পাহাড়ে নৃশংস ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই উদ্দেশ্যেই আলোচনা করতে চাই।
কারন নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ খুবই দুর্লভ। বিচ্ছিন্নতাবাদী নিষ্ঠুরতা যেমন আছে তেমনি শোনা যায় সামরিক বাহিনী কতৃক বিভিন্ন নির্মমতার কথাও। সুতরাং আবেগকে পাশে রেখে এই সমস্যার একটি মানবিক সমাধান প্রয়োজন। কারন ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে আমি মানবতার চেয়ে বড় অন্যকিছুকেই মানতে রাজী নই।
যাই হোক আলোচনা শুরু করছি বদরুদ্দীন উমরের একটি কথা দিয়ে এবং কিছু স্বাধীনতা পরবর্তী ঘটনা দিয়ে
প্রথমত জাতীয়তাবাদ যদিও সমজাতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক তাও কেন দুটোকেই একইসাথে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তা ঐ সময়ের তাত্বিকরাই বলতে পারবেন। জাতীয়তাবাদএর এক্সট্রিম রুপ ফ্যাসীবাদ, এবং আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যেও ফ্যাসীবাদী আচরন বিদ্যমান। সুতরাং এই মনোভাব কি পাহাড়ী সংকটের সুচনা করেছিল?
দ্বিতীয়ত পাহাড়ীরা স্বাধীনতার পরে আলাদা স্বীকৃতি পায় নি। বাংলাদেশ বহুজাতির দেশ এই সত্য স্বীকার না করে শেখমুজিব পাহাড়ীদের বাংগালী হয়ে যেতে বলেছিলেন। এটি ছিল একটি পশ্চাৎপদ পদক্ষেপ।
তৃতীয়ত কাপ্তাই এর সময় অসংখ্য পাহাড়ীকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
এখন প্রসংগ হচ্ছে পাহাড়ীদের অধিকারের কথা আমরা কতটুকু স্বীকার করি এবং সেজন্যে কি করতে প্রস্তুত। সেইসাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মুল কোথায়? তারা কেন এই সংগ্রামের পথে গেল? সরকারএর কতটুকু দায় এখানে আছে?তাদের দমন করার প্রক্রীয়া কি বিতর্কের উর্ধে? যেসকল নারি ধর্যণ এবং হত্যার অভিযোগ উভয়পক্ষের ক্ষেত্রেই শোনা যায় তার নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ কি?
আশা করি সবাই আলোচনায় অংশ নেবেন।
খাটি কথা বলছেন ভাই
:clap: :clap:
আর কোন ইমো পাইলাম না।তাই এইটাই দিলাম।
R@fee
:boss: :clap:
হোসেন, আমার মনে হয় এই ব্যাপারে ভাবার সময় এসেছে। যতটুকু জানি বা শুনি তাতে এইটা স্পষ্ট যে, পাহাড়ে জমির মালিকানা নিয়েই দ্বন্দের শুরু।আমরা যেমন বাংলাদেশী, পাহাড়ি রাও তাই। আমাদের যেমন বাংলাদেশের ভূখন্ডের যেকোন অংশে বৈধ ভাবে বসবাসের অধিকার আছে, তাদের ও সেটা আছে। কিন্তু পাহাড়ী দের অভিযোগ, বাংগালীরা তাদের উপর জোর খাটিয়ে জমির দখল নিয়ে নিচ্ছে।এই ব্যাপারটা সরকারী ভাবে খতিয়ে দেখার দরকার। পাহাড়ে ভুমি জরিপ বা জমি নিবন্ধন করা হয় কিনা আমার জানা নেই।মালিকানার ব্যাপার অতিসত্তর নিষ্পত্তি দরকার।
😕
দোষটা নির্দিষ্ট করে কাকে দিবো, কেউ তো পিছিয়ে নেই এই কুকর্মে 🙁
হোসেন ভাইয়ের সাথে সহমত, এখনই পর্যালোচনায় আসা দরকার...
