ভালবাসা খুব ছোট্ট একটা শব্দ কিন্তু কি অপরিসীম তার শক্তি,আসলেই অবাক হযে যায় মাঝে মাঝে।আসলে ভালবাসা ব্যাপারের আমার বিশেষ অ্যালারজি আছে।তাই এই বিষয়ে আমি বরাবর কম কথা বলে থাকি।কিন্তু সেদিন একটা ঘটনা শুনে খুবই বিচলিত হয়ে গেলাম আমার ভাসিটির একটা ছেলে আত্মহতা করেছে।আমি জানি ক্যাডেটরা খুব ইমোশনাল হয় আিম নিজেও তাই।আমাদের কারো সাথেও হতে পারে।আমি আশা করি আমার এই লেখাটা পড়ার পড়ে আমাদের কারো মনে যদি কোন লুকানো কষ্ট থাকে তা ধুযে মুছে যাবে শ্রাবেনের এই বারিধারায়।
আমি আসলে কাট্টখোট্টা বিঞ্জানের ছাত্র,পড়তিছি pharmacy তাহলে আগে দেখি সায়েন্স কি বলে আসলে ভালবাসা কি?
মেডিকাল বলে বালবাসা ব্যাপারটা খুব ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত ভিজুয়াল(visual) এবং মানসিক(pscycological) stimulation উপর এর মানে হচ্ছে কাউকে দেখে আমার ভাল লাগছে তাকে দেখলে অন্যরকম লাগে।আর এ কারণে আমরা একজন নিদিষ্ট মানুষকে দেখলেই আমরা ভালবাসা অনুভব করি।
আমরা কেন ভালবাসা অনুভব করি?
আমাদের শরীরে যত ধরনের অনুভূতি আছে,এগুলো আর কিছুই না একধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া।আমরা যখন কাউকে দেখি আমাদের অপটিকাল নার্ভ প্রথমে আমাদের ব্রেইনকে উত্তেজনা দেয় আমাদের নার্ভ তখন একধরনের রাসায়নিক রক্তে ছেড়ে দেয় যার নাম dopamine এটা একধরনের হরমোন।এটাই মূলত আমাদের ভালবাসার অনুভূতির জন্য দায়ী।মজার ব্যাপার হল আমরা সাধারণত মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পাবার জন্য যেসব ড্রাগ নেই যেমন হেরোইন,মরফেইন এগুলো ঠিক একই
ভাবে কাজ করে মানে আমাদের রক্তে dopamine হরমোন এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
বর্তমান এক পরীক্ষায় দেখা গেছে “ভালবাসা” আমাদের প্রচলিত এইসব নেশা উদ্রেককারী ড্রাগের ধেকে
অনেক শক্তিশালী।মানুষ ভালবাসার জন্য জীবন দেয় আবার নেয়।এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সারাবিশ্বে
আত্মহত্যার জন্য আসলে ভালবাসা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী।
আসলে ভালবাসার অনুভূতি কি প্রখর যারা ভালবাসা তারাই জানে,ভালবাসা ধংস করতে পারে তেমনি সর্র্ষ্টি করতে পারে।
তাহলে ভালবেসে কেন নিজের জীবনটা শেষ কির আমরা????
আসলে আমরা ভালবাসাটা কে খুব সীমাবদ্ধ একটা গন্ডির মধ্যে বন্দি করে ফেলি আমাদের কাছে ভালবাসা মানেই সেই নারী পুরুষের ভালবাসা।আর এখানেই আমাদের ভুল। আমরা ভালবাসা কে এভাবে সংঞ্জায়িত করিই বলো এক নারীর ভালবাসা হারিয়ে হয় দেবদাস হয়ে যায় অথবা রোমিওর মত বিষ খাই।
কিন্তু একটা কথা কি আমরা কখনও চিন্তা করেছি আমার বাবা ,মা ,বন্ধুরা আমাকে কত ভালবাসে আসলে আমরা এই ভালবাসা গুলোকে কখনো বোঝার চেষ্টাই করিনা।
একদিন আমার এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল ও আমাকে বলল ও যে মেয়েটাকে ভালবাসে তার জন্যও জীবন দিতে পারে।আিম বললাম কেন?ও বলল মেয়েটা আমাকে অসম্ভব ভালোবাসে।আমি বললাম মেয়েটার সাথে তোর কতদিনের পরিচয় ?ও বলল বছর দুয়েক।
আমি বললাম তাহলে তুই তোর মায়ের জন্য কি করবি ?
