পুরনো ঢাকা’র গল্পঃ সাত

ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে, ল্যাম্পপোস্টের আলোতে হেঁটে যাই একা। চেম্বার থেকে হেঁটে ফিরব বাসায়। লালবাগ থেকে শঙ্কর। মাঝের পথটুকু – আজিমপুর, ইডেন কলেজ, নিউ মার্কেট, সাইন্স ল্যাবরেটরি, জিগাতলা, ধানমন্ডি ১৫ নম্বর, স্টার কাবাব, আবাহনী মাঠ – কখনো দুনিয়াবি চিন্তা, কখনো বাজার-সদাই, কখনো লালনের গানের সাথে কেটে যায়।

হঠাৎ মনে পড়ে যায় সেই হাসিমুখ মানুষটিকে। সুগন্ধি পান খেয়ে, মিঠে গলায় হারিয়ে যাওয়া দিনের কথা বলতেন। “বুজলেন নি বাজান? হেই চেংড়াকালে বেচারাম দেউড়ি মহল্লার ফুলজানেরে মন দিছিলাম, বাড়ির গলির চিপায় খাড়াইয়া থাকতাম। ইস্কুলে যাবার ছুম দেহা অইতো। হের বাপে ক্যামনে ক্যামনে জাইনা গেল গা, বিয়া দিয়া দিল আরেক মহল্লায়। এরপরে কুলছুম, আতরজান, সুরাইয়া, নূরজাহান – ছেই থাইকা একেক খান মাইয়া আমারে খালি দাগা দিল। কচি বয়ছে মাইয়ারা খালি দাগাই দেয়। বয়ছ যত বাড়ব, দেখবেন মাইয়া মাইনসেই আছল সুখ, তয় ফাঁকে দাগাও পাইবেন কিছু কিছু। অহন আর পারেনা। অহন মাইয়াগোরে কাছ থেইকা বেছি-কম চুম্মা-চাট্টি, আদর পাই, পুরাই সুখ! আছলেই বুইড়া অইয়া গেছি গা!”

পুনশ্চঃ আমার সাথে কিছু চিরকেলে দুঃখী ছেলের পরিচয় আছে। মেয়েরা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে তাদের দুঃখী ক’রে রেখেছে। এরা কৈশোর পার করতে পারেনি। কেন বললাম? কিশোর হলো তারাই মেয়েরা যাদের এ জীবনে শুধু দুঃখই দেয়। তরুনদের মেয়েরা সুখ কিংবা দুঃখ যে কোনটিই উপহার দিতে পারে। আর বৃদ্ধ, এরাই সফল জীবনে। পৃথিবীর যেকোন মেয়েই তাদের শুধু সুখী করে এখন; দুঃখ চলে গেছে নির্বাসনে কবেই!

আর মেয়েদের কথা; সে আরেকদিন বলব।

নভেম্বর ৮, ২০১৫
টরন্টো, কানাডা।

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।