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
হোসেন, তোমার উদ্দ্যোগটা ভাল, আলোচনা প্রয়োজন। তবে আলোচনার জন্য একটা শক্ত ভিত্তি দরকার, তুমি যদি মুল পোস্টে কিছু তথ্য-উপাত্ত আর বিশ্লেষন যোগ করে দিতে তাহলে আলোচনাটা ফলপ্রসু হতো। মুল পোস্টটের ভিত্তি আরো শক্ত না হলে আলোচনায় জোর আসবে না, কোথায় যেন একটা অপূর্ণতা থাকবে।
হোসেন, ধন্যবাদ এ বিষয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য। আমি নিজেই একটা লিখবো ভাবছিলাম। কিন্ত এ নিয়ে এতো বিষন্ন হয়ে আছি যে, কিছুই লিখতে ইচ্ছে করছে না। তবু কিছু কথা না বলে পারলাম না।
১. বদরুদ্দীন উমর সাহেবদের কথা বলো না। উনাদের তত্ত্ব দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। জাতীয়তাবাদের ফ্যাসিবাদী রূপ অবশ্যই আমরা ইতিহাসে দেখেছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের মধ্যে। কিন্তু গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে এই জাতীয়তাবাদী আদর্শ ও আন্দোলন বিশ্বের দেশে দেশে উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি এনেছে। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধেও আমাদের মুক্তির মূলমন্ত্র ছিল জাতীয়তাবাদ। উমর সাহেবদের সমাজতন্ত্র তো শেখ মুজিব পড়েননি! তাই উনারা সংবিধানে জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে বিরোধ পাননি। আর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে অধিকাংশ জাতীয়তাবাদী নেতা সমাজতন্ত্রের কথা বলেছেন। সেটা জুলিয়াস নায়েরে, আনোয়ার সাদাত, সুকর্নো, নেহেরু- প্রায় সবাই। হয়তো ওই পরীক্ষা সফল হয়নি। তো কি, সমাজতন্ত্রও তো সফল হয়নি। উমর সাহেবদের সমস্যা একটাই, তারা সবকিছুতেই শেখ মুজিব আর আওয়ামী লীগের দোষ খোঁজেন। সেজন্য তারা কট্টর ডানপন্থী মাহমুদুর রহমানের কাগজে লিখতেও দ্বিধা করেন না!
২. শুধু জাতীয়তাবাদকে ভিলেন করে সমস্যাটা দেখলে হবে না। পাহাড়িরা তো জাতীয়তাবাদী আন্দোলনই করছে, নাকি? ভারতের সাত রাজ্যে কি হচ্ছে? সেখানে ভারত সরকারের দমন নীতিকে কি দিয়ে ব্যাখ্যা করবে? চীনে তিব্বত বা মুসলমানদের ইস্যুকে কি চোখে দেখবে?
৩. হ্যা, শেখ মুজিব ভুল করেছিলেন। কিন্তু সেটাই কি প্রধান সমস্যা ছিল? পাহাড়ের মূল সমস্যা শুরু কাপ্তাই বাঁধ থেকে। তাদের আত্মশাসনের অধিকার না দিয়ে আরো বড় অন্যায় হয়েছে। আমরা '৭০, '৭১-এ এটাই তো চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হলে স্বাধীনতা ছাড়া বিকল্প ছিল না। তারও পরে জিয়ার সময় সমতলের বাঙালিদের নিয়ে পাহাড়ে বসতি স্থাপন সমস্যার আগুনে ঘি ঢেলেছে। পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করে কোনঠাসা করার এই অপচেষ্টা এখনো অব্যাহত আছে। সেখানে চাষযোগ্য, বসবাসযোগ্য জমি যে সামান্য এটা সমতলের বৃহত্তর বাঙালিরা ভুলে যান বা জানেন না, আমাদের দূর্ভাগ্য। তার উপর পাহাড়িদের একটা বড় অংশ গত তিন-চার দশক ধরে উদ্বাস্তু হয়ে আছে। এদের সমস্যাও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
৪. নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ তুমি কি করে আশা করো? আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে যেভাবে জালের মতো ছড়িয়ে অবস্থান নিয়ে আছে, সেখানে এমনসব সমস্যা হয় কি করে? বাঘাইছড়ির মতো এমন প্রত্যান্ত অঞ্চলে বাঙালিরা কিভাবে গিয়ে বাড়ি করে? সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া বাঙালি বসতি স্থাপনকারীদের এক সপ্তাহও টিকে থাকা সম্ভব কিনা! আর তা যদি না হয়, তাহলে কতোদিন এদের রেশন আর নিরাপত্তা দিয়ে রক্ষা করা যাবে? আমার বাড়ি, জমি যদি কেউ দখল করে নিয়ে পুলিশের নিরাপত্তা পায়, তাহলে আমি কোথায় যাবো? কার কাছে বিচার চাইবো?