ও বলল কেন? আমি বললাম তোর মাতো তোকে বিশ বছর ধরে ভালবাসে।ও বলল হুট
আসলে নারী-পুরুষের ভালবাসার বাইরের ভালবাসা গুলো আমরা অনুভব করিনা।তাই কাউকে হারিয়ে আমরা ভাবি আমাদের জীবন থেকে বুঝি ভালবাসা হারিয়ে গেল।
আর একটা কবির কথা বলি কবি বলেন
there is nothing to be lose or gain in love
ভালবাসায় হারানোর কিছু নেই পাবার কিছু নেই।আমি একজনকে ভালবাসতেই পারি তার মানে এই না আমার পাশে তাকে পেতে হবে সারাটা জীবন।ভালবাসা কখনো সেই হয়না ।হয়ত নিজেদের মধ্যে হতে পারে অসীম দূরত্ব তাই বলে কি ভালবাসা কি শেষ হয়ে যাবে।না কখনোই না।
আমার নিজের কথা বলি আমি একজনকে ভালবাসি ছোট্ট বেলা থেকে ।পুতুর খেলেত খেলেত আমার কখন যে এক হয়ে গিয়েিছলাম আমরা কেউ জানিনা।আজ ও নেই বহুদিন ওকে দেখিনা।ওকে হািরয়ে ফেলার পর ভেবেছিলাম বেচে থেকে কি হেব?কতদিন গেছে হাতে ব্লেড নিয়ে বসে থেকেছি।আমার এক বড় ভাই আমাকে একদিন বললেন “মেয়েটার জন্য যে কোন কিছু করতে পারবি ?”
আমি বললাম”পারব”।ভাইয়া বললেন, দেখ ওই মেয়েটার জন্য বেচে থাক এমন একদিন আসেত পাের যেিদন হয়ত এর তোকে খুব দরকার হবে।তু্ই যদি এভাবে নিজেকে শেষ করে দিস.সেদিন কি হেব।
ভেবে দেখলাম একদম ঠিক কথা।আমি আজও বেচে আছি ওর জন্য জীবনে যদি ভালো কিছু করি তার পিছনে ওর অবদান থাকবে।
আসলে জীবনটা আনেক বড় আমাদের একটা জীবনের সাথে অনেক জীবন জড়িয়ে থাকে। ভারোবাসাটা একটা অনেক বড় গুণ সাবাই ভালোবাসতে পারেনা।বিধাতা সবাইকে ভালোবাসার ক্ষমতা দেননা।আম একজনকে অনেক ভালোবাসি,তাকে না পেলে জীবন দিয়ে দেবে এ চিন্তা করা একদম বোকার কাজ আর আমরা বোকানা।
আর সন্তানের জীবনে বাবা_মায়ের ভূমিকা অপিরিসীম।একমাত্র বাবা_মা পারে সন্তানের জীবনের অনেক কিছু পরিবর্তন করতে।আমার অনেক সিনিয়র হয়ত বাবা অথবা মা হয়ে গেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ সন্তানের বন্ধ হয়ে যান তাদের কস্ট গুলো জানার চেষ্টা করুন।
তাদের জন্য কিছু সময় দিন।তাহলে হয়ত আমাদের মাঝ থেকে কিছু সম্ভবনাময় জীবন অকালে ঝরে যাবেনা।
আমি আমার জীবন দিয়ে বুঝেছি ভারোবাসা এক শক্তি ।সবাই ভালোবাসার এই শক্তিকে অনুভব করুন ।
প্রথম লেখায় স্বাগতম। বেশ গভীর ফিলিংসের লেখা ভাল লাগল কিছু বানান ভুলে একটু হোঁচট খেলাম ঠিক করে দিও।
অট ব্লগের নিয়ম জান নিশ্চয়ই নতুন আসলে কিছু রিসিপশন আছে শুরু করে দাও।
তপু ডিক্লেয়ারা করেনাই। তাইলে কি আমি ফার্স্ট?
