দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আমার একদমই নেই, এমনিতেই ঘুম আমার কাছে কখনোই খুব প্রিয় ছিল না, ঘুমানোর সময়টুকু আমার কাছে রীতিমত সময় নষ্ঠ করা বলে মনে হয়। তবে ভোরের ঘুমটা খুবই উপভোগ করি, যদিও সে সুযোগ খুব কমই হয়। ছোট বেলায় কোন কারনে দুপুরে ঘুমিয়ে গেলে ঘুম থেকে উঠে বিভ্রান্ত হয়ে যেতাম, সময়টা সকাল না সন্ধ্যা বুঝে উঠতে সময় লেগে যেত। আর কেন জানি খুব মন খারাপ হয়ে যেত। অনেকদিন পরে আজকে দুপুরে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে অবশ্য সকাল না সন্ধ্যা এ নিয়ে ছোটবেলার মতো বিভ্রান্ত হইনি, তবে আগের মতই মনটা হঠাৎ করে খুব বিষন্ন হয়ে গিয়েছিল। তার রেশটা এখনো কাটেনি। আজেবাজে সব মন খারাপ করা চিন্তা ভাবনা মাথায় গিজগিজ করছে, ইমোশোনাল (আবেগি?) ব্যাপার স্যাপার। হয়তো কালকে সকাল পর্যন্ত এভাবেই চলবে, তারপর কাজের চাপে পড়ে আবার সব ভুলে যাব, ঘড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে আবার ছোটা শুরু করে দেব, দৌড়, দৌড়, দৌড়……
সপ্তাহ জুড়ে অবশ্য এই দৌড়ের উপরেই ছিলাম, সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা ক্লাস, সেই সাথে পরীক্ষা। কোর্সের শেষ পর্যায়ে এসে ভালই চাপে আছি। বাকি আছে মাত্র তিন সপ্তাহ। যদিও প্রথম থেকেই দিন গুনছিলাম কবে শেষ হবে তারপরেও এখন একটু মন খারাপই হচ্ছে। ভালই তো ছিলাম, অনেকের মাঝে এক সাথে। শেষ আগের যায়গাতেই ফিরে যাব, তবে সেটা এ ৬ মাসে অনেকটাই বদলে গিয়েছে, পরিচিত মানুষগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়, নতুন করে আবার মানিয়ে নিতে হবে পুরোনো পরিবেশে। তারপর অপেক্ষা নিজের ছড়িয়ে যাবার, বাক্স-পেটরা গুটিয়ে নিয়ে ঘাঁটি গাড়তে হবে নতুন কোন জায়গায়। সেই যে ১৩ বছর আগে কলেজের উদ্দেশ্যে প্রথম বারের মত বাসা থেকে বের হয়ে ছিলাম, তারপর থেকেই চলছে। এখান থেকে সেখানে করে করেই দিন চলে যাচ্ছে।পেশাদার যাযাবর!!!
নিজেদের ইতিহাস নিয়ে আমাদের মতো অন্ধকারে আর কোন জাতি মনে হয় নেই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েই আমরা সন্দিহান, তার পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা তো পুরোপুরি অন্ধকারাছন্ন। সিসিবিসহ অন্যান্য জায়গায় বেশ কিছু লেখা পড়ে এমন অনেক কিছু জানতে পারছি যার সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিল না, বিশেষ করে লাবলু ভাইয়ের সিরিজ থেকে । আশেপাশের মানুষদের সাথে কথা বলে দেখলাম এমন অবস্থা প্রায় সবারই। এই যেমন সেদিন এই লেখাটা পড়ে জানতে পারলাম আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করা তিব্বতীয়দের কথা। এরকম আরো কত কিছুই না অজানা রয়ে গিয়েছে আমার। আরো জানতে হবে, সে জন্য পড়াশুনা করতে হবে , সময় ব্যয় করতে হবে।বাঁচতে হলে জানতে হবে।
শীতের আমেজ চলে এসেছে। যদিও সারাদিন প্রচন্ড রোদে আর গরমে বোঝার উপায় নেই তবে ভোরে এবং রাতে টের পাওয়া যায়। শীত সবসময়ই আমার প্রিয় ঋতু। প্রচন্ড শীত পড়বে আর লেপ-কম্বলের নিচে ঢুকে অথবা গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে তা উপভোগ করবো, আহা! তবে যাদের এই গরম কাপড় আর লেপ-কম্বল জোগাড় করার সামর্থ থাকে না তাদের জয় এই শীত যে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে তা কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। আমার মনে হয় শীত পুরোপুরি জেকে বসে কিছু প্রাণ কেড়ে নেবার আগেই তাদের সাহায্যের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আগামী রবিবার বান্দরবন যাচ্ছি। বেড়াতে নয়, প্রশিক্ষনে। পুরো সপ্তাহই ওখানে থাকা হবে। যদিও সময় ভাল যাবার সম্ভাবনা কম, তারপরও দোয়া প্রার্থী।
এ সপ্তাহে আমার প্লে লিস্টে অর্নবের সাথে যোগ দিয়েছে মেঘদল। মাথায় শুধু ঘুরছে হ্যালোজেন রোদ চিলতে বারান্দায়, টিকটিকি তাই বলছে ভবিষ্যত
…
|
মেঘদলের প্রথম এলবামের প্রিয় গান ছিল আকাশ মেঘে ঢাকা …
শুভেচ্ছা!
😀
:clap: :clap:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😀 😀
দিহান ভাবি তোমার পারফরমেন্স তো দিন দিন খারাপ হয়ে যাইতেসে...... :)) :))
বড় ভাইয়াকে পরথম হইতে দিলাম 😛
যখন প্রথম হই তোমারে পিছে ফেলে ঐটা চক্ষে পড়েনা?? :grr:
চক্ষে পড়বে কেম্নে?সাম্নে তো তুমি দাঁড়ায় থাকো।
তোমার সামনে আর কেউ ছিল কিনা............
"হ্যালোজেন রোদ চিলতে বারান্দায়, টিকটিকি তাই বলছে ভবিষ্যৎ ...."
এই টাইপ বিপদজনক জিনিশ মাথায় ঢুইক্যা গেলে ২৪/৭ বাজতে থাকে। ফাজিল টাইপ জিনিশ মাথায় ঢুকানোর জন্য x-(
তবে গানটা পুরা :gulli2: :gulli2:
ফাজিল টাইপ জিনিষ মাথায় ঢুমানোর জন্য দুঃখিত ভাইয়া 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:clap:
🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অসাধারন লেখনী :boss:
পাঁচ তারা :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
😀 😀 :hug:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এই লেখাটা খুব পছন্দ হয়েছে আকাশ।
বিকেলে ঘুমালে আমারও এই দশা হয়... সন্ধ্যা পার হয়ে ঘুম ভাঙে। তারপরে ঠাহর করতে পারি না সকাল কি রাত। আর অযথাই মন খারাপ হয়ে যায়...
ধন্যবাদ দোস্ত।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
৩ টা বিষয় হুবুহু মিলে গেছে
১|দুপুর এ ঘুমালে সন্ধায় মন খারাপ হওয়া
২|অক্টোবরের এই সময় টাতে গভীর রাতে শীত আসছে এটা টের পাই।
৩|এই গান টা কয়েক দিন ধরে শুনছি অনেক
লেখা বড়ই পছন্দ হোলো।
ধন্যবাদ ভাবী 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
চমৎকার। :clap:
৫ তারা।
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
তাইতো, এভাবে তো আগে ভাবিনি।
বান্দরবান গেলে অবশ্যই নীলগিরি দেখে আসবা। দেখার মতো একটা জায়গা। আমি গিয়েছিলাম আগষ্টে তোমার ভাবীকে নিয়ে। ঐ বিষয়ে ছবিসহ একটা পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। অনেকেই জানেনা এই চমৎকার জায়গাটার ব্যাপারে।
কোর্স থেকে যাচ্ছি বলে নীলগিরি যাবার মনে হয় সুযোগ হবে না, তবে পরবর্তী ছুটিতে যাবার প্লান আছে।
ছবি সহ পোস্ট তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমারও বিকেলে ঘুম থেকে উঠলে এই সমস্যাটা হয়, ধরতে পারিনা ঠিক করে যে এটা সকাল না বিকাল 🙁 বান্দরবন থেকে আসার পর আবার দেখা হবে সাপ্তাহিকের পাতায় 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মাজে তো তুমি আর আমি এক সাথে পোস্ট দিতাম... অনেকদিন তোমার কোন লেখা পাচ্ছি না কেন?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ঘটনাবলী সম্পর্কে তোমরা যে তেমন একটা জানো না, এটাই আমি বুঝতে পারিনি। বরং কখনো কখনো মনে হচ্ছিল ছেলেপিলেদের জ্ঞান দিচ্ছি বুঝি! রাজনীতি আমার খুবই প্রিয় বিষয়। তবে কোনোদিন রাজনীতিবিদ হবো না। সাংবাদিকতার আনন্দই আলাদা।
বান্দরবান ঘুরে আসো, মানে ভালোয় ভালোয় প্রশিক্ষণটা শেষ করো। আমরা ফকক'র ২১তম ব্যাচ ডিসেম্বরে পূনর্মিলনীর সময় বান্দবান যাবো বলে আপাততঃ ঠিক করেছি। পরিবারের সদস্যসহ পুরো দল মিলে ৬০/৭০ জন হয়ে যেতে পারি।
ডিসেম্বরের দিনগুলোর অপেক্ষায় আছি। 😀
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইয়া, আমরা আসলেই খুব কম জানি। আপনার লেখাগুলো পড়ে জানার আগ্রহ আরো বাড়ছে... যতটুকু পারেন আমাদের জ্ঞান দিতে থাকেন ।
ডিসেম্বর খুব তড়াতাড়ি চলে আসুক 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এই লেখাটা খুব ভালো লেগেছে আকাশদা।
বিকেলে ঘুমালে আমারও এই দশা হয়… সন্ধ্যা পার হয়ে ঘুম ভাঙে। তারপরে ধরতে পারিনা ঠিক করে যে এটা সকাল না বিকাল 🙁 । আর অযথাই মন খারাপ হয়ে যায়… বান্দরবন থেকে আসার পর আবার দেখা হবে সাপ্তাহিকের পাতায় 🙂
বান্দরবান গেলে অবশ্যই নীলগিরি দেখে আসবেন ভাইয়া।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
যা বলতে চাইছিলাম সবাই বলে ফেলছে মনে হয় 😛
তোমার সাপ্তাহিক গুলো পড়তে বেশ লাগে ।
নীলগিরি যাইতে মন চায়... :dreamy:
ঐ... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ধন্যবাদ ভাবি... নীলগিরি যাইতে আমারো মন চায় :dreamy:
@ জুনা ভাই... ঐ
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দেরী হয়ে গেলো ভাইয়া পড়তে।
অনেকদিন বিকেলে ঘুমানো হয়না, বিকেলে কি, আসলে চোখ থেকে ঘুম'ই চলে গেলো মনে হয় 🙂
সবসময়'ই ভালো লাগে তোমার সাপ্তাহিক, অপেক্ষায় থাকি, যদিও এইবার দেরী হয়ে গেলো। তোমার বান্দরবান সফর ভালো যাক, এই দোয়া রইলো।
ভালো আছো? 🙂
ঘুম মনে হয় আমারো চোখ থেকে চলে গিয়েছে ভাবি।
এখন পর্যন্ত ভালই আছি, দোয়া করেন আগামী ৪ দিন যেন ভাল থাকতে পারি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি ব্যাপক ঘুম কাতুরে।
এই এখনো দিনে প্রায় ১৭/১৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটাই।
দুপুরে কোনদিন ঘুমালে সেই রাত্রে আর উঠিই না। একেবারে পরেরদিন সকালে উঠে অফিসে যাই, ঘুমটাই লাইফটা ছ্যাড়া বেড়া কইরা দিলো। সবগুরুত্বপূর্ণ সময়েই আমি ঠাশ!
বান্দরবান চান্স পাইলেই চলে যাই। দেখি আগামীতে কোন একবার গেলে একেবারে থেকেই যাবো, আর আসবোইনা।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আহারে ভাইয়া ঘুম দেখি তোর লাইফটারে এক্কেরে ছ্যাড়া বেড়া কইরা দিলো ;))
কিছু ঘুম আমারেও পাঠায় দে :grr:
ঘুমালে সময় নষ্ট হয় - এই ভাবনাটা একটা সময় আমাকে এমন ভূগিয়েছিলো যে রাতেও ঘুমাতে পারতাম না। যাইহোক লেখা সুন্দর।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ধন্যবাদ আপু
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