৫. দারুণ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফখরুল ইসলাম সাহেব! বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বললেন, বাঘাইছড়ির ঘটনা প্রমাণ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প থাকা দরকার। সেনা ক্যাম্প তো সেখানে ছিলই, সেনারা বাঙালিদের স্বার্থের প্রতিভূ। পাহাড়িরা তো শত্রুপক্ষ! বিএনপি নেতা পরিস্কারই বলতে পারতেন, সেনারা শুধু বাঙালিদের নিরাপত্তা দেবে, বাঙালিদের সঙ্গী করে পাহাড়িদের বাড়ি পুড়িয়ে দেবে, ওদের গুলি করে মারবে! তাহলেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে! কেউ তো এখন বলতে পারে, জনগণের স্বার্থে সারা দেশেরই সেনা ক্যাম্প থাকা দরকার। কারণ লুটতরাজ, বাড়ি ঘরে আগুন দেওয়া, ধর্ষন, হত্যা তো সমতলেও নিয়মিত হচ্ছে। সেনারা শুধু পাহাড়েই থাকবে কেন? কি জবাব দেবেন তিনি?
ধিক্ আমাদের সবাইকে। ধিক্কার দিই আমি নিজেকে। লজ্জা লাগে আমি একজন বাঙালি, আমি একজন নির্যাতক!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সানা ভাই,আমি আপনার সাথে শতভাগ সহমত জানাই।আমার বাবা বন বিভাগে চাকরি করার কারণে শৈশব ও কৈশোরের পুরোটাই ওখানে কেটেছে।জ্ঞান হবার সাথে সাথে দেখেছি পাহাড়িদের প্রতি বৈষম্য।মাহমুদ ভাইয়ের কথায় বলি-এগুলো দেখে নিজেকে আমার পাঞ্জাবি পাঞ্জাবি লাগে,পাঞ্জাবিরা আমাদের সাথে যা করেছে আমরা বাঙ্গালিরা আমাদের পাহাড়ি ভাইদের সাথে তার চেয়ে কম কিছু করিনি।আমি লজ্জিত,যে অত্যাচারের শিকার আমরা হয়েছি ঠিক সেই অত্যাচার আমার দেশের সহজ সরল পাহাড়িদের ফিরিয়ে দেয়ার কারণে।
ভাইয়া ঠিক এই সময় বাঘাইছড়ির এই ঘটনার সাথে পিলখানা হত্যাকান্ডের একবছর পূর্তির কোন সম্পর্ক আছে? যেন সাধারন মানুষের মনে পিলখানায় শহীদ এর প্রতি মনযোগ/সহানুভূতি কমে যায়?
পিলখানার শহীদদের প্রতি সহানুভূতি কমে যাবার প্রশ্নই ওঠেনা ভাবী...