তপু, ব্লগের নিয়ম বলিস নাই কেন ক্লিয়ার করে? ভাইয়া, ১০টা :frontroll: দিতে হয় ফাস্ট লেখার পর। শুরু করে দাও। এডু স্যার দেখলে খবর আছে
মাত্র ১০ টা ! রবিন তুমি এইটা কি বল্লা? তুমি আর তপু পাঙ্গাইয়া আমারে দাও। আই উইল টেক কেয়ার অফ হিম।
:)) :))
ইয়েস প্লিজ ভাইয়া :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
প্রতিদিন কত কত যে রাসয়নিক রক্ত ছাড়ি গড নোজ..................... 😡 😡 😡
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:)) :))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
x-( x-( কবরী ভাবী কই?
করবী না হইয়া কবরী হইলে খারাপ হইত না...........(রাসয়িনক রক্ত ছাড়তাছে) 😡 😡 😡 😡 😡 😡 😡 😡 😡
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
ভালবাসা? সেইটা আবার কি জিনিষ :-/
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সামনে বিশাল লন, আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াইন সেলার, সাগরের পাশের দক্ষিণ মুখী বারান্দা ... ইত্যাদি ইত্যাদি যুক্ত বাড়ি :-B :-B :-B
আমারও তো তাইলে একটা লাগবো, আর ওয়াইন সেলারটা না হলেও চলবে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দিল্লীকা লাড্ডু বুঝছেন ভাইয়া খাইলেও পস্তাবেন না খাইলেও পস্তাবেন
সাদিক
প্রোফাইলে গিয়ে নাম-ঠিকানা বাংলা করে দাও। 🙂
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
সাদিক স্বাগতম। 🙂
ধন্যবাদ ভাইয়া
প্রেম্পিরিতি মাইন্সে করে? টাইম্নাই ... :chup:
আঙুর ফল টক :grr:
তোর বাসার পাশে থাকে যে, যার জন্য আই ইউ টি-তে থাকতে ইচ্ছা করতো না, তার কি খবর? 😉
একটা দিনও দেখি নাই আর 🙁 =(( =((
মনে হয় বাসা বদলাইয়া চইলা গেছে এই মাসে :(( :(( :((
:khekz: :khekz: :khekz:
আহারে !! ;;;
হি হি হি ছ্যাকা মাইসিন খাইছেন নাকি 😀 😀 😀 😀
স্বাগতম সাদিক। ফিলিংসের লেখা। 🙂
বানানগুলা একটু রিভিসান দিও। আমাদের সবারই কম বেশি ভুল হয় অবশ্য। 🙂
হুমম।
মনে হয় ২০০০-০৬ ব্যাচের এইটা ব্লগে প্রথম লেখা 🙂
ভালবাসা নিয়ে এত কাটাছেড়া? 🙁
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমরা বরাবরই একটু মুখচোরা প্রকৃতির
ছেলেটা প্রথম ব্লগ লিখেছে ভালোবাসার রসায়ন নিয়ে! নাহ্ ওরে পাঙ্গানো ঠিক হবে না :dreamy: । লিখতে থাকো ভাইয়া। না পাওয়া ভালো বাসা নিয়ে, আরো বড় ভালো বাসা নিয়ে :grr: :grr: :grr: । ১০টা :frontroll: জমা থাকলো আগামীর জন্য ........
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভালবাসা নিয়ে লেখাতো বড়ই কষ্টের কাজ চেষ্টা করব
স্বাগতম প্রথম লেখায় ... 🙂 লিখতে থাকো ...
