খোলা মাঠ।বিস্তৃত সবুজের দিকে চোখ মেলে রয়েছি দুজনে।একটা বিশাল বুদ্বুদ কোত্থেকে যেন ভেসে এসে হেলেদুলে লাফিয়ে লাফিয়ে সামনে দিয়ে পালিয়ে গেলো, গায়ে তার পিছলে যাচ্ছিলো রঙধনু।একছুটে একটা কাঠবিড়ালী এসে পৃ-কে মুখ ভেংচে গেলো।দূরে কোথাও মন উদাস করা সুরে বাঁশি বাজছে।
‘এ জায়গাটার নাম কী পৃ?’
‘জানিনা সোনা, আগে কখনো এসেছি এখানে?’
নিশ্চয়ই এসেছিলে
কোন একদিন
আমারি হাত ধরে,
বুনোপথের ঠিক এই প্রান্তে।
তৃণের সঘন উল্লাস
দেখে মনে নেই
হেসেছিলে
প্রাণ খুলে
বহুকাল পর!
মেঘেদের পিঠে পিঠে
একান্তে
করছিলো ভর
এলোমেলো যত
উচ্ছলতা,
বাসনার কত শত
বুদ্বুদ, মনে নেই!
বলতে বলতে কেন যে হঠাৎ কান্না পেয়ে গেলো কে জানে।সেসবে ভ্রূক্ষেপ নেই পৃ-র, একটা ঝুড়ি নিয়ে আপেল কুড়োবে বলে উঠে দাঁড়ালো। ওকে একটু ছোঁবো বলে আকুল হাতটা ছুঁড়ে দিতে’ সেটি ঝপ করে ধাক্কা খেলো শুধু হাওয়ায়!
চোখ মেলেও কিছু দেখতে পাইনা।ঘড়ির সবুজ ডায়াল বলছে এখন ভোর সাড়ে পাঁচটা।ওহ্, এদিকে পৃ-র দুটো মিস্ড কল।
‘হ্যালো ফোন করেছিলি?’
‘হুমম্।’
‘সব ভালো?’
‘আজ একটা পার্ক গেছিলাম বিকেলে।বৃষ্টির পর কি সুন্দর একটা রঙধনু দেখলাম জানিস!’
‘জানি সোনা। এখন ঘুমো।কাল একটা ড্রিংক খাবো আমরা।লিস্টটা তোকে মেইল করে দিয়েছি।সব যোগাড় করে রাখিস।’
‘সেসব তো বহু আগেই রেডি!’
‘বাহ!’
শুভরাত্রি বলে বিদায় জানালেও একটুও ঘুম আসছিলোনা আর। পৃ-র জন্যে ড্রিংক-নির্দেশনা লিখতে বসে গেলাম।
১। একটা snifter গ্লাসে কনিয়াক, ৬০-৭০ মিলি মতো নিয়ে একটা খুব ছোট্ট সিপ দিবি প্রথমেই।ব্র্যাণ্ডির প্রভাবে একটা বেশ উপভোগ্য উষ্ণ ভাব আসবে।ড্রিংক বানাতে ভালো লাগবে।
২। রেড ওয়াইন (Cabernet Shiraz বা Cabernet Sauvignon), সমপরিমাণ।
৩।ফ্রেশ Pomegranate juice ও Grape fruit juice, ৩০-৩৫ মিলি করে
৪।আপেল ১টা, মাঝারি সাইজের টুকরো কেটে নিয়ে গ্লাসে,
সাথে গোটা দশেক লাল আঙুর
পুরো ব্যাপারটাকে বেশ খানিকটা সময়ের জন্যে ফ্রিজে রেখে দিতে পারলে (১২-১৪ ঘন্টার মতো) খুব ভালো।তাড়াহুড়ো থাকলে আইসকিউবের সংগে মিনিট ১০ রেখে strain করে নিতে পারিস।তারপর,
একটা প্লেটে ফলগুলো উঠিয়ে নিতে পারিস।
চাইলে দু চামচ আদারস, খানিক সোডা ওয়াটার দেয়া যেতে পারে।
একটা লেবু-স্লাইস গ্লাসের মুখে আটকে দিয়ে, চিয়ার্স!