সহানুভুতি কমে যাওয়ার প্রশ্ন নিয়ে কথা বলিনি মাসরুফ। আমি বলতে চাচ্ছিলাম এটা কোন নতুন টেকনিক মানুষের নজর সরানোর জন্য।এই টেকনিকের শিকার তুমি বা আমি হয়তো হই না, কিন্তু অনেকেই হয়।
আসলে আমি প্রশ্ন টা সানাউল্লাহ ভাইকে করতে চাইছিলাম। ভাইয়ার বিশ্লেষন আমার কাছে অনেক ঋজু ও নিরপেক্ষ মনে হয়।আমার প্রশ্নটা এই পোষ্টের সাথে হয়তো সেভাবে সম্পর্কিত না। ভাইয়া কে অন্য ঠিক কিভাবে/ কোথায় করা যায় তা না বুঝতে পেরে এখানে করেছিলাম।
ভাবী,কিছু পাকিপ্রেমী আছে যারা ডাস্টবিনে কুকুর ঘেউ ঘেউ করলেও সেটার ভেতর থেকে কোন না কোন ভাবে পাকিস্তানের প্রতি দরদ বের করে এনে বলবে-আহারে,দুই দেশ এক থাকলে করাচির কুকুরও এই ডাস্টবিনে তার জাতভাইয়ের সাথে একসাথে ঘেউ ঘেউ করত...কতই না মধুর লাগত...তাদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা তো ঈদের মতই,এখন তারা বলবে-পাকিরাও করে আমরাও করি-তাই পাকিদের সবকিছু মাপ...
এটা নতুন টেকনিক কিনা সানা ভাই নিরপেক্ষভাবে বলতে পারবেন...আপনার মত আমিও অপেক্ষায় রইলাম...
আসলে কি পাকি প্রেমী সংখ্যা কম? আর কম হলেও দিন দিন এরা সংখ্যা বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের বুয়েট, সিএসসি, ০২ গ্রুপে আমাদের ই এক ক্লাসমেট আমাদের জামায়াতী ইসলামে অংশগ্রহনের দাওয়াত দিয়েছে।আমি মোটামুটি নিশ্চিত, তার এই পরিবর্তন সাম্প্রতিক।
তার কথা হল ইসলামের পথে চলতে হলে জামায়াত করতে হবে। আমরা খুবি শকড।এত ভালো একটা ছেলে, এতো ভালো ব্যবহার। সব বিষয়ে খুব পরিষ্কার যুক্তি। শুধু জামায়াতের ব্যপারে সে পুরা অন্ধ। সে আমাদের কে বলেছে জামায়াত কোন যুদ্ধাপরাধ করে নি। সব কিছু মিলে মনটাই খারাপ হয়ে গেছে।
দেশের সেরা মাথার একটাকেও যদি জামাতীরা কিনতে পারে সেটাও কিন্তু ভয়াবহ একটা সংবাদ।ভাবী,আমার ক্যাডেট কলেজের উপস্থিত বক্তৃতায় মেডেল পাওয়া এক বান্ধবীরও এই অবস্থা- এত অসাধারন একটা মেয়ে এখন মেডিকেল কলেজে শিবির করে বেড়ায়।
অত্যন্ত শঙ্কিতবোধ করছি...
আলাদা জাতিকে সৃকৃতি প্রদান করাটা আমি জরুরী মনে করি, পাহাড়ীদের যদি বাঙালী জাতীয়তাবআদ চাপিয়ে দেই সেক্ষেত্রে তাদের নিজস্বতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কিন্তু সংকট উপস্থিত হতে বাধ্য, একই ভুল কিন্তু কংগ্রেসও করেছইল যার ফলএ দেশভাগ , দাঙ্গা এবং অসংখ্য উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয়তাবাদ সংগ্রামকালীন সময়ে যতটা কার্যকর , শান্তিকালীন সময়ে ততটাই অকার্যকর হয়ে উঠতে পারে।
কাপ্তাই এর ঘটনার কথা আমিও উল্লেখ করেছি, স্বাধীন বাংলাদেশে এই ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দের পুনর্ভাসনের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল কি? পাহাড়ী দের স্বার্থ সংরক্ষণে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল?
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
নিজেকে পাহাড়ীদের জায়গায় কল্পনা করলে নিজেকে মৃত মনে হয়। আমি সত্যিই মনে করি বাংগালী একটি হুজুগে মাতাল অমনুষ্য জাতি যারা অসহায়কে নির্যাতন করে উল্লাস করে। আমার বড় ভাই প্রায়ই বলেন, সেনাবাহিনীতে না থাকলে পাহাড়ীদের পক্ষে যুদ্ধ করতেন।
হায়দার ভাই, আপনার ভাই তো সাঙ্ঘাতিক মানুষ! :boss:
:thumbup: :thumbup:
বলা হয় না, যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবন.....