লেখা ভাল লেগেছে, বানানগুলো ঠিক করে দিও।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবী।আমি তো নতুন আপনার নামটা অনকমন
বহুত ফিলিংস দিয়া লিখছ মনে হইতেছে 😀
ভালো ভালো। প্রথম লেখা দিছ প্রেম্পিরিতির উপ্রে... তাও আবার ভাবাভাবির বিয়াপার...
স্বাগতম... এই ব্যাচের প্রত্থম একটা ব্লগার পাইলাম...
লাগাও দেহি ফ্রন্ট্রোল :frontroll: :frontroll:
... এরপর চা আছে ;;;
ওই রকিব, তোর কর্মচারীগুলান কই? নাজমুল????
চা দে তোরা 😡
ওরে মাহমুইদ্যা-এইটা কিন্তু গাছ,আমার জাত ভাই।এর ডালপালায় হাত দেওনের আগে বুইঝা লইস-ল্যাম্ব রোস্ট ছুইটা যাইবার পারে কৈলাম x-(
কিরে জামাই, তুই কই ডুব দিছস?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
যাক!!! অবশেষে বহুত গুতাগুতির পর লেখা পাইলাম। সাদিক ভাই, ব্লগার হিসেবে স্বাগতম। নেন ব্লগের ট্রেডিশনাল রঙ চা (কন্ডেন্সড মিল্কের দাম বাইড়া গেছে)।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
স্বাগতম।
তাই কি?????
আমার তো তাই মনে হয় জানিনা বাকিরা কি ভাবে???????
স্বাগতম সাদিক।
রাসায়নিক ক্রিয়া যেহেতু, প্রতিশোধক টিকা তাইলে বাইর হইবো দুই এক দিনের মইধ্যে, কি কও? ;))
তখন কেউ বেশি প্রেম পিরিত করতে চাইলে (মাস্ফু টাইপ) ধইরা টিকা দিয়া দিলেই হইলো, খেল খতম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কেন ভাইয়া আপনি খেপলেন কেন হোক না একটু পাগল আপনাদের ও তো এই বয়স ছিল, আমাদের কেন টীকা খাইতে হবে।
টীকা খাওয়া শরীরের জন্য ভালতো। 😛
মাঝে মাঝে অকারনে চিমটি'র মত টীকা খেলে কিছু হয়না। 😉
দোয়া রাইখেন বাইর করূম একদিন
আমারতো মনে হয় বিক্রিয়ার জন্য অনুভূতি না বরং অনুভূতির জন্য বিক্রিয়া 😀
এনিওয়ে ব্লগে স্বাগতম ।
ভালো লাগলো একটি দিক তুলে ধরার জন্য সেটা হলো ভালোবাসা শব্দটি শুলনে নারী পুরুষের ভালোবাসার বৃত্ত থেকে আমরা বের হতে পারি না। একবার আমার কাছের এক ফ্রেন্ড আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় নারী ঘটিত বিষয়ে। তাকে সেই অবস্থা থেকে ডাক্তারের কাছে নেয়া দৌড়াদৌড়ি করা কোন একজনকে সে বলে বসল, তোরা আমার জন্য এত যে ভালোবাসা জমা করে রেখেছিস তার কোন মূল্য নেই আমার কাছে যদি ঐ মেয়েটিকে না পাই। কথা শুইনা পিডাইতে মন চাইছিল তারপরেও আমরা তো ওকে ফেলে দিতে পারি না।
যা হোক ব্লগে স্বাগতম ফার্মাসিস্ট। :frontroll: :frontroll: দিতে থাকো।
আমি নিজেও বন্ধু হারিয়েছি আসলে আমরা অসহায় বিধাতার বিধির কাছে
সাদিক ভাইইইইইইইইইইইই
কই গেলেন? খুইজা পাই না তো!!!!! :bash: :bash: :bash:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মনে হয় বেড়াতে গেছে। 😀
উনাকে অনলাইন দেখা যায়, কিন্তু কথা কয় না।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
না না ভাবী ঘুমাই গেছিলাম আমাকে তো বিশেষ কেউ বলে ঘুমকুমার :)) :)) :))