খুশি খুশি পোস্ট – এসি মিলান ২০১০-১১

ইউরোপীয়ান ফুটবলের ট্রান্সফার সামার শেষ হচ্ছে আজ, ক্লাবগুলোর শেষ মুহুর্তের দৌড়াদৌড়ি দেখে বেশ মজাই লাগছে। কত প্ল্যান, শেষ বেলায় প্লেয়ার ধরার চেস্টা, না হলে হয়ত যা আছে তাই দিয়েই বছর শেষ করতে হবে।

অনেকখন ধরেই গোল ডট কমের লাইভ ট্রান্সভার নিউজ পেজ খুলে বসে আছি, দেখি না আর বড় কোন বেচাকেনা হয় কি না।

এই সামারে সব ক্লাবের প্লেয়ার কেনাবেচা দেখে আর আমার ক্লাব এসি মিলানের ঘুম দেখে মুডটাই অফ ছিল কয়দিন, গত ২-৩ দিন মিলান যা দেখালো আমি এবার ডিস্টিং ডিস্টিং করতে করতে উঠে গিয়েছি। সামনে ফিফা ১১ আর ফুটবল ম্যানেজার ১১ গেমদুইটা আসতেছে, আমি তো আজ রাত থেকেই প্ল্যান করা শুরু করলাম কি করব আর না করব।

যাই হোক, মনের খুশীতে লেখা পোস্ট, লাফাতে লাফাতে যা মনে হয় তাই লিখে গেলাম। এখানেই শেষ করে দিলে হয়, তবে এসি মিলান ২০১০-২০১১ কে সবার সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ মিস করা ঠিক না।

এটাকিং সাইডে মিলানকে এবার বলা হচ্ছে ইউরোপের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দল, একমাত্র বার্সেলোনা বা রিয়াল মাদ্রিদই পারবে কাগজে কলমে পাল্লা দিতে। বরং মিলানের এই অ্যাটাক বেশী কমপ্লিট, স্কিল আছে, পেস আছে, ক্রিয়েটিভিটি আছে, আর কিছু সিউর সাকসেস প্রুভেন পারফর্মার আছে। সাধারনত ৪-৩-৩ এ খেলে মিলান, কিন্তু যখন দেখবেন এই ৩ টা স্ট্রাইকার পজিশনের জন্য আপনার হাতে আছে ইব্রাহিমোভিচ, রবিনহো, রোনাল্ডিনহো আর পাতো, মুখে হাসি না এসে পারে না।

পাতো আর রোনাল্ডিনহো আগে থেকেই আছে মিলানে, এই সিজনের শুরুতেই দেখিয়ে দিয়েছে ফর্ম নিয়ে টেনশন না করতে। রবিনহো আর ইব্রাহিমোভিচ নতুন অ্যাডিশন, বিশ্বকাপের খেলা রবিনহো মিলানে খেললেই কাজ হবে। আর ইব্রা ইজ ব্যাক টু হিজ সিটি এগেইন, খারাপ খেলার কারন তো দেখছি না কোন।

আমার ধারনা ইব্রা সামনে স্পট স্ট্রাইকার হিসেবে থাকবে, সাথে ডান দিকে পাতো আর বামে রোনাল্ডিনহো কিংবা রবিনহো নিচ থেকে বল নেয়া থেকে উইং সাপোর্ট আর সাথে নিজে গোল করা, সবই করতে পারবে। হান্টেলার আর বরিয়েল্লো আজ ক্লাব থেকে চলে গেলেও ব্যাকআপ হিসেবে পিপ্পো ইনজাঘি আছে, তরুন ওডামাডি আর ভার্ডিও একেবারে খারাপ না। আডিয়াহ এই সিজন লোনে খেলবে রেজিনাতে, নেকস্ট সিজনে আরেকটা এক্সপ্লোসিভ স্ট্রাইকার যোগ হবে তাই মিলানে।

মিডফিল্ডও একেবারে ফেলনা না, যদিও মেইন সমস্যা আছে প্লেয়ারদের বয়স দিয়ে যারা হয়ত সপ্তাহে ২টা ফুল ম্যাচ খেলার লোড নিতে পারবে না। প্লেমেকার হিসেবে পিরলো তো আছে, হোল্ডিং মিডে এবার মনেহয় ফ্ল্যামিনি প্রথম থেকেই স্টার্টিং ইলেভেনে থাকবে, মারাত্বক স্ট্যামিনা ফ্ল্যামিনির। অ্যামব্রোসিনি আর গাত্তুসোর বয়স আর স্ট্যামিনা নিয়ে প্রবলেম আছে, তবে মিলানের নতুন কোচের সিস্টেমটা ভালো লেগেছে আমার – অ্যামব্রোকে ৫০-৬০ মিনিট খেলিয়ে পরে ফ্রেস গাত্তুসোকে নামানো, কাজে লাগলেও লাগতে পারে। আর যারা আছে মিডফিল্ডে তারাও বেশ কাজের, যেমন, ঘানার ওয়ার্ল্ড কাপ হিরো কেভিন প্রিন্স বোয়েটাং (পেস আর স্ট্যামিনা), সিডর্ফ (এক্সপেরিএন্স আর সেন্ট্রাল মিড থেকে অ্যাটাকিং মিড সবজায়গাতেই খেলতে পারে), উইঙ্গার আবাতে, তরুন রডনি স্ট্র্যাসার আর সাথে মার্কেল আছে। প্রি সিজনে মার্কেল বেশ ঝলক দেখিয়েছে এর মধ্যেই, ২-১ সিজনের মধ্যেই নামকরা প্লেয়ার হতে পারবে।

ডিফেন্সের অবস্থাই সবচেয়ে করুন, আর একমাত্র এই জন্যই মিলানের খবর খারাপ হয়ে যেতে পারে। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে পার্টনার হিসেবে নেস্তা আর থিয়াগো সিলভা ওয়ার্ল্ড ক্লাস, কিন্তু নেস্তা প্রতি বছর অর্ধেক থাকে ইনজুরিতে আর তখন থিয়াগো সিলভা একা কাভার করতে পারে না। সেন্ট্রালে আরও আছে ইউএসএর ওনেইউ, এই যা ভরসা কারন বেশ ভালো খেলে। বনেরা এখনো তার পটেনশিয়াল ধরতে পারে নাই, আর বয়স্ক মারিও ইয়েপেস আহামরি কি করতে পারবে সন্দেহ আছে।