আমি অনুরোধ করবো সবাইকে রাঢ়াঙ নাটকটা দেখার জন্য
কেউ কি কিসু করতে পারতেসে না.............??????????আমরা কি মানুষ???? x-( x-( x-( x-(
প্রথম আলো'তে প্রকাশিত আজকের খবরটি পড়ুন :
বাঘাইহাটে বারবার সহিংসতা কেন
অরুণ কর্মকার
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬ নম্বর সাজেক ইউনিয়নের একটি এলাকা বাঘাইহাট। ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিলও সেখানে আদিবাসীদের ওপর হামলা হয়। তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে তখন হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। এবার হতাহতের ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি।
বারবার সেখানে এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে—জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলে, ওই এলাকাটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও সমৃদ্ধ কয়েকটি এলাকার একটি সাজেকের নিয়ন্ত্রণস্থল (কন্ট্রোল পয়েন্ট) মনে করা হয় বাঘাইহাটকে। তা ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র, মূল্যবান কাঠসহ অনেক পণ্যের অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্যেরও অন্যতম প্রধান পথ এটি। তাই এখান থেকে সাধারণ জনবসতি উঠে যাক, এটা অনেকেই চায়। সে জন্যই বারবার এই হামলা, বাড়িঘরে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে।
নির্ভরযোগ্য সরকারি সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েক দিনের সংঘাতময় পরিস্থিতিকে ‘দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার আরেকটি অপচেষ্টা’ হিসেবে দেখছে সরকার। সরকার মনে করে, এর সঙ্গে একাধিক ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী জড়িত রয়েছে এবং এ ধরনের আরও সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা চলতে পারে।
পার্বত্য অঞ্চলের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। সন্ধ্যায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করে বিষয়টি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, একটি গোষ্ঠী সারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারের সাফল্য ব্যাহত করতে চায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ সৃষ্টির যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা ভণ্ডুল করতে চায় তারা। এর সঙ্গে একশ্রেণীর উগ্রপন্থী পাহাড়ি ও বাঙালি জড়িত আছে। গত রোববার সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বসে উপস্থিত সাংবাদিকসহ সবার উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
ভূমি বিরোধ তৈরি করা: বাঘাইহাটে হামলা-পাল্টা হামলার কারণ হিসেবে ভূমি বিরোধের কথা বলা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার ভূমি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকার মতো বিরোধ ছিল না, নেইও। কারণ, পার্বত্য চট্টগ্রামে আশির দশকে যখন বাঙালি বসতি স্থাপনকারীদের (সেটেলার) পাঠানো হয়, তখন বাঘাইহাট ও এর আশপাশে তেমন কোনো জনবসতি ছিল না। দুর্গম এলাকা বলে সেখানে বাঙালিদেরও পাঠানো হয়নি। ফলে আদিবাসীদের ব্যবহূত কিংবা দখলি ভূমিতে বাঙালিদের বসিয়ে দেওয়ার ফলে যে ভূমি বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামে সৃষ্টি হয়েছে, এখানে তা নেই-ই বলা যায়।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বাঘাইহাটে বর্তমানে যে আদিবাসী পরিবারগুলো বসবাস করছে, তারা মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের যুদ্ধ পরিস্থিতির শিকার হয়ে শরণার্থী কিংবা অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী তাদের নিজস্ব বাড়িঘর ও জায়গা-জমি ফেরত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তারা তা না পেয়ে ’৯৮-৯৯ সালে এই পরিবারগুলো বাঘাইহাট এলাকায় বসতি স্থাপন করে।
