অতীত হয় নূতন পুরানায়
একসময়কার পুরানো ঢাকার তরুন-তরুণীর গল্প। দেশে পড়ালেখার পর্ব চুকিয়ে প্রেরক এবং প্রাপক একই সময়ে বিদেশে যায় পড়তে। প্রাপক স্পেনে এবং প্রেরক কিউবাতে। একসময় তাদের বিচ্ছেদ হয়। প্রাপক দেশে ফিরে আর্ট হিস্ট্রির শিক্ষকতা করে আর প্রেরক হ্যাভানার একটি কলেজে পেইন্টিংসের শিক্ষক। অনেক বছর পর এই চিঠি লেখা হয়।
প্রিয় জারুলফুল,
পরশু শেষরাতে নেভিলের টেলিফোনে আমার ঘুম ভাঙ্গলো। জানতে পারলাম, তুমি ব্রাসেলস গিয়েছিলে ঢাকা ফেরার পথে। কটা দিন নেভিলের নতুন ডেরায় কাটালে। শুনলাম, তোমার ব্রাসেলস ঘুরে দেখার গল্প। নেভিল জানালো, তুমি এখনো উন্মনা হয়ে আমাকে খুঁজে ফেরো। চারুশীও আমাকে একই কথা বলেছিল। দৈবক্রমে তোমাদের ট্যাসকানির এয়ারপোর্টে পরিচয়ের এক পর্যায়ে আমার প্রসঙ্গ আসতেই অলস লাউঞ্জে শুনেছি তুমি অস্থির হয়ে পড়েছিলে। স্থির চোখে চারুশীর দিকে তাকিয়ে ও বিবাহিতা কিনা জানতে চেয়েছিলে। তারপর উদাস হয়ে নাকি বাকিটা সময় রানওয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলে।
আমি জেনে গিয়েছি, আমার জন্য কেউ আর কোনদিন মাদ্রিদের ব্যস্ত সড়কের পাশে বসে কাঁদবে না। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে লেখা চিঠি পৌছাবে না আমার ঠিকানায়। আমি এখনো ভয়ানক শূন্যতার রাতে অপার হয়ে থাকি কেউ সপ্তাহান্তের টেলিফোনে বলুক, লোরকার প্রয়াণে গ্রানাডায় আজো এক তীব্র হাহাকারময আন্দালুসীও বাতাস এবং ফ্লামেংকোর করুণ সুর ভেসে বেড়ায়। জানা হবে না হয়তো, ভ্যানগগ মিউজিয়াম থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে আমস্ট্রাডামের মেট্রোস্টেশনে ইম্প্রেশনিজমের তীব্রতা এবং ভ্যানগগের কষ্টের আর্তিতে নিশ্চুপ বসে থাকা তোমার অসহায়ত্বের কথা। কিংবা প্যারিসে বোদলেয়ারের সমাধিতে ফুল দিতে গিয়ে কেউ বসন্তের রোদেলা দিনেও বিষণ্ণ হয়ে পড়ে কিনা।
দিল্লী থেকে ফেরার পথে কেউ আর এখন হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার বাঁশির কালেকশনস সাথে করে আনতে বলে না আমাকে। জানাইনি কাউকে হ্যাভানাতে কি এক শূন্যতার মাঝে ঘুরে ফিরেছি দিনের পর দিন। আমাদের একসাথে কেরালায় যাবার কথা ছিল। কি অদ্ভুতভাবে নিরুদ্দেশ চিলের মতো একাই গেলাম! বদলে যাওয়া দিনগুলো এতো ঘটনাবহুল হয়েও কেমন বর্ণীল বর্ণহীন। তোমার লেখা চিঠির বান্ডিল মিউনিখে আমার হারিয়ে যাওয়া হ্যান্ডব্যাগের সাথে খোয়া যায়। সেই দুঃখ বয়ে বেড়াতে হবে অনন্তকাল। এখন শুধু সযত্নে স্মৃতিটুকুই আমার কাছে রক্ষিত আছে।
আমাদের সেই সময়টা কেমন সকালের সোনা রোদের মতোই পালিয়ে গেল। শুনেছি, ভারতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র ধানমন্ডি থেকে গুলশান চলে যাবার পর তুমি ওদিকে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলে। জহির রায়হান ফিল্ম সোসাইটি হয়তো এখনো লাগাতার সিনেমা দেখায় দূতাবাসের সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলোতে। বার্টি কি এখনো সিনেমা বানাবার স্বপ্ন দেখে? জানা হয়নি, এতদিনে জীবনের চড়াই উৎরাইয়ের গলি পেরিয়ে সিনেমাটা বানাতে পেরেছে