গমকে গমকে
বিজুরি চমকে।
সে কার ঠমকে
ফের ঘায়েল হলি,
হা কালা!
আকাশে
আজ সারাদিন
রাগ মেঘ –
ওস্তাদজির সারেংগিতে
ফুঁসে উঠছে ঝালা;
বৃষ্টির প্রথম ফোঁটার মতন
চোরচোর পায়
মোর আঙিনা দিয়ে
তবু আনবাড়ি গেলি হায়!
গমকে গমকে
বিজুরি চমকে।
সে কার ঠমকে
ফের ঘায়েল হলি,
হা কালা!
আকাশে
আজ সারাদিন
রাগ মেঘ –
ওস্তাদজির সারেংগিতে
ফুঁসে উঠছে ঝালা;
বৃষ্টির প্রথম ফোঁটার মতন
চোরচোর পায়
মোর আঙিনা দিয়ে
তবু আনবাড়ি গেলি হায়!
বৃষ্টি ধোঁকা দিল নাকি একটু ছুঁয়ে গিয়েছে? জানিনা ঠিক এখনি এ্যান আরবরের আকাশে কি খেলা করছে, তবে ঢাকার আকাশে এই মৌসুমের প্রথমবারের মত ওস্তাদজী তার সারেংগিতে ঝড় তুললেন। ব্যস্ত মানুষ। মোটে ১০টি মিনিট ছিলেন।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
শেষের চার লাইনে কে যে এসেছিল চিন্তা করছি।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
😛 😛
মোকা, তুমি তো দারুণ ফর্মে। চোখা চোখা সব প্রশ্ন।
বাংলাদেশে গিয়ে রিফ্রেশ হয়ে গেছে সব ।
মাঝ রাত্তিরে ঘুম ভেঙেছে দরজায় কড়া নাড়া শুনে। ঘুমের ঘোরেই বলি, হু ইজ ইট? যেন মাঝ রাতের কড়া নাড়া খুব স্বাভাবিক কিছু একটা! কন্যারত্ন বলল, মা বাইরে ঝড় হচ্ছে। আমার ভয় হচ্ছে, ঘুমোব তোমার সাথে। কাল রাতের এই ঝড় কে এপ্রিল শাওয়ার বললে কম বলা হবে। নূপুরের মতোই বলতে হবে, 'গমকে গমকে, বিজুরি চমকে'। আলো চলে গেলো ক'টি মুহূর্তের জন্য, জানো!
রাতে কি তোমার শহরেও ঝড় ছিল, কবি? নাকি ঝড় কেবলই মনের আঙিনায়... চায়ের কাপে কত আজগুবি প্রশ্নই না আসছে মনে!
সাবিনা আপা,
তোমাদের ওদিকেও তাহলে বেশ গর্জন শোনা গেছে হাওয়ার!
তোমার প্রশ্ন তো কবিতার চেয়েও বেশি কাব্যিক!
তোমার এই সুন্দর মন্তব্যটা পড়েছিলাম কালই, কিন্তু এই এতক্ষণে লেখার অবকাশ হল!
না, এখানে তেমন আবহাওয়া ছিলনা। একটু মেঘলা ছিল -- মনভার করার মত। রাগ মেঘ শুনতে গিয়ে হঠাত করে ব্লগ লিখে ফেলা।
জানিওনা দেশে শিলাবৃষ্টি হয়েছে -- ফেসবুকে বৃষ্টি উদযাপন দেখলাম। কেমন কাকতাল বল!
গতকাল সারাদিন ঝড় তুলেছে ওস্তাদজি। মনে করে ঘরের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয়ার পরেই কড়কড়ে বিদ্যুৎ ঝলকানি। অল্পের জন্য ইলেকট্রনিক সামগ্রীগুলো সম্ভবতব বেঁচে গেল।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
বরাবরের মতনই :boss:
অবাক করা বিষয় হলো আজকে বিকালে আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছিল। ফুটবল খেলছিলাম এরমাঝে ঝুম করে বৃষ্টি নামলো। ফিরে যেতে যেতে কাকভেজা হয়ে যাবো। তাই আর ভাবনা চিন্তা না কর এ বৃষ্টির মাঝেই খেললাম। অনেকদিন পর.. আর রাতে এসে এই কবিতা। একবারে সোনায় সোহাগা :tuski:
আহ!
সবখানে বৃষ্টি।
দারুন ......
"চোরচোর পায়
মোর আঙিনা দিয়ে" ... জোশ
:clap: :clap: :clap: :clap:
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
কেবল জোশ বলে ছেড়ে দিলে, অরূপ দাদা? গল্পের শুরু তো এখুনি গো! 😛
অরূপ দা',
চলেবল লেখা হইসে আদৌ?