এর অনেক বছর পরে ২০০৬ সালে ওই স্থানের পার্শ্ববর্তী গঙ্গারামমুখ এলাকায় ৩২টি বাঙালি সেটেলার পরিবারকে বসতি স্থাপনের জন্য পাঠানো হয়। তখন থেকে সেখানকার ভূমি ব্যবহার নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে আদিবাসীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন কয়েকটি আদিবাসী পরিবার অন্যত্র চলে গেলে তাদের ব্যবহূত জমিজমা বেহাত হয়। ওই ঘটনার দুই বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে এবারের হামলা হলো।
সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার হয়নি: সরকারি-বেসরকারি সূত্রগুলো জানায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছর পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৫টি অস্থায়ী ক্যাম্পসহ এক ব্রিগেড সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে, তার অংশ হিসেবে বাঘাইহাট এলাকার কোনো ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়নি।
তবে ওই এলাকার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে কিছু জটিলতা রয়েছে বলে জানা গেছে। কারণ, এলাকাটি রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অধীন হলেও সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনের জন্য এলাকাটিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের অধীনে নেওয়ার জন্য একবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
৬০ দশকের কথা। ক্যাডেট কলেজে আমরা তখন সিনিয়ায় ক্লাশের ছাত্র। রাঙামাটিতে আউট-ওয়ার্ড বাউন্ড ট্রেনিংয়ে আমরা। সেরা ব্যাচ হিসাবে আমরা কয়েকজন সুযোগ পেলাম এক সন্ধ্যায় স্থানীয় এক কালচারাল অনুষ্ঠানে দর্শক হিসাবে যোগ দিতে। জয়শ্রী রায় নামের এক চাকমা মহিলা আমাদের সবার মন জয় করে ফেললেন তার সুললীত গলায় গাওয়া ”ও পাখী কেন গায়, আমারে কাঁদায় ” এই গানটি গেয়ে।
আজ প্রায় ৫০ বছর পরে আমার আবার কাঁদতে হচ্ছে আমার প্রিয় বাংলাদেশের এই বর্তমান অবস্থা দেখে। সানাউল্লার সাথে আমিও বলতে বাধ্য হচ্ছি - ধিক্কার আমার নিজেকে। বিদেশের মাটিতে বসে কি নিয়ে আমি অহংকার করবো এখন। পাকিস্তানী বা ইসরাইলীদের চাইতে কতটা তফাৎ হলাম আমরা?
আগে গর্ব করতাম - অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও যুদ্ধ করে শান্তিপ্রিয় বাঙ্গালী আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছি। এখানকার সব অধিবাসী - হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চান, সমতলবাসী বা পাহাড়ী সবাই সমান। অন্য আমেরিকানদেরকে বলতাম - বাংলাদেশীরা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও অন্য সংখ্যালঘুরা সমান অধিকার ভোগ করে। এখন আমি কি বলবো?
যুগ যুগ ধরে পাহাড়ীরা জুম চাষ করেছে এবং সমগ্র এলাকায় স্বাধীনভাবে স্থাপনা করেছে তাদের আবাসস্থল। শান্তিপ্রিয় এই সব মানুষদেরকে আমরা ক্রমে নানাভাবে এক ঠাসা করে ফেলেছি। তাদের জমি আমরা দখল করেছি নানা ছলে, বলে, কৌশলে। বাধ্য করেছি তাদেরকে শান্তি বাহিনীতে যোগ দেওয়াতে - ঠিক যেমনটা আমরা বাধ্য হয়েছিলাম ১৯৭১ মুক্তি যুদ্ধে যোগ দিতে।
ফৌজদারহাটে আমাদের সময় পিনাকী দেওয়ান নামে আমাদের জুনিয়ার ক্লাশে এক ছাত্র ভর্তি হয়েছিলো। এত শান্ত, ভদ্র এবং সল্পভাসী ছেলে আমি খুব একটা দেখিনি। খুব সঠিক জানিনা, তবে পরে আমাকে কে যেন বলেছিলো পিনাকী শান্তি বাহিনীতে যোগ দিয়েছে [এটা যদি আমার ভুল তথ্য হয় ক্ষমা চাচ্ছি] । আমি পরে ভেবেছি, কতটা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পিনাকীর মত ছেলে বাধ্য হয় বিদ্রোহ ঘোষনা করতে।
আমরা কি সবাই পারিনা, ব্যক্তি স্বার্থ ভুলে, মানবতার স্বার্থে সবাই মিলে জোড়ালো আওয়াজ তুলতে??