উইং ব্যাকের অবস্থা তো আরো খারাপ। ডানে জামব্রোত্তা আর বামে জাঙ্কুলোভস্কির পীক টাইম পার হয়ে গেছে অনেক আগেই, পেসও নাই আর, এখন এদেরকে খেলতে দেখলে অপোনেন্ট স্ট্রাইকাররা বেশ খুশিই হয়। এদের ব্যাকআপ হিসেবে এবার নেয়া হয়েছে পাপাস্তাথোপোলুসকে, এক ম্যাচ ভালো খেলার পর নেক্সট কবে আবার ভালো খেলবে বের করার জন্য গ্রহ-নক্ষত্র দেখানো লাগে। মাসিমো ওডো আছে, খেলতে দেখলেই কমেডী শুরু হয়ে যায় মাঠে। লুকা অ্যান্টোনিনিও আছে, প্রতিভা থাকলেও মিলানের মত ক্লাবে খেলার জন্য যে ম্যাচিওরিটি লাগে তা এখনো আসে নাই।

আগের দুই প্যারাতে খারাপ অবস্থা লেখার পর ভালো কিছু দিয়ে শেষ করি, সেটা হল গোলকীপিং। অ্যামেলিয়া আর আব্বিয়াতি দুজনেই বিশ্বমানের কীপার, প্রবলেম হবে বলে মনে হয় না। বিপদে পড়লেও ব্যাকআপে ফ্লাভিও রোমা আছে, সেও ভালো।

বেশ সময় লাগলো লেখাটা শেষ করতে। জায়ান্ট ক্লাবদের নিয়ে এক এক করে সিজন প্রিভিও লেখার ইচ্ছা আছে, দেখি স্ট্যামিনা থাকে কি না।

একটু অফটপিক নিয়ে কথা বলি, এর আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম আমি স্রেমাটিক এক্স ব্যান্ড আর তাদের নতুন এলবামের প্রমোশন নিয়ে, মডারেশনের ধাক্কায় বাদ পরেছে। সমস্যা নাই, কিন্তু আমি আসলে কনফিউজড হয়ে গেলাম ঠিক কোন কারনে বাদ গেলো। ঢাকা বেইজড আন্ডারগ্রাউন্ড মিউজিক নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল, শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে গেলাম।

যাই হোক, ঐ লেখার আর একটা ব্যাকআপ কপি আছে আমার কাছে, এখানেই দিয়ে দিলাম। ক্লিক দিস লিঙ্ক।

৩,৩৬৬ বার দেখা হয়েছে

৩৯ টি মন্তব্য : “খুশি খুশি পোস্ট – এসি মিলান ২০১০-১১”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আমি অনেক আশা নিয়ে বিবিসি'র ট্রান্সফার ডেটলাইন ডে'র লাইভ কমেন্ট্রি ফলো করছিলাম, কিন্তু প্রতিবারের মত হতাশ করে ওয়েঙ্গার ঘুমিয়েই থাকলো। অন্তত একজন গোলকিপার জোগাড় করা রীতিমত ফরজ ছিল ওয়েঙ্গারের জন্য, আলমুনিয়াকে নিয়ে কোন ট্রফি মোটামোটি অসম্ভবের কাছাকাছি

    পুরো ইটালিয়ান ফুটবলের প্রতি আমার একটা নেগেটিভ মনোভাব আছে, পছন্দ হয় না, তার পরেও এদের মধ্যে মিলানকেই সাপোর্ট করি। দেখা যাক এবার এরা কি করতে পারে।

    সিজন প্রিভিউয়ের অপেক্ষায় থাকলাম...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

      আহসান স্যার,ইতালীয়ান লিগের প্রতি নেগেটিভে একটা ধারনা কিন্তু অনেকেরি আছে,যেহেতু তারা রক্ষনাত্নক ফুটবল খেলে,কিন্তু দেখেন ইতালীয়ান লীগ কিন্তু অনেক ক্রিয়াটিভ খেলোয়াড় দিয়েছে আর ইতালীয়ান লিগের অনেক প্লেয়ারই ফিফা প্লেয়ার অফ দি ইয়ার হয়েছে।যেখানে ইংলিশ লীগের একমাত্র প্রতিনিধি ক্রিশ্চিয়ান রোনাল্ডো ২০০৮ এ।আমি মনে করি এই নেগেটিভ ধারনা হওয়া উচিত ইংলিশ ফুটবল নিয়ে।
      ইংলিশ লীগ আসলে চলে মিডিয়া দিয়ে,ওদের যেসব ভাল প্লেয়ার আছে সিংহ ভাগই ভিন দেশী।আর যেসব ইংলিশ প্লেয়ারপদের নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া এত সরব,তারা '৬৬এর পর থেকে প্রমান করে আসছে যে তারা কাগুজে বাঘ।
      একটা জাতীয় দল সাধারনত তৈরি হয় সে দেশের ক্লাব টিমের সেরা পেয়ারদের নিয়ে(কিছু ব্যতিক্রম আছে)।ফলে জাতীয় দলের হয়ে প্রতি বছর এরকম ফ্লপ করা মানে সেই দেশের লীগের প্রতি একতা বড় প্রশ্ন যে তারা এই লীগকে বিশ্বের সেরা লীগ বলছে,এই লীগের প্লেয়ারদের বিশ্বের সেরা প্লেয়ার বলছে,তার প্রমান কই?না পারছে রেজাল্ট আনতে,না পারছে সুন্দর খেলা দেখাতে।না আছে ওদের কোনো বিশ্বমানের ক্রিয়েটিভ /এটাকিং মিডফিল্ডার,যে কিছু অসাধারন ডিফেন্স চেরা পাস দিবে।বেশির ভাগ আক্রমন হয় অনেকটা একই রকম ভাবে,উইং দিয়ে।এরকম একটা কাগজে কলমের সেরা খেলোয়ার নিয়ে যে লীগ হয় তাদের আমি কিভাবে সেরা বলব?তবে কিছু প্লেয়ার আছে,যাদের সংখ্যাটা খুব কম,তারা আসলেই ভাল খেলোয়ার।কিন্তু ব্রিটিশ মিডিয়া তাদের লীগ নিয়ে যত মাতামাতি করে ,সে তুলনায় সংখ্যাটা অনেক অনেক কম।
      সে তুলনায় সিরি আ ভাল।সিরি আ থেকে '৯১,'৯২,'৯৩,'৯৫,'৯৭,'৯৮,২০০০,২০০২(রোনালদো পরে মাদ্রিদে চলে আসে),২০০৬(ক্যানাভারোও তাই),২০০৭ এ ফিফা প্লেয়ার অফ দি ইয়ার হয়েছে,একমাত্র লা লিগারই এদের সাথে তুলনা হতে পারে।
      ওদের ক্লাব গুলিও চলে বিদেশী দিয়ে,নিজেদের কোনো ভাল কোচ নাই,ম্যান ইউর কোচ স্কটিশ,চেলসীর কোচ ইতালীয়ান,আর্সেনালের কোচ ফ্রেঞ্চ।
      এ পর্যন্ত ওরা চ্যাম্পিয়ন্স লীগও জিতেছে ইতালী/স্পেন থেকে কম,ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে ব্রিটিশরা যত গর্জে,তত বর্ষে না।

      জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        আমি ইংলিশকে সেরা বলেছি সম্পূর্ন একজন দর্শক এবং বাংলাদেশি দর্শকের দৃষ্টিকোন থেকে। ওভারঅল ফুটবলের মানের দিক থেকে ইংলিশ লীগ সেরা কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ থাকতে পারে, তবে এক্সাইটমেন্ট, কম্পিটিভনেস আর প্যাসন এ গুলোর দিক থেকে ইংলিশ লীগকে আমি এগিয়েই রাখবো আর আমি মনে করি এগুলোই ফুটবলের প্রাণ।

        ১। আমি ইংলিশ নই যে প্রিমিয়ার লীগ ইংল্যান্ড জাতীয় দলকে কতটুকু উপকার করলো সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবো, আমি শুধু লীগ দেখে কতটুকু তৃপ্তি পেলাম সেটা নিয়েই চিন্তিত।
        ২। একই কারনে ইংলিশ লীগে কতজন ইংলিশ প্লেয়ার খেলে আর কতজন বিদেশি খেলোয়ার খেলে সেটা আমার কনসার্ন না, আমি বরং বিদেশি প্লেয়ার বেশি খেললেই দর্শক হিসেবে লাভবান হবো।
        ৩। ইংলিশ মিডিয়া হাইপ বেশি এটা অনস্বিকার্য, তবে লীগের কথা চিন্তা করলে জেরার্ড, ল্যাপার্ড, রুনি তাদের দলকে যে পরিমানে সার্ভিস দিচ্ছে সে হিসেবে তারা মিডিয়া এটেনশন দাবী করতেই পারে। এরা কিন্তু শুধু ইংলিশ লীগে নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও সেরাটাই দিচ্ছে।
        ৪। ইংল্যান্ড জাতীয় দল সবসময়ই ব্যর্থ, সেটা পুরো ইংল্যান্ডের ফুটবল সিস্টেমের ব্যর্থতা। তবে সেটা ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর সাফল্যের মাপকাঠি হওয়া মনে হয় ঠিক নয়। তাহলে ব্রাজিলের লীগকে বিনা শর্তে বিশ্বের সেরা লীগ মেনে নিতে হতো। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর চ্যাম্পিয়ন্স লীগ হাতে কলমে প্রমান করবে কারা শক্তিশালী। সেক্ষেত্রে গত ৪/৫ বছরে ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর ফলাফলই তাদের সামর্থ প্রমান করে। স্পেন ওয়ার্ল্ড কাপ + ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন মানে এই না যে রিয়াল মাদ্রিদ বর্তমানে চেলসি বা ম্যান ইউ থেকে সফল দল।

        ৫। বিদেশি কোচের ব্যাপারেও একই কথা, লীগের এক্সাইটমেন্ট কোন ভাবেই এর দ্বারা এফেক্টেড নয়। বছরের পর বছর ব্যর্থতার পরে রিয়াল ও তো সেই বিদেশি কোচের কাছেই গেল।

        ৬। খেলা এবং খেলোয়ারের মান অবশ্যই লীগের জনপ্রিয়তার একটা মাপকাঠি, তবে একমাত্র নয়। তাহলে বিশ্ব একাদশের প্রদর্শনী ম্যাচ হতো সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। একটা লীগ বলতে শুধু প্রধান দুটো বা তিনটি টিম বোঝায় না, পুরো ২০ টা দলকেই বোঝায়, এদের মাঝে প্রতিদ্বন্দিতাপূর্নতাকে বোঝায়। অন্য লীগগুলর তুলনায় ইংলিশ লীগের প্রতিটি স্তরে প্রতিদ্বন্দিতা বেশি।

        ৭। ব্রিটিশ মিডিয়ার মাতামাতি অবশ্যই বেশি, সেটার কারনে ইংলিশ লীগ নিয়ে মাতামাতিটা বেশি আর লীগের সাথে আমার মত সাধারন দর্শকদের আগ্রহটা বেশি। কারন এর কারনে লীগ শুধু ৯০ মিনিটের ফুটবল ম্যাচের ভিতরে আবদ্ধ থাকছে না। ফুটবল, ফুটবলার এ সম্পর্কে আমি প্রায় সব কিছুই জানতে পারছি। শুধু শনি, রবি বা সোমবার নয়, সপ্তাহের সাত দিনই আমি ইংলিশ লীগ নিয়ে ব্যস্ত থাকছি।
        ৮। ইংলিশ লীগে খেলা গুলো হয়ত ব্যকরনগত ভাবে অন্য লীগের খেলা থেকে পিছিয়ে থাকবে, কিন্তু ব্যকরন আমার প্রিয় বিষয় নয়। এর থেকে ইংলিশ লীগের এন্ড টু এন্ড ওপেন পজেটিভ খেলা আমাকে বেশি টানে।

        স্বীকার করতে দোষ নেই ইংলিশ লীগ আমি অন্য লীগ গুলো হতে বেশি দেখি, সেকারনে হয়ত সেগুলোর অনেক ভাল জিনিষও আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। তোমার আগের কমেন্টে উল্লেখ করা গুলো বাদে যদি অন্য কিছু থাকে তাহলে বলতে পারো, দেখার চেষ্টা করব।
        অনেক বড় কমেন্ট হয়ে গেল, শেষ করছি অফটপিক একটা উধাহরন দিয়ে... ২০/২০ টুর্নামেন্ট গুলোর মধ্যে মানের দিক থেকে নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার ২০/২০ লীগ সবচেয়ে সেরা, কিন্তু জনপ্রিয় কি? আমাদের মত সাধারন দর্শক কোনটা দেখে বেশি আনন্দ পায়, আইপিএল নাকি অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ? ( ইটালিয়ান লীগের দর্শক সংখ্যা ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশীপ থেকেও কম)

        এসবই আমার ব্যক্তিগত মতামত, ইংলিশ লীগ কেন আমার কাছে সেরা মনে সেগুলো শুধু উল্লেখ করলাম, তবে তার মানেই ইংলিশ লীগ সার্বজনিন ভাবে সেরা হয়ে যায় নি।


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
        • মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

