ভালবাসা কি জানতে চেয়ে যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন পাঠালে তার উত্তরে বলি,
ভালবাসা হলো হঠাৎ বৃষ্টির দুপুরে ধোঁওয়া ওঠা খিচুরি আর বেগুন ভাজার পাশে এক চামচ ঘি
গ্লোরিয়া জিনসে কফির কাপে চকিতে চুম্বন
অথবা তার আধ খাওয়া বারিটোয় আলতো কামড়,
রাস্তার ঐ পাড়ে জানালার শিকে একটি ভীরু মুখ
অথবা তার অবিন্যস্ত বাদামী চুলে একটি রূপার কাটা।
ভালবাসা মানে হলো প্রিয়ার ঘুম ঘুম ঠোঁটে জন্মের প্রতিশোধ
অথবা তের নদীর ওপাড়ে কনিয়াকবিহীন একজোড়া মুগ্ধ চোখ,
রাইস কুকারের গরম ভাতে ঝাল ঝাল ডিম ভুনা আর প্লামের আচার
ভালবাসা হলো দিনশেষে মেটোপ্রলল এগিয়ে দিয়ে, একটি বেবী এসপিরিনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া
অথবা ব্রান্ডির গ্লাসে চুমুক দিতে মনে হয়,
আহা! যদি ছুঁয়ে দিতে পারতাম কাজল কালো চোখের হরিণীটিকে
ভালবাসা মানে হলো তার নাকের ডগায় চুমু খেয়ে ছুটির দিনের ফুলকো লুচি আর মোহনভোগ,
ডেকের ছায়ায় অরেঞ্জ পিকো চা
অথবা তার হাতের মুঠোয় আরও একটি মাখন কোমল হাত
ভালবাসা হলো বাবুই পাখীর স্বপ্ন দেখা লুপার ঝাপসা চোখ,
অথবা মিথিলার কাঁধে হাত রেখে শুভর অচেনা পথ
নিলয়ের গানের সুরে গুনগুন রাত অথবা স্টারবাক্সে কফির কাপে তুমুল ঝড়
ভালবাসা মানে হলো বাড়ী শুদ্ধ সকলের চোখ এড়িয়ে অনভ্যস্ত লাল শাড়ীতে অনন্ত অভিসার,
অথবা দূর দ্বীপবাসিনীর কথামালায় এক ঘুমহীন মেঘের দুপুর।
কর্মক্লান্ত দিনের শেষে স্কাইপে মায়ের হাসি মুখ,
রাজেন্দ্রপুরের শ্যামলিমায় তার বিমুগ্ধ চোখ
ভালবাসা মানে হলো কফির কাপ এগিয়ে দিতে তার মধ্যমা ছুঁয়ে দেয়া,
অথবা কোটি মানুষের ভিড়ে এক অতসীর মুখ!
২৮ টি মন্তব্য : “সখী ভালবাসা কারে কয়”
মন্তব্য করুন
বুঝলাম!!!
ভালবাসার মানে আসলেই অনেক অনেক অ-নে-ক কঠিন......
আজকাল কেন যেন মনেহয় এটা আর এত কঠিন হয়তো না। যেভাবে সকাল বিকাল সবাই প্রেমে পড়ে, ভালবাসাবাসিতে জড়ায়!!!
অথবা, কি জানি, আমারই বোঝার ভুল, হয়তোবা (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:hatsoff: :hatsoff:
অথবা এখন সবাই জেনে গেছে যে, প্রতিটি প্রেমই প্রথম প্রেম! B-)
(নিতান্তই ছোট্ট মানুষ! তারপর ও স্পর্ধা দেখাই)
শেষের লাইনটা মনে লেগেছে 🙂
মুক্তি হোক আলোয় আলোয়...
:boss: :boss:
ছোট মানুষটির জন্য অনেক ভালবাসা রইল!