কিনা। সুবর্ণার কথা শুনেছিলাম সম্পর্ক, ডকুমেন্টরি এবং ইকোনোমিকসের টানাটানির হতাশায় দেশ থেকে পালিয়েছিল। টিনা আর রুবেনস হয়তো সুখেই আছে, তরুণ বয়সে শূন্যস্থানের ধাঁধাঁ ছুড়ে দিয়ে তারুণ্যকে স্মৃতির ফ্রেমে বন্দী রেখে গেলো আমাদের কাছে। গ্যেটে ইন্সটিটিউটের রুফটপ ক্যাফে হয়তো এখনো মুখরিত হয় একইরকম। শুধু বদলে গেলো চেনা মানুষের মুখগুলো। এ্র্যালিয়স ফ্রসেস ক্যাফের লাল রঙের কফির পেয়ালা হাতে কপোত-কপোতী এখনো চোখে চোখ রেখে শরতের সন্ধ্যায় হারিয়ে যায় কিনা দেখতে ইচ্ছে করে।
বিউটি বোর্ডিং হয়তো ভুলে গিয়ে থাকবে আমাদের এতদিনে। জানিনা সেখানে এখনো কেউ শামসুর রাহমান, সৈয়দ হক, রফিক আজাদ, দাউদ হায়দার এবং ষাটের অন্য কবিদের খুঁজে ফিরে কিনা। ভিক্টোরিয়া পার্ক কি এখনো বাস্তুহারাদের দখলে? কতটা বদলে গেলো আমাদের সেই ঢাকা? শুনেছি, ঢাকা এখনো বাস্তুহারাদের সাথে চোর-পুলিশ খেলে। আগামুসী লেইন কিংবা র্যাংকিন স্ট্রীটে হয়তো উদভ্রান্ত কোন পথিক পড়ন্ত বিকেলে জারুলফুল খুঁজে ফিরে। বছর ঘুরে বছর যায়, আর্মেনিয়ান চার্চ দাড়িয়ে থাকে নগর সভ্যতার ধূসর স্থাপত্যের নির্জন সাক্ষর হয়ে। খুব জানতে ইচ্ছে করে, কেমন আছে আমাদের পুরানো ঢাকার সকালবেলা? আর তুমি এখনো দুর্গাপূজাতে কারো শিলং যাওয়া আটকে দাও কিনা? হয়তো দুর্গাপূজা কিংবা মহরমের কোলাহলে ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং হোসনীদালান এখনো প্রাণ ফিরে পায় একইভাবে। শুধু আমরা নেই।
জানিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় দলগুলোর উচ্ছিষ্ট রাজনীতির পাতানো দখলের খেলা এবং মিছে হুংকারে ভীত হয়ে তুমি কার হাতটি শক্ত করে ধরো। হয়তো তোমার অগণিত ছাত্রছাত্রীই এখন তোমার শক্তি। কিংবা এখন তুমি পরিণত নির্ভীক একজন মানুষ। সতেরো বছর আগের এবং এখনকার তুমি একইরকম থাকবে এমনটা চাইলেও ভাবতে পারিনা। একসময় শিশির ভট্টাচার্য কিংবা নিসার হোসেনের লেকচার মিস করলে তুমি বিপন্ন বোধ করতে। মনে আছে তোমার? শফি আহমেদ একবার তাঁর তেলরঙের ক্যানভাসকে ছুটি দিয়ে আমাদের সাথে গল্প করেছিলেন। আজ এতোবছর পর যদি আমরা একসাথে ফিরে যাই সেই জিগাতলার স্টুডিওতে, উনি কি আমাদের চিনতে পারবেন? নতুন ঢাকার বেঙ্গল, দৃক, চিত্রক, রাশান কালচার, গ্যেটে ইন্সটিটিউট … জায়গাগুলো কি দুর্দান্ত ম্যাজিকাল ছিল! সাবেরা রেস্টুরেন্ট এখন আর নেই। হয়তো এখনো চিত্রক গ্যালারি তারিখবিহীন এক কাঁক ভেজা দুপুরে কোন তরুণের অপেক্ষার একপ্রস্থ স্থান হয়ে আগলে দেয় প্রদর্শনীর চিত্রকলা। আমাকে কিন্তু এখনো টিএসসির হারিয়ে যাওয়া সন্ধেবেলা দুর্বার টানে।
গেল বার গিয়ে দেখে এলাম, আজিজ মার্কেট অনেক বদলে গিয়েছে। আগের মতো নেই। একুশে এখন প্রথমা। তক্ষশীলা এখনো আছে। পাঠক সমাবেশ এবং বিজু ভাইও আছেন। দোতলায় যেসব পড়ে থাকা কক্ষে কবিতা পাঠের আসর এবং আড্ডা বসতো। এখন সেখানে রঙবেরঙের বাণিজ্যিক পসরা সাজানো। দীপু চারুকলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ফাইন আর্টস স্টোর খুলেছে। দীপুর ওখানে আড্ডা জমে। মইনুদ্দীন খালেদও যান সেখানে মাঝে মাঝে। শিকোয়া যেতো জানতাম, তবে নিয়মিত না। তুমি সেখানে যাও না বলেই জানি। মনে পড়ে? সেইসব উত্তাল দিনে সবসময় বলতাম, আমরা একে অন্যের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে পারি। হয়তো হাজার মাইল দূরের বিচ্ছিন্ন দুটি দ্বীপ হয়ে প্রমাণ করলাম, আমরা কথা রেখেছি। ঘাসফুল নামে আমাদের যে ঠিকানা ছিল সেখানে এখন হয়তো অন্য কোন ফুল ফোটে।