          স্যার,বাংলাদেশী দর্শকের দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে ইংলিশ লীগকে আপনার সেরা মনে হবে,কারন আমাদের মিডিয়া ব্রিটিশ ও তাদের দোস্ত ইউ এস মিডিয়া দিয়ে চরম প্রভাবান্বিত।এ কারনে আমাদের দেশে যারা ফুটবলের খবর রাখে তারা সবাই ইংলিশ লীগের খবর রাখে।২০০ বছর এই অঞ্চলে থেকে, লুটপাট করে খেয়ে গিয়েছে,তাদের একটা প্রভাব তো থাকবেই(ব্রাজিলের ভাষা কিন্তু এখনো পর্তুগীজ)।
          এক্সাইটমেন্ট, কম্পিটিভনেস আর প্যাসন নিয়ে আমার একটু ভিন্ন মত আছে,আমার মতে এদিক দিয়ে লা লীগা এগিয়ে।তবে এটা আমার ব্যক্তিগত ধারনা।ইয়াহু স্পোর্টস এর ফলাফলও তাই বলেঃ http://sports.yahoo.com/soccer/news?slug=ro-topleagues091907
          ১।ম্যান ইউ,চেলসী,লিভারপুল,আর্সেনালের খেলা মাঝে মাঝে আমিও দেখি,আপনার মতই আমিও স্যার জাস্ট ফুটবল উপভোগ করি, ইংল্যান্ড জাতীয় দল নিয়ে চিন্তা করি না,কিন্তু ওদের মিডিয়া ওদের প্লেয়ারদের বিশ্বসেরা বলে দাবী করে,সেখানে আমার আপত্তি।
          ২।ইংলিশ লীগে কতজন বিদেশী খেলে,সেটা স্যার ব্যাপার না,ব্যাপারটা হল তাদের যে দাবী,সেটা নিয়ে।আর তাদের দাবীর সাথে প্রায় সহমত অনেক এশিয়ান দেশ নিয়ে,তারা সবাই মেনে নেয় যে ইংলীশ লীগই সেরা।আমি লা লীগা নিয়মিত দেখি,সিরি আ আর বিপিএল কিছু দেখি(আগে শুধু বিপিএল দেখতাম,তখন বুঝতাম না),ফলে তুলনামূলক ভাবে আমার কাছে লা লীগাকেই বেস্ট মনে হয়।
          ৩।জেরার্ড, ল্যাপার্ড, রুনি তাদের ক্লাব টীমকে অনেক ভাল সার্ভিস দিলেও জাতীয় দলে ফ্লপ,সেটা ব্রিটিশ মিডিয়া স্বীকার করতে চায় না।তবে এটা ঠিক যে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও ভাল খেলে,কিন্তু গত '৯২ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইংলিশ টীম গুলি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাত্র ৩ বারঃ http://champions-league.betting-directory.com/past-winners.php
          ৪। স্যার,আমি কিন্তু বলেছিলাম "একটা জাতীয় দল 'সাধারনত' তৈরি হয় সে দেশের ক্লাব টিমের সেরা পেয়ারদের নিয়ে(কিছু ব্যতিক্রম আছে)।" ব্রাজিল/আর্জেন্টিনা/ল্যাটিন কিছু দেশকে তো স্যার ঐ 'সাধারনত' পার্টির মধ্যে ফেলা যাবে না,কারন ওদের ব্যাপারটা পুরাপুরি আলাদা।
          গত ৫ বছরের ফলাফল কিন্তু ইংলিশ ক্লাবগুলির পক্ষে কথা বলে না স্যার,গত ৫ বছরে মাত্র একবার চ্যাম্পিয়ন তারা।আর দুই বার ইতালীয়ান,দুই বার স্পানিশ টীম চ্যাম্পিয়নঃhttp://champions-league.betting-directory.com/past-winners.php
          রিয়াল মাদ্রিদ বর্তমানে চেলসি বা ম্যান ইউ থেকে সফল দল না হলেও বার্সা ও ইন্টার নিঃসন্দেহে বর্তমানে চেলসি বা ম্যান ইউ থেকে সফল দল।
          ৫।"বিদেশি কোচের ব্যাপারেও একই কথা, লীগের এক্সাইটমেন্ট কোন ভাবেই এর দ্বারা এফেক্টেড নয়" আমি একমত।
          "বছরের পর বছর ব্যর্থতার পরে রিয়াল ও তো সেই বিদেশি কোচের কাছেই গেল।"বছরের পর বছর ব্যর্থতা না, রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম কোচই ছিল ইংরেজ,নিজেদের ইগো কখনোই স্পেনিশ টীম/মিডিয়া গুলি অন্যদের কাছে প্রকাশ করে নি।যেটা ইংলীশ মিডিয়া নিয়মিত করে থাকে যেমন এরিকসন কোচ হবার পর আলোচনা হয়েছিল যে কেন ভিনদেশী কোচ দেয়া হল?
          ৬।ইংলিশ লীগের স্তরগুলির মধ্যকার প্রতিদন্দ্বীতা স্পেনিশ/ইতালী থেকে ভাল আমার কাছে মনে হয় না,পরিসংখ্যান তাই বলে। সব স্তর এখানে দেয়া সম্ভব না,কিন্তু প্রধান প্রধান গুলির পয়েন্ট দিচ্ছিঃ'০৪-০৫ এ চেলসী-আরসেনাল-ম্যান ইউ=৯৫-৮৩-৭৭।'০৫-০৬ এ চেলসী-ম্যান ইউ-লিভ=৯১-৮৩-৮২। '০৬-০৭ এ ম্যান ইউ-চেলসী-লিভ=৮৯-৮৩-৬৮!!! '০৭-'০৮ এ ম্যান ইউ-চেলসী-আর্সেনাল=৮৭-৮৫-৮৩।'০৮-'০৯ এ ম্যান ইউ-লিভ-চেলসী=৯০-৮৬-৮৩।'০৯-'১০ এ চেলসী-ম্যান ইউ-আর্সেনাল ৮৬-৮৫-৭৫।তাই "অন্য লীগগুলর তুলনায় ইংলিশ লীগের প্রতিটি স্তরে প্রতিদ্বন্দিতা বেশি" এ কথায় আমার আপত্তি আছে।আমার মতে একই রকম।

