গতকাল আমার কাঠ খড় কেরোসিন সংক্রান্ত পোষ্টটির পরে অনেকেই কমেন্টস এ আমার যুক্তি গুলো জানতে চেয়েছিলেন। আমি আপনাদের কাছ থেকে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছিলাম যুক্তিগুলো গুছানোর জন্য। আজ সারাদিন অফিসে কাজের ফাকে ফাকে যুক্তিগুলো মনে করার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ১৪ বছর আগের চাপাবাজি কি এত সহজে মনে পড়ে? তাও আবার সেই চাপাবাজি ছিল কয়েক মুহুর্তের ফসল যার সম্মন্ধে আমি নিজেও খুব একটা আগ্রহী ছিলাম না। এদিকে আবার সবাইকে কথা ও দিয়ে ফেলেছি…।
যাহোক, অনেক চেষ্টা চরিত্র করার পর চাপাবাজির মুল ভাবটা মনে করতে পেরেছি…কিন্তু প্রকাশের ধরনটা হয়তো সেই ১৪ বছর আগের মত হবেনা। আশা করি ব্যাপারটা সবাই স্বাভাবিকভাবে নিবেন। ভাবটা ছিল অনেকটা এরকম-
একথা অনস্বীকার্য যে পৃথিবীর সকল শক্তির আধার হলো সূর্য্য। সূর্য্য আলো দেয়, তাপ দেয়। সুতরাং, তাপ এবং আলো শক্তির প্রতীক। কাঠ, খড় ও কেরোসিন থেকে ও আমরা শক্তির স্ব-রূপ আলো এবং তাপ পাই। সুতরাং, ব্যাপারটা অনেকটা এরকম দাঁড়ায়, শক্তির আধার = সূর্য্য = তাপ, আলো ইত্যাদি = কাঠ, খড় এবং কেরোসিন। অর্থাত, কাঠ খড় এবং কেরোসিনকে এখানে শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়েছে।
যেকোন দেশেই তার কৃষ্টি, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি বড় শক্তি। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ঘটনা ই এর প্রমাণ বহন করে। আমাদের নিজেদের দেশের কথাই ধরুন…১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা আমরা সবাই জানি। এমনকি ২৫শে মার্চের গণহত্যায় আমাদের সংস্কৃতির ধারক এবং বাহকেরা ই কিন্তু ছিল পাক হানাদারদের মূল লক্ষ্য। বাঙ্গালী জাতিকে ধ্বংস করার নীল নক্সাতে এটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটা ব্যাপার। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে আমাদের কৃষ্টি এবং সংস্কৃতিগত ব্যাবধান ই কিন্তু আমাদের শোষণ ও শাসন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের ঘুরে দাড়াবার অন্যতম কারন। সুতরাং, বোঝা যাচ্ছে পৃথিবীর বুকে নতুন একটা দেশের জন্মের পিছনে, তার কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি ই ছিল মূল চালিকা শক্তি।
অনুরুপভাবে, আমরা শেরে বাংলা হাউসের (আমার হাউস) সদস্যদের চলার পথের শক্তি, দিক নির্দেশনার উতস এবং আমাদের চলার পথের প্রেরণা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতি। আমাদের সংস্কৃতিই আমাদের শক্তি আর এই শক্তির রুপক ই হলো- কাঠ, খড় ও কেরোসিন।
ভাইরে, ১৪ বছর আগের চাপাবাজি অনেকটাই ধূসর হয়ে গেছে। তার পরেও স্মৃতির ধুলো সরিয়ে অনুর্বর মস্তিষ্ক থেকে চেষ্টা করেছি মূলভাবটুকু তুলে ধরতে। সবাইকে অনুরোধ করবো ১৪ বছর আগের ক্যাডেট আহসানের লেখা হিসেবে ব্যখ্যাটিকে পড়ার জন্য, ২০০৮ সালের আহসানের লেখা নয়।
সবার জন্য নিরন্তর শুভেচ্ছা।
উউপস্ আহসান ভাই, একেবারে সেইরকম অকাট্য, অচ্ছেদ্য এবং অদাহ্য যুক্তি ! ! :boss: :boss:
উউউউউফফফফফসসসসসস...কি যে বলোনা...
bhai, sei rokom logic. lekhar age ki khaisilen? =))
এই চাপা লেখার জন্য ক্যাডেট কলেজের ডাল অত্যাবশ্যক =))
আমাগো আহসান ভাই হইল গিয়া নারিকেল।বাইরে কমান্ডো ইন্সট্রাক্টর,ছুরি নিয়া ঘুইরা বেড়ান আর ভিতরে আমাগো লাইগ্যা সীমাহীন দরদ।এই জুন্নেই আমরা উনারে এতো ভালা পাই।
অফ টপিকঃআহসান ভাই,আপনেরে কি কম্পলিমেন্ট দিছিল কয়া ফালান নাইলে কিন্তুক আমরা কম্পলিমেন্ট দেওয়া শুরু করুম...বুইঝেন কইলাম ভাইজান... 😀
এই, বেশি বেশি বলা বাদ দিবা কবে?
আর ভাই রে, কমপ্লিমেন্ট টার কথা জানতে চাইওনা...প্লি...জ... :shy:
🙁 আমারে ছুডু পাইয়া আহসান ভাই খালি বকা দেয়...
আহসান ভাই, নিজের কমেন্ট করা লাইনটাই আবার তুলে দিলাম উদ্বৃতি আকারে।
আর একটু কষ্ট করেন .....পি-লি-জ :-/
Life is Mad.
সায়েদ,
এইটা থেকে আমারে প্লিজ মাফ করো...।
টুমি কেমন আছো বরং সেইটা বলো...।
আহসান ভাই,
আমি তো আছি মোটামুটি ভালোই।
লাইবেরিয়াতে ইউএন ইন্টারনেট লাইনের বেশ কিছু লিমিটেশন বাইপাস করা গেছে লোকাল একটা মোবাইল কোম্পানির ইন্টারনেট সার্ভিসের সাহায্যে। আপাতত সেটার উপরেই আছি। অফিস টাইমের পর বাকি সময়টা কম্পিউটারেই কাটে (নেট, মুভি আর বৌকে চিঠি লিখে)।
দোয়া রাখবেন।
Life is Mad.
চইলা আসেন তো সব ছাইড়া ছুইড়া
😛 :-/ 😛 :-/
Life is Mad.
ফাস্ট ক্লাস :clap:
স্টার মার্কস সহ না স্টার মার্কস ছাড়া?? :-B :-B
সাব্বির,
আমি হইলাম সেই স্টুডেন্ট যারে নিয়া স্যাররা চিন্তায় পইরা গেছিল যে কেমনে এই পোলারে সেকেন্ড ডিভিশনের হাত থাইকা বাচানো যায়। স্টার লাগবোনা...সেকেন্ড ক্লাশ যে দেয় নাই আমি তাতেই খুশী...। 😀
বস্ যখন খুশী, তখন আমাদের আর কি করার আছে??
আমরা মহাখুশী। হই,হই হই, , , (খুশীতে চিক্কুইর পারতাসি)
=)) 😀 :clap: 🙂 ;))