাপন করতেন। দুই সন্তান থাকা সত্বেও মিতা নূর সংসারে মনোযোগি ছিলেন না। আর মিডিয়া জগতে ভালো অবস্থান না থাকায় হতাশায় ভুগতেন। স্বামীর সাথে এসব বিষয় নিয়ে সামান্য কলহ ছিলো। সব মিলিয়ে হতাশায় আতœহত্যা করেছেন তিনি।”
এব্যাপারে মিতা নূরের বড় বোন আরটিএনএন-কে বলেন, মিতা কখনোই বেপরোয়া জীবনযাপন করতো না। সে খুবই শান্ত ছিল। কিন্তু সে ছিল অনেক জেদী। তুচ্ছ কোনো ঘটনা নিয়ে সে মাঝেমাঝেই অনেক রেগে যেত। আবার খুব দ্রুতই তার রাগ কমে যেত।
তিনি আরো বলেন, মিতা অনেক সংসারী মেয়ে ছিল। মিডিয়ায় কাজ করার পাশাপাশি সে বাড়িতে তার সন্তানদের দেখাশোনা করত। সংসার জীবনে মিতা ও রানা খুবই সুখী ছিল। তবে সর্বশেষ কয়েকদিন মিতা খুবই বিষন্ন থাকত। কিন্তু সে তার এই বিষন্নতার কারন সম্পর্কে কাউকে কিছুইন বলেনি।
মঙ্গলবার অপর একটি অনলাইন পত্রিকায় মিতা নূরের আতœহত্যার সংবাদের ফলোআপের শিরোনাম ছিল ‘ মিতা নূরের আত্মহত্যা : বেরিয়ে আসছে তারকা-জীবনের অন্ধকার অধ্যায়’।
এই সংবাদে লেখা হয়েছে,“ একাধিক পরনারীতে আসক্ত স্বামী শাহনূর রহমান রানার অনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সম্প্রতি বিয়ে করা এক অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্ক বেদনায় জীবনের প্রতি আস্থা হারিয়ে মিতা নূর মৃত্যুর পথ বেছে নেন বলে ঘনিষ্ঠজনদের ধারণা।”
প্রতিবেদনটিতে আরো লেখা আছে,“শাহনূর মাঝে-মধ্যেই মদের আড্ডায় যেতেন। বায়িং হাউজে কাজের কথা বলে বাইরে রাত যাপন করতেন। সেখানে বিভিন্ন তরুণীদের আসা-যাওয়া ছিল। এমন খবরে মিতা নূর সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে শাহনূরও মিতা নূরের গভীর রাতে বাসায় ফেরা নিয়ে নানা ধরনের কটূ মন্তব্য করতেন। বিভিন্ন জনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে সন্দেহ শুরু করেন। তাছাড়া এক অভিনেতার সঙ্গে মিতা নূরের ঘনিষ্ঠতাকেও শাহনূর সন্দেহের চোখে দেখতেন। পারস্পরিক অবিশ্বাস ও দ্বন্দ্ব থেকেই তাদের সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। এরই মধ্যে একাধিকবার মিতা নূর শাহ নূরকে ডিভোর্স দেয়ার চেষ্টা করেন। দুই ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পিছু হটেন। সর্বশেষ শাহ নূরের হাতে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। সমানতালে মানসিক নির্যাতনও চলতো।”
অথচ মিতার স্বামী শাহানূর রহমান নিজেই জানিয়েছেন, চব্বিশ বছরের সংসার জীবনে তিনি কখনো মিতাকে কোন ধরণের সন্দেহ করেননি এমনকি মিতা কখনো সন্দেহজনক কোনো কাজ করেননি। তাছাড়া, তাদের দুজনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল বলেও দাবী করেন শাহানূর।
গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, পরকিয়ার যে গুজব উঠেছে সে ব্যাপারেও আমরা তদন্ত করছি। বিভিন্ন তথ্যের জন্য মিতা এবং রানার নিকটাত্মীয়দের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এমনকি মিতা-রানার মোবাইল কললিস্টও যাচাই-বাছাই করছি। তবে এখন পর্যন্ত পরকিয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সোমবার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে মিতা নূরের শরীরে পাওয়া আঘাতের চিহ্নকে প্রাধান্য দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়,“ মিতা নূরের বাম পা, ডান হাত ও ডান হাতের বগলে আঘাতের জখম পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে- মৃত্যুর আগে কেউ তাকে আঘাত করেছিলেন।”
এব্যাপারে ওসি রফিকুল ইসলাম মিতা নূরের স্বামী ও বড় ছেলের বরাত দিয়ে বলেন, কিছুদিন আগে মিতা নূর শুটিংয়ের সময় পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পান। তখন থেকে বেশ কয়েকদিন তিনি হাঁটাচলার জন্য স্ক্র্যাচ ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন স্ক্র্যাচ ব্যবহারের ফলে তার বগলের নিচে রক্ত জমাট বেধে কালো রং ধারণ করেছে। এটি কোনো আঘাতের চিহ্ন না। ময়নাতদন্তের পর সংশ্লিষ্ট ডাক্তারও পুলিশকে দেয়া প্রতিবেদনে একথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, মৃত্যুর আগে তাকে কোনো ধরনের আঘাত করা হয়নি। গলার ফাঁসই তার মৃত্যুর কারন। তবে মৃত্যুর আগে তিনি কিছু খেয়েছিলেন কিনা বা তাকে কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কিনা সেটা ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলেই বলা যাবে।