          জবাব দিন
          • মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

            ৭।ইতালী ও স্পেনেও কিন্তু ফুটবল ম্যাচ/লীগ শুধু ৯০ মিনিটের ফুটবল ম্যাচের ভিতরে আবদ্ধ থাকছে না,এটার সাথে তাদের সংস্কৃতি,ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে।ইন্টার বনাম মিলান,রিয়াল বনাম বার্সা,রিয়াল বনাম এ্যাথেলেটিকো (আরো আছে এরকম)ইত্যাদি ম্যাচ গুলি দেখলে বোঝা যায়।
            আমাদের দেশে ব্রিটিশ মিডিয়ার প্রভাবের কারনেই আমরা ওদের সম্পর্কে এতো বেশি জানতে পারছি,কিন্তু আমরা যদি নরমাল ফ্লো তে না গিয়ে জি স্পোর্টস,টেন স্পোর্টস,সুপার স্পোর্টস দেখা শুরু করি,তাহলে হয়ত লা লীগা/সিরি আ নিয়েও এরকম জানতে পারব।
            ৮।এই ব্যাপারটা যার যার ব্যক্তিগত,যার যেটা ভাল লাগবে সে তো সেটাই দেখবে।আমিও স্যার ইংলিশ লীগ দেখি, তবে মাঝে মাঝে(বিশেষ ভাবে বিগ ম্যাচ থাকলে)।

            জবাব দিন
          • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

            বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ইংলিশ ফুটবলের খোঁজ রাখার পেছনে সবচেয়ে বড় কারন মনে হয় টাইমিং। সন্ধ্যার পরে সারাদিনের কাজ শেষে যখন টিভির সামনে বসার সময় হয় তখনই খেলাগুলো হয়, একে বারে পারফেক্ট টাইমিং। সেখানে স্প্যানীশ লীগের খেলা দেখতে হলে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে হয়। আর তারপর হলো ইএসপিএন স্টার এর কভারেজ। লাইভ খেলা ছাড়াও সপ্তাহ জুড়ে প্রিমিয়ার লীগের উপরে প্রোগ্রাম হয়, সেখানে অন্যান্য লীগের খেলা দেখাই দায়, সুপার স্পোর্টস যেটা আবার অবৈধ এবং অনেক ক্ষেত্রে দুঃস্পাপ্য ছাড়া কোন গতি নেই। আর ২০০ বছর শাষনের প্রভাব থেকে গেলে মনে হয় বিশ্বকাপের সময় দেশে শুধু ইংল্যান্ডের পতাকাই উড়তো।

            ১। মিডিয়া ইংলিশ প্লেয়ারদের বিশ্ব সেরা দাবি করায় আমারো আপত্তি আছে তবে সে কারনে ইংলিশের আকর্ষনের কোন কমতি ঘাটতি হচ্ছে বলে মনে হয় না।

            ২। ইংলিশরা কি দাবি করলো সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। লা লিগা আমিও নিয়মিত দেখি, এখানে পছন্দ পুরোপুরি ব্যক্তিগত পর্যায়ে, তুলনা করা কঠিন, আমার কাছে ইংলিশ লীগের খেলা বেশি এক্সাইটিং মনে হয়েছে, বিশেষ করে দুই লীগের মিড টেবিল বা রেলিগেশন ব্যাটল তুলনা করলে।

            ৩। আবারো বলছি, ব্রিটিশ মিডিয়ার দাবীর সাথে আমি নিজেই একমত নই আর সেটা লীগের আকর্ষনের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব রাখে বলে মনে হয় না। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ট্রফি হয়তো ঘরে তুলতে পারে নি তবে গত ৫ বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে পরিষ্কার প্রাধান্য ইংলিশ ক্লাবগুলোর যেটা আগেই বলেছিলাম। গত ৫ বছরের ২০ সেমিফাইনালিস্ট এর মধ্যে ১০ টি ইংল্যান্ডের। স্পেনের ৫, ইটালির ৩, জার্মানী আর ফ্রান্সের ১টি করে।

            ৪। আমি বলতে চেয়েছি জাতীয় দলের ফলাফল কোন দেশের ক্লাবের সামর্থ্য বা তার আকর্ষনের মাপকাঠি হতে পারে না। ব্রাজিলের উদাহরন না দিয়ে দু বছর আগে হয়ত স্পেনের উদাহরন ও দেয়া যেত বা এখনও দেয়া যায়, বিশ্ব শিরোপা জিততে তাদের কত বছর লেগে গেল। সংখ্যার হিসেবেও কিন্তু এখন ইংল্যান্ড আর স্পেনের বিশ্বকাপ শিরোপা সমান। তবে আবারো বলছি, জাতীয় দলের সাফল্য হয়তো কোন দেশের টোটাল ফুটবল স্ট্রাকচার, সিস্টেমের মান ঠিক করে তবে তার ঘরোয়া লীগের আকর্ষন নয়।

            ৫। আবারো মিডিয়া... এব্যাপারে কোন কমেন্ট নেই। আমি কোচের ব্যাপারে বলেছিলাম এই কথার প্রেক্ষিতে

            ওদের ক্লাব গুলিও চলে বিদেশী দিয়ে,নিজেদের কোনো ভাল কোচ নাই,ম্যান ইউর কোচ স্কটিশ,চেলসীর কোচ ইতালীয়ান,আর্সেনালের কোচ ফ্রেঞ্চ।

            ৬। লীগ টেবিল দেখতে গিয়ে পয়েন্টের হিসেবে এটা মেনে নিলাম, অনেক ক্ষেত্রে স্প্যানীশ লীগ ইংলিশ থেকেও ক্লোজ। তবে স্প্যানীশ লীগের অবস্থা স্কটিশ লীগের মত হয়ে গিয়েছে, সেলটেক আর রেঞ্জার্সের মত শুধুই বার্সা আর রিয়াল।
            ৭। আমি যতক্ষন টিভি দেখি তার ৬০% মনে হয় সুপার স্পোর্টস এ ব্যয় হয় ( আর বেশি হতে পারে, কারন খেলা দেখা ছাড়া টিভি দেখাই হয় না)। ইংলিশ ফুটবল সম্পর্কে এত জানার কারন অবশ্যই মিডিয়াতে এর সহজলভ্যতা সেটা আগেই বলেছি। আর একদম রুট লেভেল পর্যন্ত খবর পাবার কারনে অন ফিল্ড ঘটনার বাইরে অনেক অফ ফিল্ড ঘটনাও ইংলিশ লীগের প্রতি মনযোগ বাড়াচ্ছে। মিডিয়ার বাড়াবাড়ি আছে সেটা কোনভাবেই অস্বিকার করছি না, তবে এই বাড়াবাড়িতে আমি লাভবানই হচ্ছি, ফুটবলকে আমার আর কাছে নিয়ে আসছে। আর দর্শক হিসেবে ইংল্যান্ডের ফুটবল দর্শকরা যে অতিরিক্ত ফ্যানাটিক সেটা বিশ্ব বিদিত। ওদের চ্যাম্পিয়নশীপ (২য় বিভাগ) এর দর্শক সংখ্যা সারা বিশ্বে ৪র্থ, ইতালির সিরি আ এর ও আগে।