এখনো কি উদাস চোখে দিন বদলের ছবি আঁকো? জানিনা তিউনিসিয়া, মিশর, লিবিয়া কিংবা বাহরাইনের গণজাগরণ কতটা স্পর্শ করলো তোমাকে। ওরাও হয়তো একদিন আমাদের ক্ষুধার্ত নব্বইয়ের স্বপ্নহীনতার মতো চোরাবালিতে হারিয়ে যাবে। কিংবা যাবে না। আমাকে আর রাজনীতি, সমাজনীতি কিংবা অর্থনীতি স্পর্শ করে না। ধর্ম কিংবা ধর্মহীনতার ফ্রাংকেস্টাইন থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে এই আমি। এখন আমি আত্মপর এক মানুষ। শুধু জানা নেই, কেন এখনো অবচেতনে হারিয়ে যাওয়া অতীতের স্মৃতির মাঝে বসবাস করি। জীবনে যে প্রশ্ন ভাইটাল তার কোন উত্তর নেই। জীবন থেমে নেই। আমি বেঁচে আছি, কারণ তুমি ভাবো আমি আছি।
সুখে থেকো।
পুণ্ডরীক
গ্যালাপাগোস দ্বীপ
এবং একটি নোট
চিঠির শিরোনাম রশীদ করিমের একটি বই। আর চিঠিটি লতিফুল ইসলাম শিবলীর প্যারিসের চিঠি কবিতার মূল থিমে লেখা। কবিতাটি নিয়ে গল্প, উপন্যাস, নাটক বা সিনেমা যে কোন কিছু হতে পারে বলে আমার ধারণা। আমি শুধুমাত্র একটি চিঠিই লেখার চেষ্টা করলাম। আর ভাবলাম একটি চিঠি সিরিজ করি।
লেখাতুন জটিলুন 😀 পাঁচ তারা :clap:
ধন্যবাদুন।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
পরপর দুই পোস্টে পেরথম হয়া গেলাম? B-) আপনারা এত ভালো কেমনে লেখেন? :thumbup: আমাকে একটু শেখান না :dreamy:
আপনাকে ফেসবুকে দেখতেছি না কেন? আমার ফ্রেন্ডলিস্টে তো ক'দিন আগেও ছিলেন :thumbdown:
হাসান, সেলিব্রিটি মানুষ রা তাদের ফেসবুক থেকে ২/৪ জন রে ডিলিট করে দিতেই পারে, মন খারাপ করার কিছু নাই 😉
এমন ঘিড়িংগিবাজ ঘটি আমি প্রথম দেখলাম x-(
আমার বন্ধুয়া বিহনে
মিয়া, তুমি উল্টা আমাদের লেখার নিয়ম-কানুন এবং গ্রামার শিখাবা। আমরা তো আন্দাজেই লিখি, তুমি তো সাহিত্যের ছাত্র ছিলে।
ফেসবুকের কথায় মজা পেলাম। তুমি লিস্টে আছো। আমি ফেসবুক ব্যবহার করছি না এখন। 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আমি তো ঈদানীং ধুমায় বুকিং শুরু করছি, আর তুমি ভাগলা 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
হমম.. ব্যবহার না করার ফলাফল তো বেশ মনে হচ্ছে .. :O
চিঠির টোনটা নষ্টালজিক। মন ছুঁয়ে যায়। তবে অনেক বেশি ধাবমান। মনে হলো সব দৃশ্য আমার সামনে কেউ ফাস্ট ফরয়ার্ড করে দেখিয়ে দিল। কারণটা খুঁজতে গিয়ে দেখলাম লাইনগুলোতে একাধিক স্থানের নাম এসেছে। যেমন - 'তুমি ব্রাসেলস গিয়েছিলে প্রাগ থেকে ঢাকা ফেরার পথে।' আমার মতো স্লো থিংকারদের জন্য বুঝতে আরেকবার পড়তে হয়। #৪, #৫ প্যারা খুব ভাল লেগেছে। সহজে ভিজ্যুলাইজ করতে পেরেছি।
অনেক স্মৃতির সমাবেশ। আগ্রহ জাগিয়ে দিল। সিরিজ অব্যহত রেখ।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
অনেক ধন্যবাদ। এমন মন্তব্য খুব কাজের। আমি সামান্য এডিট করলাম।