সহমত জানাই ভাইয়া
🙁 🙁 🙁 এই দুখের ব্লগে প্রথম হতে চাই না।।
এই দলিলগুলো পড়া যেতে পারে।
পোস্টের আবেগের সাথে একমত; যুক্তির সাথে নই। পাহাড়ীদের ওপর নিপীড়নের ঘটনা আজ হঠাত ২০১০ এর ফেব্রুয়ারীতে শুরু হয়েছে এমন কিন্তু না। বহু পুরোনো এক পোস্টের আলোচনায় বেশ কিছু অবশ্য-পাঠ্য লিন্কের উল্লেখ রয়েছে। সবার প্রতি পড়ার অনুরোধ থাকলো। আজ হঠাত করেই যেন পাহাড়ী নির্যাতনের ইস্যুটির সাথে যুদ্ধাপরাধ আর পাকিস্তানীদের নির্যাতনের ইস্যুটিকে এক করে যুক্তি খোঁজার ধূম লেগে গেছে। ভালোই তো! পাহাড়ীরা নির্যাতিত হলো সাম্প্রদায়িক বাঙালীদের হাতে, যাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা আর নাই বা বললাম। এটা আমরা খুব ভাল করে জানি - পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সাম্প্রদায়িক শ্রেনীটি কোন্ রাজনৈতিক জোটের অংশ! যারা জানেন না, তারা দয়া করে জেনে নেবেন প্লিজ। এই সব না জানা রীতিমতো অপরাধ। মজার ব্যাপার হল, অপকর্ম করলো একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ঘরানার মনমানসিকতার মানুষ, আর আমরা এখন সবাই নিজেদের ঘাড়ে দোষ তুলে নিয়ে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যেটুকু নৈতিক বৈধতা অবশিষ্ট আছে, তা নিয়েও টানাটানি শুরু করেছি। তাতে সেই সাম্প্রদায়িক যুদ্ধাপরাধী-লালনকারী জোটেরই লাভ, দুই ভাবেই। পাহাড়ী নির্যাতনও হলো, উর্দু এবং পাকিস্তান প্রেমেরও কিছু নতুন অজুহাত বের করা গেল!! বেশ তো!!
বড়ো ইন্টারেস্টিং জাতি আমরা!!
মজার ব্যাপার হল, পাহাড়ী ইস্যু নিয়ে গত ২০ বছর ধরে যখন পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছিল (সেখানে আমারও সামান্য কিছু কাজ করার সৌভাগ্য/দূর্ভাগ্য হয়েছে একটা দীর্ঘ সময়), তখন পাহাড়ীদের প্রতি এমন গদগদ 'হঠাত-সমর্থন' চোখে পড়েনি। এখন যে সব আগুন ঝরা মন্তব্যকারী আর পোস্টলেখকে ব্লগ ছেয়ে যাচ্ছে, তাদের তখন কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়ে না; এই তো বছর দুই আগে সাজেক এর ঘটনার সময়ও তাদেরকে কোথাও লিখতে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। সবাই যেন আজ হঠাৎ জানছেন পার্বত্য চট্টগ্রামে আসলে কি ঘটছে!! I wonder why, and why now!!