            পুরো ২০ শতকের ক্লাব ফুটব সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনাই নেই, গত মাত্র ১১ বছর ধরে ক্লাব ফুটবল দেখছি তাতে ইংলিশ দেখেই বেশি আনন্দ পেয়েছি, আর্সেনালকে সাপোর্ট করেছি, জানিনা ওরা ঐ লিস্টে ২০ এর মাঝেও আছে কিনা 😛

            আসলে যুক্তি তর্ক দিয়ে ভাল লাগা বদলানো যায় না, যেমন হাজার যুক্তি দিয়েও ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার সমর্থকদেরকে দল বদলে দেয়া যাবে না। শুধু তোমার দেখানো ইংলিশ ফুটবলের দূর্বলতাগুলো একটু খতিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম।


            আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
            আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

            জবাব দিন
            • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

              অনেকদিন পরে ফুটবল নিয়ে এরকম প্যাচাল পাড়লাম... এর জন্য মাহমুদ তোমাকে ধন্যবাদ। ফুটবল নিয়ে প্যাচাল পাড়ার শান্তিই আলাদা 🙂


              আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
              আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

              জবাব দিন
              • রিফাত (২০০২-২০০৮)

                জি ভাই,...আমি ও প্যাচাল পইড়া অনেক শান্তি পাইলাম.....আমার মনে হয় ইংলিশ লিগ এর জনপ্রিয়তার কারণ....এদের প্রতিদ্বন্দিতা..খেলার গতি ..দর্শক.. .এখন আর ও জমতেছে টটেনহাম,ম্যানচেস্টার সিটি.এস্টন ভিলা এদের চ্যাম্পিয়নস লিগ এ জায়গা পাওয়ার লড়াই এর কারণে ...আর লা লিগায় বার্সা রিয়াল ছাড়া কোনো ফাইটিং নাই...গত সিজনের পয়েন্ট তালিকা তার প্রমান....সিরি আ তেও ইন্টার এর আধিপত্য অন্যরা তেমন ফাইট দিতে পারে না..গত সিজনে অবস্য রোমা কিছুটা দিছিল...দেখা যাক এবার মিলান পারে কি না...!

                জবাব দিন
              • মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

                স্যার,পুরা বি ও কিউ তে আমি ছাড়া আর কোনো ফুটবল প্রেমিক নাই,কেউ কোনো খবর রাখে না,তাই কথা বলে মজা পাই না।আফসোস...
                একটা ব্যাপার খেয়াল করছেন,ল্যাটিন দেশগুলি কিন্তু অনেকটা আমাদের মতই,উন্নয়নশীল,কিন্তু ফুটবলে ওরা কত এগিয়ে...
                ব্রাজিল-আরজেন্টিনা-স্পেন নিয়ে যত লাফালাফি আমি করছি অথবা রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে ২০০১-০২ থেকে যে রকম আগ্রহ, যদি বাংলাদেশ/আবাহনী/মোহামেডান নিয়ে এরকম করতে পারতাম!!!

                জবাব দিন
                  • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

                    ফুটবলের প্রতি আমার প্যাশনের জন্ম আবাহনী মোহামেডানের খেলা দেখেই। নিজেকে সবসময়ই খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় এ কারনে যে আমি আমাদের ফুটবল উন্মাদনার শেষটুকু হলেও দেখতে পেরেছি। আমার এই পোস্টে বিস্তারিত লিখেছিলাম

                    এখনো বাংলাদেশের ফুটবলের পুরো খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করি। এবারের বাংলাদেশ লীগ নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। শক্তিশালী শেখ জামালের আবির্ভাব, সাথে মুক্তিযোদ্ধার নতুন করে ফিরে আসা, সাথে আবাহনী, মোহামেডান আর শেখ রাসেল তো আছেই।

                    অফটপিকঃ মোহামেডানের সমর্থকদের উচিৎ বাংলাদেশ লীগ বাতিল করে নতুন কোন লীগ চালুর দাবী করা। কারন এটা শুরু হবার পর থেকে তো ওরা আর কিছু জিততে পারছে না। আবাহনী তো চ্যাম্পিয়ন হতে হতে বোর হয়ে গেল :grr: :grr: :grr:


                    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
                    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

