“নূরী, দরজাটা খুলোতো। কে যেন কলিংবেল দিসে।” হাতের আধ-কাঁটা শাক রেখেই রান্নাঘর থেকে ছুটে দরজাটা খুললো নূরী। সাকিবের যে কোন কথাতেই নূরীর প্রাণবন্ত বহিঃপ্রকাশ পাওয়া যায়, সাকিবের বোনটাকে কেমন যেন লাগে নূরীর কাছে। সাকিবেরই ছোট বোন সালমা স্কুল থেকে বাসায় ফিরেছে। নূরীর কাছে কাঁধের ব্যাগটা দিয়ে ড্রয়িং রুমের সোফায় শুয়ে নূরীকে গোসলের জন্য গরম পানি আর এক গ্লাস শরবত করে দিতে বলেই রিমোট চেপে টিভি অন করে সে। টিভিতে রুহ আফজার বিজ্ঞাপন দেখেই কিনা, কেন যেন সালমার তৃষ্ণা ১০নং মহাবিপদ সংকেতে পৌঁছে গিয়েছে।
-ঐ নূরী কতক্ষণ লাগে এক গ্লাস শরবত বানাইতে?
-যী আফু, আন্তেছি।
হাতের আধ-কাঁটা শাক আধাই রয়ে গেল। কারণ সামরিক বাহিনীতে প্রচলিত প্রবাদ, Last command should be followed first-এর মতন নূরীর জন্য এখন আদেশ হল চুলায় পানি গরম বসানো, ফ্রীজ়ের এক গাঁদা তরকারির মধ্য থেকে লেবু খুঁজে বের করে বরফ মিশানো পানিতে শরবত বানানো। বিশেষভাবে যা লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো, লেবুর বিচি যেন কোনভাবেই শরবতে না যায়। এটা নাকি সালমার কাছে কাচ্চি বিরিয়ানি খাবার সময় এলাচিতে কামড় পরার মতন লাগে। ঠান্ডা শরবত বানাতে গিয়ে ঘেমে ততক্ষণে নূরীর নিজেরই শরবত্টা ডগডগ করে খেয়ে ফেলার অবস্থা। গ্রীষ্মে রান্নাঘরের গরমটা হাবিয়া দোযখের একটা সেম্পল মনে হচ্ছিল। অনেক পর্যবেক্ষণের পরে নুরী শরবতভর্তি গ্লাসটার কোন ভুল ধরতে না পেরে আশ্বস্ত হয়ে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করতে গিয়েই ধাক্কা খেল। “পরবি তো পর মালির ঘাড়েই” – ধাক্কাটাও খেল সালমার সাথেই। সালমা গলা না ভিজাতে পারলেও স্কুলের ড্রেস ভিজিয়ে প্রচন্ড পরিমাণ কটূবাক্যে তার গলা উল্টো শুকিয়ে কাঠ করে ফেলেছে। নুরী বেচারী শরীরে, বয়সে সালমার থেকে বেশ বড় হলেও হয়তোবা তকদিরের অপ্রশস্ততা, নিয়তির নাটকীয়তা আর কাজের মেয়ে পরিচয় নিয়ে এই বাসায় আশ্রয় পায় বলেই নুরীর দৃষ্টি আজ নিচে। বিধাতা মনে হয় এঁদের অনেক কম অপমানবোধ আর অনেক বেশি ধৈর্য্য দিয়েছেন। তানাহলে নুরীর চোখের পানি নূরী নিজেই দেখতে পেলনা কেন? অথচ মনের ভিতরের তার চিৎকার শুনতে পেলে সালমার বোবা হয়ে যেতে হত। নূরী শান্ত স্ব্ররে বলল,
-আফু, আবার বানাই আনি?
-বানায়া নিজে খা। গরুর মতন হাঁটিস ক্যান তুই? বাথরুমে গরম পানি দিয়ে যা। তাড়াতাড়ি কর।
-যী আফু। আমি নিয়া আসতেসি।
আশ্চর্য্যের ব্যাপার হল, সাকিব নূরীকে বয়সে বড় হয়েও ‘তুমি’ করে ডাকে। আর সালমা সাকিবের ছোট হয়েও ‘তুই’ করে ডাকত। সাকিবের ধমক খেয়ে সালমা ‘তুই’ বলা ছাড়লেও রাগের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেকটাই পাশবিক হয়ে উঠে ভদ্রসমাজে থাকা অভদ্রদের আদর্শ মহাননেত্রীরূপে আবির্ভূত হয়ে উঠা সালমার মুখে ‘তুই’ সম্বোধন আশ্রয় পায়। ভদ্রসমাজ়ের এগুলো এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। শিক্ষা নিয়ে শিক্ষিত হয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের অস্ত্র পাওয়া, স্বার্থ উদ্ধারের জন্য পরের গায়ে পরজীবি হওয়া আর যার কাছে কোনকিছুর জন্য বাধ্য নয় তার সাথে অবাধ্য আচরণে নিজের স্বাতন্ত্রতার একজিবিশন করা।
সাকিব তার রুম থেকেই সব শুনছিল। নিজের রুম থেকে রান্নাঘরের একটা অংশ দেখা যায় বলে নূরীর গলদঘর্ম হওয়া পুরোটাই দেখেছে সে। হনহন করে সালমাকে তার রুমে ঢুকতে দেখে সাকিব নূরীকে ডাক দিলো।
-নুরী, কি হইছে?
-বাইয়া, খালাম্মা কইয়া গ্যেছে শাগডি কাইট্যা তারাতারি রান্না করতে। দুপুরের রান্নাতো এহোনো শেষ হয় নাই। খালাম্মা আইয়া দ্যেখলে আমারে বকবে। এল্ল্যেইগ্যা তারাতারি শরবত বানায়া নিয়া যাইতে গিয়া আফুর লগে ধাক্কা লাইগা সব পইরা গ্যেছে। বাইয়া, আমি আসলে দেহি নাই।
এত্তো বড় একটা ১৯বছরের মেয়ে এতক্ষণ ১৪ বছরের সালমার কাছে এতগুলো বকা খেয়েও কি নিঃসংকোচে নিজের ভুল স্বীকার করে ফেলল। কথায় রাগ কিংবা ক্ষোভটুকুও নেই। নাকি এমন আচরণে সে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে? নূরীতো মাত্র ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত গ্রামে পড়েছে। কিন্তু ওঁর ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে, সে যেন এই সমাজের অনেকেরই আচার-ব্যবহার শিক্ষার কোচিং এর ব্যবস্থা করলে যোগ্য ব্যবস্থাপক হতে পারবে। সাকিব কারো দোষ-ত্রুটি খোঁজা বাদ দিয়ে নিজের ভেতরেই কথাগুলো উপলব্ধি করছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যার পৃথিবী হয়ে আছে এই বাসার ৫-৬টা রুম। বাসার সবাই কোন দাওয়াতে অথবা ঘুরতে গেলেও সে যেতে পারে না, সবার জন্য রান্না করবার কাজেই তার দিনের বেশিরভাগ সময়টা গেলেও খাবার টেবিলের ২টা চেয়ার খালি রেখেই রান্নাঘরের একটা পিঁড়িতে উঁবুত হয়ে ভাত খেতে হয়। সবার সাথে একই বাসায় থাকলেও তাঁকে তো পরিবারের একজন মনে করা হয় না, ঘুমানোর জন্য সবচেয়ে কম পুরু বিছানাটাও তারই, কিন্তু ঘুম থেকে সবার আগে উঠবার তাড়াটাও তার। নূরীর টিভি দেখার খুব আগ্রহ থাকলেও, গরীবের ঘোড়া রোগ হতে নেই জেনে সে কেবল শুক্রবারের আলিফ লায়লা প্রোগ্রামটা দেখবার জন্য যতটুকু পারে তাড়াতাড়ি হাতের কাজ শেষ করে রাখে। কেউ তার সেই সামান্য ইচ্ছাটুকুরও দাম দেয় না। সেই সময়েও হাজারটা ফরমাশ খেটে সবার আয়েশ করে টিভি দেখা নিশ্চিত করতে হয় নূরীকে।
সাকিবের নির্লিপ্ততা দেখে, নূরী ছুটলো রান্নাঘরে। ‘আফুর’ গরম পানি দিতে না আবার দেরী হয়ে যায়। সাকিবের হঠাৎ মনে পড়ে গেল, তার পদার্থ বিজ্ঞানের স্যারের বাসায় পড়তে সময় এক ঘটনার কথা। স্যারের স্ত্রী উঁনার কাজের মেয়ের কাজে প্রচন্ড অসন্তুষ্ট হয়ে বলছিলেন, “তর ত কাজেই মন নাই। এইটারে কি নিজের বাড়ির মতন ভাইবা কাজ করা যায়না? তোরা ত কাজের নামে কৎলা ট্যাকা নেওয়ার ধান্ধায় দিন পার করস”। সাকিব এখন নিজের মনেই উত্তর দিতে শুরু করল।
“নিজের বাড়ি? ওদেরকে কি নিজ়ের পরিবার বলে ভাবেন? তাহলে ওরা কিভাবে নিজের বাড়ি ভাববে”?
নুরীর বাবা যখন তার মেয়েকে সাকিবদের বাসায় দিয়ে যায় তখন তার মাকে বলে গিয়েছিলেন, “আপা, আমার মেয়েটারে নিজের মেয়ের মতন ভাইব্যা যা ইচ্ছা তাই কইরেন। ওর ভালই অইবো”। সাকিবের মনে আবার উত্তর আসলো, “নূরীতো এখানে আমার বোনের মতন নেই। আমরা তো ওঁর বাবাকে দেওয়া কথা রাখছি না, বরং তাঁর সাথে অমানবিক আচরণ করছি। আজ আমি যদি ওঁর পরিবারে জন্মাতাম? আমি যদি কারও বাসায় কাজের ছেলে হতাম? আমার কেমন লাগতো। বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা এত সোচ্চার, অথচ নিজেরা জন্ম-বৈষম্যের কারণে মানুষ মূল্যায়নে পৃথকীকরণ করছি”।
“টিং টং………টিং টং”। এবার সাকিব নিজেই দৌড়ে গেল। নূরী যেতে গিয়েও সাকিবকে পথ করে দেবার জন্য মেইন গেইটের সামনের ডায়নিং রুমে দাঁড়িয়ে গেল। সাকিবের অপরিচিত কিন্তু ওর মায়ের পরিচিত একজন ভদ্রমহিলা প্রবেশ করলেন। সালমার সাথে ওর মা স্কুলে যাওয়াতে নাকি ভদ্রমহিলার পরিচয় হয়েছে গতকালই। নিচের তলায় নতুন উঠেছেন বলে সাকিবের মায়ের সাথে দেখা করতে এসেছেন।
-ভাবী কোথায়?
-আম্মুতো খালামণী্র বাসায় গিয়েছে।
-ও আচ্ছা। তোমার নাম কি?
-সাকিব
-বাহঃ, আমার ছোট ছেলের নামও সাকিব।
-কয় ভাই-বোন তোমরা?
-আমরা ১ভাই ২বোন। আমি, সালমা আর নূরী।
নুরীর চোখ ভরে পানি চলে এসেছে। সাকিবের পুরো পরিবারটিকে এখন মনে-প্রাণে নিজের গ্রামে ফেলে আসা পরিবার ভাবতে নূরীর খুব ভাল লাগছে। রান্নাঘরে গিয়ে ফেলে আসা অর্ধেক কাঁটা শাকগুলো হাতে নিল। কাজের প্রতি তার এখন অনেক মনযোগ। নুরীর পুরোটা পরিবার, তার নিজের পরিবার একটু পরেই দুপুরের খাবার খেতে বসবে। তাই রান্না শেষ করতে হবে তাড়াতাড়ি।
৪বছর পরঃ
বসুন্ধরার একটা ফ্ল্যাট থেকে অনেকগুলো মানুষ বের হয়ে রাস্তার এক পাশে ভিড় জমিয়েছে। নূরীকে সাথে করে তার জামাই সিঁড়ি দিয়ে নামছে। নূরী হঠাৎ তার স্বামীর হাত ছেড়ে দৌড়ে সাকিবের রুমে ঢুকলো। কান্না জ়ড়ানো কন্ঠে নূরী হড়হড় করে বলে চলল,
-বাইয়া, আমার জন্য দোয়া করবেন। আফনের জন্যই আমি আপনের আর আফুর বইন আর এই বাসার মেয়ে হইছি। আমার জন্য দোয়া কইরেন বাইয়া।
সাকিবের বোনের বিয়ে, এর থেকে খুশির আর কি আছে্? চোখের পানি সামলে সে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, “করব করব, বাইয়া দোয়া করব।”
নূরীর মুখের ‘বাইয়া’ সাকিবের মুখে শুনে নুরী হেসে ফেলল।
—————-নুরীর জীবন নূরালোকিত হোক। অবশেষে নুরী এবং তার নতুন সংসারসহ সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল…………।।
1st :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome:
নুরীর মত সকলের জীবন আলোকিত হোক... :boss: :boss: :boss: :boss:
চমৎকার লেখা :clap: :clap: :clap: :clap:
এমন হোক প্রতিটি পরিবার!আমি ফাস্ট হইছি 😀
হ...কামের মাইয়া অইব জাস্ট বোন... 😛 😛 😛 😛 😛 😛
:)) :)) :))
নাহ সেকেন্ড।সুখ নাই রে পাগল 🙁
:grr: :grr: :grr: :grr:
:awesome: :awesome: :awesome: :awesome:
হু্মমম... সাকিব এর মতো ভাবতে , মন মানসিকতার পরিবর্তন করতে আমাদের আরও সময় লাগবে ...
আমি হয়তবা এইভাবে ভাবতে পারবনা , কিন্তু আমি আমার ব্যাটম্যান কে স্বাবলম্বী করে তার ভবিষ্যত কে সুন্দর করতে যা করার সেটা করব ।
সুন্দর লেখার জন্য নাসির কে... :salute:
:boss: :boss: :boss:
নাসির ভাইকে :salute:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
:boss:
নাসির,
খুব ইচ্ছে হয় তোমার মত করে ভাবতে।
চেষ্টা করিও। নিজে লোশন না মাখলেও ব্যাটম্যানের চাহিদা অনুযায়ী লোশনটা কিনে দিতে ভুলিনা। জানিনা কতদিন এই মানসিকতা ধরে রাখতে পারবো। দোয়া করো যেন বদলে না যাই।
লেখাটি হৃদয় স্পর্শ করেছে। :boss:
আমার এখানকার বন্ধুবান্ধব একদিন জিজ্ঞাসা করেছিল শিশুশ্রম নিয়ে। আমি ওদের বোঝাতে পারিনি যে, চাইল্ড লেবার খারাপ হলেও এটা না থাকলে অনেক ছেলেপেলে না খেয়ে মারা যাবে। ওরা সবকিছু দেখে ওদের নিজেদের টার্মসে। শেষে না পেড়ে বলেছিলাম, যদি কোনদিন বাংলাদেশ যাও তাহলে বুঝবে কেন চাইল্ড লেবারের দরকার।
নিখুঁত একটা পৃথিবীতে হয়তো সচ্ছল পরিবারগুলো একটা অসহায় শিশুকে পালক সন্তান হিসাবে নিয়ে নিবে, নিজের পরিবারের একজনের মতোই রাখবে। কিন্তু দুনিয়াটাও নিখুঁত না, এইটাও ঘটে না।
নাসির, ভালো একটা বিষয় তুলে এনেছো। :clap:
মানুষ বাঁচুক মানুষের মতো।
নাসির :thumbup:
সবাইকে ধন্যবাদ।
আপনারা যে নিজেরাও ব্যাপারটা নিয়ে ভেবে সেই অনুযায়ী ব্যবহার দেখাচ্ছেন তা আসলেই প্রশংসার যান। সবাই যার যার সাধ্য অনুযায়ী করলেই আমরা এমন স্বপ্ন দেখতে কিংবা দেখাতে পারি। বোনের মতন না পারলেও একজন মানুষ হিসেবে তাঁদের অনুভূতীটুকু নিতে পারলেও তাঁদের এই একটা জীবনে একটু হলেও "জীবন" দিতে পারব।নিজেরা মানুষ হিসেবে এটাই বা কম কিসে?
সবাইকে পড়বার এবং কমেন্টস করবার জন্য আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ এবং :salute:
নাসির তোমার গল্পের বক্তব্যটা সুন্দর। এতটা হয়ত সবাই পারবেনা। কিন্তু প্র্যাপটুকুও যদি দেয়া যায় সেটাও হবে একটা সুন্দর কাজ। সেটাও দেয় না বেশিরভাগ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চমৎকার...
লেখনী কাহিনি দুইটাই :clap: :clap:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
লেখাটা ভাল লেগেছে নাসির। বাস্তবজীবনে আমরা খুব কমই এরকম ঘটনা দেখি বা শুনি। আমাদের সমাজে অধিকাংশ নূরীরাই অবহেলিতা, নির্যাতিতা, আর নিপীড়িতা। আমরা যেন আমাদের অধীনস্থদের মানুষ হিসেবে গন্য করি এবং তাদের প্রাপ্য মর্যাদাটুকু দিতে পারি। তোমার এই লেখাটা যেন আমাদের সবার চোখকে খুলে দেয়, মনটাকে প্রশস্ত করে দেয় এবং মানুষকে তার প্রাপ্য মযাদাটুকু দিতে শেখায়। ধন্যবাদ
রহমান (৯২-৯৮) বলেছেনঃ
জানুয়ারী ৩, ২০০৯ @ ৪:৩৭ অপরাহ্ন
লেখাটা ভাল লেগেছে নাসির। বাস্তবজীবনে আমরা খুব কমই এরকম ঘটনা দেখি বা শুনি। আমাদের সমাজে অধিকাংশ নূরীরাই অবহেলিতা, নির্যাতিতা, আর নিপীড়িতা।
আমি রহমান ভায়ের সাথে একমত।
লেখাটার সমাপ্তিতে তুমি যা দেখালে তা বাস্তবে সাধারত হয় না।
ব্যক্তিগতভাবে, আমি লেখার মাঝে বাস্তবকে তুলে ধরে সামাজিক অসঙ্গতির প্রতি আঘাত হানার পক্ষপাতি।
এনিওয়ে লেখা চালিয়ে যাও।
খুবই ভাল লাগসে লেখাটা, অনেক কিছু শিখলাম এই লেখাটা থেকে................
সবাইকে ধন্যবাদ, :hatsoff: :hatsoff: অনেক বড় বড় কমেন্ট দেখে বেশ অবাক এবং অনেক বেশি খুশি। (জাফর, তৌফিক,আহসান, রহমান, আমিন)ভাইদের ইস্পিশাল ধন্যবাদ। 😀
নাসির ভাই,
কঠিন ফিলিংস দিলেন রে ভাই.........
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
কখনো এভাবে ভাবিনি তবে ভাবাটা উচিত ছিল। এখন থেকে ভাবব।
বেশ লেগেছে...
:boss:
গল্পের বক্তব্য টা খুবই ভাল নাসির ভাই...
আমাদের মধ্যে এই সংকীর্ণতাটা খুবই প্রবল...যে বয়সে বাপ মা ঘরে লুতুপুতু বাবু বানায়া রাখে, সেই বয়সে "নূরী"দের ভোর-রাত ডিউটি দিয়াও মাফ নাই... :chup:
অনেক দিন পরে আবার পড়লাম...অসাধারণ বক্তব্য...আমরা সবাই যদি এরকম করতে পারতাম...
অেনক ধন্যবাদ এ ধরেনর েলখা কাম্য শুভ কামনা
hats off! spread the good vibe. thanks very much indeed.
এই রকম সহানুভূতি দেখানোর লোক আমাদের দেশে খুবই কম :chup: । আপনার এই লেখাটা পড়ে আমার মনে হল :dreamy: আমাদের দেশে সবাই যদি এই রকম হত তাহলে কতই না সুন্দর হত এই ভুবনটা। এই রকম পোষ্ট দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক "ধন্যবাদ " :clap: :clap: :clap: :clap:
ভাল লাগল।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
Amader deshe hobe sei chele kobe, kothai na boro hoye kaje boro hobe like Nasir Bhai. ::salute::
:clap:
🙂
ওয়াও অনেক সুন্দর তো। পড়ে ভালই লাগলো।
সুন্দর মনের পরিচয়
চমৎকার লিখা