নুপুর ... আশ মিটিয়ে অনেক কিছু করা যায় হয়ত কিন্তু কবিতা আশ মিটিয়ে পড়া যায় না মনে হয়।
খুব ভালো লাগার অনুভূতিটা শুরু হয়ে থাকতে থাকতেই কবিতা শেষ হয়ে যায়। রেশটা বহুক্ষণ থাকে নিজের ভেতর ...
তেমন একটা অনুভূতি নিয়েই কমেন্টটা করেছিলাম ......
গমকে গমকে
বিজুরি চমকে।
সে কার ঠমকে
ফের ঘায়েল হলি ............... আহা
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
🙂 🙂
ছন্দ বুঝতে বেশ ক'বার পড়তে হলো।
আর শেষটায় এসে মনে হলো, "আরেকটু কি বাকি রইলো?"
ভাল লেগেছে......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাইয়া, আমার তো মনে হলো, গল্পের শুরুটা হলো সবে। নোলক পরে আন বাড়ি তো গেলেই হলো না। কবি যতোই উপেক্ষা করুক না এবার, সে ফিরে ফিরে আসবে দেখো!
তাড়াহুড়োর লেখা পারভেজ ভাই।
কিছু বোধ হয় রয়েই গেল বাকি
রাধিকা নম্বর বারো দেখি তোমার মোহনবীণায় ঝড় তুলবার আগেই মিলিয়ে গেলো, নূপুর! সে তো জানলোই না কাকে হারালো পাবার আগেই!
জশিলা নাম্বার তের র অপেক্ষায় রইলাম, কবি!
অথচ সবচে বেশি কষ্ট পাওয়ার কথা ছিলো তারই যে পেলোনা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সে তার কিছুই টের পায়না, পরিবর্তে তৃতীয় ব্যক্তির মন খারাপ হয়ে যায় সবচে বেশি 😛
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
বাপ রে বাপ - আমার মাথা তো গুলাই যাইতেছে
আউট অফ ফোকাসে তৃতীয় ব্যক্তির কথা হচ্ছে? তারপরে হেঁটে যাচ্ছে সে। অস্তগামী সূর্যের বিপরীতে তার সিলোয়েটে হতাশার ছাপ। সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী।
কি যে লিখলাম বুঝতেসিনা! 😕
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
জটিল ছবি মোকা!
ভালোই লিখেছো।
দারুন লাগলো নূপুরদা, সবসময়ের মত।
এত জায়গায় এক সাথে ঝড় নামলো নাকি? চিটাগং এ গত দুদিনই ঝড়ের দেখা পেয়েছি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অশেষ ধন্যবাদ আকাশ।
বৃষ্টিমুখরতার উদযাপন হোক
একটু আগেই এই ঢাকায় ঝড় বৃষ্টি হয়ে গেলো। বিদ্যুৎ ছিলনা প্রথম দফায় মিনিট চল্লিশেকের মত, পরে পনের মিনিটের জন্য এসেই আবার চলে গেলো। ফিরে এলো ঘন্টা খানেকেরও পর। আর তার পরেই পেলাম এই কবিতা, আর নানা মুল্লুক থেকে পাঠকের মন্তব্য। সবই কি একই সূত্রে গাঁথা?
খায়রুল ভাই,
এ এক আশ্চর্য মধুর কাকতাল --- আমার এখানে তেমন বৃষ্টি না হলে খানিক মেঘলা ছিল। তবু আজ ফিরে মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে, সবাইকে লিখতে লিখতে ফের তন্ময় হয়ে শুনছি সরোদে মেঘমল্লার শুনছি আর ভেসে যাচ্ছি যেন।
কী পড়লাম এই টা, ভাইয়া? এত ছোট, অথচ কী মিষ্টি!! ... 🙂
For most of history, Anonymous was a woman. [Woolf, Virginia]
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকেও তানজিনা, এমন মিষ্টি করে পাঠপ্রতিক্রিয়া জানানোর জন্যে।
সে কার ঠমকে
ফের ঘায়েল হলি,
হা কালা!
চমৎকার
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
ধন্যবাদ সাইদুল ভাই!
এক ডজন রাধা! আহা
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
পারবেন সামাল দিতে? এক ডজন রাধার কেষ্ট হইবার ইচ্ছা হয়?
এক ডজনে ভয় পেলে চলবে? চাইলে বাহাত্তুরটাও পাওয়া যেতে পারে!
😮 😮 😮 😮 😮 😮 😮 😮 😮
রাধা কৃষ্ণ আমাদের জন্য বিশাল সম্পদ। কিন্তু কেনো জানি মনে হয় কৃষ্ণ হিন্দু দেবতা বলে বাঙলার মুসলমানরা রাধা কৃষ্ণ কে ঠিক বুকে টেনে নিতে পারেনি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