                    জবাব দিন
              • মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

                রিফাতকে একটা তথ্য দিতে চাই।"লা লিগায় বার্সা রিয়াল ছাড়া কোনো ফাইটিং নাই…গত সিজনের পয়েন্ট তালিকা তার প্রমান" কথাটা সত্য,কিন্তু এই ফাইটিং বলতে শিরোপা বোঝাচ্ছে।ইংলিশ লীগে এই লড়াইটা শুধুমাত্র ৪টি দলের মাঝে(লা লীগার চেয়ে ২টি বেশী)সীমাবদ্ধ।এবং গতবার শুধুমাত্র ম্যান ইউ ও চেলসীর মাঝে হয়েছে লড়াই।একটা লীগ শুধু এদেরকে নিয়েই নয়।লা লীগার অন্যান্য দল গুলির মাঝে লড়াই যদি আমরা দেখি,তাহলে দেখবঃ(তাদের পয়েন্ট ছিল এরকম) ৬৩-৬২,৫৬-৫৪,৪৭-৪৭,৪৪-৪৩-৪২-৪১-৪০-৩৯।ইংলিশ লীগেঃ ৭০-৬৭ অথবা ৬৭-৬৪-৬৩-৬১,৫০-৫০,৪৭-৪৬-৪৪,৩৯-৩৮-৩৬-৩৫।তাহলে ইংলীশ লীগে স্পেনিশ লীগের চেয়ে বেশী প্রতিযোগিতা কোন ক্ষেত্রে?
                আহসান স্যার,দুইদিন চুপচাপ থাকার পর আবার ফুটবল নিয়ে গেজাইতে মন চাইতেছে,আপনি কিন্তু মাইন্ড খাইয়েন না 🙂
                ইংল্যান্ডের মিড টেবিল কম্পিটিশন বা রেলিগেশন ব্যাটল হয়ত অন্যান্য লীগের(লা লিগা বাদে কারন ইংলীশ লীগের রেলিগেশন ৩৫-৩০-৩০-১৯,লা লীগায় ৩৭-৩৬-৩৬-৩৫) চেয়ে বেশি(যদিও লা লীগা বাদে অন্যদের স্ট্যাটিস্টিক্স তুলনা করে এখনো দেখি নাই),কিন্তু এটুকু নিশ্চিত বলতে পারি,ঐ টিম গুলি নিজেদের মধ্যে অনেক প্রতিযোগিতা করলেও কিন্তু যখন ইউরোপের অন্যান্য টিমের সাথে কম্পিটিশনে আসে,তেমন বেল পায় না।প্রমান দিচ্ছি,ইউরোপের মাঝারি মানের ক্লাব গুলিকে নিয়ে যে উয়েফা কাপ/ইউরোপা সেখানে ১৯৯০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত তারা যিতেছে মাত্র ১ বার!আর রানারস আপ ৩ বার(গত বার ফুলহ্যামকে ধরে),অর্থাৎ গত ২০ বছরে তাদের মিড টেবিল টিমগুলি ইউরোপার ফাইনালে উঠেছে মাত্র ৪ বার!১৯৭২ সাল থেকে চলে আসা এই লীগে এ যাবৎ সবচে' সফল সিরি আর দলগুলি,তারপর বুন্দেসলীগার,তারপর প্রিমিয়ার লীগের স্থান।
                "স্প্যানীশ লীগের অবস্থা স্কটিশ লীগের মত হয়ে গিয়েছে, সেলটেক আর রেঞ্জার্সের মত শুধুই বার্সা আর রিয়াল।"তবে ইংলিশ লীগের ক্ষেত্রে সেটা দুই দলের মধ্যে না থেকে ৪ দলের মধ্যে হচ্ছে,কোনো কোনোবার দেখা যায় সেটাও কমে ২ দলে নেমে আসে। আর লা লীগার সেভিয়া,এ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ,ভ্যালেন্সিয়া,ভিলারিয়াল,ডেপোটিরভো লা করুনা ইত্যাদি এসব দল কিন্তু প্রিমিয়ার লীগের মাঝারি কোনো টিমের চেয়ে কোনো অংশে কম না,এই বিশ্বকাপেও কিন্তু এসব দল থেকে অনেক প্লেয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি করেছে এবং ভাল পারফরম করেছে।
                আসলেই যুক্তি তর্ক দিয়ে ভাল লাগা বদলানো যায় না,কার কাছে কোন লীগ বেশি আকর্ষনীয় মনে হবে,এটা পুরাপুরি আপেক্ষিক।আমি বলতে চাইছি যে আমাদের দেশে লা লীগার জনপ্রিয়তা বিপিএলের চেয়ে কম হলেও সারা বিশ্বের তুলনা করলে এটাই সেরা লীগ,এবং এর পক্ষে আমি আমি লিংকও দিয়েছি যেখানে জরিপের ফলাফল আছে।
                এবার একটা অফ টপিকঃ
                আমার কাছে মনে হয় আমাদের দেশে/এই উপমহাদেশে শুধু ফুটবল না,আরো অনেক ব্যাপারে এখনো ব্রিটিশ কিছু প্রভাব রয়ে গেছে।ফুটবল তো এসেছে ব্রিটিশ কলোনীর সময়ে,আগে কিন্তু কাবাডি,কুস্তি ইত্যাদি ছিল।যাই হোক,ফুটবলের মত একটা গ্লোবাল গেমকে আপন করে নিতে কোনো আপত্তি নাই।কিন্তু আফসোসের কথা হল আরো অনেক ব্যাপার আমরা অন্ধ অনুকরন করি,বিশেষ ভাবে ডিফেন্সের প্রায় সব রুলস-রেগুলেশন ব্রিটিশদের অনুকরণে,যেটাতে আমার আপত্তি।তারা এসব ফলো করত,কারন এসব তাদের ট্র্যাডিশন,আমরা কেন এগুলি ফলো করব?আমরা কেন আমাদের সুবিধা অনুযায়ী পরিবর্তন/নতুনত্ব আনছি না?যেমন মেসে/ডাইনিং এ শার্ট-প্যান্ট-টাই পড়ে ফুলবাবু হয়ে যেতে হবে।কেন আমি এভাবে যাব?এটা আমাদের মেস,আমরা এটাকে লাইভলি করব।সবার সাথে গেট টুগেদার করার মত একটা স্থান এটা।কিন্তু এই ড্রেস বদারেশনের জন্য আমরা অধিকাংশই রুমে এনে খাই।(ব্রিটিশ/আমাদের রুল অনুযায়ী এটা আবার নিষেধ)।এটা একটা ছোট্ট উদাহরন দিলাম,এরকম আরো বহু জিনিস আমি দেখতে পাই।
                আমি যদি কখনো ক্ষমতায়! আসি,তবে তাদের বাপ-দাদাদের চালানো হত্যা,ধর্ষণ,লুটপাটের জন্য ক্ষতিপূরণ চাইব।('ফাকিস্তান'কেও ইনক্লুড করা হবে)

                জবাব দিন
                • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

                  আরে ফুটবল নিয়ে গেজাবা, তাতে আবার মাইন্ড খাবার কি আছে...

                  ইংলিশ লীগের মাঝারি সারির দলগুলো অন্যান্য লীগের তুলনায় দুর্বল হতে পারে, কিন্তু সেটা কিন্তু একটা লীগ আকর্ষনীয় করার ফ্যাক্টর গুলোকে এফেক্ট করছে না। তাছাড়া ইংলিশ লীগে এ লেভেলে ডার্বির সংখ্যা বেশি, হয়তোবা মিডিয়ার কারনেই, তারপর ও এই সব দলগুলো সম্পর্কে অনেক বেশিই জানি, তাই আগ্রহ বেশি থাকে।

                  স্পেনে বার্সা আর রিয়ালের বাইরে শিরোপা লড়াই যাওয়া মনে হয় না অদূর ভবিষ্যতে সম্ভব, সেখানে ইংলিশ লীগে বিদেশীদের নতুন নতুন ইনভেস্টমেন্টের কারনে দল আরো বাড়ছে। এই মুহুর্তে বড় দল হিসেবে চেলসি, ম্যান ইউ, আর্সেনাল, টটেনহাম, লিভারপুল, ম্যান সিটি কে ধরা যায়, এস্টন ভিলা, এভারটন, ফুলহ্যাম এরাও এদের থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। এরা হয়তো স্প্যানীশ লিগের অনেক দলের কাছে পাত্তাই পাবে না (হয়ত) কিন্তু এদের মধ্যে যেকোন ম্যাচের ফলাফল প্রেডিক্ট করা সাধারনত কষ্টকর। সে হিসেবে প্রতি সপ্তাহেই গড়ে ৩/৪ টি বিগ ম্যাচ থাকছে। এর পাশাপাশি ২/১ টা লোকাল ডার্বি। অর্থাৎ বেশিরভাগ খেলাই দেখার মত।

                  ডিফেন্সের ট্রেডিশন নিয়ে কথা বাড়ালাম না, সামনা মানি দেখা হলে ক্রিপিং প্যারেড চালানো যাবে।