(অন্য আরেক থ্রেডেও মন্তব্যটি কপি করা হল)
আগে প্রতিবাদ জোরালোভাবে করা হয়নি বলে এখনো করবনা? পাহারীদের প্রতি নির্যাতন আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে।ধরে নিলাম বর্তমান সরকার এই নির্যাতনের সাথে জড়িত নয় অথবা এই নির্যাতনে তাদের কোন ইন্ধনই নেই।কিন্তু নির্যাতন ঠেকাতে তাদের যে ব্যর্থতা সেটার প্রতিবাদ করাও কি নিষেধ নাকি? পাকিস্তানিদের প্রতি প্রেমের এখানে কিছু নেই বরং অত্যাচারী পাকিস্তানিদের প্রতি ঘৃণা থেকেই অন্ততঃ আমি প্রতিবাদ করছি।পাকিস্তানিরা যেই পাশবিকতা করেছে আমরা যাতে সেরকম না হয়ে যাই,পাহাড়িদের প্রতি যেন পাকিস্তানিদের মত আচরণ না করি-এজাতীয় মন্তব্যে কেউ যদি পাকিপ্রেম খুঁজে পায় তবে সেটা তার উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা বলেই ধরে নিতে হবে।এখানে কোন সরকার ক্ষমতায় তার চাইতেও বড় ইস্যু বাঙ্গালি কর্তৃক সরকার নির্বিশেষে পাহাড়ি নির্যাতনের ঘটনা।এবং এগুলো বন্ধ হওয়া উচিৎ বলে মনে করি বলেই প্রতিবাদ করি।পারিবারিক আমাদের এ প্রতিবাদ কোন নির্দিষ্ট সরকারের আমলে নয়,বান্দরবানে কর্মরত অবস্থায় আমার বাবাকেও ভিন্ন সরকারের আমলে পাহাড়ীদের পক্ষে কথা বলায় রাজরোষের স্বিকার হতে হয়েছে।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয় অন্যায় অন্যায়ই-কোন আমলেই অন্যায় জায়েজ হয়ে যায়না।
তবে "আমরা পাহাড়িদের সাথে যা করেছি পাকিস্তানিরাও তো আমাদের সাথে তা-ই করেছে,সুতরাং আমরা আর অত্যাচারী পাকিস্তানিরা ভাই-ভাই" এ জাতীয় কথা বলে যেসব পাকি ক্রস-স্পার্ম বরাহশাবক যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধকে জায়েজ করতে চায় তাদেরকে কি করা উচিত সে বিষয়ে শালীনতার অভাবে এখানে উল্লেখ না-ই বা করলাম।
স্বিকার=শিকার*
রায়হান ভাই,
আমার মন্তব্যের প্রথম অংশের উত্তর আপনার করা এই নিচের কমেন্টে পেলামঃ
//তুমি মনে হয় আমার মূল বক্তব্য বুঝতে পারোনি। চুপ করে যেতে হবে কেন? কিন্তু কোন্ ভাষায় ঠিক কোন্ দৃষ্টিভঙ্গীর প্রচার করা উচিত পাবলিক ফোরামগুলোতে, সেটা নিশ্চয়ই আমাদের ভাবতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইস্যুকে পূঁজি করে কারও যেন উর্দু প্রেম আর পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী প্রেম চাগা দিয়ে না উঠে সে বিষয়েও সচেতন থাকা দরকার। কারন, এই প্রেমিকরা আদৌ কখনো পাহাড়ী ইস্যুর সাথে একাত্ম ছিলেন কি না সে বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।//
এ ব্যাপারে আমার সহমত উপরের মন্তব্যের শেষাংশে বলেছি।ভাল থাকবেন 🙂
শান্তিচুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে সমস্যা অনেক কমে আসবে। তাতে পাহাড়িদের আত্মশাসন, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার, ভূমি বিরোধের সমাধানের দিকনির্দেশনা আছে। ওই চুক্তির যেটা অস্পষ্টতা তা হলো বসতি স্থাপনকারী বাঙালিদের বিষয়। এ নিয়ে সেখানে কিছু নেই। এই বাঙালিদের পাহাড়ের বাইরে নিয়ে এসে অন্যত্র পূনর্বাসন করতে হবে। এ জন্য কিন্তু ইউএনডিপিসহ আরো অনেকেই টাকা দিতে প্রস্তুত। সংখ্যাটা তেমন বেশি না। ৩ থেকে ৪ লাখ মাত্র। যদিও এরপর আরো বহু বাঙালি সেখানে গিয়ে এরই মধ্যে ঘাটি গেড়েছে। আর এই বাঙালিদের নিরাপত্তা ও প্রশ্রয় দেয় সেনাবাহিনী। এই দুই দল এক হয়ে এখন পাহাড়িদের উপর আক্রমণ চালায়। আমি কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্রটিও বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে। এখান থেকে এখন আমাদের জতীয় চাহিদার ৫ শতাংশ বিদ্যুতও আসে না। কিন্তু সেটা পাহাড়িদের যুগ যুগের যন্ত্রণা আর ঘৃণার বিষয় হয়ে আছে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"