ভালোবাসা নিয়ে কিছু বলতে চাই।
কিন্তু বলবো না। 😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কেনো বলবে না, রাজীব?? ভালবাসা ভাল নয় বলে?? B-)
কোন অর্থে বলবো>>>>
সত্যি বলতে কি ভালোবাসা বলতে একমাত্র দেশের প্রতি আছে। এবং আইরনি হচ্ছে দেশের বাইরে থাকি। কিন্তু হোমসীক বা সেই অর্থে দেশের প্রতি বুঁদ হয়ে থাকি না। সত্যিকার অর্থে ভালোবাসি। অন্তত নিজে তাই মনে করি।
আর ভালোবাসা যদি নর নারী প্রেম বা মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা হিসাবে ধরি তাহলে স্ত্রী আর সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা আছে।
এছাড়া অন্য নারীদের প্রতি সেই অর্থে প্রেম নেই।
খুব খারাপ শোনাতে পারে কিন্তু জানতে চাইলেন বলে বলি।
কাম অনুভব করি, প্রেম নয়।
বোঝাতে প্রেরেছি কি আপা। নাকি খুব খারাপ কিছু বলে ফেললাম। তাহলে মাপ চাইছি। :frontroll:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
খুব খারাপ কিছু বলোনি, রাজীব! ক'জন তোমার মতো অকপটে বলতে পারে এসব, বলো? আমরা অনেকেই ভাবনাতেও কি হিপোক্রিট নই??
আমার মনে হয়ে মেয়েদের ক্ষেত্রে ভালবাসার সিঁড়ি বেয়ে শরীর আসে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই। ব্যতিক্রম যে নেই তা' কিন্তু নয়।
সুনদর লেখা।ভালবাসা আছে বলেই জীবন এতোটাই মধুময়। :boss: :boss:
😀 😀
ভালবাসা জেগে থাকে চিরন্তন
যদি কবিতার মানুষটির মত একটি মন কারো থাকে। অনেক শুভকামনা, অনেক সুন্দর হইছে ভালবাসা আপু। :clap: :clap:
🙂 🙂
কবিতার মন! চমৎকার! 🙂
আহ ভালবাসা :dreamy:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😡 😡
আমিও একটু ভালবাসাকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করি।
আমার কাছে সাধারনভাবে ভালবাসা জিনিষটাকে একধরনের দখলদারি প্রবৃত্তি বলেই মনেহয় আজকাল। এর এই দখলদারিত্বের উৎস হতে পারে: ১) জন্মসুত্রে অর্জিত কোন অধিকার বা দাবী উৎসরিত (পিতা-মাতা-ভাই-বোনের বা দেশের প্রতি ভালবাসা), ২) মুগ্ধতা উৎসরিত (প্রিয় বস্তু, প্রিয় জন বা প্রিয় দল, ইত্যাদির প্রতি ভালবাসা) ৩) এড্রেনালিন রাস উৎসরিত (যাদের জন্য ফ্যাটাল এট্রাকশান বোধ হয়)।
আজকাল আরও মনেহয় যে ভালবাসা কোন স্থায়ী কিছু নয়। নানা কারনে উৎসে ভাটা পড়লে ভালবাসায়ও টান পড়ে। সেইসাথে কমে আসে দখলদারিত্বের প্রবৃত্তিটাও।
শুনতে খারাপ লাগছে হয়তো, কিন্তু এটাই আমার এই মুহুর্তের অনুভব।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভালবাসা যে চিরস্থায়ী হতেই হবে তার দিব্যি কে দিয়েছে, বলো? কিন্তু যতক্ষণ ভালবাসা জেগে আছে সেটুকু সময়ই কি স্বর্গীয় নয়??
"কিন্তু যতক্ষণ ভালবাসা জেগে আছে সেটুকু সময়ই কি স্বর্গীয় নয়??"
- আমার তো মনে হয় হ্যাঁ, অবশ্যই স্বর্গীয়। ভালোবাসা তো একটা স্বর্গীয় অনুভূতিই। সৃষ্টিকর্তা তার নিজস্ব গুণের একটি অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন, তাতেই তো আমরা এতটা অস্থির!