তবে এই অভিনেত্রীর আতœহত্যার রহস্য উম্মোচন করতে তদন্তের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব বিষয়কেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বও রোডের ১৬ নম্বর প্রাসাদ লেকভ্যালি এপার্টমেন্টের ৫-বি ফ্লাটের ড্রইংরুম থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচানো অবস্থায় মিতা নূরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মিতা নূরের পিতা ফজলুর রহমান গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
মিতার মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোন কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ময়নাতদন্তের পর কিডনি, লিভার ও পাকস্থলীর অংশবিশেষ ভিসেরা ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।”
আর আমার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের লিংক- তারকাখ্যাতি নিয়ে পরিবারের আপত্তিই মিতা নূরের ‘ঘাতক’
ভাই, অনেক সাহসী একটা পোস্ট দিয়েছেন দেখে সাধুবাদ জানাই। এই অনলাইন নিউজ পেপার গুলোর লেখা আসলেই অনেক ম্যানিপুলেটেড!
ডানা দুটো না মেললে জানবো কি করে যে কত উপরে উড়তে জানি! :thumbup:
:hatsoff:
আকাশেতে আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস তবু উড়েছিনু, এই মোর উল্লাস।
🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কয়েকদিন আগে একটা বলিউড মুভি দেখেছিলাম।নাম "RUSH" ।ইমরান হাশমি অভিনীত ফ্লপ একটি ছবি।ছবি ফ্লপ হলেও ছবির বিষয়বস্তু অসাধারণ।সাংবাদিক আর নিউজ চ্যানেলগুলো টিআরপি বাড়াতে যে কতোটা নিচে নামতে পারে তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই মুভিটি।সিনেমায় একটা ডায়লগ ছিল এইরকম "দর্শক ম্যাড়ম্যাড়ে সত্য খবরের চেয়ে বানানো মিথ্যা আর রসালো খবর শুনতেই বেশী আগ্রহী" । (সম্পাদিত)
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
"দর্শক ম্যাড়ম্যাড়ে সত্য খবরের চেয়ে বানানো মিথ্যা আর রসালো খবর শুনতেই বেশী আগ্রহী" ..... কিন্তু এই বানানো মিথ্যা আর রসালো খবর প্রচার করে কোনো প্রমান ছাড়াই কাউকে সামাজিকভাবে হেয় করার অধিকার শুধু গণমাধ্যম কেন, কারোরই নেই। 🙁
মন্তব্যটা ইংরেজিতে হবে দুঃখিতঃ
"The press may not be successful much of the time in telling people what to think, but it is stunningly successful in telling its readers what to think about." - Bernard C. Cohen (1963)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
হাসান ভাই, অনেক তথ্য সমৃদ্ধ খবরের জন্য ধন্যবাদ... :teacup: চা খায়া লন এক কাপ
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
:teacup: :teacup: এক কাপ খামু না, দুইকাপ খামু :)) :))
সাধুবাদ জানাইলাম তোরে। এভাবে বলাটা সাহসের কাজ। :boss:
বিশাল বড় সাংবাদিক হ, মিডিয়ার গাড়িতে ঘুইরা বেড়ামু B-)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি :dreamy:
এইবার ঢাকা আয়, তোরে মিডিয়ার গাড়িতে না হোক, বাইকে কইরা ঘুরামু 😡 😡
স্বেচ্ছায় সকল ধরনের সংবাদ মাধ্যম ফলো করা বাদ দিছি অনেকদিন হলো, মাঝে মাঝে ফেসবুকের লিঙ্ক থেকে দু একটা দেখা হয়, তাতে আরো অবাক হই। আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা তথাকথিত শিক্ষিত বিচক্ষন লোকেরা এ ধরনের বিভিন্ন হলুদ সংবাদ ফলো করে এবং তা বিশ্বাষ করে তাদের মতবাদও প্রচার করে বেড়ায়।
মিডিয়া নিয়ে রামগোপাল ভার্মার একটা দূর্দান্ত মুভি আছে RANN অমিতাভের করা এই মুভি তেমন পরিচিতি না পেলেও নিউজ মিডিয়ার বাস্তবতা অনেক সুন্দর ভাবে দেখিয়েছে, আমাদের দেশের সাথে বেশ মিলে যায়।
লেখার জন্য সাধুবাদ :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ ভাইয়া। :shy:
::salute::
সৎ সাহসের জন্য।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:shy: :shy: ধন্যবাদ ভাইয়া