ড্রিংকটা নেবার সময় প্লেট থেকে একটু একটু করে ওয়াইন আর কনিয়াকের মিলিত স্বাদযুক্ত ফল খাওয়া হোক।
ধুস!কালকে পৃ-র সাথে খেতে হলে তো আমাকেও বানিয়ে নিতে হবে ড্রিংকটা।যাই, এক্ষুণি যাই।
অমনি ফোন।’থ্যাংকু সোনা!পেয়ে গেছি।কাল দেখা হচ্ছে।’
আমাদের তৃণাঞ্চলে তখন ভোরবেলা।জীবনানন্দ দাশ হেঁটে বেড়াচ্ছেন আর বিড়বিড় করে নিজের খুব পুরনো একটা কবিতা আউড়ে চলেছেন,
কচি লেবুপাতার মতো নরম সবুজ আলোয়
পৃথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;
কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস – তেমনি সুঘ্রাণ-
হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিচ্ছে।
আমারো ইচ্ছা করে এই ঘাসের ঘ্রাণ হরিৎ মদের মতো
গেলাসে গেলাসে পান করি….
১ম। কতোদিন পর
পোলাপাইনরে মাল !(থুক্কু মদ) খাওয়া শিখাইতেছেন x-(
ছিঃ নুপুরদা :grr:
একটা ডিসক্লেইমার দেয়া দরকার কি বলো!
মদ খাওয়া ভালু না! নিজ দা্যিত্বে খান, লেখক দায়ী নহে।
আপনার রেসিপি গুলারে ভালা পাই 😀
দুই এক দিন এর মধ্যে টেস্ট নিতে হয় B-)
এই উইকএন্ডেই টেস্ট করব ঠিক করলাম 😛
নুপুরদা, আমি আপ্নের এই রেসিপির "মালটা" খাপ্পোওওওও :(( :(( :((
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
মাহতাব, তানভীর, কিবরিয়া:
এটার নাম হচ্ছে sangria. নানারকমের fruit-flavored sangria এমনিতেই দোকানে দোকানে পাওয়া যায়, তবে আমার এভাবে বানিয়ে নিতে ভালো লাগে।রেডিমেড মিক্সড ড্রিংক এ সব আর্টিফিসিয়াল ফ্লেভার থাকে, ভাল্লাগেনা।
ফল মনমতোই দিতে পারো, পারো তো ২৪ ঘন্টা রেখে তারপর টেস্ট কোরো।
ভাবীজানকে যে বহুত মিস করছেন থ্যান্কস গিভিং -এর এই ছুটিতে.... বোঝা-ই যাচ্ছে.... :shy: লিখাতে বিরহ প্রতিফলিত হইযাছে.
:shy:
🙁 =((
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
কি আর করা!
অ.ট.: তোমার ফোন নম্বরটা চাইসিলাম।
জিটুজির দিন ফোন দেবার জন্যে।
সিরাজ ভাই লোক ভাল। সিরাজ ভাইয়ের ককটেল মনে হয় গ্রীষ্মের জন্য বেশি ভাল।
আহারে! সিদ্দিকা কবীরের বইটা যদি এইভাবে লেখা হতো, কত না চমৎকার হতো। 🙁
আমার বন্ধুয়া বিহনে
হ। সিরাজ ভাইরে আমিও ভালো পাই। 🙂
রেসিপি ভাল্লাগছে খাইতে মনে চায়।
শেষের কবিতাটা বেশি ভালো পাইছি।
জীবনবাবুর কবিতা, ভালো না লেগে যাবে কই।