টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১১]
১. বিএমএ’তে কোন ক্যাডেটের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সময় ক্যাডেটকে “এ্যাকিউজড” বলে সম্বোধন করে পূর্ণ সামরিক কায়দায় মার্চপাস্ট করিয়ে টার্ম কমান্ডারের অফিসে নেয়া হয়। আমাদের কামরুজ্জামান সাব (জেসিও ইন্সট্রাকটর) এর গলায় “এ্যাকিউজড” হয়ে যেত “একুজ”। আরকটু বাড়িয়ে আমরা বলতাম, “সাব আপনে তো দেখি ‘একুশ’ বলেন”। শুনে তার সাটসাট উত্তর, “একুশ বলছি বইলা তো এখনও বিএমএ’তে আছেন। বাইশ বললে তো বাইরায়া যাইতেন”।
২. সমুদ্রে লম্বা সময় থাকার পর যখন ‘বিএনএস শাপলা’ তীরে এসে কেবল একটু রেস্ট করার তাল করছে তখন খবর আসল যে আজ জাহাজে ভিজিট হবে – আর ভিজিট মানেই আবার সমুদ্রে যাওয়া। এই খবর শুনে মিডশিপম্যান আরাফাতের (আরাফাত ভাই, বিসিসি, ৮৮ – ৯৪) মেজাজ বহুত খারাপ, “@##@!!..গুষ্টি কিলাই এই ভিজিটের”। তারপর তাকে যখন বলা হল বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে ক্লাস ইলেভেন এক্সকারশনে আসছে তখন তার যেন সময় কাটে না, “…ধুত্তোর মায়রে বাপ এখনও আসে না ক্যান পোলাপানগুলা”?
৩. পাসিং আউট প্যারেডে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনার জন্য আমাদের অনুন্য ত্রিশ মিনিট আরামে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাকটিস করতে হত। এই বোরিং সময়ে আমরা ঠোঁট না নাড়িয়ে পুটপুট করে কথা বলার চেষ্টা করতাম। মৃদুমন্দ নড়াচড়ারও চেষ্টা চলত। আর সেটা আটকানোর জন্য সামনেই মজুদ থাকত বিমল স্টাফ – উনি নোটবুকে নাম টুকে সোজা ইডির ব্যবস্থা করতেন। বক্তৃতা শেষে জোরসে পা মেরে সাবধান হতে হত। লম্বা সময় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার পর পা তুলে প্রেস করে সাবধান হওয়াটা বহুত কস্টের জিনিস। এই কষ্ট কমানোর আইডিয়া বের হলো এক জিসির মাথায়। পুটপুট করে তাকে বলতে শোনা গেল, “দোস্ত মনে কর তোর পায়ের নিচে আছে বিমলের *লস। এই চিন্তা করলেই দেখবি পা প্রেস করতে খুব ইচ্ছা করতেছে, আরামও লাগতেছে”।
৪. জনৈক জিসি’র বেল্ট লুজ দেখে মকসুদ সাবের মন্তব্য, “বেল্ট বরাবর নিচে তো আল্লাহতায়ালা একটা কুদরত (!) দিছেন। ঐটা না থাকলে তো বেল্টটা ঠিক যাইয়া মাটিতে ঠেকত”।
৫. ‘নজরানা’ নামটা যে বেশ পিকুলিয়ার সেটা আমাদের নজরানার বিলক্ষণ জানা ছিল। তাই যখন ইউসিসি’তে কোচিং করার সময় একটা মেয়ে পরিচিত হতে যেয়ে বলল তার নাম ‘নাজরানা’ তখন আমাদের নজরানা বলে উঠল, “ফাইজলামি কর? আমার সাথে ফাইজলামি কর”?
৬. ডাইনিং হলে বসেই বৈপ্লবিক চিন্তাটা মাথায় আসল। সর্দি লেগে নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়াকে ইংরেজিতে যদি বলা হয় “রানিং নোজ” তাহলে ডায়রিয়াকে কি বলা হবে??
৭. এমআইএসটি’র রেগ ডে’তে ব্যবহৃত রং সারা শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশ রাঙিয়ে দিয়ে গেছে। বাথরুম থেকে বের হয়ে পুরা ৩২টা দাঁত বের করে দিয়ে মুশফিক সেই রিপোর্টই দিচ্ছে, “….একটা লাল আরেকটা নীল হয়া গেছেরে”।
*******
নজরানার গল্পটা এর আগে মন্তব্য আকারে শেয়ার করেছি।
রানিং নোজ 🙁 রানিং ***ss =)) =)) =))
বস, কোনটা লাল আর কোনটা নীল একটু খুইলা কন দেহি।
আমাগো খায়বার আর বদরের হাউস কালার আছে...হুনাইনের নাই...মাসরুফ সরি মাইট্স!!! :khekz:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
মিসটেক হইয়া গেছে...খায়বার আর হুনাইন আছে,বদর নাই...সুরি!! :shy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
কেডা কইছে নাই?এক্টা লাল, এক্টা নীল আর মইধ্যেরটা(!!) সবুজ 😀 😀
মইধ্যেরটা সবুজ??? 😮
অই বস কি লোকাল প্রডাক্ট ছিলেন, নাকি এলিয়েন??? :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
=))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
এমসিসি কি এলিয়েন 😀 😀 ??
লাল নীল সবুজ - তিন জিনিস = তিন হাউস কালার, চিন্তা কইরাই তো হাসি আসতেছে :khekz: :khekz:
Life is Mad.
মামা, আমাদেরতো চাইরটা হাউসের চাইরটা কালার 😛
আরেকটা কালার কুন স্পটে করন যায় :-/
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
রং- কালো
স্পট- কমু না...ফৌজিয়ান ভাই পিডাইবো... :khekz:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমাগো আরেকটা কালার কিন্তু হলুদ আছিলো 😉
বদ পুলাপাইন কি কইতে পারে আন্দাজ করতাছি ;))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ইয়াক্...ইয়াক্...!!! 😮
ভাই, এত 'গভীরে' যাওন ঠিক হয় নাই... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
@আরে কবীর ভাই,আমরা দুই গাছ দেখি একই চিন্তা করতাছি 😀
ইয়ে মানে যুদি কিছু মুনে না করেন-তাইলে আশপাশের ঝোপ-জঙ্গলের রং ঐ হাউসের কালার করি দেওন যায় না? 😕
ডাইন বাম যে কোন একটা লাল আর নীল ধইরা নাও..... 😉 😉
Life is Mad.
একরাশ হাসি উপহার দেয়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ। :clap: :clap:
"রানিং অ্যাস"-এর টা সেইরকম হইছে।
ওয়েল কাম ব্রাদার :shy:
Life is Mad.
চিন্তা করতেই তো পিরা যাইতাছি =))
সায়েদ মামা, একের পর এক যে হারে ছাড়তাছোস :boss: :boss: এইবার পিরতে পিরতে মিরা যাওয়া কেউ আটকাইতে পারবোনা B-)
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:shy: :shy:
Life is Mad.
সেই জন্য আল্লাতালার কাছে শুক্রিয়া।
টুশকি পুরা দৌড়াইতেছে। :khekz: :gulti: তবে এইবার ঝাল কম হইছে একটু। 🙂 🙂
দ্যাখ তো পরেরটায় ঝাল কেমন হইছে 😉 😉 ?
Life is Mad.
আমার জিব্বা পুইড়া গ্যাছে মামু...
অফ টপিক-
কলেজে কোল্কাতার এট্টা হট গান হেভী চালু ছিল=
"ঝাল লেগেছে আমার ঝাল লেগেছে,
ঝালে মরে যাই আমি ঝালে মরে যাই।
সন্দেশে হবেনা,মিষ্টি তে হবেনা-
তোমার মিষতি মুখের মিষতি হাসি , মিষতি ছোঁইয়া চাই" (গানের সাথে নীলমের কোমর দুলানি আর বিপজ্জনক ভঙ্গীতে ঊর্ধাংশের নাড়াচাড়া ফিরি)
* ধুর **ল খালি ভুল করি ক্যান-মিষ্টি হইব সবখানে x-(
মাসরুফ মনে হইতাছে অই গান এর আবেগে বেশি রকম আবেগিত হয়া গ্যাছো 😀 এক্ট্রা ডিরিল খায়া ঠান্ডা হবা
সায়েদ, বি এম এ-র উস্তাদ গুলান রে লইয়া মনে হয় একটা মহা কাব্ব্য লিখন যায়
আর বইলেন না...ইনারা একেকজন একেকটা লিজেন্ড।
কথাবার্তা, এ্যাক্টিভিটিজ মাশাল্লা।
অবশ্য এসবের পাশাপাশি আর্মির জন্য এদের কারও কারও অবদান অনস্বীকার্য, অতুলনীয়।
Life is Mad.
আরাফাত ভাইরে :salute:
আপ্নারেও... এতো মজা করে লেখার জন্য...