আমি মানুষটা একটু দুষ্টু কি না -- তাই বেশি বেশি করে কামড়, চুম্বন এ শব্দগুলোই চোখের চোখের সামনে এত্ত বড় হয়ে দেখা দিতে লাগলো। কফির কাপে-টাপে না। হি হি
আমি তো ভাবছিলাম গ্রিন টি অথবা ফোলজারসের মগ পাশে সরিরে রেখে অদেখা প্রেমিকার সাথে তুমুল ভালবাসার কথা বলবে তুমি, নূপুর!
ওরে কবি নূপুর, ফোলজারসের কফির কাপ বেয়েও কিন্তু চুম্বন হতে পারে মধুময়, অথবা চেরী কবলার যে কেবল সসারেই খেতে হবে তা দিব্যি করে কেউ বলে দেয়নি।
কই, এগুলোর কোন কিছুকেই তো 'যাতনাময়' বলে মনে হলো না! (সম্পাদিত)
আমার কাছে তো ভালবাসা চির স্বর্গীয় বলে মনে হয়, ভাইয়া!
আমারও তো তাই মনে হয়। ভালোবাসা তো একটা স্বর্গীয় অনুভূতিই। সৃষ্টিকর্তা তার নিজস্ব গুণের একটি অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন, তাতেই তো আমরা এতটা অস্থির!
আমি কথাটা বলেছিলাম এই জন্য যে, রবীন্দ্রনাথের যে গান থেকে তুমি তোমার এই লেখার শিরনামটা করেছো, সে গানেই তো একটা প্রশ্ন রয়েছে- 'সেকি কেবলই যাতনাময়'। তাই আমি বলেছি, উপরের কথাগুলোতে তো যাতনাময় কিছু দেখলাম না।
একটু আগেই ভাবছিলাম আমি ফেসবুকের আচ্ছন্ন বাসিন্দা ... এখানে সিসিবিতে না এলে কত লেখা কত কবিতা মিস করতাম ... রাজিবকে ধন্যবাদ ...
খাবার দাবারকে তুমি এত চমৎকার ভাবে লেখায় মেশাও অদ্ভুত ভালো লাগে সবিনা :thumbup: :thumbup: ... শিখছি ... (সম্পাদিত)
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
এইটা সুপার লাইক।
খাবার + লিখ = সাবিনার লিখা
😛 😀 😛 😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ঘ্রাণেই আধেক ভোজনের মতো লেখাতে যদি সিকি ভোজনও হতো তাহলে কী মজাটাই না হতো, ভাইয়া!
🙂 🙂 🙂 🙂
দেশে থাকতে আমি মাঝারী মাপের রোগা পটকা ছিলাম, দাদা! খাবার টেবিলে বসে কত যে ঝামেলা করেছি মায়ের সাথে। মা বলতেন আমার পাখির আহার! আমি খেতে শিখেছি দেশের বাইরে এসে। খেতে শেখার পর মনে হলো রান্না শেখা খুব জরুরী এবার। সেই শুরু আমার। শুরুতে সিদ্দিকা কবিরের বইটিই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। আগে তো আর ইউ টিউব ছিলনা, দাদা! আমার মনে হয় খেতে বা খাওয়াতে যে ভালবাসে রান্না করা তার জন্য ভীষণ আনন্দের ব্যাপার।
🙂 🙂 🙂 🙂 🙂
দেশে থাকতে আমি মাঝারী মাপের রোগা পটকা ছিলাম, দাদা! খাবার টেবিলে বসে কত যে ঝামেলা করেছি মায়ের সাথে। মা বলতেন আমার পাখির আহার! আমি খেতে শিখেছি দেশের বাইরে এসে। খেতে শেখার পর মনে হলো রান্না শেখা খুব জরুরী এবার। সেই শুরু আমার। শুরুতে সিদ্দিকা কবিরের বইটিই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। আগে তো আর ইউ টিউব ছিলনা, দাদা! আমার মনে হয় খেতে বা খাওয়াতে যে ভালবাসে রান্না করা তার জন্য ভীষণ আনন্দের ব্যাপার।