                  আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
                  আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

                  জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        আলমুনিয়া খুব খারাপ কিপার না, তবে লীগ চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য যে কোয়ালিটির কিপার দরকার তার থেকে অনেক নীচে। গত দুই সিজনে পুরো সময় ভাল খেলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন সময়ে নিজের ভুলের জন্য গোল খেয়েছে। যার জন্য আর্সেনালকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। আর ওর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ডি বক্সে হাই বল, সে সময় নরমান গোলকিপিং অথরিটি ফোর্স করতে পারে না। এ কারনে বেশিরভাগ দলই এখন আর্সেনালের সাথে এই সুযোগ টা নেবার চেষ্টা করে, বিশেষ করে ফ্রিকিক আর কর্নার থেকে।


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    রাকেশ ভাই,আমার মত আরেকজন ফুটবল পাগল পেয়ে খুব ভাল লাগল।ইতালীয়ান লীগ খুব একটা না দেখলেও খবর রাখি।আমার প্রিয় হল লা লিগা,তারপর এই সিরি আ।আর বিরক্ত হই ইংলিশ ফুটবল দেখে।
    যাই হোক,পাতো-রোনালদিনহো-রবিনহোরা আছে দেখে মিলানের প্রতি একটা দূর্বলতা আছে।
    আমি নিয়মিত ফিফা ১০ খেলে ড়করিয়ে যাচ্ছি 🙂
    ফিফা ১১ আমার ল্যাপটপে ইন্সটল করতে পারলে খেলব।
    আমি রিয়াল মাদ্রিদ নিয়া আছি,অলরেডী অদের অফিসিয়াল সাইটের সদস্যও হয়ে গেছি।।,
    দেখা হবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে :thumbup:

    জবাব দিন
    • রাকেশ (৯৪-০০)

      আহসান আকাশ আর তোমার ডিসকাশন আবার পরি। 😀

      আমার সিরি-আ ভালো লাগে এসি মিলানের জন্য, সেই কারনেই আমি ইতালীর সাপোর্টার। দুঃখ লাগে কারন ইতালীয়ান লীগের সেই আগের ফর্ম নাই, সেরা লীগ হয়ত বলব না, কিন্তু আতঙ্কের ব্যাপার হল প্রফিটেবল কোন লীগ আর সিরি-আ না যে নতুন আর কেউ ইনভেস্ট করতে সাহস পাবে।

      আরো কারন আছে।
      ১। ইকোনমি, হঠাত করেই ইতালীয়ান ইকোনমি ডাউন খাওয়া শুরু করে ফলে ফুটবলের উপরও এর প্রভাব পড়ে। মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয় গ্লোবাল রিসেশন, এটার ধাক্কা এখনো মিলান বা জুভেন্তাস কাটায়ে উঠতে পারে নাই।
      ২। করাপশন স্ক্যান্ডাল। ইংলিশ মিডীয়া ব্যাপারটাকে এমন ভাবে প্রচার করেছে, ওই এক প্রি সিজনেই নিউট্রাল যেসব সমর্থক ছিল তারা ইতালীয়ান ফুটবলের উপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। এর আগে ড্রাগ স্ক্যান্ডাল নিয়ে আর একটা কাহিনী হয়েছিল।
      ৩। ওই দেশের পলিটিক্যাল সিস্টেম আর ফোরকাস্টিং এর ব্যাপারটা আমাদের দেশের মতই কিছুটা। সব ক্লাবের চেয়ারম্যান বা মালিক এক একটা মাফিয়া, বা বিশাল হর্তাকর্তা টাইপ। গভর্নমেন্ট যখন রিসেশন ট্যাকল দেয়ার জন্য ট্যাক্স নিয়ে হইচই শুরু করেছিল, তখন এই মালিকগুলাই তাদের ক্লাবে ইনভেস্ট করা বাদ দিয়ে দেয়।
      ৪। মিলানের ঘুরে দাড়াতে আরো বেশ কিছু বছর লাগবে। সিলিভিও বার্লুসকোনী তার পলিটিকাল ক্যারিয়ারের পপুলারিটী বাড়ানোতেও বেশী আগ্রহী, তাই গরিবী হালের মধ্যেও ২টা স্ট্রাইকার কিনছে, অথচ এর চেয়ে ডিফেন্স কে আরো শক্ত করা যেত। ফিনিভেস্ট তো গত বছর কি এক কেসে বিশাল মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিয়েছে, মিলানকে আর টাকা দিতে পারবে না বলে দিয়েছে।
      ৫। ছোট স্টেডিয়াম, প্রোপার প্ল্যান না থাকলে যা হয়। ইতালীর স্টেডিয়াম গুলো দর্শক ধারন ক্ষমতা বেশ কম।
      ৬। অক্ষম পুলিশ, খেলার মধ্যে গ্যালারীতে রেগুলার দাঙ্গা মারামারি হয়, নিকট ভবিষ্যতে থামবে বলেও মনে হয় না।
      ৭। এটা বলা ঠিক না, ইতালীয়ানরা তাদের ক্লাবের মালিকানা দেশেই দেখতে প্রেফার করে, কোন দুবাই বিলিয়নিয়ারের কাছে না।

      প্লাস পয়েন্ট হল, ইতালীয়ান লীগ ঘুরে দাড়াচ্ছে। ইন্টারের টিম তো আগেই ভালো, এবার মিলানও ভালো টিম দিয়েছে। রোমা আর জুভেন্তাসও ভালো ফাইট দিবে। তবে লীগের মুল আকর্ষন কিন্তু এই বিগ ফোর না (আনলাইক ইপিএল)। মেইন খেলা দেখাবে জেনোয়া, ফিওরেন্টিনা, ল্যাজিও, সাম্পাদোরিয়া, ন্যাপোলী। এদের সবার জন্য হয়ত মিডটেবিল ফিনিশ প্রেডীক্ট করা আছে, কিন্তু এদের সবারই যা টীম দাড়িয়েছে এবার, এই ৫টা ক্লাব থেকে ২টা টপ ফোরে ঢুকে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নাই।

      জবাব দিন
  3. রাকেশ (৯৪-০০)

    সিরি আ পয়েন্ট টেবিল নিচে -
    http://www.goal.com/en-us/scores/result-standings/69/serie-a

    জুভেন্তাস চারে, রোমা পাচে, ইন্টার সাতে; এই জন্যই ইতালিয়ান লীগ এত ভাল, অনেক বেশী কম্পিটিটিভ। ১ম আর ৬ষ্ঠ দলের মধ্যে পয়েন্ট ব্যাবধান ৯।

    অন্যান্যদের মত ২-৪ দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না লড়াই।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।