কথা সত্য। একাধিক জায়গার নামের কারণে চিঠিটা একটা চাপ তৈরি করেছে। একসময়কার পুরানো ঢাকার তরুন-তরুণীর গল্প। দেশে পড়ালেখা চুকিয়ে প্রেরক এবং প্রাপক একই সময়ে বিদেশে যায় পড়তে। প্রাপক স্পেনে এবং প্রেরক কিউবাতে। একসময় তাদের বিচ্ছেদ হয়। প্রাপক দেশে ফিরে আর্ট হিস্ট্রির শিক্ষকতা করে আর প্রেরক হ্যাভানার একটি কলেজে পেইন্টিংসের শিক্ষক। অনেক বছর পর এই চিঠি লেখা হয়।
স্মৃতির সমাবেশ তো বটেই। জীবনভর মানুষ স্মৃতিই বানায়। আমার এক বন্ধু বলে, মানুষ স্মৃতিবাহী প্রাণী। (সম্পাদিত)
আমার বন্ধুয়া বিহনে
সিরিজ অব্যহত থাকুক।
চলপে!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
বাব্বাহ, এতো দেখি উথাল্পাথাল, পুরা দুনিয়াময় ডেটিং কইরা বেড়াইছে, পয়সা আছে মনে হয় ম্যালা।
লেখাটা ভাল লেগেছে, বরাবরের মতই, তোমার গদ্য সুন্দর।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
হা হা হা ...
মজা পাইলাম কমেন্টে। আমারে পয়সা দেয় নাই দেইখা দুইজনরে দুই মহাদেশে পাঠাইয়া দিয়া তারপর দিলাম দ্য এন্ড টাইনা। ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
জম্পেশ লিখছো, বরাবরের মতোই।
আন্তর্জাতিক প্রেমিক হইতে মন চায়, ছ্যাকাই সই। 😛
জয় পরাজয় বড় কথা নয়, অংশগ্রহনই আসল 😛
ধন্যবাদ বস!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
কাম অন ড়াব্বী ভাই, মাঝে মাঝে দুয়েকটা খারাপ লিখাও লিখতে হয় :grr:
শান্তা আপার মন্তব্যে সহসম্মতি। এত জায়গার নাম ফলো করতে গিয়া উষ্ঠা খাইসি মাঝে মাঝে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসে নাম্বার যোগ করে দেখি এ প্লাস 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
যদ্যপি আমার গুরু শুড়িবাড়ী যায়, তথাপি তাহার নাম নিত্যানন্দ রায়।
জিহাদ ভাই বস পাবলিক 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
প্রিয় আকাশি,
গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পেয়েছি ...
(লেখাটা আগে পড়া হয় নাই বইলা মেজাজ খ্রাপ হইতেছে ... অসাধারণ লেখা)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ঐ
খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই
চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা ...
[ধন্যবাদ।]
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আগে এ লেখাটি চোখে পড়েনি কেন!
ঢাকা, এই ঢাকা, এমন আন্তর্জাতিকতাময় আর প্রাণবন্ত ঢাকা --- বস্তুত সৃষ্টিশীল মানুষ-মানুষীর চোখে তাদের নিজস্ব শহর --- এর কাছে কি আর কোন শহর দাঁড়াতে পারে?
শুধু মুগ্ধ বললে কম বলা হবে। এরকম প্রগাঢ় ওম যে লেখক তুলে আনতে পারছে হারানো প্রেমের পত্রে তার নিজস্ব প্রেমের ইতিহাস বেশ উর্বর হবার কথা বৈকি। ভুল বললাম? (সম্পাদিত)
নূপুরদা, ঢাকা আসলে অতুলনীয় আবেগে, জীবনাচরণে এবং ইতিহাসে। আমি নিশ্চিত সেই ঢাকার সাহিত্য মূল্য অপরিসীম। আপনার মুগ্ধতার আনন্দটুকু আমার বড় প্রাপ্তি।
লেখক অতি নগন্য, তার ইতিহাস সৃষ্টির সুযোগ কোথায় বলুন 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে